জঞ্জাল থেকে কুড়ানো…

বাসার বুকশেলফের নিচের তাকটায় পুরাতন জিনিসপত্রের জঞ্জাল বেড়ে যাওয়ায় পরিষ্কার করার অভিযানে নেমেছিল বউ। আমি ভাদাইম্মা মানুষ, আমারে দিয়ে ওইসব হয় না। তবে পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে দেখছিলাম কি করা হচ্ছে। অনেকদিন আগের একটা স্ক্র্যাপবুক পেলাম, আর একটা ত্রৈমাসিক কলেজ ম্যাগাজিন। সাদা-কালোতে ছাপা। খুলে একটু স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম। সেই স্মৃতিকাতরতায় আপনাদের সামিল করতে আমার নিবেদন-

এখানে-ওখানে
-ক্যাডেট ওমর/১৮৩৫
(কবিতাটা আমার লেখা না,

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৭ম পর্ব

আর সবার আমার এই ব্লগ পড়ে কেমন লাগছে তা জানিনা তবে আমার লিখতে খুবই ভাল লাগছে। প্রতিটি ব্লগ লিখতে বসে যখন পুরনো স্মৃ্তিগুলো লিয়ে চিন্তা করি সেই অনুভূতিটাই অন্যরকম। মনে হই এই সেদিনই কলেজে ঢুকলাম আর আজ প্রায় ১০ বছর হতে চলল। তো স্বভাবতই ক্লাস সেভেনের ক্যাডেট হিসেবে আমরা দৌড়ের উপরে থাকতাম। মোটামুটি সবাই আমাদেরকে পাঙানি দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকত। আর আমাদের শুরু হল এই পাঙানি কিভাবে বাঁচা যায় তা নিয়ে লুকোচুরি খেলা।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৬ষ্ঠ পর্ব

আজকে লিখতে বসে বেশ অনেকখন ধরে বসে ছিলাম। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথম পাঙানি যেদিন খেলাম সেইদিনের কাহিনী বর্নণা করব। এই পাঙানি খাওয়া ছিল জীবনের একটা বড় অভিজ্ঞতা।

যাইহোক ঘটনার দিন-তারিখ মনে করতে পারছি না, কিন্তু এটুকু বলতে পারি দিনটি ছিল সোম-বৃহস্পতিবারের মধ্যের যেকোন একটি দিন। ক্লাসে ৭ম পিরিয়ডে আমাকে জানানো হল যে লাঞ্চের পর ৩০৮ নং রুমে থাকতে হবে। ভয়ে ভয়ে শেষ পিরিয়ড করলাম এবং লাঞ্চে ঠিকমত খেতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৫ম পর্ব

আজ ভাবছি ঢালাও করে কিছু স্মৃতি লিখব। যদিও আমি জানি এই স্মৃতিগুলো সবারই মনে থাকার কথা। যেমন সকালে মাত্র দুটি বাথরুম-টয়লেটে ১৭-১৮ জনের টয়লেট, দাঁত মাঝার সিরিয়ালের লম্বা লাইন, পিটি বা ড্রিলে সবার সামলে দৌড়াও বা মার্চ কর, পিটির পর বাথরুমে গোসলের আবারও লম্বা সিরিয়াল, ব্রেকফাস্টের ফল-ইনে মার্চ ঠিকমত না হলে পেছন থেকে ক্লাস এইটের আদেশে নিজের ক্লাসমেটের লাথি খাওয়া, ব্রেকফাস্টের পর তিন পিরিয়ড নভিসেস ড্রিলের জন্য প্র্যাকটিস করা,

বিস্তারিত»

একটি অতিপ্রাকৃতিক কক্ষভোজনঃ অ্যান এপিক অ্যাডভেঞ্চার

…..বুয়েট লাইফটা অনেক বেশি ডাইন্যামিক। পি. এল.(প্রিপারেটরী লীভ, ’পাছায় লাথথি’ ভাববেন না!) শুরু হবার আগ পর্যন্ত আজ ক্লাশ টেস্ট, কাল ল্যাব টেস্ট, পরশু ভাইভা, তরশু কুইজ-এই করে করে কিভাবে যে এক একটা সেমিস্টার পার হয়ে যায়, টেরই পাইনা। পুরোটা সময় কাটে একটা ঘোরের মধ্যে। ক্লাশ চলাকালীন যতই আঁতেল বা সুপারকুল হবার চেষ্টা করি না কেন, নতুন টার্ম শুরুর আগে যখন পূর্ববর্তী টার্মের আমলনামা (মার্কশীট) হাতে দেয়া হয়,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট সব পারে

কলেজে পা রেখেই যে কয়েকটি চমকপ্রদ কথা শুনেছি তার মধ্যে একটি হচ্ছে “ ক্যাডেট সব পারে”। অবশ্য স্যার ম্যাডামদের মুখে এই কথাটা অনেক সময় ব্যাঙ্গাত্মক রূপে উচ্চারিত হত। যাই হোক, ক্যাডেট দ্বারা তেমনই একটি অসাধ্য সাধিত ঘটনা আমি সবাইকে জানাতে চাই। ছোট্ট একটি প্রমাণ দিতে চাই , আসলেই ক্যাডেট সব পারে।
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সম্ভবত আমাদের এস এস সি পরীক্ষা ছিল। তাই সম্ভবত অক্টোবর বা নভেম্বরে আমাদের টেস্ট পরীক্ষা হয়েছিল।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৪র্থ পর্ব

এই পর্বেও কিছু বলে নিতে চাই। অনেকের মন্তব্য শুনে ভাল লেগেছে, আর অনেকের মন্তব্য শুনে লেখার জন্য আরও উৎসাহিত হয়েছি। যারা ছোট করে পর্ব লেখার জন্য অভিযোগ করেছে তাঁদের জন্য আবারও বলছি আমার সময় স্বল্পতার কারনে পর্বে পর্বে লিখছি। আর ৩-৪ দিন পর পর বড় করে লেখার সময়ের অভাবেই তো প্রতিদিন ছোট পর্বে লিখছি।

তো এই পর্বে চিন্তা করেছি আমি কতটা সৌভাগ্যবান ছিলাম তা একটি স্মৃতির কথা লিখে প্রকাশ করব।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৩য় পর্ব

প্রতিটি পর্ব লেখে মন্তব্য দেখে কিছু কিছু জিনিস পরিস্কার করে বলে দিতে হচ্ছে। লেখাগুলো এত ছোট হওয়ার কারণ হচ্ছে সময়। দেশে থাকলে হয়ত বড় করে লেখা যেত কিন্তু দেশের বাইরে থেকে জব করে, ক্লাস করে বড় করে লেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সবার অবগতির জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।

এখনও সাতদিনের কাহিনীতে আটকে আছি। আরও ২-৩ পর্ব হয়ত এই সাতদিনের কাহিনী শেষ হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন- ২য় পর্ব

২য় পর্ব শুরুর আগে কিছু বলে নিতে চাই। ২২০৩ দিন হেডিং দিয়েছি বলে এইটা ভাবা যাবে না যে ২২০৩টা পর্ব হবে। যে স্মৃতিগুলো সবার সাথে শেয়ার করা যাবে সেগুলো পর্বে পর্বে লিখতে চাই। আর সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি আমি ২৬তম ব্যাচ(২০০০-২০০৬)।

১ম রাতে ডিনারের পর আমাদের সবাইকে বোধহয় ৩২১ নং রুমে ডাকা হয়েছিল। সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ২১তম ব্যাচ। আমাদের সবাইকে বলা হল হিন্দী গান “রুকি রুকি”

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ১ম পর্ব

আমি (ক্যাডেট জুলফিকার, ক্যাডেট নং ১২৩৪, ওমর ফারুক হাউস রংপুর ক্যাডেট কলেজ) কলেজে আবেদনপত্র বা স্টেটমেন্ট লিখতে গেলে এইভাবেই শুরু করতাম। তাই ভাবলাম এখানে ওভাবেই শুরু করি। যাইহোক হেডিং দেখে বোঝা যায় আমি আমার ক্যাডেট জীবন সম্পর্কে লিখতে চাইছি। কিন্তু ৬ বছরের প্রতিটা দিনের স্মৃতি মনে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না তাই যেগুলো মনে আছে সেগুলো লেখার চেষ্টা করা যেতে পারে।

কলেজে ঢোকার প্রথম দিনের কথা আর সবার মত আমারও মনে আছে।

বিস্তারিত»

সপ্তম শ্রেণীর সাতকাহন

…প্রথমেই কিছু কথা বলে রাখি।এটা অনেকটা DISCLAIMER টাইপ ভেবে নিতে পারেন।
আমি কোন কালেই ভাল লেখক ছিলাম না।বক্তা হিসেবে আমার স্বমুল্যায়ন– কোন জায়গা থেকে লোক সরানোর জন্য,বা আনন্দময় পরিবেশে বেদনা আনয়নের জন্য বন্ধুমহলে আমি বিশেষ পারদর্শিতা দেখাতে সক্ষম।আর নিজেকে আমি ধৈর্যশীল শ্রোতাই মনে করি। কেননা, কারো মারণাস্ত্র জাতীয় সুবচন(পচানি) শুনেও আমি ‘৩৪ দন্ত !’ বিকশিত করতে পারি।তো,আমার বিশিষ্ট সুলেখক বন্ধুদের লেখা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাবলাম……জীবনের একটা গুরুত্তপুর্ণ অংশ লেখায় পরিণত করাটা মন্দ হবে না।এতে sharing ও হবে,time pass ও হবে,আবার বাংলা টাইপিং প্র্যাক্টিসও হবে(এক ঢিলে ‘দুই বা ততোধিক’

বিস্তারিত»

‘ফজা ফ্যাক্টরি’র সেই সোনালী দিনগুলি

সাইফুদ্দাহার শহীদ – ব্যাচ ৬

চার দিন পার হবার আগেই আমি মনস্থির করে ফেললাম যে এখানে আর আমি থাকতে পারবোনা। প্রতি রবিবার সন্ধ্যায় আমাদেরকে এক ঘন্টা সময় দেওয়া হতো চিঠি লেখার জন্যে। আমি আমার আব্বার কাছে সংক্ষিপ্ত একটা চিঠি লিখলাম – “আমাকে এসে নিয়ে যান, আমি আর এই জেলখানায় থাকতে পারবো না।”

আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো যে আমার চিঠি পেয়ে তখনি আমার আব্বা এসে আমাকে নিয়ে যাবেন।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোমায় সালাম

৪ জানুয়ারী, ২০০৪ তারিখে রয়েল মিলিটারী একাডেমি, স্যান্ডহার্টস এ যোগদানের পর দুইটা সমস্যা আমাকে খুব বেশি কষ্ট দিয়েছে। একটি হল ঠান্ডা আর অপরটি ভাষা। যোগদানের প্রথম ২-৩ দিন সত্যিকার অর্থেই আমি কারো কোন কথাই বুঝতে পারিনি। আমার প্লাটুনের অন্যদের দেখাদেখি সব কাজ করে গিয়েছি না বুঝেই। প্রথম কয়েকদিনের কার্যক্রমের একটা বিরাট অংশ ছিল ইউনিফর্ম, বুট, অন্যান্য পোষাক, বার্গেইন, অন্যান্য সামগ্রী ও সরঞ্জামাদি ইস্যু করা। বিদেশি ক্যাডেট হিসাবে আমার জন্য ছিল অতিরিক্ত কিছু আইটেম যা অন্যদের ছিল না।

বিস্তারিত»

খুশকি – ৭

প্রিন্সিপাল এসেম্বলী!! (সিসিবি ভার্সন) পর্ব ৩ এর উদ্ধৃতাংশঃ

ব্লগে ‘৯২ এর ভাইদের আনাগোনা অন্যন্য অনেক ব্যাচের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। বেশ কয়েকজন আছেন মোটামুটি চেষ্টা করেন রেগুলার থাকার জন্য। প্রথমেই আসলেন রহমান ভাই। পিকনিকে অল্পের জন্য আসতে না পারার যন্ত্রণা কিছুটা হলেও ভোলার জন্য এবার আগে থেকেই সব ম্যানেজ করে রেখেছিলেন। ব্যাপক মাঞ্জা মেরে, চুল ব্যাক ব্রাশ করে এসেছেন!
-রহমান ভাই,

বিস্তারিত»

ফাউ প্যাচাল-২

আমি ঘুরে ফিরে আবার ফাউ প্যাঁচাল পাড়তে আসলাম। কারণ আমার বখিল কাব্যচর্চায় ঘোর অমানিশা, কলম ছন্দ খুঁজতেছে আকুল হয়ে। তাই বলতে পারেন, এই প্যাঁচাল আমার কপিতা ক্ষেতে বেগুন ফলানো। তাছাড়াও অধিকাংশ ব্লগারই সিনিয়র যেনারা সমালোচনা কখনই করেন না, বরং উৎসাহ দ্যান। তাহলে আজকের গল্প শুরু করি………………
গল্প ৩-
এই গল্প আমার বেশ প্রিয় একজন স্যার কে নিয়ে। স্যার পড়াতেন বোটানি, ছিলেন বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের হেড।

বিস্তারিত»