১.
………..ইহা মূলত একটা কৃতজ্ঞতামূলক পোস্ট। যে ছেলে জীবনে কোন ধরনের ম্যাগাজিনে কোন মৌলিক লেখা দেয়নি, পরীক্ষার খাতায় একগাদা চাপাবাজি ছাড়া ভালো কিছু লিখেনি, সে যে কীভাবে একে একে ১০টা ব্লগ লিখে ফেলল, সেটা খুবই আশ্চর্যজনক। অবশ্য এতে আমি নিজে ছাড়া আর কেউ আশ্চর্য হবে, এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। সারাজীবন খালি কোন একটা কাজ পেলেই সেটা কিভাবে এড়ানো যায় সেই রাস্তা খুঁজেছি আর এখন ব্লগিং এর নেশায় রাতের ঘুম হারাম করে সবার লেখা পড়ি ও মাঝে মাঝে স্মৃতির ঝাঁপি খুলে নিজেও কিছু কথা শেয়ার করার চেষ্টা করি।
স্মৃতির বিশ্বকাপ-১
আর মাত্র ২৩ দিন। শুরু হয়ে যাচ্ছে আরেকটি বিশ্বকাপ, দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। সবাই আবারো মেতে উঠবে ফুটবল উৎসবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার এই বাকি দিনগুলো অনেক লম্বা মনে হচ্ছে। কবে যে ১১ তারিখ আসবে। গত কয়েকদিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম, রাতদিন দম ফেলার সময় পাইনি। আজকে একটু ফ্রি হয়ে আগের বিশ্বকাপগুলো নিয়ে একটু গুগল করলাম। দারুন দারুন সব স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
বিস্তারিত»৭৫,জেটল্যান্ড স্ট্রীট
কলেজ থেকে বের হয়ে আর্মি কোচিং ছাড়া কিছু করিনাই, একমাত্র ইচ্ছা আর্মিতে যাওয়া। বাবা মা এর মতো আমারও ইচ্ছা আর্মিতে যাওয়া।
কিন্তু আইএসেসবি তে লাল কার্ড পাওয়ার পর দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেল, কি করবো বুঝতেসিনা, কোথায় ভর্তি হবো জানিনা। ভাইয়াদের কাছ থেকে শুনলাম জাপানে এশিয়ান প্যাসিফিক ভার্সিটীতে অনেক ভাইয়া আছে, ওখানে ট্রাই করা শুরু করলাম। কিছু ভাইয়া বললো এটার আশায় বসে থাকলে সমস্যা হবে ঢাবির জন্য ট্রাই করো আমার তখন আর পড়ালেখায় মন নাই।
মা
মা দিবসে মা বন্দনায় ভরে গেছে ফেইসবুক আর টু্ইটার এর পাতাগুলো। মা রা সবসময়ই অসাধারন। কোথায় যেনো পড়েছিলাম, দুনিয়ায় অনেক খারাপ বাবা আছে, কিন্তু খারাপ মা নেই। যাক সেসব কথা, আজ দুনিয়ার সব মা না, বরং আমার মা কে নিয়েই কেবল লিখতে বসছি।
মা এর সাথে খুব বেশিদিন কাটানোর সুয়োগ হয়নি। বেশিরভাগ ক্যাডেট এর মতই সেই যে ছোটবেলায় ঘর থেকে বের হইছি, আর ফেরা হয়নি।
শুভ জন্মদিন (০২-০৮)
আমরা কলেজে ঢুকি ২০০২ সালে ৭ই মে। সেইদিনের সব কথা আজও মনে আছে। গাইড হিসেবে মেহেদী ভাই এর আমাকে হাউজে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাউজ মাষ্টারের সাথে দেখা করা আমাকে রেখে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আম্মুর কান্নাকাটি আরো কত কিছু। রাতে প্রথম বারের মত কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়া, ম্যানু টাও এখনো মনে আছে ডিম ছিল। :dreamy:।
রাতে রুমমেট মুস্তো আর রেজার শহীদ কোচিং নিয়ে গল্প।
ক্যাডেট কলেজের ডায়রীটার শেষের পৃষ্ঠাটা…..
আদিকথাঃ নিচের যে লিখাটা ‘স্মৃতিকথা’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হইছে, তা এই নতুন লেখকের একেবারেই প্রথম কোশিশ…! কাজেই পড়ার আগেই বইলা নেই, expectation level টা ইইক্টু নীচে নামাইয়া পড়া শুরু কইরেন। (এই রচনার একটি চরিত্রও কাল্পনিক নয়, Guarantee)
“আজ আমি অনেক্ষণ হাটবো…একা…পুরো ব্লকে। সম্পূর্ণ নিস্তব্ধতার দেয়াল ঘেসে। ক্যাডেট লাইফের ছয়টি বছরের শেষ রাত আজ। কালকের রাতটা হবে আজকেরটার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা, একেবারেই অন্যরকম।
বিস্তারিত»প-এ র-ফলা আর ত-এ হ্রস্ব-ই-কার, এর পরের অংশে প্রাধান্য কার?
একটা বিষয় নিয়ে আমি কদিন ধরেই লিখব লিখব করছিলাম কিন্তু পহেলা বৈশাখের নানা প্রোগ্রাম আর প্রোগ্রাম পরবর্তী পরীক্ষা সমূহের জন্য হয়ে উঠছিল না। পরীক্ষা এখনো চলছে যদিও, তাও ভাবলাম লিখি। আর সহ্য হচ্ছে না।
১৫ তারিখে সার্টিফিকেট তোলার জন্য গিয়েছিলাম JCC তে। ভালই লেগেছিল এতদিন পর আবার সেই চেনা জায়গা-তে ঢুকে। আমার সাথে ছিল আমার বন্ধু নাঈম। ওর প্রায় ৭ বছর পর কলেজে ঢোকা হলো কারণ ২০০৭ এর রি-ইউনিয়ন ও মিস করেছিল।
বিস্তারিত»একটি অগল্প-জনিত প্রয়াস বা বিভ্রম
বাইরে যদি খুব তীব্র আলো থাকে, তাহলে ঘরের ভেতর থেকেও সেই আঁচ টের পাওয়া যায়। জানালাটায় পর্দা দেয়া, তারপরেও সূর্যের আলোর তেজ পর্দার ঘেরাটোপ পেরিয়ে চলে আসে। আমি এরকম দিনে খুব ঘরকাতুরে হয়ে পড়ি, এ’ঘর-ওঘর করি। তারপরেও নিতান্ত দরকার না পড়লে বাইরে বের হই না। এখন কোনো কোনো দিন ছুটি থাকে, কোনো কোনো দিন সারাদিন কাজ। যেদিন কাজে থাকি, নিঃশ্বাস ফেলার সময়ও পাই না,
বিস্তারিত»“বিয়ার বয়স হইছে তোমার”—-
ঘটনাটা কত সালের ভুলে গেছি…….
কোন একটা ইনটেকের ভাইয়ারা এক্সকারসন থেকে ফিরেছেন, উনারা কে কি উল্টাপাল্টা 😛 জিনিস নিয়া আসছেন হাউসে, তা চেক করার জন্য বিনা নোটিশে একরাতে ইন্সপেকশন শুরু হলো একেবারে প্রিন্সিপাল স্যারের নেতৃত্বে,কিন্তু এইবার একেবারে হাউস খালি করে আমাদের নামিয়ে আনা হলো নিচে……..আমাদের স্টাফরা বিভিন্ন আজব আজব জিনিস খুঁজে আনতে লাগলেন……..যেমনঃ ব্যক্তিগত পোষাক, বিশেষত হাফপ্যান্ট, মাল্টিকালার মোজা, পত্রিকা, মোমবাতি ইত্যাদি
কিন্তু ফাঁসলো মাত্রই ক্লাশ এইট পড়ুয়া একজন ক্যাডেট…….তার বোধহয় জীবনে তখন দুইটা প্রেমই ছিল,
বিস্তারিত»জীবন তবুও অম্লান – (ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-৪)
[আগের আধ্যায় – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা]
[আগের আধ্যায় – অজানা যাত্রা – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-২]
[আগের আধ্যায় – নববর্ষ ‘৭১ – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-৩]
প্রায় এক মাস কেটে গেল আমাদের চট্টগ্রামের প্রত্যান্ত গ্রাম চরণ দ্বীপে বসবাস। এর মধ্যে আমাদের সাথে কোন আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের যোগাযোগ হয়নি। তারা কোথায়, কে কেমন আছে তাও জানিনা।
বিস্তারিত»রাতলিপি ১
হঠাৎ করেই রাতজাগার সুযোগ পাওয়া গেছে। মানে সূয্যি মামা ওঠার আগে উঠবো আমি জেগের জীবন থেকে নিস্তার পেয়েছি কিছুদিনের জন্য, একটু বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা যায়। সে কারনে আমি মনের ইচ্ছা মত রাত জেগে যাচ্ছি। ভাবলাম এই সুযোগে একটু ব্লগর ব্লগর করা যাক।
রাত জাগার অভ্যাস আমার শুরু হয়েছিল যে বছর ক্যাডেট কলেজে চান্স পেলাম তখন থেকে, রেজাল্টের পরে কলেজে যাবার করার আগের সময়টাতে।
বিস্তারিত»ছারপোকা সমাচার-২
ছারপোকা সমাচার-১এর পর থেকে
…ঘটিতে থাকিল নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।ছারপোকা পিন্টুর জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিল।শুধু তারই না,সকলেরই।একদা এক হলমেট খাট পিছনের বারান্দায় লইয়া দাউ দাউ করিয়া আগুন ধরায় দিল আর তার পাশে দাঁড়াইয়া হা হা করিয়া হাসিতে লাগিল।নিন্দুকেরা রটাইল, ‘মাথা গিয়াছে!’ কিন্তু খাট আধপোড়া করিয়া সেদিন সে যে শান্তির ঘুম দিল তাহা দেখিয়া অনেকেই পরবর্তী এক সপ্তাহ ‘অগ্নিছ্যাঁকা’ দিয়া ছারপোকা তাড়াইল!কিন্তু এর কুফল পাওয়া গেল যেদিন একজন তার আধপোড়া খাট ভাঙ্গিয়া ভূপাতিত হইল!….খাট হইতে ছারপোকা হয়ত আগুন দিয়া তাড়ানো গেল,কিন্তু তাই বলিয়া কি আর টেবিল,চেয়ার,আলমারি পোড়ানো সম্ভব!…।তাই কেরোসিন অথবা মোমবাতি ক্রয় করিয়া কষ্ট করিয়া খাট পোড়ানোর তরিকা ধীরে ধীরে সবাই পরিহার করিল।।…..
বিস্তারিত»নববর্ষ ‘৭১ – (ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-৩)
[আগের আধ্যায় – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা]
[আগের আধ্যায় – অজানা যাত্রা – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-২]
চরণ দ্বীপে আমরা আশ্রয় নিলাম মিলের এ্যাসিস্টান্ট লেবার অফিসার রহমান সাহেবের বাড়ীতে। যে বিষয়টি আমার বেশী চোখে পড়ল সেটি হচ্ছে, গ্রামের সাধারণ মানুষের সহজে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা দেখে। আমি আগে কখনো গ্রামে বাস করিনি, এমনকি গ্রামের মানুষদের নিয়ে কখনো বেশী চিন্তাও করিনি।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৯ম পর্ব
কত যে মজার স্মৃতি কলেজে ঘটেছিল, তা লিখতে বসলেই কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখব ভেবে উঠতে পারি না। তাই আজকে মনে করলাম, যেহেতু কলেজ পালানোর স্মৃতিচারণ চলছে সেহেতু এই পর্বও কলেজ পালানো কে উৎসর্গ করি।
তখন আমরা একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেট। শিক্ষাসফর শেষ করে এসেছি মাসখানেক হয়েছে। সিগারেট ফুরিয়ে গেছে। অতএব কলেজ পালিয়ে সিগারেট আনতে হবে। তখন পালানোর ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি হয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না যাওয়া উচিত হবে কিনা।
বিস্তারিত»কাল(সময়)
আমাদের স্কুলে যখন ক্লাশ থ্রীতে পরতাম তখনকার কথা।আমাদের বাংলা ক্লাশ নিতেন মামুন স্যার।তিনি বাংলা ব্যকরণ পরানোর দিনে এই জোকস টা বলেছিলেন।আমরা বেশ মজা পেয়েছিলাম।দেখি আপনারা মজা পান কিনা??(না পাইলে আমার কিছু করার নাই)
এক স্যার তার ক্লাশের ছাত্রদেরকে ক্রিয়ার কাল পরাবেন।তার আগে তিনি দেখতে চাইলেন কেউ এ বিষয়ে কিছু জানে কিনা।তাই তিনি জিজ্ঞেস করলেন , “কেউ কি বলতে পারবে কাল কত প্রকার?”
১ম ছাত্রঃস্যার কাল তিন প্রকার।