ঘৃণা

আমি তোমাকে ঘৃণা করি………হ্যাঁ, আমি তোমাকেই ঘৃণা করি……।। ঘৃণা করি তোমাকে………কারন তুমি আমার জীবনে এসেছ। ঘৃণা করি তোমাকে………কেননা আমার জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে চেয়েছ তুমি।

 

আমার জীবনটা কখনই খুব সুন্দর ছিল না। আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি নিজের একগাদা দুঃখ-কষ্ট নিজের মাঝে জমিয়ে রেখে। নিজের সব কষ্টগুলো সবসময় নিজের মাঝেই রাখতাম আমি। মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হলে একা একা অন্ধকার ঘরে বসে কাঁদি।

বিস্তারিত»

অপরাহ্ণের ভ্রান্তি

ঘরের জানালা দিয়ে দিনের প্রথম আলোটুকু আমার চোখের উপর পড়ে আমার ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলো। জানালা বলা ঠিক হবে না। বলা যায় একটা ফাঁকা জায়গা। জেলে তো আর জানালা থাকে না। আমি অন্যদিনের মতো আলস্য না দেখিয়ে উঠে পড়লাম, সূর্যোদয়টা দেখা দরকার। ফুটোটা দিয়ে যতটুকু পারা যায় দেখে নিলাম। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সূর্যটা তখন অনেক উপরে উঠে গেছে। মানে বেলা অনেক গড়িয়ে গেছে। মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘনিশ্বাস বের হয়ে এলো।

বিস্তারিত»

স্বপ্নচূড়া-২

প্রথম পর্ব

গত দুই দিনে অনুপমার সাথে একটা কথা বলারও সুযোগ হয়ে উঠেনি দিলীপের।প্রথম কাজ যেটা করতে হয়েছে সেটা মাকে মামার বাড়ি রেখে আসতে হয়েছে।স্থানীয় যারা বন্ধু আছে,তাদের সাথে কথা বলে সব ঠিক করতে হয়েছে।সব করতে হয়েছে গোপনে এবং সময় নিয়ে।কয়েকজনকে পুরো ব্যাপারটা বুঝানোও খুব সহজ হয়ে উঠছিল না।এসব করতে করতে অনুপমার সাথে কথা বলার সুযোগই হয়ে উঠেনি।শুধু স্যারের সাথে দেখা করতে যেয়ে একবার চোখে চোখ হয়েছিল একবার,কিছুক্ষণের জন্য।রাতে রওনা দেবার আগে যেভাবেই হোক দেখা করতে হবে।সন্ধ্যার পরে নাট মন্দিরের সামনে দেখা হবার কথা।

বিস্তারিত»

রক্তস্নান

নাহ, মেয়েটা তো বিরক্ত করে মারল। কত আর সহ্য করা যায়। বেশী বাড়াবাড়ি করলে………………

–      এই মেয়ে, তোমার ধানাইপানাই থামাইবা? নাইলে কিন্তু এক্কেবারে পেটের মধ্যে ঢুকাইয়া দিলাম।

আমার হাতের চকচকে, ধারাল ছুরিটা দেখে মেয়েটা একটু থামল। কিন্তু তার চোখে-মুখে অবর্ণনীয় এক আতঙ্ক যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে। ভয়ের শীতল স্পর্শে তার মুখ ফ্যাকাশে। গতকাল পর্যন্তও সে আমার প্রেমে মশগুল ছিল। তার বিন্দু মাত্র ধারনা ছিলনা আমার সম্পর্কে।

বিস্তারিত»

স্বপ্নচূড়া-১

চায়ে চুমুক দিতেই ভুলটা ধরা পড়ে।সিগারেট আনা হয় নি।বালিশের পাশে যে দু’টা সিগারেট রাখা ছিল,সেগুলো সেখানেই গড়াগড়ি খাচ্ছে অথবা কে জানে এতক্ষণে মনসুর অথবা প্রকাশের ঠোঁটে শোভা পেয়ে রক্তে নিকোটিন ছড়াতে ছড়াতে নিজেকে ভষ্ম করে দিয়েছে কিনা!চায়ের সাথে সিগারেটের অনুপস্থিতি ব্যাপারটাকে অনেকটা তরকারীতে লবণ না দেওয়ার মতই মনে হয় দিলীপের।আর সেটা যদি হয় দুধ চা,চিনি বেশী, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।পুরোপুরি অত্যাচার বলেই মনে হয় তখন।এক কাঠি সিগারেট যে কিনে নিবে সেই যোও নেই।কি আর করা?উদাস মনে চায়ের কাপে চুমুক দেয় দিলীপ।

বিস্তারিত»

একজন একা মানুষের গল্প……

যে ছেলেটা দিনের পর দিন একলা একলা তালা বদ্ধ একটা ছোট ঘরে বড় হয়েছে , তার জীবন আর কতটা ভাল হতে পারে বলতে পারেন ? সেই ছেলেটা যাকে তার বাবা মার অস্তিত্ব অনুভব করতে হত ঘুম এর মধ্যেই। হয়তো সকালে অফিস এ যাওয়ার সময় আদর মাখা চুমুর স্পর্শে , কিংবা রাত্রে অফিস থেকে আগত ক্লান্ত হাতের কোমল ছোঁয়ায় , অথবা হয়তো ঘুম এর মধ্যেই আধা জাগ্রত ছেলেতা কে খাইয়ে দেওয়ার মধ্যে।

বিস্তারিত»

মোর প্রিয়া হবে এসো রানী

“আসলে এ অবস্থায় আমাদের কিছুই করার থাকেনা। রোগী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ স্মৃতি ধরে রাখে সেই অংশ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারি ভাষায় যার নাম Alzheimer. আপনি বরং এক কাজ করুন রোগীকে বাসায় নিয়ে যান। শুধু শুধু এত গুলো টাকা নষ্ট করবেন ক্যানো?” ডাক্তারের কথা গুলো অবিশ্বাস্য মনে হল। এর মানে আমার অবনী পাগল হয়ে গেছে। এ কিছুতেই সম্ভব না। আমি ডাক্তারকে শান্ত গলায় বললাম,

বিস্তারিত»

আমি আমগাছ বলছি

 

আমি কেমন জানি একটু অন্যরকম, অন্যদের মতো না। আবেগ একটু বেশি মনে হয়। হ্যাঁ, আমি একটি আমগাছ। বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়া কালের সাক্ষীও বলতে পারেন। অজস্র স্মৃতি আছে আমার কিন্তু ঐ প্রেমিক যুগলের স্মৃতি যেন একটু বেশি ভাবায় আমাকে। শহরতলির এক প্রত্যন্ত এলাকার বিনোদন পার্কে স্থায়ী নিবাস আমার। প্রতিদিন কতো জুটি এসে কতো মান অভিমান আর ভালোবাসার নাটক মঞ্চস্থ করেছে আমার ছায়াতলে।

বিস্তারিত»

ঝরে না পড়া সূর্যমুখীদের কথা

কেমন যেন ঝাপসা লাগছে চারিটা দিক। সিলিং এর দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। সিলিং এর ইন্টেরিয়র কালারটা যে কি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কখনো সাদা, কখনো হলুদ, আবার কখনোবা হালকা গোলাপী লাগছে। কেমন যেন একটা ঘোর লাগা ভাব। সিলিং ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোই লাগছে। ছন্দিত গতিতে চরকির মত ঘুরে যাচ্ছে অনবরত। আচ্ছা এই সিলিং ফ্যান এর কয়টা পাখা? তিনটা? নাকি চারটা? ঠিক এই প্রশ্নটাই আমাকে ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ভাইভাতে জিজ্ঞাসা করেছিলেন একজন আর্মি অফিসার।

বিস্তারিত»

বরাবর,অধ্যক্ষ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, পাবনা।

জীবনে যে কতবার লিখছি এই কথাটা তা গুনে শেষ হবে না। তো যাদের কাছে  এতগুলা চিঠি লিখলাম তাদের নিয়ে লিখতে বসছি আজ। আমার জীবন কালে আমি সাড়ে তিন জন  প্রিন্সিপাল পাইছিলাম।

এক.)  মাহবুবুর রহমান ফারুক স্যারকে পাইলাম গিয়া সেভেনে। তখন ক্লাশ এইটের ঠেলাতেই জানডা আলজ্বিভ ধরে ঝুলত, কখন জানি বাইর হইয়া যায় অবস্থা। প্রিন্সিপাল তো ভিন গ্রহের কথা। তখন মনে করতাম হাউস মাস্টারই সবকিছু কলেজের।

বিস্তারিত»

রং বদল – ২

হলে ফিরে রুমে আসার পর দেখলো রাবেয়া কান্না ভেজা চোখে ওর বিছানার উপর বসে আছে। অজানা আশংকায় কাকনের বুকটা কেঁপে উঠেছিল। তারপরই সে রাবেয়ার কাছ থেকে সেই ভয়ংকর সংবাদটা শুনেছিল.
-চাচীর হার্ট এ্যটাক করেছে। অবস্থা খুব আশংকাজনক। এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে আছে।
সে আর দেরী করেনি। পরদিনই চলে গেল ময়মনসিংহে। মা কোন রকম ভাবে প্রাণে বেঁচে রইলো। তবে বুকের ভেতর একটা ভালভ নষ্ট হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

রং বদল – ১

(পোস্টের সংখ্যা ৫৯ এ আটকে আছে দেখে তা ৬০ করতে ইচ্ছে হলো। অন্য কোথাও প্রকাশিত অনেক আগে লেখা একটি গল্প পোস্ট করলাম।)
-তোমাকে না ফাইলটা নতুন করে এডিট করতে বলেছিলাম?
-করেছি তো। এটা তো নতুন ভার্সন।
-তাহলে যে গতকাল আমি নতুন কয়েকটা পয়েন্ট দিলাম সেগুলো কোথায়?
-আপনি তো সেগুলো এখানে ঢুকোতে বলেননি।
-তাহলে কোথায় ঢুকোতে বলেছিলাম?
-বলেছেন পরে যখন আপগ্রেড ভার্সন হবে তখন নতুন এইসব পয়েন্ট সেখানে যোগ করতে।

বিস্তারিত»

একটি অবাস্তব স্বপ্নের বাস্তবগাথা

অদেখা স্বপ্নজগতে ঘুরবার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি। স্বপ্ন নতুন করে দেখা শিখিয়েছিলি তুই। জীবন নিয়ে সন্দিহান আমি কার্ড খেলাকেই সঙ্গী করে চালিয়ে নিচ্ছিলাম জীবন। তারপর একদিন হঠাৎ তোর ফোন। নারী প্রজাতির সাথে কথা বলায় পারদর্শিতার অভাব আমাকে সেদিন তোতলা বানিয়ে দিয়েছিল কয়েক মুহূর্তের জন্য। এরপরের কাহিনী যেন স্বপ্নের মতো। দেখলাম তোকে সিঁড়ি দিয়ে নামছিস। ইন্দ্রপুরীর পরীর রাজ্য থেকে যেন একটা পরী দিকভ্রান্ত হয়ে এসে পড়ল আমার রাজ্যে।

বিস্তারিত»

ছোটগল্প : ডায়েরির ছেঁড়া কোন নিশ্চুপ পাতায়

এক
শেষ বিকেলের রোদের তীর্যক রেখা অফিসের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে আমার পাশের টেবিলে কর্মরত বীথির নগ্ন বাহুরর উপর পড়লে আমি সচকিত হই। রোদের এই আগমন হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল না, কিংবা বলা যায় এমন ঘটনা যে আগে ঘটে নি তাও হয়তো নয় তবে এই আলোকের হঠাৎ ঝলকানিতে আমার মাথা ব্যথার উদয় ঘটল আবার নতুন করে। ব্যথার অনুভূতিটা অদ্ভুত। এক ধরণের নেশাভাব কাজ করে এই ব্যথার মাঝেই।

বিস্তারিত»

আমাদের “সত্য” স্যার

“তারপর কী হল শোন, সেই ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া গেল টয়লেটের মধ্যে । হাতে হুমায়ূন আহমেদ এর বই। ভাঙা দরজার সামনে যখন প্রিন্সিপাল দাঁড়িয়ে আছে তখনো তার চেতন নেই। এঁকেই বলে বইয়ের পোকা। ভাঁবা যায় টানা তিন দিন একটা ক্যাডেট বই পড়ে টয়লেটে কাঁটিয়ে দিয়েছে।” সত্য স্যারের গল্প শুনে কেউ অবাক হলনা। কারন মোটামুটি সবাই জানে স্যারের কথার অধিকাংশই মিথ্যে। ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম গুল।

বিস্তারিত»