স্টোলেন কিস: একটি হাইকু

কিছুদিন ধরেই ওয়েট করছিলাম এফসিসির ৯৯তম পোস্ট এর জন্য, সানা ভাই এর চোখে না পড়লে ১০০তম পোস্টটা আমারই হতে যাচ্ছে। :awesome:

এই হাইকুটা পরে কখনো শেয়ার করব ভেবেছিলাম, কিন্তু এর থেকে ভালো সময় মনে হয় হবে না। ইন্ডিয়ান হাইকু সোসাইটির আমন্রণে আমি গত বছর ব্যাংালোরে ৯ম বিশ্ব হাইকু উতসবে যোগ দেই। সকল হাইকু লেখক তিনটি করে হাইকু জমা দেন এবং সেখান থেকে সেরা দশ হাইকুকে পুরস্কার দেয়া হয়।

বিস্তারিত»

একটা হওয়া না হওয়া নিয়ে খানিক বাচালতা কিংবা আজীবন ভেবে আমি যা ভেবে পেয়েছি

sleepingmuse
অ.তুমি শুরু করলেই হয়?
এভাবে হবে না কিছুই – যেমন টের পাই
আমার ভেতরে শব্দগুলো হতাশ হয়ে তাকায়
মাথা নেড়ে তারা খুব ম্রিয়মাণ হয়
ধুস্‌শালা! নষ্টমানুষ একটা!
স্ফটিক-বিম্বে বন্দী করছে আমাদের।

আ.কী নিরালম্ব আমাদের ঘুম!
ওভাবেও হবে না- তারা বলে, যখনই আমি সুঁই সুতো দিয়ে বাঁধতে গ্যাছি
“শুয়োরের ছাও,

বিস্তারিত»

পড়ে ছিড়ে ফেলুন………

প্রথম লেখাটা ছিলো কবিতা। এরপর ভাবলাম কবিতা থাক অন্য কিছু লিখি। ২ টি লেখা লিখলাম কিন্তু একটাও আমার এডিটর সাহেব ছাপলেন না। তাই মনে হচ্ছে কবিতা ছাড়া আমি আর কিছু লিখতে পারি না। তাই আবার কবিতা লিখলাম। এটা কলেজ লাইফের শেষের দিকে লেখা। দিন তারিখ দিয়ে আমার কবিতা লেখা হয়না। যাই হোক এবার কবিতায় আসা যাক……

হাতের মুঠোয় এক টুকরো বরফ
হাতের উষ্ণতায় বরফ জল হয়ে গলে
বরফ এর শীতল ছোয়ায় একি ভূতুড়ে
হাত অবশ হয়ে আসে
কিছু সময় পরে মুঠো খুলে,

বিস্তারিত»

উৎসর্গঃ আমার কাছের দু’জন বন্ধুকে!

আমরা খুঁজি স্পর্শে হঠাৎ সচকিতে চমকে উঠা,
রাত্রি জেগে গল্প কথায় আবেগগুলো দমকে উঠা,
উথলে উঠা ভালোবাসা,চুমুর বিদায় কথা শেষে-
আমরা খুঁজি স্বপ্নালু ঘুম স্বপ্ন ভীষণ ভালোবেসে!

আমরা দু’জন বন্দী থাকি অনেক দূরের খাঁচার ভেতর,
তবুও হৃদয় সময় সময় মিশছে এসে নিকটতর,
আমরা দুজন হাতটি ধরে হাটছি এখন অন্ধকারে
লোকের চোখের আড়াল খুঁজি; মনের কপাট বন্ধ করে-

বিস্তারিত»

হারিয়ে গেলাম

অনেক আগে লেখা একটি কবিতা । সবাই কবিতা দিচ্ছে দেখে আর নতুন কবিতা লেখতে না পেরে। আগে সচলায়তনে পোষ্টিত ।

হারিয়ে গেলাম
কেউ খুঁজলনা ,কেউ খুজেঁনা,
তাই হারিয়ে গেলাম।
বিশ্বসংসার তন্নতন্ন করে খুজঁলাম
কেউ নেই আমার অপেক্ষায়।

বিস্তারিত»

বৈশাখ এলো (একটা বৈশাখী কবিতা)

চৈত্রের তপ্ত রোদের পর-
বৈশাখ এলো প্রকৃতির ফুলেল উৎসব ভেঙ্গে,
বহু প্রতীক্ষিত কয়েক ফোঁটা জলের আস্বাদ নিয়ে,
একখন্ড বৈশাখ এলো ঝড়ো হাওয়ার মতো অকস্মাৎ
কালবোশেখীর প্রমত্ত ঝড়ের ঝাপটা দিয়ে
বৈশাখ এলো নগরে-তৃষ্ণিত নাগরিক হৃদয়ে!

সহস্র লোকের জন্য নবদিনের শুভাশীষ নিয়ে
উৎসবের মতো বৈশাখ এল!

বিস্তারিত»

জীবন

১.
জীবন মানে কষ্ট
রাত পোহালেই পেটের জ্বালায়
মাথার ঘাম পায়ে ঝরায়
অখন্ডনীয় অদৃষ্ট।

২.
জীবন মানে সুখ
অট্টালিকার চার দেয়ালে
রঙ বেরঙের পুষ্প গলে
নেইকো কোনো দুখ।

বিস্তারিত»

সিগারেট, ব্যর্থ প্রেমিক

ভেবে দেখ সিগারেট, তুমি আজ ব্যর্থ প্রেমিক;
ফর্সা কাগজে মোড়া তামারং তোমার হৃদয়,
ছিল তামাক সুবাসে ভরা। সুদৃশ্য প্যাকেটে বসে,
জানতেনা জগতের ভালোবাসা-প্রেম-পরিণয়।
আচম্‌কা এল এক রূপবতী লাইটার নারী,
বাহারী রঙের দেহে তার রূপ বাসনা জাগায়।
তার উদরে গ্যাসের বিষ, চক্‌মকি পাথরের দাঁত,
ঠোঁটে তার প্রেমের আগুন; সেই প্রেম হৃদয় পোঁড়ায়।

বিস্তারিত»

পান্থশালার সেই মেয়েটি (একটি ট্র্যাজেডি কবিতা)

রাতটা ছিলো ভীষণ রকম শীতের
পান্থশালায় কেউ ছিলো না আর
টিমটিমে এক বাল্ব ছিলো ওই কোণে
সে আলোতেও বাড়ছে অন্ধকার!

হাতে আমার একটা মদের গ্লাস
চারটে বোতল-সবগুলোই খালি
শেষ ফোঁটাটাও চেটেপুটে খেয়ে
আমি তখন বেহুশ হয়ে ঘুমে!

ঠিক তখনই সে মেয়েটি এলো
বাইরে তখন কুঁয়াশায় ভেজা চাঁদ,
আমায় ডেকে তুললো সে ঘুম থেকে
মাতাল আমিও অবাক তাকে দেখে!

বিস্তারিত»

আক্ষেপ

বোবার অসহায় গোঙানী শোনা যাচ্ছে,
কি যেন বলার তীব্র প্রচেষ্টা।
মাঝে মাঝে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
এদিক থেকে ওদিক।

সবাই বলে পাগল,
ওকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
মাঝে মাঝে ধাক্কা দিচ্ছে
দরজায়, দেওয়ালে, গ্রীলে, মাটিতে।

বিস্তারিত»

ল্যাম্পপোস্ট

ল্যাম্পপোস্ট,
ন্যুব্জঘাড়ে, কতনা রোদ বৃষ্টি সয়ে!
দাঁড়ায়ে রয়েছ তুমি রাস্তার পাশে,
কোন এক গূঢ় অভিলাষে।
তোমাকে দেখেনা কেউ,
তবু মানুষের পথে তুমি ঢেলে দাও
অবিরাম পথ চলা আলো।
পোকাদের প্রবল বিরোধ, বয়স্ক মলিন খোলস;
সব বাঁধা ভেদ করে উজ্জ্বল তোমার হৃদয়,
অন্ধকারে মিলে যাওয়া পথ চিরে এনে দেয়
মানুষের চলার ঠিকানা।

বিস্তারিত»

কবিতা দিয়ে শুরু করলাম। boaring or sixer

রবিহীন পৃথীবিতে মিলবেনা প্রান জ়্যতি আলো
ঘুচবেনা মনের অন্ধকার সম কালো কুসাংস্কার
ফু্টবেনা ফুল, হবেনা বায়ু সঞ্চার
সৃস্টি হবেনা বাংলার ঋতু সমাহার ।

বাঙ্গালি মাতবেনা প্রেম ঝ্ররনাধারে
ফিরে ফিরে গাইবে সুরহীণ গান, ঘুরে ঘুরে-
আসবে ফিরে, প্রানপরশহীণ আনুভুতি বারে বারে
রবিহীন অন্ধকার আকাশ, কে কবি আলোতে ভরাতে পারে ।

বাঙ্গালির আকাশ হবে সঙ্কীণ রবিহীন যুগে
আমার বান্দনা তাই নিখিল বিস্মবিধাতারে
রবিহীণ পৃথিবীতে,

বিস্তারিত»

মনে পড়বে

আমাকে আজ কারোর মনে নেই…
অনেকদিন জোছনা উঠেনা,
তাই আমি আজ বিচ্ছিন্ন।

অচিরেই ইন্দু জোছনা বিলাবে,
রুপোলি চন্দ্রিমায় ভরে যাবে প্রান্তরময়;
হয়তোবা সেদিন তুমি আমায় ভুলে যাবে,
কিন্তু আকাশে চাঁদ হাসবে।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি – ৪

যাচ্ছিল খুব ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে
রিকশায় পাশাপাশি
অফিস পরবর্তী বিকেলে।
একটু ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে গেলে
অস্বস্তি হয়না এমন নয়
তবু ভাবখানা এই —
স্পর্শে তো পুলক পেতে নেই!
ভদ্র আধুনিক শিক্ষিত রুচিশীল যেহেতু।
কামনাবাসনা সমস্ত অতএব
বিনিদ্র রয়ে যাক
একান্তে খামের ভেতরে,
কী কাজ খামোখা
অস্বস্তি ফিল করে!

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন-২

গন্তব্যে পৌঁছনোর পর
বাস থেকে নামবো বলে
দাঁড়াতে
কন্ডাক্টর এসে হাত পাতে।

ভাড়া আট আনার বেশী না, জানা ছিলো।
পকেটে কেবল
একটা কয়েন ফেলে দিয়ে
লাফিয়ে বাসে উঠে
সীটে গিয়ে বসতে না বসতে
জানলা দিয়ে দেখি
একটা রূপালী চাকতি
সারিসারি ডালপালার ভেতর
হোঁচট খেতে খেতে
পড়িমরি করে
বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে
শেষমেশ এইখানে এসে
জিভ বা’র করে যখন হাঁপাচ্ছে
তখন এ-পকেট ও-পকেট
হাতড়াতে থাকা আমি
কি ঘুণাক্ষরেও জানি,

বিস্তারিত»