পাঁচ মিনিট বিরহের গল্প/ ৩

আনিকার কাছে নাফিসের প্রেমপত্র……

আমি আছি
তোমার গালে
হাসির টোলে
প্রতিবেলায়।

আছি ঝুলে
কানের দুলে
খোলা চুলে
মুক্ত হাওয়ায়।

একলা বসে
ঠোঁটের ভাঁজে
আঙুল মাঝে
একটু ছোঁয়ায়।

কখনো বা
কপাল জুড়ে
চোখের নীড়ে
বিষণ্ণতায়।

আটকে আছি
চুলের ক্লিপে
কালো টিপে
একটু আঠায়।

বিস্তারিত»

পাঁচ মিনিট বিরহের গল্প/ ২

আনিকা মেয়েটার ভেতর ন্যাকামি ভাব প্রবল। তার চেয়েও সাংঘাতিক রকমের প্রবল হল আদুরে আর ছিঁচকাঁদুনে স্বভাব। ভার্সিটিতে ভর্তি হতে এসে সেইরকম এক তুলকালাম বাঁধিয়ে দিয়েছিল অফিস রুমে। পেটমোটা রেজিস্ট্রি খাতা খুলে বসা রোগা কেরানি আনিকার নাম লিখেছিল আনিকা ফারহানা। ফাজলামি নাকি! সামাদ সাহেব রীতিমত ডাবল খাসি জবাই করে মেয়ের নাম রেখেছিলেন আনিকা ফারজানা, আর এই কেরানি সার্টিফিকেট দেখে দেখে লিখতে গিয়েও কীভাবে ‘বর্গীয় জ’ খেয়াল করলো না!

বিস্তারিত»

মেমোরি কার্ড

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সবাই একাডেমির ওয়াশরুমকেই নিজেদের আড্ডাখানা মনে করতো। বোরিং মফিজ স্যারের ক্লাস কিংবা জহির স্যারের গাইড দেখে দেখে ম্যাথ করানোর টাইমটাতে ওয়াশরুমে আড্ডা কিংবা ফোনে গান শুনাটা সিনিয়র ক্যাডেটদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিলো। তাছাড়া ল্যাব পিরিয়ডে এবং প্রেপ টাইমেও ক্যাডেটদের বিনোদোন খুঁজে নেওয়ার একমাত্র স্থান ওই ওয়াশরুম। ফোনে গান শোনা কিংবা ফেসবুক গুতানোর জন্যে ওই জায়গাটা তুলনামূলকভাবে অনেক নিরাপদ। আমাদের একাডেমিতে সিনিয়র ব্লকে চার টা টয়লেটের মাঝে চার নাম্বার টয়লেটে কেউ কাজ সারতো না।

বিস্তারিত»

প্লিজ ফিরে এস

আজ অনেক গুলো দিন পার হয়ে গেল তোমাকে দেখিনা। সময় এর হিসেবটা ঠিক বলতে পারছিনা। কখনও মনে হয় কয়েক বছর , কখনও কয়েক যুগ। আগে তোমার ছবি দেখে দেখে দিন কাটাতাম এখন তাও করা হয়না। তোমার সাথে আমার এত এত ছবি , সেগুলা দেখি আর খারাপ লাগে। ছবিগুলা দেখে যেভাবে আমি কষ্ট পাই তুমি কি পাও? মনে হয়না।

আমি জানি তুমি এখন অন্য কারও সাথে আছ,

বিস্তারিত»

অসমাপ্ত…

ফজরের আজান শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায় কাশেম আলীর। অযু করে নামায পড়ে সে। পাশে শুয়ে অঘোরে ঘুমাচ্ছে তার স্ত্রী আর চারটি ছেলেমেয়ে। কাশেম আলীর তিনটি মেয়ে আর একটি ছেলে। বড় মেয়েটির বয়স সতেরো, ছেলে মানিকের এগার আর বাকি দুই জমজ মেয়ের বয়স সাত বছর। নামায শেষে ডেকে তোলে তার স্ত্রীকে। বলে, “খাইতে দেও, আর মানিকরে ডাইকা তোল”।

ছেলেটির গায়ে ধাক্কা দিয়ে ডেকে তোলে তার মা।

বিস্তারিত»

সমান্তরাল

কথা বলা ছাড়া অন্য কোনো কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যাপারটা আশরাফ সাহেব একদমই বোঝেন না। সবুজ বাটন চেপে কথা শুরু। আর লাল বাটন চেপে কথা শেষ। এর বাইরে মোবাইল ফোন বিষয়ে তার জ্ঞান ডাবল জিরো। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করে অবসর নিয়ে এখন নামকরা প্রাইভেট কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসে থাকা লোকটার ইংরেজি জ্ঞান খারাপ না। ছেলেরা ছোট থাকতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় গ্রামার বই নিয়ে বসতেন তিনি।

বিস্তারিত»

প্লট

রেডিওতে বিবিসি সংলাপ শুনছিল আসিফা।হঠাৎ কে যেন তার পাশে এসে বসল।অপরিচিত একটা কণ্ঠস্বর বলে উঠল, ‘আসিফা আপু।’

‘কে?’

‘আমাকে চিনবেন না আপু।আমি মার্জিয়া।পাঁচতলায় থাকি।ডাইনিংয়ে, ক্যান্টিনে, জামালের দোকানে আপনাকে প্রায়ই দেখি। আমার এক বান্ধবী- সুমনা, চেনেন বোধহয়।ও আমাকে বলল আপনার একজন ভলান্টিয়ার দরকার।’

‘হ্যাঁ আপু, তা তো দরকার।দু’জন আমাকে রেকর্ডিংয়ে সাহায্য করত। একজন বাড়ি গেছে। আরেকজনের পরীক্ষা। তা কখন কখন সময় দিতে পারবে ?

বিস্তারিত»

একটি কান্না, অতঃপর আমার জয়……

ছোটবেলা থেকেই কেঁদে জিতে যাওয়া ব্যাপারটার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। যখন তখন চোখের জল ফেলাটাকে আমরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা হার না মানা জাতি। কখনো কারো সাথে কোন কিছুতেই হেরে যেতে আমরা নারাজ। আমাদের মূলমন্ত্র যেন- “কর্মে যদিও হয় পরাজয়, কান্নায় জয় হবে নিশ্চয়”।

শৈশবে হয়তো মারামারিতে কারো কাছে হেরে গিয়েছি, কান্নায় কিন্তু ঠিকই জিত হয়ে গেছে। কিংবা বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে কিছু পাইনি,

বিস্তারিত»

পাঁচ মিনিট বিরহের গল্প/ ১

– তুমি কি আমার কথাটা শুনেছ?
– শুনবো না কেন?
– কী বলেছি বলো তো?
– ভ্যাপসা গরমে চ্যাপা শুঁটকি খেতে মজা
– এইসব কী নাফিস! আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা নেই তোমার? কেয়ারলেস হও, ক্যাজুয়াল হও, ভালো কথা। কখনও মানা করেছি? কিন্তু তুমি এতো কেয়ারলেস কেন? নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেছ একবার? এতবার বললাম বাসায় ঘন ঘন প্রস্তাব আসছে, তাও তোমার কোনো টেনশন নেই?

বিস্তারিত»

সাবান

কলিং বেলের শব্দে কিছুটা বিরক্ত হয় শারমিন। আজ শনিবার। ছুটির দিন। ছুটির দিনে বাসায় অপরিচিত কেউ আসেনা। পারভেজ এই দিন বাসায় থাকে। সারাদিন পারভেজকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। ঘর গোছানো,টুকটাক রান্না বান্না। এছাড়া ইদানিং আরো একটা কাজ বেড়েছে। ছোট কাঁথা সেলাই করা। অসময়ে মাথা ব্যথা আর বমি বমি ভাব জানান দিচ্ছে ভালোবাসাবাসির প্রথম ফুল ফুটতে বেশি দেরি নেই। শারমিন বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুলল।
আরে তুমিহ?

বিস্তারিত»

বুক পকেট

সকাল সাড়ে সাতটা। বিছানায় উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে সোহেল। সুমন এসে গায়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকে, “এই সোহেল ওঠ, ক্লাসে যাবি না?” সোহেল ঘুমের মধ্যে উত্তর দেয়, ‘‘না দোস্ত, প্রক্সিটা দিয়ে দিস’’। ‘‘ঠিক আছে, তুই ঘুমা শালা’’ বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে সুমন।

ক্লাস আটটায়। হল থেকে ক্লাসে যেতে সময় লাগে ৫-৭ মিনিট। মাঝখানে ক্যান্টিনে নাস্তা করতে হবে তাই একটু আগেই বের হয় সে। দুটো পরোটা আর একটা ডিম ভাজি দিয়ে নাস্তা করতে করতে সারা দিনের একটা কাজ কর্মের একটা পরিকল্পনা করে ফেলে সুমন।

বিস্তারিত»

সন্তান

– চাচা, একটু বাইরে আসবেন?
রহমান সাহেব স্ত্রীর মাথার কাছে চেয়ার পেতে বসে ছিলেন। তরুণ ডাক্তারের ডাক শুনে বেরিয়ে এলেন। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল শ্যামলা মতন নার্সটা । ডাক্তারের ইশারায় সে ভেতরে ঢুকল। কেবিনের দরজা চাপিয়ে দিল।
– চাচা, চলেন হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি।

এই ডাক্তার ছেলেটাকে তার খুব পছন্দ। গত তেরোদিন ধরে এই ছেলেটাই তার স্ত্রীর চিকিৎসা করছে। লম্বা, ফর্সা,

বিস্তারিত»

নিশিকন্যা

কাঁধে রাইফেল, নির্ঘুম লাল চোখ যা অন্ধকার তার হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছে, কোমরে গামছা বাঁধা, খালি পা, পরনে শতচ্ছিন্ন শার্টপ্যান্ট যেটার এখানে ওখানে ফেঁসে গেছে, কাদাপানিতে ভিজে আর রোদে শুকিয়ে খটখটে হয়ে আছে। হাতে পায়ে অসংখ্য কাঁটাছেঁড়ার দাগ, কোথাও কোথাও থেকে রক্তও পরছে। এসব দিকে কারো খেয়াল নেই। উত্তর দিকে একজায়গায় আগুন লেগেছে সবার দৃষ্টি সেদিকেই নিবদ্ধ। সবাই সেখানেই যাচ্ছে।

-আমি সবাইকে ক্যাম্পে জীবিত ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা দিতে পারবো না।

বিস্তারিত»