আমাদের কলেজ থেকে একবার একটি ছেলে পালিয়েছিল

যখন কোন মানুষের জীবনের ইচ্ছাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চারের নায়ক হবার, তখন সে মানুষকে কি আর কেউ আটকাতে পারে? নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের বুদ্ধি তার মাথায় নাড়া দিয়ে উঠতো। আর বুদ্ধিগুলোও ছিল অনেক আজব, অনেক রোমাঞ্চকর। বলা চলে, “যা আগে কেউ কোনো দিন ভাবেনি”। সে যা করতো আর যেভাবে করতো, তা অবশ্য ম্যাকগাইভারি বুদ্ধিই বলা চলে। অনেকটা সিনেমাতে যে ভাবে দেখা যায়, ঠিক সে রকম। আর তার সময় পরিমাপের ধরনটাও ছিল অসাধারণ।

বিস্তারিত»

নীলুর জন্য ভালবাসা

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই হাসান সাহেবের মেজাজটা খিটখিটে হয়ে গেল। বিছানায় ছোট ছেলেটা বিপুল উৎসাহে পিপি করে দিয়েছে। আর সেই পিপির কোমল এবং উষ্ণ পরশেই তাঁর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছে। বিরক্ত হয়ে গোসল করতে যাওয়ার সময় বাথরুমের দরজায় বাড়ি খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলেন। গোসল সেরে বের হয়ে পাঞ্জাবি পড়ে বাইরে যাওয়ার সময় দেখে্ন তাঁর পাঞ্জাবির হাতায় গোল হয়ে ঝোলের দাগ বসে আছে।
নীলু তার বাবাকে প্রচন্ড ভয় পায়।

বিস্তারিত»

ইন্দ্রাণী টকিজ

<<কেড়ে নিয়ে যায় তার পৃথিবী>>
স্টেশন পাড়ার পশ্চিম প্রান্তে একটা নোংরা ডোবা। ডোবাটার পাড়ে ধস্তাধস্তি করে দাঁড়িয়ে থাকা কুঁড়েঘরের ঘুপচি বাড়িগুলোর একটায় থাকে সে। সময় তখন রাত ১১টা বেজে ১৫। একটা বয়সী দীর্ঘস্বাস; নিজেই এখন নিজের বড় শত্রু কিংবা গলগ্রহ, গলগ্রহই হবে। কাছাকাছি একটা বাসা থেকে উঠতি বয়সী কোন ছেলের বাজান গানের শব্দ ভেসে আসে, “দূর ইশারায় বহু দূরে/আছড়ে পড়ে আকাশ/ কি হয় তোদের একটু খানি আদর বেশি মাখা/আদর বেশি মাখা……”।

বিস্তারিত»

রাতের ঘ্রাণ

চার নম্বর সিগারেটের শেষের ধোঁয়াটুকু আর সহ্য হচ্ছে না, শেষ অংশটা ফিল্টার আর ছাইয়ের দঙ্গলে গুজে দিতেও প্রবল অনিহা। ওপর থেকে ওটাকে অ্যাশট্রের ওপর ছেড়ে দিয়ে মগের তলানীর কফিটুকু তার ওপর ঢেলে দিল তরুন। ছ্যাঁৎ করে একটা ক্ষণস্থায়ী শব্দ, সিগারেটের অঙ্গারটা নিভে গেল, ধোঁয়া থেমে গেল। অঙ্গার থেকে উঠতে পারা শেষ ধোঁয়াটুকু ধিঙ্গি নাচতে নাচতে তার চোখের সামনে পর্যন্ত উঠে তারপর হালকা হয়ে মিলিয়ে যেতে লাগল চারপাশে।

বিস্তারিত»

নাম সমগ্র

সঙ্গত কারনে পোস্ট সরিয়ে নেয়া হইল। লেখক অনেক মাইর খেয়েছেন তার ক্লাসমেট দের হাতে  :duel: :duel: :gulli: :gulli: :gulli2: :gulli2: :chup: :chup: :brick: :brick: :brick:

বিস্তারিত»

..আড়ালে..

মেয়েটা সেই কবে থেকেই নতুন একটা ফ্রকের জন্য জালাচ্ছে। আজ দেব কাল দেব করতে করতে ঈদ এসে গেল। গত ঈদেও মেয়েটাকে কিছু দেয়া হয়নি। মেয়েটা সারাদিন মন খারাপ করে বসে ছিল। পাশের বাশার মুক্তি এসে মেয়েটার সাথে কথা বলতে চাইলেও বলেনি। মুক্তির বাবা বড়লোক। ঈদে পাঁচ থেকে ছয়টি ড্রেস পায়। ঈদের দিন পাঁচ থেকে ছয়বার ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্যাশন শো দেখায়। মেয়েটির আত্মসম্মান বোধ প্রচুর।

বিস্তারিত»

অর্চি

অর্চির সাথে আমার প্রথম পরিচয় কফিশপে। এক বিকেলের হলুদ রোদ এসে জানালার কাঁচে অপূর্ব প্রতিফলন তৈরি করছে। কফি মকা র অর্ডার দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আমি আকাশ দেখছি। হঠাত্‍ পাশ থেকে সুরেলা কন্ঠে ডাক,ভাইয়া ওয়াশ রুমটা কোন দিকে? মোটামুটি থতমত ই খেয়ে গেলাম। বুঝলাম মেয়েটি আমাকে ওয়েটার ভেবে ভুল করেছে। অবশ্য ভুল করার ই কথা। সাদা ফর্মাল ড্রেস সাথে টাই আর হাতে কফি শপের ম্যানু। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উদাস চোখে বাইরে তাকিয়ে থাকা।

বিস্তারিত»

অনন্ত প্রতিক্ষা

আমার এক বন্ধু খালিদের লেখাটাকে কিছুটা modify করে নিজের নামে চালিয়ে দিলাম। 😛

পূর্বকথা…………………

১৪ ই ফেব্রুয়ারি,২০০৯। বিশ্ব ভালবাসা দিবস। আজকের এই দিনে পৃথিবীর সকল তরুণ-তরুণী তাদের প্রিয়জন কে ভালবাসার রাখিতে আবদ্ধ করেছে। কিন্তু একটি তরুণের ভাগ্যে সেই সৌভাগ্য ছিল না। দুপুর এগারটায় রমনা পার্কের কাছে এক ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করে সে। তার সারা দেহ পিষ্ট হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে তার ডান হাত টা ছিল অক্ষত।

বিস্তারিত»

পোট্রেইট

।১।
তার মানে তুই আমাকে পোট্রেইট এঁকে দিচ্ছিস না? পিউ এর কথাটা বেশ ভারী শোনাল। কথক বলল, আর কিছু দিন সময় দে,ঠিক একেঁ দেব। সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে একটু ব্যস্ত। কথকের কথা শুনে পিউ এর মেজাজ খারাপ হল। কোন মতে বিরক্তি ঢেকে বলল,দেখ ভালো ছবি আঁকিস বলে তোকে আমার পোট্রেইট আঁকতে বলেছি। সেই পাঁচ মাস ধরে ঘুরাচ্ছিস। আজ কাল করতে করতে এতটা দিন কেটে গেল।

বিস্তারিত»

তিন তিতলী

“মেঘ বলেছে যাবো যাবো” বইটি দ্বিতীয় বারের মত পড়া শেষ করেছি। আমি তখন নবম শ্রেনীতে। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। ছুটি আর কয়েক দিন পর। আমাদের ক্যাডেট কলেজে অনেক নিয়ম কানুন। গল্পের বই পড়ার সময় ও সুযোগ সব সময় মেলে না। তবে এই সময়টা সবাই গল্পের বই পড়ে কাটায়। শিক্ষকরাও আমাদের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তেমন কিছু বলেন না। হাতে পড়ার মত কোন বই না থাকায় বন্ধু তৌফিকের কাছ থেকে নিয়ে এই বইটিই আবার পড়লাম।

বিস্তারিত»

প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ

প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ,

অনেক আবেগ জমে গেলে আমি লিখতে পারিনা। শ্রাবন মেঘের দিনে তোমার চলে যাওয়াটাও মানতে পারছিনা। এই শ্রাবনে তোমার কোথাও যাবার কথা ছিলনা। শঙ্খনীল কারাগার কিংবা নন্দিত নরক কেউ তোমাকে পাওয়ার যোগ্য নয়। তুমি কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ হয়ে আমাদের জোছনা ও জননীর গল্প শোনাবে। তেতুল বনে যে জোছনার রূপ ঝরে পড়বে। মধ্যাহ্নের তীব্র রোদে হিমু হেঁটে চলবে ঢাকার রাস্তায়,তুমি রূপাকে চিরদিনের জন্য তাঁর করে দেবে।

বিস্তারিত»

মনের চোখে

 

প্লাস্টিকের মলাটে বাঁধানো একটি খাতা । যদিও যত্নের কোন অভাব হয়নি তবু খাতাটির ধরণ-ধারণ দেখলে বোঝা যায় এর বয়স অনেক ।প্রায় ৩১-৩২ বছর তো হবেই । মনে মনে হিসেব করে আফসানা আহমেদ।  তার ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে এটি তার সঙ্গী।আফসানার এক মামা থাকতেন লন্ডনে। প্রায়ই ভিউকার্ড পাঠাতেন তিনি । ইংল্যান্ডের দর্শনীয় সব জায়গার ছবিঅলা সুন্দর সুন্দর ভিউকার্ড। এই খাতার পাতায় পাতায় সেগুলো আঠা দিয়ে সেঁটে রাখতে রাখতে হয়ে গেল একটা স্ক্র্যাপবুক ।

বিস্তারিত»

পাগলির প্রেমিক

দুটো বিড়ালের ঝগড়াঝাটির শব্দে মিথির ঘুম ভাঙে। হুট করে ঘুম ভেঙ্গে তার মনে হয়েছিল বাইরে বাড়ির সবাই হুলস্থুল কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে আর সে কিছুই জানে না। কিন্তু না!!! বাড়ির বিড়াল দুটো ঝগড়া করছে । অবিকল মানুষের সুর।
শুয়ে শুয়েই আড়মোড়া ভেঙ্গে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায় মিথি।জানালার বাইরে শিউলি গাছটায় এখনো আধঝরা কিছু ফুল পাতার উপর বসে আছে। গাছের উপর তৈরি হওয়া মাকড়সার জালটা শিশির কনার ভারে নুইয়ে পড়েছে।

বিস্তারিত»