তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখি
তোমাকে নিয়ে গল্প
নিয়েছি তোমায় করে আপন
করে অল্প অল্প।
হাসো তুমি মিস্টি সুরে
কথা বলো স্বল্প
হৃদয় আমার জুড়ে আছো
জুড়ে আমার কল্প।
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখি
তোমাকে নিয়ে গল্প
নিয়েছি তোমায় করে আপন
করে অল্প অল্প।
হাসো তুমি মিস্টি সুরে
কথা বলো স্বল্প
হৃদয় আমার জুড়ে আছো
জুড়ে আমার কল্প।
মানিক কিংবা বুদ্ধদেবের মতো যারা,-সকলে
পড়ে আছে ভাঙ্গা কাঠের বাক্সে,অবহেলে-
দুই মলাটের ভাজে!-পোকারা তাদের
বুক চিঁড়ে খুজে পেয়েছে পথ-স্বাদের!
একদিন আমিও খুঁজেছিনু পথ,ও পথে
পেয়েছি কত বোধ-প্রবোধ-সৎ বিজ্ঞাতা;সেই হতে
কত দর্শনে ভারাক্রান্ত হয়েছে হৃদয়,
এখন সেইসব কেবল ফাঁকি বলে মনে হয়!
মাঝে মাঝে কিছু কবিতা পড়ে চমকে উঠে। আমি যদি কবি হতাম তাহলে ঠিক এই কথাগুলোই আমার হাত দিয়ে বের হত। তখন ঠিক কেমন লাগে কাউকে বুঝানো যাবে না। আনমনা হয়ে পড়ি। যখন খেয়াল হয় তখন বার দশেক কবিতাখানা পড়া হয়ে গেছে। খুব কাউকে শোনাতে ইচ্ছে করে। কবিতার ছলে বলা নিজের অনুভূতি। হেলাল হাফিজ আমার সবচেয়ে পছন্দের কবি। তার যতগুলো কবিতা পড়েছি মনে হয়েছে এ তো আমার কথা।
বিস্তারিত»কতদিন ধরে কাঠের জাহাজে ভেসে ভেসে
চলেছি লোনা সাগরের অফুরান নীল জল ঘেঁষে
দু’পাশে দু’হাত ছড়িয়ে,হাওয়ায় রেখে বুক-
পেয়েছি অবিরল সুখ,
চারিদিকে তরলের ভীড়ে শাদা ফেনার মতন,
উচ্ছ্বাসে উথলে উঠেছে মন!
ঘোমটা মাথায় গয়না গলায়
বধূ সাজে বসে
ফেলে আসা বছর কুড়ি
সুদূর দেশের বাসা বাড়ি
গোপাল ভাড়ের গল্প ঝুড়ি
মনে তাহার আসে।
ভালোবাসাপ্লুত সুরেলা আহবানে ডাকবো একদিন
ছুটে এসো তৃষ্ণাকাতর মোর আলিঙ্গনে
ছিড়ে সমস্ত কাঁটাতারের বেড়া
বাজায়ো হৃদয়ে বীণ
ছায়াঘন কুঞ্জবনে
দিও ঠোঁটজোড়া।
প্রথম যেদিন তোমার সাথে
হলো আমার দেখা
মনে মনে ডেকেছি তোমায়
ভেবে আমার সখা।
কম্পিউটারের চিঠির মাঝে
করলাম যোগাযোগ
পেলাম নাকো তোমার সাড়া
তোমার মনোযোগ।
কিছুদিন ধরেই ওয়েট করছিলাম এফসিসির ৯৯তম পোস্ট এর জন্য, সানা ভাই এর চোখে না পড়লে ১০০তম পোস্টটা আমারই হতে যাচ্ছে। :awesome:
এই হাইকুটা পরে কখনো শেয়ার করব ভেবেছিলাম, কিন্তু এর থেকে ভালো সময় মনে হয় হবে না। ইন্ডিয়ান হাইকু সোসাইটির আমন্রণে আমি গত বছর ব্যাংালোরে ৯ম বিশ্ব হাইকু উতসবে যোগ দেই। সকল হাইকু লেখক তিনটি করে হাইকু জমা দেন এবং সেখান থেকে সেরা দশ হাইকুকে পুরস্কার দেয়া হয়।
বিস্তারিত»
অ.তুমি শুরু করলেই হয়?
এভাবে হবে না কিছুই – যেমন টের পাই
আমার ভেতরে শব্দগুলো হতাশ হয়ে তাকায়
মাথা নেড়ে তারা খুব ম্রিয়মাণ হয়
ধুস্শালা! নষ্টমানুষ একটা!
স্ফটিক-বিম্বে বন্দী করছে আমাদের।
আ.কী নিরালম্ব আমাদের ঘুম!
ওভাবেও হবে না- তারা বলে, যখনই আমি সুঁই সুতো দিয়ে বাঁধতে গ্যাছি
“শুয়োরের ছাও,
প্রথম লেখাটা ছিলো কবিতা। এরপর ভাবলাম কবিতা থাক অন্য কিছু লিখি। ২ টি লেখা লিখলাম কিন্তু একটাও আমার এডিটর সাহেব ছাপলেন না। তাই মনে হচ্ছে কবিতা ছাড়া আমি আর কিছু লিখতে পারি না। তাই আবার কবিতা লিখলাম। এটা কলেজ লাইফের শেষের দিকে লেখা। দিন তারিখ দিয়ে আমার কবিতা লেখা হয়না। যাই হোক এবার কবিতায় আসা যাক……
হাতের মুঠোয় এক টুকরো বরফ
হাতের উষ্ণতায় বরফ জল হয়ে গলে
বরফ এর শীতল ছোয়ায় একি ভূতুড়ে
হাত অবশ হয়ে আসে
কিছু সময় পরে মুঠো খুলে,
আমরা খুঁজি স্পর্শে হঠাৎ সচকিতে চমকে উঠা,
রাত্রি জেগে গল্প কথায় আবেগগুলো দমকে উঠা,
উথলে উঠা ভালোবাসা,চুমুর বিদায় কথা শেষে-
আমরা খুঁজি স্বপ্নালু ঘুম স্বপ্ন ভীষণ ভালোবেসে!
আমরা দু’জন বন্দী থাকি অনেক দূরের খাঁচার ভেতর,
তবুও হৃদয় সময় সময় মিশছে এসে নিকটতর,
আমরা দুজন হাতটি ধরে হাটছি এখন অন্ধকারে
লোকের চোখের আড়াল খুঁজি; মনের কপাট বন্ধ করে-
অনেক আগে লেখা একটি কবিতা । সবাই কবিতা দিচ্ছে দেখে আর নতুন কবিতা লেখতে না পেরে। আগে সচলায়তনে পোষ্টিত ।
হারিয়ে গেলাম
কেউ খুঁজলনা ,কেউ খুজেঁনা,
তাই হারিয়ে গেলাম।
বিশ্বসংসার তন্নতন্ন করে খুজঁলাম
কেউ নেই আমার অপেক্ষায়।
চৈত্রের তপ্ত রোদের পর-
বৈশাখ এলো প্রকৃতির ফুলেল উৎসব ভেঙ্গে,
বহু প্রতীক্ষিত কয়েক ফোঁটা জলের আস্বাদ নিয়ে,
একখন্ড বৈশাখ এলো ঝড়ো হাওয়ার মতো অকস্মাৎ
কালবোশেখীর প্রমত্ত ঝড়ের ঝাপটা দিয়ে
বৈশাখ এলো নগরে-তৃষ্ণিত নাগরিক হৃদয়ে!
সহস্র লোকের জন্য নবদিনের শুভাশীষ নিয়ে
উৎসবের মতো বৈশাখ এল!
১.
জীবন মানে কষ্ট
রাত পোহালেই পেটের জ্বালায়
মাথার ঘাম পায়ে ঝরায়
অখন্ডনীয় অদৃষ্ট।
২.
জীবন মানে সুখ
অট্টালিকার চার দেয়ালে
রঙ বেরঙের পুষ্প গলে
নেইকো কোনো দুখ।
ভেবে দেখ সিগারেট, তুমি আজ ব্যর্থ প্রেমিক;
ফর্সা কাগজে মোড়া তামারং তোমার হৃদয়,
ছিল তামাক সুবাসে ভরা। সুদৃশ্য প্যাকেটে বসে,
জানতেনা জগতের ভালোবাসা-প্রেম-পরিণয়।
আচম্কা এল এক রূপবতী লাইটার নারী,
বাহারী রঙের দেহে তার রূপ বাসনা জাগায়।
তার উদরে গ্যাসের বিষ, চক্মকি পাথরের দাঁত,
ঠোঁটে তার প্রেমের আগুন; সেই প্রেম হৃদয় পোঁড়ায়।