সব কলেজেরই কম-বেশী বিভিন্ন ট্র্যাডিশন আছে। কোন কোনটা হয়তো অনেক কলেজেই আছে, তবে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। অনেকগুলো আবার বি এম এ -তেও আছে। অনেক ট্র্যাডিশন আবার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। এর অনেকগুলোই নরমাল এটিকেটেরই অন্তর্ভুক্ত। এই পোস্টে এসব ট্র্যাডিশনগুলোর একটা সংকলন করতে চাচ্ছি।
আমি এখানে আমাদের কলেজের(ঝিনাইদহ) ট্র্যাডিশনগুলো তুলে দিলাম। সেগুলোর সাথে অন্য কলেজে একই টাইপের কি ট্র্যাডিশন ছিল তা অন্যরা মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দিবেন বলে আশা করছি। নতুন কোন ট্র্যাডিশন থাকলে সেটাও দিতে অনুরোধ করছি।
তুলনার সুবিধার্থে ট্র্যাডিশনগুলোও মন্তব্যের ঘরে লেখা হল।
😀 গাছের পোস্টে গাছই পরথম
ওইইইইইইইইইইইইই ট্রেডিশান কই??? এই মুহূর্তে টার্ম এন্ড সুইটের কথা মনে পড়তেছে 🙁
এক্সকিউজ মি ইয়েস প্লীজ।
:frontroll: :frontroll:
এমন ফাকঁইবাজী করলা :gulli: ! ট্র্যাডিশন কই?????
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
সরি আপু। দেরী হয়ে গেল...
শাশুড়িকে সন্মান করে কথা ক।
শাশুড়ি???? 😕 গুলু বিয়া করলো কবে আর শাশুড়িই বা কবে পাইলো? 🙁
এখানে গুলু নিজেই শাশুড়ি।আমি জিতুকে বলেছিলাম। :grr:
১) সিনিয়রদের সাথে কথা বলার সময় শান(সাবধান) হয়ে কথা বলতে হবে। প্রত্যেক কথার শেষে 'ইয়েস প্লীজ' বলতে হবে। নাবাচক হলে 'নো প্লীজ'। সিনিয়র মুভ না বলা পর্যন্ত বুঝতে হবে কথা বলা শেষ হয়নি। অনেক সময় সেভেনের পোলাপাইন স্যারদের সাথে বা বাড়ীতেও ইয়েস প্লীজ কইয়া ফালাইতো!!!
কি ব্যাপার গুলশান, "মুভ" বলার পর "থ্যাংক ইউ" বল্লানা ক্যান?? ফ্রন্টরোল দিয়ে 'বিজয়ে মহানুভবতা পরাজয়ে দৃঢ়তা' টাচ করে আসো!! 😡
২) সেভেন আর এইট কোন সিনিয়রদের সাথেই ফ্রি না। অর্থাৎ উপরের নিয়মে কথা বলতে হবে। নাইনে ওঠার পর ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচের সাথে ফ্রি হয়ে যাবে। ক্যান্ডিডেট অবস্থায় অবশ্য টুয়েলভের সাথে মোটামুটি ফ্রি।
৩) খাওয়ার টেবিলে জুনিয়ররা সিনিয়রদের আগে নিবে। অর্থাৎ সেভেন->এইট->...->টুয়েলভ।
গুলশান ভাই, আমি আপনার টেবিলে ছিলাম আপনি ১২ থাকতে, আমি ছিলাম ৭ম । চিনেছেন কিনা জানিনা । যা বলতে চাইছি তা হল, এখন কলেজ ব্যাপক চেঞ্জ হয়ে গেছে, এখন টেবিলে সার্কেলিং করা হয় । মানে একদিন সেভেন আগে নিবে, পরদিন এইট, নাইন,,,,,,এভাবে চলবে।
what the hell.???? F..n chap ১০ টা ফ্রন্ট রোল এই খবর দেয়ার জন্য ... কোন বলদ এই নিয়ম করছে?? rolling system my b.ls???? (সম্পাদিত)
৪) সেভেন টেবিলে হাত রাখতে পারবে না। এক্সট্রা ডাল অর্থাৎ শুধু ডাল খেতে পারবে না। এইট থেকে পারবে।
৭ম এ থাকতে চাতে ভিজায় বিস্কিট খাওয়া যাবে না...
জুনিয়রদের হাতঘড়ি পড়া নিষেধ ছিল।
Life is Mad.
পকেটে হাত??? উরিবাবা =(( .........
রুমাল বা চাবি বের করতে হলেও ডানে বামে তাকিয়ে সিনিয়র নেই নিশ্চিত হয়ে তবেই করতে হত - না হলে কিছু নগদ পাওয়া যেত।
Life is Mad.
আমাদের ক্লাস টেন থেকে হাতঘড়ি পড়ার অনুমতি পাওয়া যেত।
আমার মনে আছে প্রথম ঘড়ি পরার অনুভুতি। এখোনো এই নিয়ম আছে নাকি জানতে ইচ্ছা করছে?জানতে ইচ্ছা করছে কলেজ কি আগের মত আছে ?
এক্সট্রা ডাল দূরে থাক।৩ চামচের বেশি নেয়া যাবেনা।টেবিলে হাত রাখবেনা।এইটে মনে হয় খালি কবজি রাখতে পারবে(এইটা না রাখাই ভাল।হাত ঝুলে থাকে অবশ হয়ে যায়)।নাইনে কুনুইয়ের নিচ পর্যন্ত পারবে।টেনে উঠে মনে হয় কুনুই রাখতে পারবে টেবিলে।
অনেক বেশী precise. এমনিই কি আর senior most কলেজ...
:)) :)) আমাদের অ তাই ছিল
৫) নাইন থেকে ডাইনিং হলে নিজের অংশ থেকে অন্যদেরকে খাওয়ানো যাবে।
৬) সবাইকে চিবানোর সময় মুখ বন্ধ রেখে চিবাতে হবে। এবং শব্দ করা যাবে না। কড়াভাবে পালনীয় এটিকেট।
৭) সিনিয়রদের ডর্ম বা রুমের ভিতরে না বলা পর্যন্ত নীচের দিকে তাকিয়ে থাকতে বা লুক ডাউন হয়ে থাকতে হবে। আর ভুলেও বাইরে থেকে তাকানো যাবে না।
এখন সিনিয়র ডর্ম বলে কিছু নেই। সব ডর্মলিডার ১২।
হাইরে কলেজের ক্লাস ১২ এর ত অবস্থা খারাপ...।
এই নিয়ম কে করসে?
৮) আমাদের কলেজে জুনিয়ররা উপরের তলায় আর সিনিয়ররা নীচ তলায় থাকতেন। তো উপরের তলায় মেঝেতে জোরে শব্দ হলে (কিছু হাত থেকে পড়ে যাওয়া বা চেয়ার-টেবিল সরানোর কারণে) নীচের তলার সিনিয়র ভাইকে বলে আসতে হবে। এক্ষেত্রে পানিশমেন্ট খেতে হবে কিনা সেটা সিনিয়রের মর্জি।
আমরা dorm 10 এ থাকতে প্রায়ই মিট খেতাম । পরে টেবিল চেয়ার এর নিচে তুলা লাগাইছিলাম...
৯) পানিশমেন্ট খাইতেছে এই অবস্থায় সিনিয়রের দিকে তাকানো বিলকুল নিষেধ। নীচের দিকে বা অন্যদিকে তাকাতে হবে।
১০) আমাদের সবচেয়ে কমন পানিশমেন্ট ছিল 'চিকেন'। অনেক জায়গায় হয়তো 'মুরগা' বলে পরিচিত।
এইটা আমরা বলতাম বিকক পজিশন। :grr:
১১) উলটা দিক থেকে ক্রস করার সময় সিনিয়রকে অবশ্যই সালাম দিতে হবে। মাসরুফ ভাই খুব সুন্দরভাবে সালামের জবাব দিতেন...
:shy: :shy: যাক সালামের উত্তর দেওয়ায় পারলৌকিকের পাশাপাশি ইহলৌকিক একটা লাভ হইছে-গুলু আমারে মনে রাখছে।বাই দা ওয়ে,আজকে জোহারীর বাড্ডে উপলক্ষে তোদের ব্যাচের প্রায় দশটা গাছ টিএসসিতে আসছিলো,আমার এমডিএসের ক্লাস থাকায় একটু আগে গিয়া সবকয়টার সাথে দেখা করছি,জোহারী হারামীটা পটায় পাটায় এই গরীবের কাছ থেইকা কেক্কুক আদায় করছে x-(
মাস্ফুদা.........এইটা তো আমাদের(জুনিয়রদের) পাওনা।ছিপি হিসাবে আপনি খাওয়াবেন না????? ;;) ;;) ;;)
আসসালামু আলাইকুম মাসরুফ ভাই...
গুলশান তোমাকে thank u সালামের মাসরুফ ভাই এর সালাম এর কথা মনে করে দেয়ার জন্য
১২) কলেজ ডিউটি ক্যাডেট ইলেভেন থেকে থাকত। আর এইট থেকে একজন থাকত হাউস ডিউটি ক্যাডেট। এই বালকের কাজ ছিল সিনিয়রদের নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ডেকে দেয়া, টুকটাক ফাই-ফরমাশ খাটা ইত্যাদি।
এখন ক্লাস টেন ডিউটি ক্যাডেট থাকে মনে হয়!*
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
ডিউটি ক্যাডেট এখন টেন।
ক্লাস ৭ সব সময় সান হয়ে এবং মাথা নিচু করে হাটবে |ক্লাস ৮ এ উঠলে জুনিয়র আসার আগের দিন ফ্রীনেস পানিশমেন্ট এর মাধ্যমে hand swing দেওয়ার ও উপরে তাকানোর permission পাওয়া যায় ও ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচের সাথে ফ্রি হওয়া যায় |table এ খাবার নেওয়া ও ডাল খাওয়ার সিস্টেম jcc এর মতই|
আমাদের house (blue) এ junior দের দিয়ে shoe polish করানোর tradition ছিল না but অন্য ২ house এ হত |
শু পলিশ মেটাল পলিশ সব করত জুনিয়ররা, সিনিয়ররা আয়েশ করত। :ahem:
আমাদেরও তাই চলে
সব বৃক্ষগুলার প্রোফাইল পিক দেখি সেইরকম :khekz:
গুলশান ভাই...আপনি কামন আছেন?সি সি বি তে আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
ভাল আছি ভাই। তোমার খবরাখবর ভাল?
কুমিল্লায় ক্লাস সেভেন টেবিলে এক্সট্রা ডাল নিতে পারবে না! 🙁
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
আমাদের সময় এই নিয়ম ছিল না। এটা তো রীতিমত অমানবিক একটা ব্যাপার।
শীতকালে, যখন টি ব্রেকের আগে নামাজ হতো তখন , মাগরিবের নামাজের সময় ক্লাস ৭ মার্চ করে নামাজে যেতো ।
(১) মসজিদে ক্লাস ৭ ক্রস লেগ - এ বসতে পারবে না। ৮ - এ উঠার আগে মসজিদে গিয়ে ওযু করা যাবে না। ( ৭ এ থাকতে এই জন্য অনেকদিন ওযু ছাড়াই নামাজ পরছি।)
(২) ক্লাস ৮ এ উঠার আগে ঘড়ি পড়া যাবে না।
(৩) ক্লাস ৯ এ ঊঠার আগে ব্লকে হাটার সময় কাধে টাওয়েল নেয়া যাবে না।
(৪) ডাল খাওয়া আর টেবিলে হাত রাখার ব্যাপারটা একই রকম।
(৫) কলেজে নতুন ব্যাচ আসলে ক্লাস ৮ এর যে গাইড ভাই ক্লাস ৭ এর যাকে রিসিভ করে ব্যাগ বহন করে নিয়ে আসে; কলেজ থেকে যাবার সময় এর উল্টোটি ঘটে।
(৬) ডিউটি ক্যাডেট এর বৃহস্পতিবারের বিশেষ কাজ হলো পুডিং এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে নিয়ে যাওয়া।
এই জন্য দেখা যাইত কিছু ক্লাস সেভেন জুমার দিনে " মুত্রা বিসারজন করত " মসজিদেই
অন্যদের কথা জানি না আমার ক্ষেত্রে রীতি মতো ফল্টের খাতা ছিল । যা আবার লুকিয়ে রাখতা হতো । এবং গাইড B-) মশাই ইয়ের 😛 কাছে , যে দিন কোনো কয থাকতো না পাঙ্গানোর , সেই দিন "অমুক দিনের অমুক সময়ে এই কাজ করছো তোমাকে তো পাঙ্গান ফরয...।।" টাইপের কথা বলে পাঙ্গানি শুরু হতো
জুনিয়্রর অবস্থায় টয়লেটেও যাতে সিনিয়্রদের দিকে চোখ না যায়
এইটা 'বাতুলত্রয়ী' সিনেমার আমার অন্যতম ফেভারিট সংলাপ।
প্রতিদিন মাগরিব প্রেয়ারের পর ক্লাস সেভেন দৌড়ায়ে হাউজে যাবে। শুধু বৃহস্পতিবার ক্লাস টুয়েলভ্ দৌড়াবে (optional)। এটা কারো ইম্পোজ করা লাগেনাই, বিষ্যুদবারের সন্ধ্যার ডিশে B4Utv-তে চালানো সেই আমলের sensual বলিউড নায়িকাদের মাখনসদৃশ অনাবৃত অঞ্চলগুলি 'আরো ভালভাবে' দেখার লোভ / ফোর্টনাইটলী সিলেক্টেড মুভি উপভোগ ইত্যাদির জন্য কমনরুমে সামনের সিট দখলের (শুয়ে শুয়ে দেখার জন্য) প্রতিযোগীতার তাগিদেই হয়ে গিয়েছিল। ওই সময়ে যেই দৌড়টা দিত পোলাপান, মাইল টেস্টেও মনে হয় এত গাইরত দিতো না।
আমরা দৌড় দিতাম মঙ্গল্বারে...আহারে, সে কি দৌড়......
আমরা হুনাইন ৩৫থ class 12এ বৃহস্পতি বার হলে দুপুরে movie দেখার সময় কে কোন সিট এ বসবে তা লটারির মাধ্যমে ঠিক করে নিতাম
Grand Dinner এর পর যখন স্যার-ম্যাডামরা ডাইনিং হল ত্যাগ করতেন, তারপর ক্যাডেটরা বসে বসে সমস্বরে গাইত:
"He was a jolly good fellow, he was a jolly good fellow, he was a jolly good fellow.... so said all of usssssssssssssssssssss!"
এবং ঐ hissing সাউন্ড টা হত একটা অভাবনীয় জিনিস :duel:
কলেজের প্রায় ৮০ ভাগ ট্রেডিশন আর নেই মামা বাড়ী হয়ে গেছে ॥
বেশ ভাল লাগল । আসলেই আমরা কেমন ছিলাম ? কত কিছু করছি ? ভাবতে এখন ভালই লাগে ।
....ডাইনিং হলে একটা গ্লাস ভাংলে আর উপায় নাই। সাথে সাথে আরো ২-৩ টা ভাংগার শব্দ আর সাথে পুরো ডাইনিং হল জুড়ে "তালিয়া" ।
কুমিল্লাতেও ঠিক একই জিনিস চলে
......ওহ তাই নাকি রে ???
......আমি না, একদম জানতাম না। আমি আবার কুষ্টিয়া ক্যাডেট কলেজ এর কিনা ।।। ;;;
এইখানে কুষ্টিয়া কই থিকা আইল? আমার বাড়ি আবার কুষ্টিয়া কিনা...
.......মাথা চুলকাইতে থাক ।।।