আয় আরেকটি বার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে (০১)
১।
২০০০ সাল। আমরা ক্লাস ১১ এ পড়ি। বই খাতা কিনে নিয়ে যাইনি কলেজে তাই পড়ালেখা না করার অজুহাত আপনা থেকেই তৈরি। স্যারদের চক্ষুশূল আমরা তখন। একেতো রেজাল্ট খারাপ হয়েছে এসএসসিতে তার উওর ১১ এ উঠলে যা হয় ব্যাচের ডিসিপ্লিন ও ভাল না। তখনই একটা খুব হাইফাই খবর পেয়ে মন নেচে উঠল। এসএসসিতে স্ট্যান্ড করা সবাইকে হেডকোয়ার্টার থেকে সংবর্ধনা দিবে তাও গার্লস ক্যাডেট কলেজে, ওদের কলেজ থেকে লিটা সারা বাংলাদেশে প্রথম হওয়ার কারণে। আমাদের আর পায় কে। আমরা গুটিকয়েক যারা ছোটখাট স্ট্যান্ড করেছি তারা তখন সারা কলেজের সবার হিংসার পাত্র হয়ে গেলাম। সংবর্ধনার থেকে বড় কথা হচ্ছে গার্লস কলেজে যাব। কিন্তু সেই টার্মে বন্যার কারণে সেই সংবর্ধনা বাতিল হয়ে গেল। অনেকেই খুশি হয়েছিল আমাদের আশার ফানুস হঠাৎ চুপসে যাওয়াতে। কিন্তু পরের টার্মে একেবারে কলেজ অর্ডার এসে গেল এমনকি সমস্ত কলেজের সবাইকে হিংসিত করে সাথে করে ১০০ খানা চিঠি নিয়ে আমরা একদিন রাতের ট্রেনে ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে যাত্রাও শুরু করে দিলাম। সেখানে অনেক কাহিনী যা আরেকদিন বলা যাবে।
পরেরদিন ময়মনসিংহ তে আমরাই সবার আগে পৌছালাম। আমাদের থাকতে দেওয়া হল একটা নতুন বাসায় যেটা স্যারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এখনো কেউ উঠেনি। আমরা সেখানে নিজেদের ব্যাগ রেখেই কলেজের এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি শুরু করলাম। যদিও অনেক যায়গায় গার্ড দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু চোখকে ফাঁকি তো আর দিতে পারে না। কোন জানালা দিয়ে অনেক দুরের একাডেমী ব্লক দেখা যায় এগুলা শুনতে লাগলাম চারপাশে। আস্তে আস্তে সব কলেজ আসল। আমরা সিলেট, কুমিল্লা, পাবনা একটা ফ্লোরে ছিলাম। বিকেলে সবাই মিলে শুরু হল আড্ডা।
২।
বিশাল একটা গোল হয়ে আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি। এর আগে কোন আইসিসি না হওয়াতে সেটাই আমাদের প্রথম দেখা সাক্ষাত। ক্যাডেট কলেজ ভর্তি কোচিং না করার কারণে অন্য কলেজের কাউকেই আমি চিনতাম না আমাকেউ কেউ না। কুমিল্লার ১০ জন এর সাথে আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল তোদের কামরুল কে? তার আগেই ওদের সাথে প্রচুর খাতির হয়ে গেছে যদিও সবার নাম জানা হয়নি। ওর প্রশ্নে এমন কিছু ছিল সাথে সাথে নিজের পরিচয় দিতে সংকোচ হচ্ছিল। বললাম কেন? ব্যাপার হল আমাদের কলেজ থেকে একজন স্যার ওদের কলেজে ভিপি হয়ে গেছে এসএসসি পরীক্ষার ৪ মাস আগে এবং সেখানে নাকি গিয়ে আমার প্রচুর সুনাম করেছে এবং ওদেরকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আমার সাথে। তাতে ওদের পুরা ব্যাচ নাকি আমার উপর খাপ্পা হয়ে আছে। সব শুনে আস্তে আস্তে বললাম আমিই কামরুল। শুনে ও সহ ওদের সবাই টাশকি। ওরা নাকি আমার নাম শুনে শুনেই আমার উপর খাপ্পা এবং ধরেই নিয়েছে আমি মহা আঁতেল গোছের কিছু একটা হব। ভাগ্যিস ওদের ভাবনা বদলে গিয়েছিল তার আগেই। কারণ আগে যদি নাম জানত তাহলে হয়ত ওদের সাথে বন্ধুত্ব হতনা। সেই রাতে আমরা ২৯ খেলেছিলাম সারা রাত। সেখানে প্রথম পরিচয় ওদের দুজনের সাথে মিম শাযনূস , গোলাম মর্তুজা।
৩।
ওরা কলেজে ত্রিরত্ন। ত্রিরত্নের দুজনের সাথে পরিচয় হলে আরেকজনের সাথে না হয়ে থাকা যায় না তাই কলেজে ফিরে গিয়েই ওর চিঠি পেলাম। এরপর আইসিসিতে গিয়ে প্রথম দিন ভোরেই সিসিসি র প্র্যাকটিসে গিয়ে হাজির আমি আর দেখা হল ত্রিরত্নের ৩য় জনের সাথে, শামস উল আরেফীন। সিসিসির ও আই সি ছিল আমাদের প্রাক্তন ফর্ম মাষ্টার যিনি নিজেও ওদের ভিপি স্যারের মতই ধারণা করতেন আমার সম্বন্ধে তাই তাদের সাথে মিশে যেতে আমার মোটেও সমস্যা হয়নি। হকির সেই ৭ দিনের কথা এখানে বলা শুরু করলে অন্য দিকে চলে যাবে লেখা।
ওদের ত্রিরত্নের সাথে আমার পরিচয় হওয়ার পর অচিরেই সেটা থ্রি মাস্কেটিয়ার্স হয়ে গেল। প্রতি মাসে ২-১ টা চিঠি আসা যাওয়া করতে থাকল সিলেট টু কুমিল্লা, কুমিল্লা টু সিলেট। মিম শাযনূস এর নামের জন্য একবার স্যারের কাছে ধরাও খেলাম। স্যারের ভাষ্যমতে মীম মেয়েদের নাম এবং মেয়েদের চিঠি মানে তো বিশাল জিনিস। সেবার অনেক বুঝিয়ে সিসিস র সিল দেখিয়ে স্যারকে বুঝাতে পেরেছিলাম যে এটা ছেলেবন্ধু। ওর নাম সম্বন্ধে ওর নিজের ব্যাখ্যা হল মীম হল মেয়েদের নাম কিন্তু মিম ছেলেদের নাম। তখনো বুঝিনি কোন কিছুর কারণ ,ব্যাখ্যা বের করতে ওর একটু সময় লাগে কিন্তু বের হয় ঠিকই। ওর যেমন ৩ টা হাত। এবং সবচেয়ে বেশি চলত ওর ৩ নং হাত অজুহাত। আমাদের বাসা কাছাকাছি হওয়াতে কলেজের ছুটির সময়টা আমরা চরম মজা করতাম। প্রায়ই মিমের বাসায় সারারাত ধরে কার্ড খেলতে খেলতে কত গল্প করেছি।
মর্তুজাকে বলা যায় সার্কেল মেকার। আমাদের সার্কেলটা ও একটু একটু করে গড়েছে। এর কিছুদিন পরে যোগ দেয় জাহিদ। আমরা ৫ জন তখন যে কোন কিছুতে একসাথ হয়ে যেতাম । প্রচুর আড্ডা দিতাম বেইলী রোডের কর্ণফুলীতে। আমি আর জাহিদ জাপান আসার আগ পর্যন্ত চরম কিছু সময় কাটিয়েছি আমরা। রাত জেগে ২৯ খেলা যেটা প্রায়ই মাঝরাতে খেলার থেকেও বেশি কিছু হয়ে যেত। তখন কি কারণে হাসছি তাই অনেক সময় ভুলে যেতাম। রাত জেগে একসাথে দেখা দিল চাহতা হ্যায় আর ইয়ে ক্যায়া হো রাহা হ্যায় এর গল্প আমরা এখনো করি।
একটা আদর্শ বন্ধু বলতে যা বোঝায় শামস মনে হয় তাই। অসাধারণ এই ছেলে হাসতে জানে হাসাতে জানে। ইংরেজির জাহাজ শামসের ইংরেজি কতদিন আমাদের হাসির খোরাক হয়েছে। রাত জাগতে না পারা এই ভদ্র ছেলে আমাদের পাল্লায় পড়ে সারারাত কার্ড খেলত ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই একদিন ২৯ এ আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট এক পিটে (১১ পয়েন্ট) পেয়ে গিয়েছিল।
ওদের ৩ জনের সাথে থাকতে থাকতে কুমিল্লার বাকি সবার সাথেও খুব ভাল একটা বন্ধুত্ব হয়েছে আমার। ওদের কোন গেদারিং এ আমি যখন থাকি আমার মনেই হয় না যে আমি ওদের সাথে ৬ বছর থাকিনি বরং নিজেকে সিসিসির ৩৮ তম সদস্য বলেই মনে হয় ( ওদের ব্যাচে মনে হয় ৩৭ জন ছিল ) ।
৪।
এখনো যখন নেটে বসে আমরা ৫ জন স্কাইপে আড্ডা দেই ইয়াহু ব্রিজে গিয়ে ব্রীজ খেলি তখন ভুলে যাই মাঝের দূরত্বটুকু। দেখা হয়না কতদিন। কবে দেখা হবে জানিনা। মিম অস্ট্রেলিয়া, মর্তুজা শামস আমেরিকা আর আমি জাহিদ জাপানে। বিশ্বের ৩ মহাদেশ থেকে ৩ টাইম মিলিয়ে আমরা যখন একসাথ হই তখন ফিরে যাই কলেজ পাশ করা সেই দুর্দান্ত দিনের স্মৃতি রোমন্থনে আর ক্যাডেটীয় স্বভাবসুলভ গ্যাজানোতে। বন্ধুরা ভাল থাকিস। দেখিস একদিন আবার সামনাসামনি বসে শামসের বাসা, মিমের বাসা কিংবা আমার বাসায় আমরা ব্রীজ খেলব। তোদের খুব মিস করি।
মর্তুজা দেশে গেছে এই জন্য গত ২ উইক আমাদের নেট আড্ডা হয়নি। তাই আজ খুব মিস করছি। অনেকদিন ধরে ড্রাফট এ পড়ে থাকা লেখাটা শেষ হল তাই।
হে হে এই প্রথম আমি প্রথম 😀 =)) :awesome: :awesome:
লেখাটা পড়েছ ? নাকি এমনি এমনি। না পড়ে প্রথম হলে তাকে আমি পুরষ্কার দেই না।
ভাই,আগে ফার্স্ট হইসি,এখন পরা শেষ করলাম,অনেক সুন্দর একটা লেখা,ভালো লাগলো যে এত সুন্দর একটা লেখাতে আমি প্রথম সমালোচনাকারী 😛 😀 :awesome:
সমালোচনা করছ নাকি? খুঁজে পাইলাম না তো।
ভালো লাগলো; ছুঁয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের গল্পগুলো টিকে থাকুক চিরকাল। :boss:
অফটপিকঃ বন্ধুদের নিয়ে কোনদিন কিছু লেখা হয়নি; ভাবছি শুরু করবো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাল লাগলো... আর লিখতে থাক :hatsoff:
MGCC তে সংবর্ধনা ৭ দিনের এক্সকারশনের পরে কলেজের সেরা সময়। আমরা গিয়েছিলাম ১৮ জন... দারুন মজা করেছিলাম। কলেজ বাসে করে গিয়েছিলাম বলে জার্নিটাও দারুন হয়েছিল।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
তোর কালকের ঝাড়ি খেয়েই লিখে ফেললাম আজকে। তোরা তো বিশাল বহর ছিলি। ঝিনাইদহ ও অনেক বড় গ্রুপ ছিল। আমরা ছোট ছিলাম তাই অন্য ছোট ছোট দের সাথে আড্ডা দিছিলাম প্রচুর। কুমিল্লার ১০ জন আর পাবনার ৪ জন আর আমরা ৪ জন। হেভি দুইটা দিন হইছিল।
হুম বুঝছি, তোরে এখন থেকে ঝাড়ির উপরে রাখতে হবে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আকাশদা কিন্তু অফ চান্সে জানিয়ে দিলেন উনিও বোর্ডে খাড়াইছিলেন (স্ট্যান্ড)। :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এইটা আবার তোরে অন চান্সে বলে বেড়াইতে কে বলছে x-(
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমরা তো এত দন্ডায়মান হতে পারলুম না দাদা, তাই একটু বড় ভাইয়ের গীত গেয়ে আপ্সুস কমাচ্চি। 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ওরে রে,কি দিনগুলো চিল রে মাইরি,বোর্ডে দাঁড়ালেই মগাকক ভ্রমণ! ক্যান যে সোনালী ''এ'' পজিটিভ পেয়েচিলাম,এর তেকে আকাশদা-কাম্রুল তপুদার মত ''দাঁড়াইতে'' পারলেই হইত :(( :(( =((
দাড়ালেই মগকক গ্রমন একটি ভ্রান্ত ধারনা, উহা শুধু আমাদের ব্যাচের জন্যই বিশেষ আয়োজন ছিল 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমরাই মনে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষ
ভাবলাম সেঞ্চুরীর পর বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মত খেলা ভুলে গেলেন নাকি, লেখাটেখা দেন না। তবে এই লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ব্যাটসম্যান ডাবল সেঞ্চুরীর প্রত্যাশায় খেলছেন 😀
পরিচিত মানুষদের নিয়ে লেখাটা ভাল লাগল 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আরে আমি তো ১০০ র পর ও ১০ টা পার হয়ে গেছি।
খুবই হৃদয়গ্রাহী লেখা........... :boss:
আমিও ফ্রেন্ডদের মিস করি,কিন্তু এভাবে সময় কাটাতে পারিনি। :dreamy: ইশশিরে বস......আপনারা পুরা সার্কেলই দেশের বাইরে!! :clap: :boss: এরেই কয় সূর্যসন্তান :bash:
সূর্যসন্তান এর সংজ্ঞা বেশি সহজ হয়ে গেল।
জাহিদ ভাই আমার প্রথম টেবিল লিডার।
১ম দিনেই আমাকে তার টেবিল থেকে হাসান ভায়ের টেবিলে পাঠায়ে দিয়েসিলেন। 🙁
অপস একটা ভুল হয়ে গেছে। এই জাহিদ কুমিল্লার জাহিদ না। এইটা আমাদের সিলেটের জাহিদ। ওকে নিয়ে আগে লিখেছি তো এই জন্য এখানে ওর পরিচয় অত বিষদ দেই নি। কনফিউশনের জন্য দুঃখিত । কুমিল্লার জাহিদকেও চিনি। ওদের দুইজনের নাম আলাদা করার জন্য দুইটা নিক ছিল সেটা এখানে জুনিয়রদের বলা যাবে না। 😛
হাসান ভাইয়ের মনে হয় আপ্নের উপর একটা টান ছিল 😀 😀
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
মন ছুয়ে গেল লেখাটা। :boss:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
এই মিম ভাইয়ের সাথে পরিচয় পাবনা আইসিসিএলএমএম-২০০১ এ।ভাইয়া স্ট্যান্ড করার পর পত্রিকায় উনার নাম "মিম শা্যনূস" না হয়ে "মিস শাজনূস" আসলো-এইটা নিয়া সে কি হাসাহাসি করছিলেন...মিম ভাই মোটামুটি আমার সাইজেরই তবে শুকনা দেখে আরো বেশি লম্বা লাগে... ভাইজানকে আমার সালাম জানায় দিয়েন।
তপু ভাই,লেখাটা পড়ে কেন জানি মন খারাপ হয়ে গেল।ইস,সেই দিনগুলার একটাও যদি ফিরে পেতাম!!!!
মিস শাযনূস রে আমরাও খেপাইতাম 😛
কামরুল ভাই, খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে । কেমন আছেন আপনি ? কলেজ থেকে বের হবার পর জাহিদ ভাইয়ের সাথে আর দেখাও হয় নাই :no: । আপনাদের কথাও মনে পড়ে গেল ।ভাল থাকবেন :salute:
আরে জাভেদ যে কেমন আছ। আমরা আছি আল্লাহর রহমতে ভালোই। হ্যা আমরা তো বের হওয়ার পর পরই জাপান চলে আসছি আর কলেজেও যাওয়া হয়নাই আমার সাথে তাও কারো কারো ওকাসে গিয়ে দেখা হয় জাহিদ একেবারেই লাপাত্তা থাকে।
একটা কথাই বলার আছে,
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
তপু খুব ভাল লিখেছ।
আমারও ইচ্ছা করে বন্ধুদের নিয়ে লিখতে, কিন্তু তোমার মত এত গুছিয়ে লিখা আমার পক্ষে সম্ভব না, তাই লিখি না 😀
সাব্বির ভাই আর কত ফাঁকিবাজি মারবেন রে ভাই।
🙁 ফে...থুক্কু বাদশা ভাইরে মিস্করি 🙁
আমাগো লয়নাই ক্যান!!! :(( :(( :((
তপু, তুমি আঁতেল না ????? 😮 😮 😮 😮 😮
আপনার কি ভাইয়া ধারণা ছিল আমি আঁতেল? দেখা হলে নিশ্চয়ই আর এই ধারণা করবেন না আশা করি। আমি আঁতেল হওয়ার যোগ্য না ।
মগকক এর নাম দেখে খুবই আনন্দিত হইলাম সেই সাথে জানিলাম মগকক নামটার সাথে কতো হর্ষ-বিষাদ জড়িত।
তপু সুন্দর লেখা।
লিটা এখন কী করে?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
লিটা আমাদের সাথেয় বুয়েটে সিএসই তে ছিল। সেখান থেকে পাস করে বাংলাদেশে একটা সফট ফার্মে জয়েন করেছিল। এখনো আছে কিনা বলতে পারছি না আপু।
কোন কথা মনে করায় দিলি রে!! 😀
মগকক ভ্রমণ নিঃসন্দেহে ঐ বয়সের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং স্মৃতি। আমাদের এক্সকার্শন খুবই বাজে হয়েছিলো নানা কারণে, তাই এই দুইদিনের আউটিং জোস লাগছিলো। মগকক'তে তোদের যেমন কুমিল্লা'র সাথে খাতির হয়েছে, তেমনি আমাদের হয়েছিলো মির্জাপুরের সাথে। ওমর, আশিক, ইমতিয়াজ- এই তিনটার সাথে সারারাত আড্ডা। ওমরের স্যারদের নকল দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিচ্ছিলাম যদিও অরিজিনাল স্যারদেরকে চিনিই না!
মনে আছে, অডিটরিয়ামে কলেজ প্রিফেক্ট আপু'র "সাবধান" কমান্ড শুনে হেসে দিয়েছিলাম! 😛
পরেরবারে মির্জাপুরের সময় মনে হয় তোর সাথে আমাদের খাতির হৈছিলো। তোর আর ফাহাদের "ভয়ানক" আন্তাক্ষরী, আমাদের বিশেষ কয়েকজনের হাউকাউ- এগুলাও এখন মনে পড়তেছে!
সবচেয়ে জোস ব্যাপার হলো- তোর লেখার সবগুলা বান্দারেই আমি চিনি। মর্তুজা-শামস-জাহিদ-তুই চারটা তো ক্যাম্পাসেই ছিলি। তুই আর জাহিদ চলে যাওয়ার পরেও শেরে বাংলা হলে মর্তুজা-শামসের রুমে মাঝে মাঝেই যাওয়া হতো। ঐখানে আমিন-রানা-মুকুলের ২৯ খেলা দেখতাম। সেই দুইজনও এখন বিদেশে।
সবাই পুরনো দিন নিয়ে হা-হুতাশ করে (আমি নিজেও)। সেইখানে তোর এই লেখাটা একেবারেই ব্যতিক্রম। কতো ভালো মতো বন্ধুদের জড়িয়ে আছিস!
*বেশি বকবকাই ফেললাম মনে হয়। 😛
দোস্ত কেমন আছিস। আমি লেখার পর ভাবছিলাম তুইও লেখবি। তোর আর আমার সার্কেল মিলে যায় মাঝে মাঝে।
মগকক এর কাহিনী নিয়ে বিশাল একটা ব্লগ লেখা যায়। তুই লেখ একটা।
পড়ছি ।
এখনো শেষ হয় নাই?
মন-প্রাণ ছুঁইয়ে গেলরে......।।
🙂
সবগুলারে চিনি দেখি B-)
কামরুল দেশে কবে আসবি??
পারলে তো কালকেই রওনা দিতাম রে। কিন্তু ব্যাটে বলে মিলছে না আপাতত কোন ঠিক নাই। এই বছর আর যাওয়া হবে না মনে হচ্ছে।
তুই কেমন আছিস রে।
তপু ভাই,
এক্কেরে দিলেন একটা জটিল লেখা।খুবি সুন্দর হইসে। :clap: :clap:
ক্যডেট কলেজের বন্ধুদের আমার কাছে ব্লেসিং ব্লেসিং লাগে। 😡 সামনে আমাদের জন্মদিন।আবার সবার সাথে দেখা হবে। 🙂 🙂 🙂 :awesome:
অফটপিকঃঅফ চান্সে সবাই সবার রেজাল্ট জানায় দিচ্ছে দেখি... :)) :))
লিটা আপা এখনো ঐখানেই জব করছেন।মগকক রক্স।
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
তোমাদের কলেজের ঐ ২ দিন নিয়ে অনেক দিন ধরেই ব্লগ দিব বলে ভাবছি কিন্তু লেখা হয়ে উঠছেনা। তোমরা তো তখন কলেজেই ছিলা অনেক কিছুই মনে আছে নিশ্চয়ই। মজা পাবা।
অফচান্সের সুযোগ নিয়ে নিতা।
তোর টুয়েন্টি নাইন খেলা নিয়ে আমি ডাউট না দিলে তো এই পোষ্ট লিখতি না মনে হয়... :dreamy: লেখায় এতবার খেলাটার কথা এসেছে যে... ;;;
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হাহাহা , মনে হয় ঠিকই বলেছেন।
তবে আমাদের বন্ধুত্বটা ২৯ দিয়েই শুরু কিচ্ছু করার নাই এইটার কথা বাদ দিয়ে কিছু বলা যায় না। এখন অবশ্য আর ২৯ খেলা হয় না। ব্রীজ খেলি। নেটে ২৯ খেলার কোন সাইট নাই।
ভালো লাগলো; ছুঁয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের গল্পগুলো টিকে থাকুক চিরকাল। :boss:
অফটপিকঃ বন্ধুদের নিয়ে কোনদিন কিছু লেখা হয়নি; ভাবছি শুরু করবো।
কপি পেস্ট কে না বলুন।
শালা, এইটা ১২৮ লাইনের কবিতার ৩ লাইন সারাংশ হইছে...
এসএসসি বোর্ড স্ট্যান্ডদের সংবর্ধনার জন্য আমাদের লং এক্সকারশান ৭দিন থেকে কেটে ৬ দিন বানানো হয়েছিল... এইজন্য আমরা স্ট্যান্ড পার্টির উপর বিশাল ক্ষ্যাপা ছিলাম। লং এক্সারশানের এক দিন কমে যাওয়া মানে বিশাল ক্ষতি। তবে সেই ক্ষতি অনেক গুণে পূরণ হয়ে গেছে পরবর্তীতে। লং এক্সারশানের একদিন বেশী পেলে হয়ত অনেক মজা হত, কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক বেশী কিছু মিস করতাম...
তাইলে তো আমি সারাংশে ১০ এ ১০ পাব। সারাংশ যত ছোট হয় ততই তো ভাল। তবে আমার নিজের মাথাই খারাপ হয়ে গেছিল কেমনে সব গুছাইয়া লেখি। এই জন্য শুধু পরিচয় এর অংশটুকু লেখছি। তুই লেখলে আরো সুন্দর করে লেখতে পারতি।
ভালো আছো ভাইয়া? অনেকদিন পর লিখলে,
আহা!! বন্ধুরা ... যথারীতি ভালো হয়েছে 🙂
এইত ভাবী আছি কোনরকম। আপনার খবর কি ভাইয়া নাকি খুব ব্যস্ত রকিবের কাছে শুনলাম। পিচ্চিরা ভাল আছে নিশ্চয়ই।
কি আশ্চর্য! ঐ সময় আমাদের ব্যাচের গুটিকয়েক ক্যাডেটকেও (তখন এক্স-ক্যাডেট) ডাকা হয়েছিল মগকক'তে। আমরা বেশ মজা করেছিলাম মনে আছে, পাবনার শহীদুল্লাহর কল্যাণে ওখান থেকে ডাব পেড়েও খাওয়া হয়েছিল আমাদের। 🙂 তখন তোমাদের দেখেছিলাম হয়ত, কিন্তু চিনতাম না!
ইদানিং বেশি স্মৃতিকাতর থাক নাকি?
আপনাকে অবশ্যই দেখেছি তখন। কারণ আপনারা সবাই আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। আপনাদের মনে হয় হাসপাতালে রেখেছিল কিনা আমাদের সাথে রাখেনি। আপনারা সবাই আসার পর বেশ কিছুক্ষণ গল্প হইছিল। আমাদের কলেজের কেউ ছিল না তাই আমরা চুপচাপ ছিলাম। কারো নাম এবং চেহারাই মনে নাই অবশ্য।
আমি ভাইয়া অলটাইম স্মৃতিকাতর ।