রাতের ঘ্রাণ

চার নম্বর সিগারেটের শেষের ধোঁয়াটুকু আর সহ্য হচ্ছে না, শেষ অংশটা ফিল্টার আর ছাইয়ের দঙ্গলে গুজে দিতেও প্রবল অনিহা। ওপর থেকে ওটাকে অ্যাশট্রের ওপর ছেড়ে দিয়ে মগের তলানীর কফিটুকু তার ওপর ঢেলে দিল তরুন। ছ্যাঁৎ করে একটা ক্ষণস্থায়ী শব্দ, সিগারেটের অঙ্গারটা নিভে গেল, ধোঁয়া থেমে গেল। অঙ্গার থেকে উঠতে পারা শেষ ধোঁয়াটুকু ধিঙ্গি নাচতে নাচতে তার চোখের সামনে পর্যন্ত উঠে তারপর হালকা হয়ে মিলিয়ে যেতে লাগল চারপাশে।

বিস্তারিত»

নাম সমগ্র

সঙ্গত কারনে পোস্ট সরিয়ে নেয়া হইল। লেখক অনেক মাইর খেয়েছেন তার ক্লাসমেট দের হাতে  :duel: :duel: :gulli: :gulli: :gulli2: :gulli2: :chup: :chup: :brick: :brick: :brick:

বিস্তারিত»

..আড়ালে..

মেয়েটা সেই কবে থেকেই নতুন একটা ফ্রকের জন্য জালাচ্ছে। আজ দেব কাল দেব করতে করতে ঈদ এসে গেল। গত ঈদেও মেয়েটাকে কিছু দেয়া হয়নি। মেয়েটা সারাদিন মন খারাপ করে বসে ছিল। পাশের বাশার মুক্তি এসে মেয়েটার সাথে কথা বলতে চাইলেও বলেনি। মুক্তির বাবা বড়লোক। ঈদে পাঁচ থেকে ছয়টি ড্রেস পায়। ঈদের দিন পাঁচ থেকে ছয়বার ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্যাশন শো দেখায়। মেয়েটির আত্মসম্মান বোধ প্রচুর।

বিস্তারিত»

অর্চি

অর্চির সাথে আমার প্রথম পরিচয় কফিশপে। এক বিকেলের হলুদ রোদ এসে জানালার কাঁচে অপূর্ব প্রতিফলন তৈরি করছে। কফি মকা র অর্ডার দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আমি আকাশ দেখছি। হঠাত্‍ পাশ থেকে সুরেলা কন্ঠে ডাক,ভাইয়া ওয়াশ রুমটা কোন দিকে? মোটামুটি থতমত ই খেয়ে গেলাম। বুঝলাম মেয়েটি আমাকে ওয়েটার ভেবে ভুল করেছে। অবশ্য ভুল করার ই কথা। সাদা ফর্মাল ড্রেস সাথে টাই আর হাতে কফি শপের ম্যানু। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উদাস চোখে বাইরে তাকিয়ে থাকা।

বিস্তারিত»

অনন্ত প্রতিক্ষা

আমার এক বন্ধু খালিদের লেখাটাকে কিছুটা modify করে নিজের নামে চালিয়ে দিলাম। 😛

পূর্বকথা…………………

১৪ ই ফেব্রুয়ারি,২০০৯। বিশ্ব ভালবাসা দিবস। আজকের এই দিনে পৃথিবীর সকল তরুণ-তরুণী তাদের প্রিয়জন কে ভালবাসার রাখিতে আবদ্ধ করেছে। কিন্তু একটি তরুণের ভাগ্যে সেই সৌভাগ্য ছিল না। দুপুর এগারটায় রমনা পার্কের কাছে এক ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করে সে। তার সারা দেহ পিষ্ট হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে তার ডান হাত টা ছিল অক্ষত।

বিস্তারিত»

পোট্রেইট

।১।
তার মানে তুই আমাকে পোট্রেইট এঁকে দিচ্ছিস না? পিউ এর কথাটা বেশ ভারী শোনাল। কথক বলল, আর কিছু দিন সময় দে,ঠিক একেঁ দেব। সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে একটু ব্যস্ত। কথকের কথা শুনে পিউ এর মেজাজ খারাপ হল। কোন মতে বিরক্তি ঢেকে বলল,দেখ ভালো ছবি আঁকিস বলে তোকে আমার পোট্রেইট আঁকতে বলেছি। সেই পাঁচ মাস ধরে ঘুরাচ্ছিস। আজ কাল করতে করতে এতটা দিন কেটে গেল।

বিস্তারিত»

তিন তিতলী

“মেঘ বলেছে যাবো যাবো” বইটি দ্বিতীয় বারের মত পড়া শেষ করেছি। আমি তখন নবম শ্রেনীতে। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। ছুটি আর কয়েক দিন পর। আমাদের ক্যাডেট কলেজে অনেক নিয়ম কানুন। গল্পের বই পড়ার সময় ও সুযোগ সব সময় মেলে না। তবে এই সময়টা সবাই গল্পের বই পড়ে কাটায়। শিক্ষকরাও আমাদের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তেমন কিছু বলেন না। হাতে পড়ার মত কোন বই না থাকায় বন্ধু তৌফিকের কাছ থেকে নিয়ে এই বইটিই আবার পড়লাম।

বিস্তারিত»

প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ

প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ,

অনেক আবেগ জমে গেলে আমি লিখতে পারিনা। শ্রাবন মেঘের দিনে তোমার চলে যাওয়াটাও মানতে পারছিনা। এই শ্রাবনে তোমার কোথাও যাবার কথা ছিলনা। শঙ্খনীল কারাগার কিংবা নন্দিত নরক কেউ তোমাকে পাওয়ার যোগ্য নয়। তুমি কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ হয়ে আমাদের জোছনা ও জননীর গল্প শোনাবে। তেতুল বনে যে জোছনার রূপ ঝরে পড়বে। মধ্যাহ্নের তীব্র রোদে হিমু হেঁটে চলবে ঢাকার রাস্তায়,তুমি রূপাকে চিরদিনের জন্য তাঁর করে দেবে।

বিস্তারিত»

মনের চোখে

 

প্লাস্টিকের মলাটে বাঁধানো একটি খাতা । যদিও যত্নের কোন অভাব হয়নি তবু খাতাটির ধরণ-ধারণ দেখলে বোঝা যায় এর বয়স অনেক ।প্রায় ৩১-৩২ বছর তো হবেই । মনে মনে হিসেব করে আফসানা আহমেদ।  তার ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে এটি তার সঙ্গী।আফসানার এক মামা থাকতেন লন্ডনে। প্রায়ই ভিউকার্ড পাঠাতেন তিনি । ইংল্যান্ডের দর্শনীয় সব জায়গার ছবিঅলা সুন্দর সুন্দর ভিউকার্ড। এই খাতার পাতায় পাতায় সেগুলো আঠা দিয়ে সেঁটে রাখতে রাখতে হয়ে গেল একটা স্ক্র্যাপবুক ।

বিস্তারিত»

পাগলির প্রেমিক

দুটো বিড়ালের ঝগড়াঝাটির শব্দে মিথির ঘুম ভাঙে। হুট করে ঘুম ভেঙ্গে তার মনে হয়েছিল বাইরে বাড়ির সবাই হুলস্থুল কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে আর সে কিছুই জানে না। কিন্তু না!!! বাড়ির বিড়াল দুটো ঝগড়া করছে । অবিকল মানুষের সুর।
শুয়ে শুয়েই আড়মোড়া ভেঙ্গে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায় মিথি।জানালার বাইরে শিউলি গাছটায় এখনো আধঝরা কিছু ফুল পাতার উপর বসে আছে। গাছের উপর তৈরি হওয়া মাকড়সার জালটা শিশির কনার ভারে নুইয়ে পড়েছে।

বিস্তারিত»

অনাহুত এক অনুভুতি

নিশুতি রাতে বসে আছি। আমার নিশুতি শব্দ টা একদম ই ভাল লাগেনা। কেমন যেন লাগে। আসলে প্রতিটা মানুষের ই কিছু কিছু ব্যাপার থাকে যা সে সহ্য করতে পারে না। আমরা বন্ধুরা যাকে বলি গা গুলানো। আহ আসল কথায় আসি, আমি তো এমনিতে এই নিশুতি রাতে মশাদের সাথে অনাহুত রক্তদান কর্মসূচি করতে বসিনি।

একটা ভাঙ্গা ঘরে বসে আছি। চারপাশে জঙ্গল আর ঝি ঝি পোকার ডাক।

বিস্তারিত»

প্ল্যানচেট

আধি ভৌতিক ব্যাপারে হিল্টুর দারুন বিশ্বাস। জনাথন রিচার্ড হিলটন, ওরফে হিল্টু কলকাতার অ্যাংলো। ওর দাদার বাবা ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর। বংশ পরম্পরায় তার চেহারা ও সাস্থ্যকে ধারন করে আছে হিল্টু। ওর দাদা প্রথম বাঙালী বিয়ে করেন, যেটা ছিল বিধবা বিবাহ। দেখতে অবশ্য ও পুরোই বৃটিশ। ঝারা ছয় ফুট দেড় ইঞ্চি, সে রকমই সাস্থ্য, নীল বর্ণ চোখ আর লালচে সাদা চুল। ওকে দেখলেই শীর্শেন্দূ মুখোপাধ্যায়ের “পাগলা সাহেবের কবর” উপন্যাসের পাগলা সাহেবের কথা মনে পড়ে।

বিস্তারিত»

আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ

১.

বাংলাদেশে মহিলা গুন্ডি দের তালিকা করা হইলে শামা কে অনায়াসে চোখ বন্ধ করে এক নম্বরে রাখা যাবে। তার যন্ত্রণায় নুহা (শামার বেস্টফ্রেন্ড) একশ একবার মনে মনে আর দুয়েকবার ভয়ে ভয়ে শামার সামনে আক্ষেপ করে , কোন দুঃখে শামা নামক অতিমানবীর ফ্রেন্ড যে হইছিল । ফ্রেন্ড হইছিল তাও মানা যায়,এক্কেবারে বেস্ট ফ্রেন্ড,আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা রুমমেট ও !! নাহ, বড্ড ঝামেলা করে মেয়েটা।

বিস্তারিত»