ফেসবুকের এক্স-ক্যাডেট ফোরামে Megamind Habib এর দেয়া পোস্ট টা ছিল
{ “যে ছেলের হাতের লেখা খারাপ তার চরিত্র খারাপ আর যে ছেলে বাংলা বানান জানেনা তার রক্তে বিষ! ” – কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ! 😀 😀 😀 }
তার নিচে সবার কমেন্টস থেকে কয়েকটা ঘটনা এক করে একটা পোস্ট বানাইয়া ফেলসি। যে যেটা লিখছে নাম সহ দিয়া দিছি। খালি একটাই দোষ করছি কারো পারমিসন নেই নাই। আর আমি এই দুইটা লাইন ছাড়া নিজে কিছু লেখিও নাই কারো লেখা এডিট ও করি নাই। যেমন ছিল কপি মাইরা দিছি। :khekz:
২) Nafis Ujrat ক্লাস এইটে কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ছিল আমাদের ক্লাস টিউটর। একবার চিঠিতে লিখলাম ” প্রিয় আম্মু”….. ভুল একটা করছিলাম। এরপর যে বয়ান টা বায়োলজি গ্যালারিতে খাইলাম ! তার কথা হইল আম্মু কখনো প্রিয় হইতে পারে না। চিঠিতে লিখতে হবে শ্রদ্ধেয় আম্মাজান/ পরম পূজনীয় মা … ইত্যাদি! আমি মনে মনে কই , ” মারডালা ! মারডালা !”
৩) Tushar Al Mutasim যে ক্যাডেট গেঞ্জি পরে না, সে ক্যাডেট না………”চাষা”…………kk mondol sir
৪) Mokabbir Sarkar একটু রেটেড কথা বার্তা তাই প্রতিবার তারকা চিহ্ন দিয়ে পার পেয়ে যাই এইবার পুরোটা লিখবো।
ক্লাস টুয়েল্ভ (আমরা) এর টেস্ট কিংবা ধারে কাছে এরকম কোন পরীক্ষা চলে বাংলা ১ম বা ২য় পত্র (প্রশ্ন করেছেন কিরণ স্যার) প্রশ্নের একটা ভুল চেক করার জন্যে ম্যানুস্ক্রিপ্ট খুঁজে পাচ্ছেন না। একাডেমি ব্লকের এই কোনা থেকে ওই কোনা দৌঁড়ায় উনি ক্লান্ত হয়ে গেলেন ক্লাস টেনের ফর্মে। সেখানে পরীক্ষার গার্ড দেবব্রত স্যার বসে আছেন চুপ করে।
বাকিটা অল্টারনেট জুনিয়রদের থেকে শোনা যেটার সারমর্ম মোটামুটি এরকমঃ
“ক্লাস টুয়েল্ভের খশ্চেনের ম্যানুসসস্ক্রিপ্ট খুজে পাসসি না।”
আরো কিছু কথার পর দেবব্রত স্যার উঠে গেলেন চেয়ার থেকে। দেখা গেলো দেবব্রত স্যার ম্যানুস্ক্রিপ্টের উপরেই বসে ছিলেন।
কিরণ স্যারঃ “দাদা গোয়ার তলে মানুসসস্ক্রিপ্ট নিয়ে বসে আছেন আর আমি সারা একাডেমি ব্লক তন্নতন্ন করে খুজে হয়রান হসসি।”
দেবব্রত স্যারঃ “এএএএএএ কেরণ দ্যা…এ এ মুখ সামলে কথা বলেন।”
৫) Nafis Ujrat: Megamind Habib পুরাটা বলস না ক্যান ? কিরণ কুমার স্যারের অমর বাণী,” হে নাফিস ! তোমার লেখায় মশলা আছে, কিন্তু হাতের লেখা জঘন্য ! সুতরাং ফলাফল শূন্য!”
৬) Mahbub Plabon বাংলা একক অভিনয়ে দ্বিতীয় হওয়ার পরে কিরণ স্যার, হেই ছেলে তোমার অভিনয় খারাপ না কিন্তু অভিনয়ে একটা নারী নারী ভাব আনতে হয়, সেটা নাই । তোমার আই সি সি এল এম এর প্র্যাকটিস আসার খুব একটা দরকার নাই । তবে আসলে আস্তে পারো
কলেজ ম্যাগাজিনে লেখা দেয়ার পড়ে স্যার আমারে ডেকে : শোন, তোমার দেয়া কবিতা দুইটাই ভাল তবে , তোমার হাতের লেখা খুবই জঘন্য , তার শাস্তি হিসেবে তোমার একটা কবিতা **** এর নামে দিয়ে দিয়েছি ।
৭) Mahbub Plabon পদ্মা নদীর মাঝি পড়ানোর সময় স্যার এর রিডিং পড়া
অখায় দুইডা বাইগুন দিছি
:হেই ছেলে বুঝছ ? অখায় দুইডা কি দিছি ?
বাইগুন, ( ডান হাত দিয়ে spin bowling এর মুদ্রা হবে )
কোথায় দুইডা বাইগুন দিছি ?
অখায় ।
ক্রে বেটা বুঝছ ?
৮)Abdullah Muhammad Farabi [গলার স্বরের তীব্রতা বাক্যের শুরুতে বেশী এবং বাক্য শেষ হওয়ার সাথে কমতে থাকবে] great point Nafis Ujrat
এই জিনিসটা যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি করত…
উদাহরণ : ১। ক্রে ব্যাটারা, তোরা-বানান-ভুল-করিস- (না)
[ব্র্যাকেটের অংশটা শোনা যাবে না । প্রতিটি শব্দ থেমে থেমে আলাদা করে বলা বিধায় হাইফেন দেওয়া হল।]
২। তোরা-সিগ্রেট-খাইস- (না)
৩। ছুটিতে-গিয়া-প্রেম-করিস- (না) !!!
৯) Mokabbir Sarkar স্যারের পদ্মা নদীর মাঝির মালা ও কপিলার চরিত্রের পার্থক্য বর্ণনা করার সময় (এইটা আমাদের ক্লাসে হয় নাই তবে ডেমো শুনেছিলাম) – “কপিলার মন আছে দেহও আছে। মালার মন আছে কিন্তু দেহ…নাই।” [গলার স্বরের তীব্রতা বাক্যের শুরুতে বেশী এবং বাক্য শেষ হওয়ার সাথে কমতে থাকবে]
১০) Ridwan Islam “তোমার লেখায় মশলা আছে, কিন্তু হাতের লেখা জঘন্য ! সুতরাং ফলাফল শূন্য!”…এই ডায়লগ তো আমারেও দিসিলো .আমরা ১১/১২ এ থাকতে উনার ছেলে ক্যাডেট কলেজে এক্সাম দিয়া চান্স পায়নাই।তখন আমাদের ফর্ম এ এসে বললেন, “আমার ছেলে পিনাখ (পিনাক),কত্ত ভাল লেহে(লেখে) (ঠোট উল্টান এবং হাতে স্পিন বোলিং এর ইমো),তারে নেয়নাই,নিসে কারে?এক টাও বানান পারে না! যে বানান পারে সে সব পারে, আর যে বানান পারে না, সে কিছুই… (পারেনা)” (ঠোট উল্টান এবং হাতে স্পিন বোলিং এর ইমো, ‘পারেনা’ শব্দ টা দুর্বোদ্ধ!!)
১১) Rashed Tuhin দেবু স্যারঃ অ্যা …. বাবু, তোর তো কামপিউতার আছে তাই না?
ক্যাডেটঃ না স্যার নাই।
দেবু স্যারঃ তাহলে ইন্টারনেট তো নিশ্চয়ই আছে তাই না??????
১২) Ridwan Islam আমাদের একজন ক্লাস এইটে মার্ক চুরি করে ধরা খাওয়ার পর, “এ এ এ এ তুই এক নম্বর না,দুই নম্বর না,তিন নম্বর না…তুই চার নম্বর জালিয়াত!!!!”
১৩) Mokabbir Sarkar ওরে দেবুরে!!! গজব করে ফেললো!!
“Eating Haram Getting Fat”
১৪) Mokabbir Sarkar আরে মাইর পিট করার পরেই মোটামুটি শিউর থাকতাম সামনের উইকে একটা ইম্প্রুভড লাঞ্চ আছে!! যাওয়ার আগের বায়োলজি ক্লাসে ডায়ালগ দিসিলেন, “ক্যাডেটদের পিঠে মারলে পেটে ঠান্ডা করা লাগে।” So true and salute to him!
আর আজানের সময় টাইমিং কইরা উনার কাছে মাইর খাইতে গিয়া কতজন যে বাঁইচা ফেরত আইসে!! সেইটার হিসাব নাই। কিন্তু পিটাইসে…আচ্ছা মতে পিটাইসে!!!
নিঃসন্দেহে নতুন তরিকা। তবে অভিনব।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
three consecutive failed log-in attempt এর জন্যে আমাকে এখন ব্লগে লগ ইন করতেই দেয়া হচ্ছে না। এরকম সি,আই,এ হ্যাঙ্গার ১৮ ধরনের সতর্কতার ফাঁপর খাওয়া লাগবে ধারণা করি নাই।
মোর্শেদ দোস্ত ভালা কাজ করস! সব তো দিস নাই। আরো অনেক গুলা আছে। এবং পোস্ট হইতে থাকবে। "Eating Haram Getting Fat" এইটা কিন্তু আমাগোর বিশ্বাস স্যার/বিসিসির রওনকের আব্বার ডায়ালগ! 😛
:))
কেউ না
===========================================
যা তুমি দেখো শোনো বোঝো তা তুমি তোমার স্রষ্টাকে দেখাও শোনাও বোঝাও।
ভয়ানক পোস্ট ! =)) =)) =)) =))