ঢাকার টিভিতে দেখছিলাম ভালবাসা দিবসের আয়োজন। আজকাল ছেলে মেয়েরা কতটা খোলামেলা ভাবে একে অপরের সাথে মেলামেশা করে। ভালই লাগলো। কিছুটা হিংসাও হলো। আমাদের সময়ে এসব কিছু অত সহজে সম্ভব ছিলো না। তবে যখন প্রাপ্তি কিছু সহজলভ্য হয়ে যায়, তখন তার মূল্যও হয়তো কিছুটা কমে যায়। একই ভাবে, আমাদের সময়ে সহজলভ্যতা কম হবার কারনে, সামান্য প্রাপ্তিও অনেক বড় হয়ে দেখা দিত। তেমনি এক সামান্য ঘটনা অনেকদিন ধরে আমার জীবনে অসামান্য বলে মনে হয়েছিলো।
বিস্তারিত»আমার একমাত্র ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’….সন ২০০৬
বস ডেকে বলে দিলেন, কালকে একটু ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাও তো……… ~x(
উফ!! এতো দেখি মহা মুশকিল, জানি তেমন কোন কাজের কাজ নাই, শুধু শুধু যাওয়া হবে……..কিন্তু তা তো আর বলা যায়না……তার উপর প্রথম চাকরি……তাই বললাম, স্যার ভ্যালেন্টাইন’স ডে তে ঢাকায় থাকা দরকার…….
তখনই চরম শুদ্ধভাষী বসের মুখে শুনলাম অমোঘ এক বাণী…. :no: …তোমার বউ যেদিন তোমার চাকরিকে তার সতিন মনে করবে, বুঝতে পারবে তুমি সফল!!!
বিস্তারিত»ফেলে আসা দিনগুলো
কলেজে জুনিয়র আসার দিন সবার মন কমবেশি খুশি খুশি থাকে।ক্লাস এইটদের বলে দেয়া হয় সেভেনদের সেদিন কোনোরকম টেবিল রুলস না শিখাইতে।ডিনারে ক্লাস সেভেনদের নিয়ে আচ্ছামত মজা করা হয়।
আমি প্রথমদিন টেবিলে গিয়া দেখি আমাকে দেখে আমার টেবিলমেটরা ব্যাপক মজা পাচ্ছে।আমি যাই করি তাতেই তারা হাসে।তার উপর খাইতে দিসে আলুভর্তা।এইসব দেখে আমি ক্যাডেট কলেজের উপর মহা বিরক্ত হয়ে গেলাম।টেবিলমেট একজন(ক্লাস ইলেভেন) জিজ্ঞেস করল কলেজ কেমন লাগতেসে?আমি বললাম disgusting.সঙ্গে সঙ্গে হাসির মাত্রা আরো বেড়ে গেল।কোনমতে হাসি চেপে উনি আবার বলল খাচ্ছ না কেন?আমি বললাম আলুভর্তা খাই না।উনি বলল খাও খাও,
বুড়া-বুড়ির প্রেমকাহিনী এবং আমি…………
‘মানুষ সামাজিক জীব। সে একা বাঁচতে পারে না। জীবনে চলার পথে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের সংগীর প্রয়োজন। এভাবেই গঠিত হয় সমাজ……………….’ :-B
-তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটা সমাজ বইতে এসব একই বাক্য পড়তে থাকলে কে আর একা বাঁচতে চায় বলুন? তখন সবাই বেমালুম ভুলে বসে থাকি, ‘আসবার কালে আসলাম একা, যাইবার কালেও যাইব একা…’
তবুও আমরা ভালোবাসি। যখন আমরা ভালোবাসি কাউকে,
বিস্তারিত»মূষিক-কথন
(আমার বন্ধু লুজ আমাদের সব গোপন খবর সিসিবিতে ফাঁস করে দিচ্ছে। এইটা ফাঁস করার আগেই লিখে ফেলাই… )
আমাদের ব্যাচের কলেজ গেমস প্রিফেক্ট ছিল জকি। তার মত পিকুলিয়ার এবং গাইন্ধা সিজিপি মনে হয় না কোন কালে কোন কলেজে ছিল। তার বেডের তলে একটা বালতি ছিল। তার মধ্যে সে তার যাবতীয় ময়লা ও গাইন্ধা কাপড় রাখত(ইনক্লুডিং আন্ডি’স)।এবং প্রতি টার্মে সর্বোচ্চ ১ বার সে অইগুলা ধুতে দিত।
হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা – পর্ব ২
“যে কিলাইয়া কাঁঠাল পাকাইয়াছিলো…………”
ছ’ফুট।
তাহারে নিয়া কিভাবে লেখা শুরু করিতে পারি? ক্লাস টুয়েলভে পড়িবার কালে তাহার হাইট ছ’ফুটে গিয়া থামিয়াছিল। এবং ক্লাস সেভেনে যখন তারে প্রথম দেখি, হাইট ছিলো চাইর ফুট আট ইঞ্চি। তাহার মুখ ছিলো এই এক্টুখানি আর কান দু’খানা ছিলো বেশ বড়; দুষ্টলোকেরা তাই তাহার চেহারার সাথে লেমুরজাতীয় কোনো প্রাণীর সাদৃশ্য পাইত। সে তাহার ছ’বছরের সংক্ষিপ্ত কলেজ জীবনে জন্ম দিয়াছিলো অগণিত কিংবদন্তীর। সে কলেজ আউট হইয়াও দিন দশেক পরে ফিরিয়া আসিয়াছিলো আমাদের কাছে বীরের বেশে।
বইমেলা….
প্রথম যে বইমেলার কথা মনে পরছে, সেটা তে আমি আসলে যাই নি। আমি তখন ক্লাশ টু তে পড়ি। আমার মামা আর খালা বইমেলা থেকে ফিরলেন ইমদাদুল হক মিলন এর প্রিয়দর্শিণী ও হুমায়ুন আহমেদ এর নি নিয়ে।প্রিয়দর্শিনীর প্রচ্ছদ টা সেইরকম ছিলো। গোলাপ হাতে এক সুন্দরী নারীর হাত! তবে প্রথম কয়েকদিন ছোটদের সেই বই দেখারও আকসেস ছিলো না। তখন আমার পঠিত বইয়ের তালিকায় ছিলো শুধু সেবার ২ টাকার বই সিনডারেলা।
বিস্তারিত»টুকরো গপপো
শুরুর আগেঃ
ব্লগে আছি প্রায় ৬ মাস হবে, কোনোদিন লিখতে বসা হয়ে উঠে না, নানাবিধ কারনেই। কারনের ফিরিস্তি দিতে গেলে অবশ্য আমার অলসতা কেই সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে। কিছুদিন থেকেই জুলফিকারের কাছ থেকে বেশ মজার সব ঘটনার বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ হিসেবে আমি খুবই নস্টালজিক প্রকৃতির, জুলুর এসব পোস্ট পরে আরো বেশি হয়ে যাচ্ছি।আমার লিখার ভাণ্ডার খুব অল্প আমি কখনই কোনো কবিতা বা গল্প ম্যাগাজিন বা দেয়ালিকাতেও লেখা ছাপাতে পারিনাই।
সপ্তম শ্রেণীর সাতকাহন-পর্ব ২>>শিক্ষানবিশি কুচকাওয়াজ
ডিসক্লেইমার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-কে আপনারা যতই মহিমান্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে করুন না কেন,বুয়েটবাসীরা একে অত্যন্ত সম্মান ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে ”Bangladesh University of Extreme Torture” বলে সম্বোধন করে থাকে।গেল সপ্তাহে আমার ৩য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ক্লাশ সমাপ্ত হল।৩টা কুইজ,১টা সি.টি(Class Torture),৪টা গিগা সাইজ ল্যাব রিপোর্ট সাবমিশন মিলিয়ে ”মানবীয় সিপিইউ” এর টাস্ক ম্যানেজারের উপর দিয়ে ”হারিকেন ক্যাটরিনা” বয়ে গেল।কুইজের প্রশ্ন হাতে পেয়ে মনে হল,আমি স্থির,আর বাকিসব আমার চারপাশে পর্যাবৃত্ত গতিতে ঘূর্ণায়মান!
ফাউ প্যাঁচাল-০৩
আমি নাকি এর আগের লেখাগুলায় চাপা মারছি আর ছোট ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করছি,এই ধরনের কথা বলায় হপ্তাখানেক আগে আমি বাপ্পী (মাহবুব ০০-০৬, BCC)-রে মাইখানেক দাবড়াইছি আর মিনিটদশেক পিটাইছি। যদিও তারে পিটানো নিয়ে আমার কোনোই আক্ষেপ নাই তারপরও বলতেই হয়, আমরা কমবয়েসী এক্স-ক্যাডেটরা একসাথে হইলে যেসব বিষয় নিয়ে গ্যাঁজাই সেইগুলা একই ভাষায় কখনও পোস্ট করলে বিরাট বিপত্তি আছে;সিসিবি নাস্তানাবুদ হয়া যাবে। তাই কিছু নিরীহ ছোটখাট ঘটনারে এক্টুখানি fabrication সহ লিখি…………….এবং এখন থেকে ফাউ প্যাঁচাল সাধু ভাষায়……
বিস্তারিত»‘এফ পি’
কলেজে একটা ‘এফ পি’ ছিল।সোহরাওয়ার্দি হাউসের সামনের রাস্তায় সাদা কালি দিয়ে লেখা ছিল।ঐ টা ছিল আসলে ফিনিশিং পয়েন্ট,অর্থাৎ ক্রস কান্ট্রি বা ইডি খেলে দৌড়ে এসে ঐ খানে ফিনিশিং হত।ক্লাস ৭ থেকে ‘এফ পি’ দেখে আসছি,কিন্তু ‘এফ পি’র সংজ্ঞা বদলে গেল ক্লাস ৮ এর মাঝামাঝি সময়ে।কারন হল ক্লাস ৮ এ আমরা দেখলাম কলেজে একজন ভূগোলের নতুন ম্যাডাম আসলেন,নাম ফরিদা পারভিন।
ফরিদা পারভিন ম্যাডাম সম্পর্কে আমার সিনিওররা অনেক কিছুই আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী বলতে পারবেন ।
বিস্তারিত»দেশে কি এমন কেউ ছিলো না
ঢাকা থেকে ফোন এলো।
– দোস্তো, ঘুমাতে পারছি না।
– কেনো, কি হলো আবার?
– ঐ পাঁচ জন অফিসারের ফাঁসি হয়ে গেলো কিছু আগে।
সকালে অফিসে আসার আগে স্যাটেলাইট টিভিতে বাংলাদেশের খবরে শুনেছিলাম যে ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত ঐ পাঁচ জন অফিসারের আত্মীয়-স্বজনকে জেলে তাদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। তবে ভাবিনি যে আজই এই ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে।
আমেরিকা থেকে হঠাৎ করে ৩৫ বছরের আগের বাংলাদেশে যেন ফিরে গেলাম।
বিস্তারিত»স্মৃতিগুলো ফিরে আসে
আজ অনেকদিন পরে সিসিবিতে আসলাম। পড়ালেখার চাপ আর খানিকটা অভিমানের জন্যই এ পথটা সাধারণত মাড়াতাম না। আজ হঠাৎ করে ফেসবুকের একটা লিঙ্ক থেকে সিসিবিতে ঢুকি। সময়টা আজ দুপুর ১ টা। সেই তখন থেকে সিসিবিতে পড়ে আছি, লাঞ্চ-ডিনার কোনটাই হয়নি 🙁 (একটু পর তেহারী খাইতে যামু 😀 ) । কারন, আলম ভাই আর রহমান ভাইয়ের পোস্টগুলো পড়তে পড়তে কখন যে সময় পার হয়ে গেছে, বুঝতেই পারিনি।
বিস্তারিত»যে ভুল আর শোধরাতে পারিনি
১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার নিরাপরাধ দুই চাচা নিহত হলেন। বাবা তার প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসা হারালেন এবং যুদ্ধে তার দুই ভাইকে হারিয়ে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেন। বিশেষ করে যখন জানলেন যে তার এক ভাইকে মিলিটারীরা অন্যদের সাথে নদীর ধারে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছে এবং অন্য ভাইকে স্থানীয় বিহারীরা তাকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজায় শিকল তুলে দিয়ে বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।
বিস্তারিত»