যে ছেলেটা দিনের পর দিন একলা একলা তালা বদ্ধ একটা ছোট ঘরে বড় হয়েছে , তার জীবন আর কতটা ভাল হতে পারে বলতে পারেন ? সেই ছেলেটা যাকে তার বাবা মার অস্তিত্ব অনুভব করতে হত ঘুম এর মধ্যেই। হয়তো সকালে অফিস এ যাওয়ার সময় আদর মাখা চুমুর স্পর্শে , কিংবা রাত্রে অফিস থেকে আগত ক্লান্ত হাতের কোমল ছোঁয়ায় , অথবা হয়তো ঘুম এর মধ্যেই আধা জাগ্রত ছেলেতা কে খাইয়ে দেওয়ার মধ্যে।
বিস্তারিত»মোর প্রিয়া হবে এসো রানী
“আসলে এ অবস্থায় আমাদের কিছুই করার থাকেনা। রোগী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ স্মৃতি ধরে রাখে সেই অংশ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারি ভাষায় যার নাম Alzheimer. আপনি বরং এক কাজ করুন রোগীকে বাসায় নিয়ে যান। শুধু শুধু এত গুলো টাকা নষ্ট করবেন ক্যানো?” ডাক্তারের কথা গুলো অবিশ্বাস্য মনে হল। এর মানে আমার অবনী পাগল হয়ে গেছে। এ কিছুতেই সম্ভব না। আমি ডাক্তারকে শান্ত গলায় বললাম,
বিস্তারিত»আমি আমগাছ বলছি
আমি কেমন জানি একটু অন্যরকম, অন্যদের মতো না। আবেগ একটু বেশি মনে হয়। হ্যাঁ, আমি একটি আমগাছ। বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়া কালের সাক্ষীও বলতে পারেন। অজস্র স্মৃতি আছে আমার কিন্তু ঐ প্রেমিক যুগলের স্মৃতি যেন একটু বেশি ভাবায় আমাকে। শহরতলির এক প্রত্যন্ত এলাকার বিনোদন পার্কে স্থায়ী নিবাস আমার। প্রতিদিন কতো জুটি এসে কতো মান অভিমান আর ভালোবাসার নাটক মঞ্চস্থ করেছে আমার ছায়াতলে।
বিস্তারিত»ঝরে না পড়া সূর্যমুখীদের কথা
কেমন যেন ঝাপসা লাগছে চারিটা দিক। সিলিং এর দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। সিলিং এর ইন্টেরিয়র কালারটা যে কি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কখনো সাদা, কখনো হলুদ, আবার কখনোবা হালকা গোলাপী লাগছে। কেমন যেন একটা ঘোর লাগা ভাব। সিলিং ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোই লাগছে। ছন্দিত গতিতে চরকির মত ঘুরে যাচ্ছে অনবরত। আচ্ছা এই সিলিং ফ্যান এর কয়টা পাখা? তিনটা? নাকি চারটা? ঠিক এই প্রশ্নটাই আমাকে ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ভাইভাতে জিজ্ঞাসা করেছিলেন একজন আর্মি অফিসার।
বিস্তারিত»বরাবর,অধ্যক্ষ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, পাবনা।
জীবনে যে কতবার লিখছি এই কথাটা তা গুনে শেষ হবে না। তো যাদের কাছে এতগুলা চিঠি লিখলাম তাদের নিয়ে লিখতে বসছি আজ। আমার জীবন কালে আমি সাড়ে তিন জন প্রিন্সিপাল পাইছিলাম।
এক.) মাহবুবুর রহমান ফারুক স্যারকে পাইলাম গিয়া সেভেনে। তখন ক্লাশ এইটের ঠেলাতেই জানডা আলজ্বিভ ধরে ঝুলত, কখন জানি বাইর হইয়া যায় অবস্থা। প্রিন্সিপাল তো ভিন গ্রহের কথা। তখন মনে করতাম হাউস মাস্টারই সবকিছু কলেজের।
বিস্তারিত»রং বদল – ২
হলে ফিরে রুমে আসার পর দেখলো রাবেয়া কান্না ভেজা চোখে ওর বিছানার উপর বসে আছে। অজানা আশংকায় কাকনের বুকটা কেঁপে উঠেছিল। তারপরই সে রাবেয়ার কাছ থেকে সেই ভয়ংকর সংবাদটা শুনেছিল.
-চাচীর হার্ট এ্যটাক করেছে। অবস্থা খুব আশংকাজনক। এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে আছে।
সে আর দেরী করেনি। পরদিনই চলে গেল ময়মনসিংহে। মা কোন রকম ভাবে প্রাণে বেঁচে রইলো। তবে বুকের ভেতর একটা ভালভ নষ্ট হয়ে গেছে।
রং বদল – ১
(পোস্টের সংখ্যা ৫৯ এ আটকে আছে দেখে তা ৬০ করতে ইচ্ছে হলো। অন্য কোথাও প্রকাশিত অনেক আগে লেখা একটি গল্প পোস্ট করলাম।)
-তোমাকে না ফাইলটা নতুন করে এডিট করতে বলেছিলাম?
-করেছি তো। এটা তো নতুন ভার্সন।
-তাহলে যে গতকাল আমি নতুন কয়েকটা পয়েন্ট দিলাম সেগুলো কোথায়?
-আপনি তো সেগুলো এখানে ঢুকোতে বলেননি।
-তাহলে কোথায় ঢুকোতে বলেছিলাম?
-বলেছেন পরে যখন আপগ্রেড ভার্সন হবে তখন নতুন এইসব পয়েন্ট সেখানে যোগ করতে।
একটি অবাস্তব স্বপ্নের বাস্তবগাথা
অদেখা স্বপ্নজগতে ঘুরবার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি। স্বপ্ন নতুন করে দেখা শিখিয়েছিলি তুই। জীবন নিয়ে সন্দিহান আমি কার্ড খেলাকেই সঙ্গী করে চালিয়ে নিচ্ছিলাম জীবন। তারপর একদিন হঠাৎ তোর ফোন। নারী প্রজাতির সাথে কথা বলায় পারদর্শিতার অভাব আমাকে সেদিন তোতলা বানিয়ে দিয়েছিল কয়েক মুহূর্তের জন্য। এরপরের কাহিনী যেন স্বপ্নের মতো। দেখলাম তোকে সিঁড়ি দিয়ে নামছিস। ইন্দ্রপুরীর পরীর রাজ্য থেকে যেন একটা পরী দিকভ্রান্ত হয়ে এসে পড়ল আমার রাজ্যে।
বিস্তারিত»ছোটগল্প : ডায়েরির ছেঁড়া কোন নিশ্চুপ পাতায়
এক
শেষ বিকেলের রোদের তীর্যক রেখা অফিসের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে আমার পাশের টেবিলে কর্মরত বীথির নগ্ন বাহুরর উপর পড়লে আমি সচকিত হই। রোদের এই আগমন হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল না, কিংবা বলা যায় এমন ঘটনা যে আগে ঘটে নি তাও হয়তো নয় তবে এই আলোকের হঠাৎ ঝলকানিতে আমার মাথা ব্যথার উদয় ঘটল আবার নতুন করে। ব্যথার অনুভূতিটা অদ্ভুত। এক ধরণের নেশাভাব কাজ করে এই ব্যথার মাঝেই।
আমাদের “সত্য” স্যার
“তারপর কী হল শোন, সেই ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া গেল টয়লেটের মধ্যে । হাতে হুমায়ূন আহমেদ এর বই। ভাঙা দরজার সামনে যখন প্রিন্সিপাল দাঁড়িয়ে আছে তখনো তার চেতন নেই। এঁকেই বলে বইয়ের পোকা। ভাঁবা যায় টানা তিন দিন একটা ক্যাডেট বই পড়ে টয়লেটে কাঁটিয়ে দিয়েছে।” সত্য স্যারের গল্প শুনে কেউ অবাক হলনা। কারন মোটামুটি সবাই জানে স্যারের কথার অধিকাংশই মিথ্যে। ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম গুল।
বিস্তারিত»রাজপুরুষ
টিউশনী যারা করে, কেবল তারাই জানে এর জালা কিরকম।বিশেষ করে যারা খুলনায় টিউশনী করে, একে তো দূরত্ব, তার উপর সারা বছর ভ্যাপসা আবহাওয়া।সেদিন ছিল আমার জন্মদিন।বাস্তবতার টানে সেদিনও বিকেল হতেই টিউশনীতে যেতে হল।এমনিতে সারাদিন ক্লাস, ল্যাব তারপর ক্লাস টেস্ট; এরপর কারো মেজাজ ঠিক থাকে না। সে অবস্থাতেও অতি কষ্টে একটা কেক আর কলা খেয়ে তারপর চা সিগারেট হাতে চিন্তা করছিলাম, মাস চলবে কিভাবে।আজও টিউশনীতে না গেলে পরে মাস শেষে টাকা নিতে গায়ে বাধে।
বিস্তারিত»বন্ধুত্ব আর কিছু বিড়ম্বনা…
রাজ-এর মাথায় হঠাৎ একটা শয়তানি খেলে গেল ।
ওকে কষ্ট দিয়ে দিপ্তি শান্তিতে থাকবে, এইটা মেনে নাওয়া যায় না, ভাবল সে ।
কত্ত বড় খারাপ মেয়েটা , কাল সারাটা বিকাল ওকে টেনশনে রেখেছে। সেই কখন থেকে দিপ্তির একটা খোজ খবর কিচ্ছু পায়নি সে । একটা কল ও না, এমনকি ফেসবুক এ একটা পোক ও না…
পরে দেখে, ফেসবুক আইডিটাই ডিয়েক্টিভেটেড,
বিস্তারিত»মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….
বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।
যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,
ডলফিন, নীলতিমি ও একটি থিসিস পেপার
(১)
ভেজা বারান্দায় দৌড়ানো সহজ কথা নয়। সেটাই করতে হচ্ছে শুভকে। এমনিতেই পাঁচ মিনিট দেরী হয়ে গেছে।থিসিস পেপারটা শুভ স্যার কে দেখাতে পারবে তো? এমনিতেই রশিদ স্যার যে রাগী! এসব ভাবতে ভাবতে একটু অন্যমনস্ক হয়েছিল শুভ। হঠাৎ পা পিছলে গেল।
কিছুটা স্পীডেই দৌড়াচ্ছিল শুভ।তাই পড়ে গিয়ে ভাল ব্যথা পেল সে।কাপড়চোপড় আগেই ভিজে গিয়েছিল। এখন আরো খারাপ হল কাপড়ের অবস্থা। যাই হোক শুভ একটু ঠিক হয়ে নিক।এই সুযোগে আপনাদের সাথে ওকে পরিচয় করিয়ে দেই।
বিস্তারিত»