বেশ চনমনে রোদ দেখে
হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম বন্ধুবাড়ির পথে
ছাতা ছাড়াই। ঘরের দরজা খুলে দেখি
ঘন্টাখানেক আগের বৃষ্টির পানি জমে আছে
বেশ খানিকটা উঠোন জুড়ে। লক্ষ্য ঠিক করে
সিঁড়ি থেকে লাফিয়েও সামান্য বিচ্যুতি…….
ফলাফল কাদাপানিতে প্যান্টের পায়ে ইঞ্চি কয়েক
সয়লাব; “যাত্রা শুভ নয়”– ~x( -বিরক্ত হয়ে ভাবি
এই না হলে বর্ষা!!
কিছুদূর যেতে না যেতেই হঠাৎ কালো মেঘ।
ফিরবো না চলবো ঠিক করার আগেই
প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি তারপর মুষলধারা, কোন এক
বৃক্ষতলে আশ্রয় খোঁজা, পর্দাঘেরা খালি রিকশা
দেখে থামানো, লাফিয়ে উঠে বসেই বুঝে গেলাম
এবার পালা পশ্চাৎদেশের; 😛 ভিজেই গেল একদম
সিটে পানির ছিট ছিল ভালোই, পর্দাটা বেকার তখন, উফ
এই না হলে বর্ষা!!
বন্ধু বাসার কাছে আসতেই বৃষ্টি হাওয়া, তবু নামার
জায়গা নেই, চারিধারেই পানি জমা, তাই আবারো
লাফ, অল্পের জন্য বাঁচোয়া এবার
ঘুম থেকে ওকে তুলে ছাদে গিয়ে আড্ডা জমাই।
আন্টির পাঠানো নুডলসের বাটি হাতে নিয়ে
পাশ ফিরতেই চোখ আটকে যায় কোনার গাছটায়
সোজা কান্ড উঠে গিয়ে ছড়ানো ডালপালা, ছায়া দিচ্ছে
পাশের বাসার আঙিনা, ঝুলছে তাতে ‘টেনিস বল’ অবিকল 😮
সুঁইয়ের মতো বেঁধে আছে অজস্র কাঁটা যেন; কদমফুল
সত্যিই এতো বর্ষাকাল। মুগ্ধ হয়ে বোল ফোটে ঠোঁটে
এই না হলে বর্ষা!!
হাজারো ঝামেলা মাড়িয়ে বাংলার স্নিগ্ধরূপ
এই বর্ষায়ও খুঁজে পাই আমি
আজ কদমফুলের দিকে চেয়ে। :dreamy:
1st!
ওয়েলডান!!
:clap: :clap:
থ্যাংকস 😀