মিঃ ফক্স (Ffolks) সহ আমরা ছয় জন ছিলাম আমাদের গ্রুপে। মিঃ ফক্স ছিলেন এক জন ব্রিটিশ ওভারসিজ ভলান্টিয়ার যিনি ক্যাডেট কলেজে এসেছিলেন আমাদেরকে ইংরাজী শিখাতে। গ্রুপের অন্যরা হচ্ছে মুশফিক (ডঃ মুশফিকুর রহমান – এখন অস্ট্রেলিয়ায়), শফি (ডঃ শফিউল্লাহ – বর্তমান ভিসি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), আনিস (বারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ – বিগত ফরেন মিনিস্টার ও জাতীয় পার্টি নেতা), মান্নান (মঞ্জুর মান্নান – বর্তমান ওফা সিজিবি চেয়ারম্যান ও কমিশনার, দুর্নিতি দমন কমিশন) এবং আমি। আমরা তখন ক্লাশ টেন-এর ছাত্র। আমরা রাঙামাটিতে আমাদের আউট-ওয়ার্ড বাউন্ড কোর্সে যোগ দিতে এসেছি। আমাদের গ্রুপকে বেছে নেওয়া হলো হিল ট্রাক্টস-এর আরও গভীরে মাউন্টেন ট্রেকিংয়ে যাবার জন্যে। এটা আমাদের ভাল কাজের জন্যে পুরস্কার, না খারাপ কাজের জন্যে শাস্তি – তা আজও জানা হয়নি। আমরা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে কাপ্তাই লেক পার হয়ে কয়েক ঘন্টা যাবার পর পৌছিলাম আমাদের গন্তব্য – রাঙা পাহাড়ে।
আমাদের পরিকল্পনা ছিল, ঐ স্থানে রাত কাটিয়ে, পরের দিন সকালে আমাদের বেইস ক্যাম্প, রাঙামাটিতে, ফেরা। আমরা যখন হিল ট্রাক্টস-এর প্রত্যান্ত এলাকায় রাঙা পাহাড়ে পৌছিলাম তখন পড়ন্ত বিকেল। ততক্ষনে আমাদের সবারই বেশ ক্ষিধে লেগে গেছে, যেহেতু এর আগে মাত্র একটি পাউরুটির স্লাইস খেয়েছি বোটে করে আসার সময়।
তাড়াতাড়ি করে আমরা দুটি ছোট তাবু খাটিয়ে ফেললাম আমাদের রাতে থাকার জায়গা হিসাবে। সাহেব হবার কারনে স্থানীয় এক রেস্ট হাউসে থাকার আহবান পেল ফক্স। আমরা আমাদের রাতের খাবার তৈরীর আয়োজন শুরু করে দিলাম। এমন সময় ফক্স এসে জানালো যে স্থানীয় গ্রাম প্রধান তার বাড়ীতে আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। ভাল কিছু খাবারের প্রত্যাশায় আমরা সবাই বেশ উৎসাহিত হয়ে উঠলাম। আমাদের আধা তৈরী খাবার তাড়াতাড়ি কোন রকমে তাবুর মধ্যে ঢেকে রেখে আমরা গ্রাম প্রধানের বাড়ীর উদ্দেশে রওয়ানা হলাম।
চরম হতাশ হলাম যখন দেখলাম ছোট ছোট পিরিচে সামান্য একটু সুজি খেতে দেওয়া হলো আমাদেরকে। কাহিনীর ওখানেই শেষ না। যখন তাবুতে ফিরলাম তখন দেখলাম আমাদের অনুপস্থিতিতে কুকুর তাবুর ভেতর ঢুকে আমাদের সব খাবার নষ্ট করে গেছে।
রাঙা পাহাড় এমনই এক প্রত্যান্ত গ্রাম যে এখানে কোন দোকান-পাট ছিল না। অবশ্য আমাদের কারো কাছে কোন টাকা পয়সাও ছিল না কিছু কেনার জন্যে। সুতরাং সারা দিনে পরিশ্রমের পর শুধু একটু পানি খেয়ে ঘুমাতে যাওয়া ছাড়া আমদের আর কিছু করার ছিল না। শফি বা মান্নানের কাছে কিছু পাউরুটির টুকরা ছিল। আমরা সবাই সেটাই ভাগ করে খেয়ে তাবুর ভিতরে সবুজ ঘাসের বিছানায় ঘুমাতে গেলাম।
পরের দিন সকালে একটা ছোট দেশী লঞ্চে করে আমরা ফেরত যাত্রা শুরু করলাম। আমি আমার জীবনে কখনো এত ক্ষুধার্ত বোধ করিনি। এবারই প্রথম সত্যিকার অর্থে সুকান্তের কবিতার লাইনগুলির মানে অনুধাবন করলাম।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
তবে সেই মুহুর্তে, প্রচন্ড ক্ষুধা, আমার অন্য সব সুকোমল অনুভুতিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। কাব্য উপভোগ করা বা আকাশের দিকে তাকিয়ে তখনো আকাশে চাঁদ দেখা যায় কিনা – এ সবের কোন অনুভুতি ছিল না আমার।
আমি লঞ্চের সামনের ডেকে বসে ছিলাম। খেয়াল করে দেখলাম যে আমাদের সাথে কয়েক ঠেলা গুড় এই লঞ্চেই যাচ্ছে। ততক্ষণ প্রায় বেলা দুপুর। তার মানে বিগত ২৪ ঘন্টায় আমার পেটে তেমন কিছু খাওয়া পরেনি। আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম আমার দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। ঠিলার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে এক খামচা গুড় নিয়ে তাড়াতাড়ি মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলাম। আহ, কি শান্তি। জীবনে কখনো গুড়কে এত মধুর লাগে নি। আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাবার আগে আরও কয়েক খামচা গুড় ঠিলা থেকে বের হয়ে আমার পেটের মধ্য যেয়ে হাজির হলো।
যেহেতু আমার সেদিনের সহযাত্রীরা আজ সবাই সমাজে বিশেষ গন্য-মান্য স্থানে অবস্থান করছেন, তাই আরও কেউ সেদিন আমার দৃষ্টান্তে অনুপ্রানিত হয়ে ঠিলার ওজন কমাবার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কিনা, সে কথা আজ আর ফাস করবো না। তবে আমি আজ স্বীকার করছি যে প্রচন্ড ক্ষুধায় সেদিন আমি বাধ্য হয়ে গুড় চুরি করেছিলাম। আমি কি এখন ক্ষমা পাবার যোগ্য?
😀 😀 😀
আপনাদের কি মজা ছিলো ... কা্প্তাই লেক রাঙ্গা পাহাড়ে যেতেন কলেজ থেকে ... আহারে .. আমরা যদি সুযোগ পেতাম 😉 😉
ক্ষমা পাওয়ার জন্য আমাদের একদিন খাইয়ে দিয়েন 😉 :dreamy: :dreamy:
বেশ - এক ঠিলা গুড় কিনলে হয়ে যাবে বোধ হয়।
কি দিন ছিল আপনাদের। আহ।
ফেলে আসা দিনগুলি সব সময়ই ভাল।
আপনার অভিজ্ঞতাগূলো বরাবরই দারুন লাগে। এটাও তাই। আরো কিছুর অপেক্ষায় রইলাম।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ধন্যবাদ আহমদ।
(সম্পাদিত)
খুব মজা পেলাম।
এই ধরনের চুরির জন্য ক্ষমা চাওয়া জরুরী কি না জানি না 😕 , তাহলে তো লিস্ট করতে বসা লাগবে :(( :((
কলেজে থাকতে মোল্লা স্যারের ক্ষেত থেকে আলু চুরি করে ওয়াটার হিটার দিয়ে সিদ্ধ করে আধা কাচাঁ আলু খেতাম, আর ভাবতাম আল্লাহ্ আলু কে এত সুস্বাদু কেন বানাইল? বাকী জীবন এই আলু খেয়েই কাটানো যাবে। এখন সেই কথা মনে করে হাসি।
সকালে পিটি, প্যারেডের তোয়াক্কা না করে সারা রাত জেগে আলু সিদ্ধ খাওয়া টা আজ খুব ছেলে মানুষি লাগছে, কিন্তু সেই সময় এই কাজ গুলো কত টা এক্সাইটমেন্টের ছিল তা বলে বুঝান যাবে না।
সাব্বির,
জীবনের এই সায়াহ্ন বেলায় দাঁড়িয়ে এখন বুঝতে পারি দুনিয়ার অনেক কিছুই সাদা-কালো দিয়ে বিচার করা যায়না।
বর্তমান বিশ্বে যারা অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে তাদের কাজটাকে বে-আইনি বা অন্যায় বলাটা কঠিন হবে। অথচ এর ফলে কত জনের সর্বনাশ হতে চলেছে।
মানুষের জন্মের উপর তার কোন হাত নেই। একটা চোর যদি কোন ভাল পরিবেশে এবং অবস্থাপন্ন ঘরে জন্মাতো, তাহলে কি সে চোর হতো?
ভাইয়া, আমি মনে হয় এই ব্যাপারটার ইসলামিক সমাধান জানি। কেউ অন্য কিছু ভাববেন না প্লীইজ। যদি ঐ গুড়ের মালিকের সাথে দেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকত, তাহলে তো অবশ্যই তার কাছেই ক্ষমা চাইতে হত অথবা তাকে মূল্য পরিশোধ করতে হত। কিন্তু সে সম্ভাবনা যেহেতু নাই, তাই অন্তত ঐ গুড়ের মূল্যের সমপরিমাণ আপনাকে গরীব-দুঃখীদের মাঝে দান করে দিতে হবে। কিন্তু এই দানে আপনার কোনই ক্রেডিট থাকবে না। পুরো ক্রেডিটটাই হবে ঐ গুড়ের মালিকের।
গুলশান,
তুমি খুব ভাল মনের ছেলে। দোয়া করি বাকি জীবনে যেন দেশের পঙ্কিল অবস্থার মধ্যেও 'তোমার মত করে' ভাল থাকতে পার।
প্রতিটি মানুষের জীবনে এইরকম কিছু না কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। কিছু অপরাধবোধ জীবনের শেষ পর্যন্ত তাড়া করে যায়। হয়তো নিজে একটা অপরাধ করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলাম। হয়তো না বলে অন্যের খুব প্রিয় কিছু হাতিয়ে নিয়েছিলাম। হয়তো বাবাকে না জানিয়ে তার পকেট কেটেছিলাম। বা কাউকে তার দুর্বল জায়গায় আঘাত দিয়েছিলাম ............ এইরকম কত্তো। আপনাদের ঘটনাটা অসাধারণ। এইখানে না বলে গুড় খাওয়ার অপরাধের চেয়ে অভুক্ত কয়েক কিশোরের ক্ষিধা মেটানোর তাগিদটা বরং অন্যরকম একটা সহানুভূতির জন্ম দেয়।
আর্ট শিক্ষক মি. ভুঁইয়া (আবদুর রহমান ভুঁইয়া) আমাদের সময়ে রবীন্দ্র হাউজের হাউজ মাস্টার ছিলেন। যখন আমরা সিনিয়র মোস্ট হয়ে গেলাম তখন তো আমরা কিছু একটা হয়ে গিয়েছিলাম! বাসা থেকে লুঙ্গি নিয়ে গেছি, পড়ে ধরা খেলেই সেটা দখলে নিতেন তিনি। একটা লুঙ্গি, দুইটা লুঙ্গি। তারপর বেডসিটকে লুঙ্গি বানিয়ে পড়া শুরু, সেটাও উনার নজরে আটকে গেল। এইটা এক ধরণের ঘটনা। আরো নানাভাবে উনি আমাদের জন্য যন্ত্রণা হয়ে এলেন। কি আর করা। বৈঠক বসলো বন্ধুদের। সিদ্ধান্ত হলো গভীর রাতে উনার বাগানে হামলা হবে। হাউজের পাশেই উনার বাসা। সম্ভবত রাত ২টায় সব গিয়ে আক্রমণ করলাম। পুরো বাগান তছনছ করা হলো। গাছগাছালি সব উপড়ে ফেললাম। প্রতিশোধ নিতে পেরে কি যে আনন্দ হয়েছিল! আর আজ যখন পিছন ফিরে এসব মনে করি, লজ্জাই লাগে।
ভীষণ মজা লাগলো সাইফ ভাই আপনার স্মৃতিচারণ। এইরকম একটা থিম নিয়ে একটা শো করতে যাচ্ছি আমরা এবিসি রেডিও'তে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু,
ধন্যবাদ তোমার এই মন্তবের জন্যে। বাংলাদেশের মানদন্ডে এই গুড় চুরিটা হয়তো আহা-মরি কিছুনা। এটা যেন অনেকটা ছোলার ক্ষেতে যেয়ে ছোলা খাওয়ার মতো। এছাড়া জীবনে আরও এতো "অন্যায়" করেছি যে এটা নিয়ে আমার তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই। তবে এই ঘটনা থেকে আমার এক বিরাট শিক্ষা লাভ হয়েছে। সেটা হচ্ছে ক্ষুধার জ্বালা যে কত অসহনীয় হতে পারে সেটা সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান লাভ করে।
আমরা সাধারনত রোজা থাকার অভিজ্ঞতা থেকে মনে করি একটা দিন বা অর্ধেক দিন না খেয়ে থাকাটা এমন আর কি? কিন্তু ঐ ঘটনার পর থেকে আমি যখনি শুনি কেই অভুক্ত আছে, তখনই বিশেষ ভাবে দৃষ্টিপাত করি তার দিকে।
নিচের লিংকের কাহিনীতে মেয়েটিকে লাঞ্চে ডাকার কথা মনে এসেছে শুধু আমার গুড় খাবার অভিজ্ঞতার কারনে।
আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো । আসলে রমজানেও ক্ষুধার কস্টটা সেভাবে বোঝা যায়না, কারন আমরাতো জানি একটু পরেই অনেক অনেক মজার খাবার ওয়েট করছে। যখন পেটে খিদা + সহসাই কোন খাবার পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই, তখন বুঝা যায় ক্ষুধা কত প্রকার ও কি কি !
নূপুর,
তোমার মন্তবের জবাবে কিছু লেখার আগে চট করে তোমার লেখা কয়েকটি ব্লগ পড়লাম। তোমার স্পষ্টবাদিতা আর অকপটতা ভাল লাগলো। এক বছর আগের সংকল্প আশা করি এখনো বহাল রেখেছো।
প্রচন্ড ক্ষুধার কিন্তু রকম নেই। সুকান্ত ঠিকই বুঝেছিল।
চমৎকার লেখা। মজাই পাচ্ছিলাম। কিন্তু পড়ে কেন জানি ওই বয়সের আপনার জন্য খুব খারাপ লাগলো। 🙁
সামিয়া,
খুব সংবেদনশীল মন তোমার। আমরা কিন্তু মজাই করতাম।
ভাইয়া আপনার লেখা বরাবর'ই ভালো লাগে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি 🙂
ধন্যবাদ দিহান তোমার ভাল লাগার জন্যে।
সালাম ভাইয়া। আপনার লেখার একজন ভক্ত আমি, কিন্তু মন্তব্য করা হয় না।একমাত্র এখন আপনিই নিয়মিত লেখেন। অপেক্ষায় থাকব নতুন পোস্টের।
ধন্যবাদ তৌফিক। লেখার জন্যে সময় এবং 'সঠিক মুড' অনেক সময় খুজে পেতে কষ্ট হয়। তবু নিশ্চয় চেষ্টা করবো।
আপনাদের ক্যাডেট লাইফটা কত অন্যররক ছিল! আপনার লেখা সবসময় পড়ি এবং ভাল লাগে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
তৌফিক ও রাব্বী,
তোমাদের মন্তবের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। তোমাদের সময়ের জীবন সম্পর্কে আমার জানতে ইচ্ছা করে।
বরাবরের মতই দারুন লাগল আপনার লেখা... নিজে এভাবে ক্ষমা চাওয়ার হিসাব শুরু করলে তো বিপদেই পড়ে যাব 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান,
তুমি ক্ষমা চাওয়া শুরু করলে যতটা বিপদে পড়বে, তার চাইতে বেশী বিপদে পড়বে দেশের নেতা-নেত্রীরা শুরু করলে।
২০০১ সালে একবার টানা ২৬/২৭ ঘন্টা একদম কিছু না খেয়ে ছিলাম... 🙁
সাইফ ভাই, কলেজ কর্তৃপক্ষ আপনাদেরকে লঞ্চে খাবারের ব্যবস্থা করল না কেন?
নাকি এটাও কোর্সের অংশ ছিল?
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
লঞ্চে তো কাটা-চামচ ন্যাপকিনের ব্যাবস্থা ছিল না। আমরা কি 'ব্লাডি সিভিলিয়ানদের' মতো শুধু হাত দিয়ে খেতে পারি? [ঠাট্টা]
ভাল প্রশ্ন - তবে ঐ সময়ে এ সব মাথায় আসেনি। আমাদের কারো কাছে পয়সা ছিল না। কলেজে থাকার সময় আমাদেরকে সপ্তাহে শুধু ২ টাকা দেওয়া হতো পকেট মানি হিসাবে। সাথে আলাদা টাকা রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছিল। ফক্স বয়সে আমাদের চাইতে বেশী বড় ছিল না, হয়তো তারও মাথায় এটা আসেনি। তাছাড়া ছোট লঞ্চে কোন খাবার ব্যবস্থাও ছিল না।
আমাদের এই ট্রিপটা তেমন কোন পরিকল্পিত ট্রিপ ছিল না। অনেকটা পরীক্ষামূলক ছিল।
কে জানে, মুলার্ড হয়তো আমাদের সারভিভাল টেষ্ট নিচ্ছিল।
আপনার এই লেখায় মন্তব্য করা হয়নি, আপনার জীবন কাহিনী অনেক আকর্ষণীয় ভাইয়া, অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ি আপনার লেখাগুলো।
তানভীর,
আসলে প্রত্যেকটি জীবনই আকর্ষণীয়। খুজে দেখলে দেখতে পাবে। ধন্যবাদ লেখা পড়া আর মন্তব্যের জন্যে।
আপনাদের সময়কার এফসিসি'র কাহিনীগুলো বিভিন্ন রিইউনিয়নে কিছুটা শোনার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনার জীবনের মতোই ক্যাডেট কলেজের সময়টাও নানান বৈচিত্র্যময়তায়পূর্ণ। সময় দিয়ে আমাদের জন্য এগুলো লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সাইফ ভাই।
রাঙ্গামাটির ওই জায়গাটিতো অনেক আগেই কলেজ ছেড়ে দিয়েছিলো, তাই আমরা কেবল এর গল্পই শুনেছি। আমাদের সময় আমরা পেয়েছিলাম কলেজের সামনের বীচের জায়গাটি। ওখানে পিটি করা কিংবা পিকনিক পর্যন্তই। পরে সেটিও সাঙ্গু ভ্যালির দখলে চলে যায় 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ূম,
আমার জানা ছিল না যে রাঙ্গামাটির ওই জায়গাটি কলেজ ছেড়ে দিয়েছিলো।
পিছন ফিরে দেখলে মনে হয় এই OUTWARD BOUND TRAINING-এর অভিজ্ঞতা জীবনে অনেক কাজে লেগেছে।
চুরির জন্য যদি এইভাবে মাফ চাইতে হয় তাহলে আমাদের আর অন্য কিছু করা লাগবে না !
আম+জাম+কাঁঠাল+নারিকেল থেকে শুরু করে বাসার ভিতর পর্যন্ত ......... 😀
ক্যাডেটদের ক্ষিদা মনে হয় একটু বেশিই ......
কিন্তু যেই Cadet College Environment আগে ছিল অইটার ১০ ভাগের ১ ভাগ অ এখন নাই ......... :'(
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.