২৩ জানুয়ারী ২০০৪, শুক্রবার, রাত ১১:১৫
ইদানিং মাঝে মাঝেই ‘স্মৃতি ভারাক্রান্ত’ হয়ে যাই আগের চেয়ে। কারণটা নিতান্তই পরিস্কার। কলেজে আছি আর মোটে ৩ মাস বা তার কিছু বেশী। বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় মনের অজান্তেই বিগত ৬ বছরের স্মৃতি মনে করার ব্যর্থ চেষ্টায় নিবিষ্ট থাকি। অথচ সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘন্টা বাজাচ্ছে। ক্লাস সেভেন, এইট, নাইন, টেন, ইলেভেন এবং শেষে টুয়েলভ। অনেক কিছুই মনে করে হেসে উঠছি কিন্তু শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
একজন হাবিব এর আত্মকাহিনী
হাবিব আমার মামাতো ভাই। সমবয়সি হওয়ার কারণে ও আমার সাথেই এইচ.এস.সি পরীক্ষা দেয়| কলেজ থেকে বের হয়ে যখন ফার্মগেটে কোচিং করতে আসি, তখন হাবিব ও আসে আমার সাথে| তখন থেকেই ওর আমাদের ব্যাচের ক্যাডেটদের সাথে পরিচয়| আমাকে কয়েকদিন আগে বললো, ও একটা ব্লগ লিখতে চায়| আমি বললাম আচ্ছা লিখিস, আমি পোষ্ট করে দিব। নিচের লেখাটা ওর লিখা……….।।
লেখাটা শুরু করব কিভাবে বুঝে উঠছিলাম না,
বিস্তারিত»বৃষ্টি বিড়ম্বনা ও বিভ্রাট
গল্প শব্দবিভ্রাট নিয়ে। বাস্তবে ঘটা এবং সত্য ঘটনা।
সুকুমার রায়ের গল্পে পড়েছি, “দাদা। জল পাই কোথায় বলুন তো?” প্রতিউত্তরে বলেছে “মুশকিলে ফেললেন, এখনতো জলপাই এর সময় না।তবে আম-কাঠাল হলে চলবে?”
আমার গল্প এইসব বিড়ম্বনা বা বিভ্রাট নিয়েই। একবার ক্লাসে এক ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করলেন,”এই তোমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেন কে?” আমার বন্ধুর সরল মনের উত্তর, “কাদের”।
ম্যাডাম খেপে গিয়ে বললেন, “ফাজলামো করো।একটা চড় দিয়ে দাত কয়টা ফেলায় দেবো।কাদের আবার?
বিস্তারিত»বি এম এ…প্রথম রাত…আর কিছু কথা…
আমি বি এম এ তে জয়েন করি ২০০৭ এর ১০ জানুয়ারি। যদিও বাবা আর্মি তে ছিল তবু আমার আর্মি তে আসার তেমন ইচ্ছা ছিল না।ক্যাডেট কলেজে ৬ বছর থাকার পর খুব ইচ্ছা ছিল বাইরের জীবন টা দেখব(উল্লেখ্য ক্যাডেট কলেজের ১ টা দিন নিও আমার ১ বিন্দু আফসোস নাই…আমার জীবনের বেস্ট সময় কলেজের প্রতিটি দিন)। কিন্তু রিযিক নাকি আল্লাহ আগেই ঠিক করে রাখেন। যা হোক আমার জান্নাতবাসী মা এর খুব ইছা ছিল ছেলে ক্যাডেট কলেজে পরে আর্মি তে যাবে…অবশেষে ২০০৭ এর ১০ জানুয়ারি বিকেল ৩ টার সময় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আমার বাবা আমাকে রেখে গেলেন…সবাই হও তো ভাবছেন বার বার আমি ২০০৭ এর ১০ তারিখের কথা আলাদা করে বলছি কেন?
বিস্তারিত»মাথায় কিস্তি টুপি পড়েছিলাম
ক্যাডেট কলেজে আসিবার পূর্বে প্রতীক (ছদ্মনাম), উদয়ন স্কুল-এ পড়িত। শান্ত শিষ্ঠ এবং ভদ্র ক্যাডেট হিসাবে সপ্তম শ্রেণীতেই তাহার বেশ নামডাক। মনে করিতে পারি, তাহার দুই বৎসর ক্যাডেট জীবনে অনেক অভিমান আর দুঃখের পাহাড় জমিয়া উঠিয়াছিল। মাঝে মাঝে আমাদিগকে তাহার মনের কষ্টের কথা শুনাইয়া ছাড়িত। অভিমান জমিতে জমিতে যখন নিতান্তই অসহনীয় হইয়া উঠিল, তখন সে ঠিক করিল, কলেজ হইতে পালাইয়া বাড়ী যাইতে হইবে, এ জীবনে তাহার আর কিছুই পাইবার নাই।
বিস্তারিত»More ডায়ালগ from MGCC
ঘটনা গুলোর কথা মনে হতেই নিজের অজান্তেই হেসে উঠি…গুছিয়ে লিখতে গেলে একসাথে সব মনে পরেনা।জিনাতের লেখা পরার পর আজ যতগুলো মনে আসলো লিখে যাই…
#১-হাউজ প্রিফেক্টের অনুমতি ছাড়া একবার ভুল করে আমাদের কে যেন অন্য হাউজে গেছে এবং কপাল দোষে ধরা পড়েছে।তো ভয়ংকর এক ঝাড়ি মারতে গিয়ে আপার প্রথম ডায়লগ,
”without permission ছাড়া হাউজ change করো কোন সাহসে?”
#২-ক্লাস নাইন,1st প্রেপ।চোখের পাতা টেনেও খুলে রাখা যাচ্ছেনা…মন আর চোখের জ্বালা মেটাতে গেলাম বাথরুমে।গিয়ে দেখি সামিয়া আর জিনিয়া সেখানে।৩জন ৩জন কে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি।মনের সুখে গল্প করতে করতে কখন যে চিৎকার করা শুরু করাছি খেয়াল নেই(বলে রাখি,ততদিনে অঘটন ঘটনে আমাদের ৩ রত্নের ইম্প্রেশন বেশ High..),হঠাৎ বাইরে থেকে আমাদের সবচেয়ে ভয়ংকর স্বরের ম্যাডামের চিৎকার,”বাথরুমে কারা বেরিয়ে আসো!”
বিস্তারিত»জনাব ফখরউদ্দিন আকন্দ স্যার – ব্যাটিং এর জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে যারা ১৯৯০ থেকে পরবর্তি বছরে পড়েছেন তাদের সবার “ফখরউদ্দিন আকন্দ” নাম দেখা মাত্র চেনার কথা। গনিতের এই শিক্ষকের নিকনেম ছিল ব্যাটসম্যান (আগের কথা ঠিক জানিনা)।
মূল কাহিনীতে যাবার আগে নামকরনের সার্থকতা একটু বর্ণনা করে যেতে চাই। লেকচার, কথা, বকা, স্যার ম্যাডামদের এই মোক্ষম অস্ত্রটিকে যে নামেই ডাকতে চান উনি সেটা ক্যাডেটদের উপর প্রয়োগ করতেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে। বাধ্য হয়েই ব্যাপারটির হয়ত নাম হয়ে গিয়েছিল ব্যাটিং।
বিস্তারিত»চিকেন ফ্রাই-২
প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ বিশ্বাস আর অ্যাডজুট্যান্ট শফিউল্লাহ মাস্তান এর শাসনামলে(২০০৪-০৬) আমাদের কলেজ যে এমন একটা দোযখের মধ্য দিয়ে গেল তা আর বলার মত না। আমাদের “শাহী ক্যাডেট”-এর অস্তিত্ত্ব নিয়েও আমরা তখন চিন্তিত। কিন্তু আমাদের ব্যাচের ভাগ্যটা এতোই ভাল যে এস,এস,সি পরীক্ষার সময় প্রিন্সিপাল বদলী হয়ে গেলেন আর ছুটির মধ্যে অ্যাডজুট্যান্ট-ও। আর নতুন যারা এলেন? তারা তো দুইজনই মাটির মানুষ। আমরা কলেজ থেকে আসার আগ পর্যন্ত তাদের ছায়াতলেই কাটিয়ে দিলাম।
বিস্তারিত»মঙ্গলালোকে ফিরে দেখা
অটোয়া। ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯, রাত। ২১৯ বেল স্ট্রীটের একটা ঘেঁটো অ্যাপার্টমেন্ট। বৈচিত্র্যহীন একঘেয়ে জীবন। পড়া আর অ্যাসাইনমেন্ট করা; আমার শীতকালীন সেমিস্টার তখন মাঝামাঝি। টেবিল ল্যাম্পের আলোয় ঘর আলো-আঁধারী খেলছে। মূলতঃ ল্যাপিতে একটু পর পর ফেইসবুক, ইয়াহু আর জিমেইলে উঁকি মারছি আর এরিক ক্ল্যাপটন গাইছে ‘টিয়ারস ইন হ্যাভেন’ পড়ার ব্যাকগ্রাউন্ডে। পড়ার কথা সাবা মাহমুদের “পলিটিকস্ অব পায়িটি”। ২৬শে ফেব্রুয়ারি প্রফেসর রাদারফোর্ডের থিওরী-২ ক্লাসের রিডিং। দারুণ বই,
বিস্তারিত»গিফটের প্যাকেটে কার নাম লিখবো ?
( এই লিখাটা আমি গত ২০০৯ এর মে মাসে দিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু মাগার অভ্র সংক্রান্ত জটিলতার কারনে এবং আইভোরী কোস্টে থাকায় দেয়া সম্ভব হয় নাই।তাই মাত্র ৮/৯ টি মাস অপেক্ষা করে দেশে এসে সেট হয়ে লিখাটা শেষ করলাম।মে মাসে আবার দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও কোনভাবেই আর নিজেকে অপেক্ষায় রাখতে পারলাম না,দিয়ে দিলাম।যা হউক,সি সি বি তে এইটাই আমার প্রথম লিখা((আগের ছবি ব্লগটা বাদ দিলে;লিখা ব্লগ আর কি))।দেশ ও জনগনের কাছে দোয়া প্রার্থী ।
বিস্তারিত»প্রিফেক্টশীপ নিয়ে প্রহসন
ডিস্ক্লেইমারঃ
টাইটেল দেখে ভাববেন না,ক্ষোভ বা হতাশা থেকে এটা লেখা।আমাদের মিলেনিয়াম ব্যাচটা কলেজে এমন একটা সময় পার করেছে,যে সময়ের মধ্যে কলেজটা অনেক পরিবর্তন-বিবর্তন এবং ট্রেডিশন-নিষিদ্ধকরণ এর মধ্যে দিয়ে গেছে।আমরা দেখেছি,ক্যাডেটদের বিপদে স্যার-ম্যাডামদের আন্তরিক সহমর্মিতা,আবার একই লোকদের দেখেছি…নতুন প্রিন্সিপালের আমলে পুরাই ক্যাডেটদের বিপক্ষে কথা বলতে!…..
প্রিফেক্টশীপ ব্যাপারটা ক্যাডেট কলেজের একটা বিশেষ আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।যে কোন প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন ক্যাডেটই কলেজ জীবনের শুরু থেকে এই বিশেষ ক্ষণটার অপেক্ষায় থাকে।নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ত্বের উপর যার আস্থা আছে,সে মোটামুটি কলেজের প্রভূত প্রতিযোগিতাতে কৃতিত্ব লাভ করেই।প্রিফেক্টশীপ একই সাথে তার প্রতিভা,ব্যক্তিত্ব,নেতৃত্ববোধ ইত্যাদির পুরস্কারস্বরূপ।….
চিকেন ফ্রাই-১
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
সিলেটের রাফির কাছে শুনেছিলাম, ব্লগে প্রথম লিখতে হলে আগে দশটা ফ্রন্ট রোল দিতে হয়। আজ্ঞা শিরোধার্য। আমার ব্লগে খুব বেশি ঢোকা হয় না। হালকা পাতলা দুই-একটা পড়া হয়। পড়তে তো জটিল লাগেই। সেদিন আমাদের আছিব ভাইয়ের কক্ষভোজন পড়ে মনে হল আমিও এরকম একটা কিছু লিখে ফেলি।
আমরা তখন ক্লাস XII-এ। রাতে কারেন্ট গেলে অনেক জেগে থাকা হয়।
ডায়লগ De MGCC
প্রাচীনকালে পর্যটকেরা যখন রাজ্যের রাজার সাথে প্রথম সাক্ষাত্ করতেন,সঙ্গে থাকতো নানা উপঢৌকন।সিসিবি’র সাথে গত এক বছর ধরে আমার দিনে কমসে কম তিনবার সাক্ষাত্ হলেও পর্যটকের মর্যাদা লাভ করেছি(সদস্যপদ) দুদিন আগে।লেখক হিসেবে কোন মানের মধ্যে না পড়লেও পৃথিবীর সব ব্লগের শাহেনশাহ্ সিসিবিকে(আমার জানামতে, এবং আমি জানি বাংলাদেশের সব ক্যাডেটের জানামতে) উপেক্ষা করার সাহস আমার নেই,তাই হুজুরকে সামান্য নাজরানা…
১.এক সিনিয়র আপা যিনি পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন;
মেজর আজিজুল হাকীম স্যারকে মনে পড়ে
বিডি আর বিদ্রোহের কথা আমরা ভুলে গেছি। ভুলে যাওয়াটা সহজ, সুবিধা জনক। সরকারও তাই চেয়েছিলো। আমরা ব্লগারাও এখন দৈনন্দিন জীবন, ভালোবাসা দিবস, আস্তিকতা-নাস্তিকতা বা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে ব্লগ লিখতে ব্যস্ত।
আমি হিসাব করে দেখলাম, সাহসী বাঙ্গালীরা প্রায় সব ৭১ রেই মারা গেছেন। আমরা যারা নতুন প্রজন্মের মানুষ, বেশিরভাগের বাবা-মাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়ে বেরিয়েছেন। আমরা কাপুরুষের সণ্তান।তাই আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানিনা।
আমরা পালিয়ে বেরাতে বা ভুলে যেতে ভলোবাসি।
বিস্তারিত»লুলুর ভালবাসা…
আমাদের এক বন্ধু, নাম বলবনা সবাই চিনবেন। আমরা তাকে লুলু বলেই ডকতাম। তার প্রেমের কাহিনী বলব ভেবেই লেখা শুরু করলাম।
সে কবে থেকে প্রেম করে তা আমরা সঠিক জানি না। তবে আমরা ক্লাস ১২ এ থাকতে HSC পরীক্ষার আগে হঠাৎ একবার সে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিল। বুঝতে পারলাম, প্রেম এ সংশয়… খবর পেয়ে আমাদের ভিপি স্যার জাইদুল হক আসলেন ডাইনিং হাল এ লুলুর খবর নিতে।
বিস্তারিত»