দাদীর হাত ধরে বসে আছে ওসমান। দাদীর হাতটা কেমন যেন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা। উত্তাপ নেই। ওসমানের মুখের চামড়া শুকিয়ে টান ধরেছে। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া চোখের পানি শুকিয়ে কেমন একটা চ্যাট-পেটে অনুভূতি। কপালের কোনার কাটা জায়গাটা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে আপনা আপনি। রক্ত জমে লাল থেকে গাঢ় খয়েরী রঙ নিয়েছে। বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখটাও উল্টে গেছে। তীব্র ব্যথাটা এখন ঝিমিয়ে এসেছে একটু একটু করে।
বিস্তারিত»♥♥♥♥ মেয়েটিকে ভালবেসে ফেলেছি ♥♥♥♥
কি কাজে যেন বাইরে গেলাম ভুলে গিয়েছি। ভুলে যাওয়ার একটা কারনও আছে। কারণটা হচ্ছে আমার গল্পের শিরোনাম। বাহিরে কারেন্ট নাই। বাসা থেকে বের হয়ে একটা মোর ঘুরলাম। ম্যাক্সিমাম বাসায় কোন আলো জ্বলছে না। কিন্তু মনের যখন মিল হয় তখন তারা আর দূরে থাকতে পারে না এর প্রমান আমি আজই পেলাম। একটি বাসায় আলো জ্বলছিল তা আমি দূর থেকেই দেখলাম। একটা সময় আমি হাঁটতে হাঁটতে বাসাটার একদমই কাছে চলে আসলাম।
বিস্তারিত»ছাতা কাহিনী
আমার বড় আপু আমাকে খুব ভালবাসে। আমি তার থেকে পাঁচ বছরের ছোট। ছোট ভাই হবার মজাই আলাদা। অনেক মজার মজার খাবার খাওয়া যায়। বোন চাকুরী করে, তাই অনেক সুন্দর সুন্দর উপহার পাওয়া যায়। আমার মতে, বাবা-মার আদরের থেকেও বোনের আদর অনেক বেশী। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, বড়বোন থাকলে গৃহশিক্ষক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আগে মা যখন সকালে রান্না-বান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকতো, তখন আমার বোন আমাকে স্কুলে পাঠাবার জন্য প্রস্তুত করতো।
বিস্তারিত»তরমুজ
শৈশবেই ছিঁচকে চুরিতে হাত পাকায়নি এমন ক্যাডেটের সংখ্যা বিরল। যদিও ক্যাডেটদের কাছে এগুলো কখনোই চুরি নয় বরং নিজেদের প্রাপ্য হক আদায় করা। সেভেন/এইটে খুব বেশি সুযোগ না থাকলেও প্রতিভাবান ছেলেদের কখনোই দাবায়ে রাখা যায়না। আর ক্লাস নাইনে উঠে যাবার পর তো চুরির অঢেল সুযোগ। শুধু চোখ কান খোলা রাখলেই চলে।
আমার সমসাময়িক বেশিরভাগ ক্যাডেটের চুরির হাতেখড়ি পেয়ারা দিয়ে। সেভেনের শিশুরা কথায় কথায় হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে( একবার এক জুনিয়রকে মন ভালো না থাকার কারণে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকতে দেখেছিলাম )।
বিস্তারিত»হ্যালো, স্লামলিকুম! দৈনিক উন্মাদ থেকে বলছিলাম।
Prank – শব্দটির সাথে পরিচয় ছিলোনা সে সময়। কিন্তু এর পিছনে সময় না দেওয়াটা অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তূু আমি ছিলাম নেহাতেই চুনোপুটি। এ লাইনে পি এইচ ডি করা বড় বড় ওস্তাদ লোকজনের অভাব ছিলোনা। এরকম একজন ছিলো মোতাকাব্বের ওরফে মোবারক।
উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে সেদিন। পরিক্ষায় সেই রকম ডাইল মারছি। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরিক্ষার নম্বরের পার্থক্য হোলো ১৭২ নম্বর। সূতরাং ১ ঘন্টার মধ্যে বাপের প্যাদানির ভয়ে এক বস্ত্রে বাসা ছাড়লাম।
বিস্তারিত»ছায়া
অক্টোবরের পাতা ঝরা রাত। পশ্চিম থেকে অ্যাড্রিয়াটিকের গা ছুঁয়ে আসা বাতাস হিম করে রেখেছে চারপাশ। খুব সজাগ হয়ে কান পাতলে বাতাসের ডাক শোনা যায়। বিমর্ষ এক হাহাকার জাগিয়ে সে বাতাস দিনারিক পর্বতমালার গা ঘেঁষে হারিয়ে যায়। নিস্তব্ধ চারপাশ। গাছের পাতাটি পড়লেও শোনা যায় এমন। মানুষ পৃথিবীতে আসার অনেক অনেক আগে, যখন মহীসঞ্চারণে প্যানেজিয়া ভেঙে সাত সাতটি আলাদা মহাদেশ হচ্ছিল, তখন কি পৃথিবী এমন ছিল? এমন শান্ত,
বিস্তারিত»দেখলাম সে কাঁদছে
দেখলাম সে কাঁদছে। তার কান্নাটা ছিল নীরব কান্না। আমার শত ব্যস্ততার কারণে আমি আজ এতদিন খেয়াল করিনি। আসলে এটা আমার দোষ যে, আমি খেয়াল করতে পারিনি। আর সে তো আমারই সন্তান। আমার কাছ থেকে সে আর কতদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখবে? তাকে তো আমার সামনে আসতেই হবে। আমি তো তার নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানি। সে কী করে? কেন করে? পথ চলতে গিয়ে তার কোথায়-কোথায় বেধে যায়? সে কী ভুল বলে?
বিস্তারিত»দূরত্ব
১.
নির্মাণাধীন মিরপুর ডিওএইচএস ইদানিং চিড়িয়াখানা আর বোটানিক্যাল গার্ডেনের উপর চাপ বহুলাংশে কমিয়ে দিয়েছে। খোলা জায়গা আর কয়েকটা জলাশয়ের গুনে মিরপুর ডিওএইচএস প্রতিনিয়ত ‘ওয়াও’, ‘অসাম’, ‘মাই গস’, ‘অসাধারন’ এবং আরও ছোট কিছু ইংরেজি এজেক্টিভ অথবা লম্বা বাংলা বিশেষণে মহিমান্বিত হয়েই যাচ্ছে!
ওসমানী হলটা পার হয়ে তরফদার সাহেব যেই গাড়িটা ডানদিকে ঘুরালেন ওমনি রুমানার গলা দিয়েও বিস্ময়ের আওয়াজ ‘ওয়াও’ শোনা গেলো। বাসা মিরপুর দুইয়ে হলেও বারো নম্বরের এই দিকটাতে আসা হয়নি কখনও রুমানার ।
বিস্তারিত»হঠাৎ ঝলক (ভৌতিক গল্প)
রবিন ছেলেটাকে আমার একটুও পছন্দ হয় না। দেখলেই গায়ের মধ্যে জ্বলে ওঠে। রাগে, হিংসাই আমার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। আর তখন পৃথিবীর সমস্ত গালিগুলি আমি তাকে একটার পর একটা বিড়বিড় করে দিতে থাকি। মনে হয়, যেন লাফ দিয়ে ওর গলাটা টিপে ধরি। অবশ্য ছেলেটির মধ্যে বেশ কয়েকটি ভালো গুন আছে। যেমন- ভদ্রতা, নম্রতা, সুরুচিবোধ ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার বেস্টফ্রেন্ড অর্ণবকে সে বস করে ফেলেছে। প্রত্যেক স্যারের মুখে তার প্রশংসা।
বিস্তারিত»সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি…..
সেদিন ছিল কোন একট ছুটির দিন। হলে বসে বন্ধুদের সাথে কার্ড খেলা আর চা সিগারেটের জম্পেশ আড্ডা চলছিল। আমার খুবই বিরক্ত লাগছিলো। কারণ আর কিছুই না; মোবাইলে একটু পর পর এসএমএস এর আগমন। এই মোবাইল কোম্পানি গুলোর যে কী হয়েছে…? খালি এসএমএস পাঠায়। সবাই ভাবছিল মনে হয় কোন মেয়ে আমাকে এসএমএস পাঠাচ্ছে। আবির বলল, “ কীরে দোস্ত, গার্ল ফ্রেন্ড নাকি?” আমি বললাম, “ হ্যাঁ, দুইজন;
বিস্তারিত»অপ্রকাশিত ইচ্ছে
নামটা আবার পড়লো নাদিয়া। নাহ,ভুল না। নাদিয়া ইসলাম। মিরপুর,ঢাকা । তার মানে ওর গল্পটাই প্রথম হয়েছে। ছুটির দিনে ঈদ সংখ্যা হাতে পেয়ে নাদিয়া কিছুক্ষন চুপ করে রইল। গল্প প্রকাশের চেয়েও সবচেয়ে বড় ব্যপার হচ্ছে হঠাত্ করেই হাতে কিছু টাকা আসবে। তিন হাজার টাকা। টাকার অংকে তিনহাজার খুব কম টাকা হলেও নাদিয়ার কাছে অনেক। ফয়সালের একার উপার্জনে সংসার চলেনা। মাস শেষে চার থেকে পাঁচশ টাকার কমতি পরে যায়।
বিস্তারিত»ঈদের চাঁদের হাসি
অণুগল্প লিখবো বলে অনেক আয়োজন করে বসেও থেমে যেতে হয় শুরুতেই। ট্রেনের হুইসেল শুনে কানপাতি আমি, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে আপনমনেই বলি,” মহানগর এক্সপ্রেস! ট্রেন এসে গেছে!” নৈঃশব্দের রাজ্য ক্যাডেট কলেজের নীরব-নিশ্চুপ বাতাস কেটে ট্রেনের হুইসেল থেকে থেকে কানে আসে অনেকক্ষণ। স্পষ্ট শুনতে পাই, হেলেদুলে যেতে যেতে ট্রেনটা আমাকে বলছে,” ভালো থেকো খেয়াসোনা!” শ’কিলোমিটার দূরে বসে এই ট্রেনের জন্যে যে আরেকজন অপেক্ষা করে থাকে।
বিস্তারিত»আমাদের কলেজ থেকে একবার একটি ছেলে পালিয়েছিল
যখন কোন মানুষের জীবনের ইচ্ছাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চারের নায়ক হবার, তখন সে মানুষকে কি আর কেউ আটকাতে পারে? নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের বুদ্ধি তার মাথায় নাড়া দিয়ে উঠতো। আর বুদ্ধিগুলোও ছিল অনেক আজব, অনেক রোমাঞ্চকর। বলা চলে, “যা আগে কেউ কোনো দিন ভাবেনি”। সে যা করতো আর যেভাবে করতো, তা অবশ্য ম্যাকগাইভারি বুদ্ধিই বলা চলে। অনেকটা সিনেমাতে যে ভাবে দেখা যায়, ঠিক সে রকম। আর তার সময় পরিমাপের ধরনটাও ছিল অসাধারণ।
বিস্তারিত»নীলুর জন্য ভালবাসা
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই হাসান সাহেবের মেজাজটা খিটখিটে হয়ে গেল। বিছানায় ছোট ছেলেটা বিপুল উৎসাহে পিপি করে দিয়েছে। আর সেই পিপির কোমল এবং উষ্ণ পরশেই তাঁর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছে। বিরক্ত হয়ে গোসল করতে যাওয়ার সময় বাথরুমের দরজায় বাড়ি খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলেন। গোসল সেরে বের হয়ে পাঞ্জাবি পড়ে বাইরে যাওয়ার সময় দেখে্ন তাঁর পাঞ্জাবির হাতায় গোল হয়ে ঝোলের দাগ বসে আছে।
নীলু তার বাবাকে প্রচন্ড ভয় পায়।
ইন্দ্রাণী টকিজ
<<কেড়ে নিয়ে যায় তার পৃথিবী>>
স্টেশন পাড়ার পশ্চিম প্রান্তে একটা নোংরা ডোবা। ডোবাটার পাড়ে ধস্তাধস্তি করে দাঁড়িয়ে থাকা কুঁড়েঘরের ঘুপচি বাড়িগুলোর একটায় থাকে সে। সময় তখন রাত ১১টা বেজে ১৫। একটা বয়সী দীর্ঘস্বাস; নিজেই এখন নিজের বড় শত্রু কিংবা গলগ্রহ, গলগ্রহই হবে। কাছাকাছি একটা বাসা থেকে উঠতি বয়সী কোন ছেলের বাজান গানের শব্দ ভেসে আসে, “দূর ইশারায় বহু দূরে/আছড়ে পড়ে আকাশ/ কি হয় তোদের একটু খানি আদর বেশি মাখা/আদর বেশি মাখা……”।