ফরমান

স্থাণুবৎ হয়ে অবাক পৃথিবী দেখে
মানুষের রক্তচাটা মানুষ,
নীলকুঠীর পুনরাবৃত্তি
তাই, এই বিশ্ব পুনরায় দেখবে জানি
শাসকের লেলিহান চিতা।
ধ্বংসের প্রতিপত্তি।

টগ্‌বগে রক্তের উত্তাপে
ধারালো হচ্ছে যুদ্ধের তরবারি,
বেদ কিংবা কোরানের শ্লোক তুলেও
রক্ষে হবে না তোমার খবরদারি।
সেই রাজবল্লভ তুমি
যতই হও না কেন নিভৃতচারী।

রক্তের তৃষ্ণা মেটাবো তোমার বিলক্ষণ
তোমারই রক্তকণায়,

বিস্তারিত»

প্রলাপ

এস. এস. সি. পরীক্ষার পর ছুটিতে বাসায় অনেক বই পড়েছিলাম। সেই সময় পড়া একটি বই, “আমি সুভাষ বলছি”। এই বইটার তিনটি খন্ডই পড়েছিলাম। মাথায় তখন শুধু বিপ্লবী চিন্তা গিজ্‌গিজ্‌ করে। কারো সাথে এই নিয়ে কথা বলতে লজ্জা লাগত। আর লেখালিখির অভ্যাস আমার কখনও ছিল না, তাই সেই চিন্তা তখনও করি নি। ধীরে ধীরে আমি অস্থির হয়ে উঠেছিলাম এই ধরনের ভাবনায়। তখন আমার দুলাভাই আমাকে বলেছিলেন বেশি চিন্তা করে মস্তিস্কের উপর অতিরিক্ত চাপ দেয়া ঠিক না।

বিস্তারিত»

পাঁচটি অনু-পরমাণু !


ফেলে আসা শত স্মৃতি
যেন হলো আজ মিতা,
প্রিয়তম কবি আমার –
লিখে যাও কবিতা।


কান পেতে থাকি-
নিভৃত কানাকানি
শোনা যায় যদি ?
চোখ তুলে থাকি-
অজানা হাতছানি

বিস্তারিত»

শিথিলায়ন

ঘুম ধরানো আরাম বলয়, হালকা বোজা চোখ
মনের মাঝে চিন্তাগুলো একটু শিথিল হোক;
শ্বাস-প্রশ্বাসের উঠা-নামায় ছন্দ হবে ঢিল,
মনের সাথে ভাবের সাথে প্রকৃতির এ কি মিল!
গাত্রে যত দূষণ সবই হারাবে বাতাসে,
ধীরে ধীরে শরীর যেন শান্ত হয়ে আসে;
গভীর কল্পদেশে এবার হবে ভেসে যাওয়া ~
থিতিয়ে যাওয়া শরীর উড়ায় কোন উত্তুরে হাওয়া!
অস্তিত্বের পরিচয়ে শুধুই আমার মন
চিন্তাশক্তির নিমজ্জনে করে বিচরণ।

বিস্তারিত»

পুরনো প্রেমিকাদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে-

উহুঁ, আলাদা ফিস-টিস নেই
চাইলে, হাতে লেখা সাদা কাগজের একটা
ফরম দিতে পারি।
সেখানে নাম-ধাম লিখে-
সাথে পিতার বৈষয়িক বৃত্তান্ত,
এবং নীল না পেলে না হয় সাদা খামে পুরেই
আমার বুক পকেটে ফেলে যেও মেয়ে।

বিস্তারিত»

বসাক স্যারের বই – “৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতা”

এই বছর বই মেলা থেকে একটা কবিতা সংকলনের অনুবাদ কিনে ফেললাম। মূলত ২টা কারণে এই বই আমার সংগ্রহের সবচেয়ে দামী বইগুলোর একটি বলে বিবেচনা করছি। প্রথমত বইটার বিষয় বস্তু, যা এর নামের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পাচ্ছে; “৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতা”। আর দ্বিতীয়ত বইটার অনুবাদক আমাদের অনেকেরই প্রিয় শিক্ষক সুরেশ রঞ্জন বসাক স্যার । ক্যাডেট কলেজ থেকে অবসর নিয়ে যিনি এখন সিলেটের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।

বিস্তারিত»

এই বর্ষণসন্ধ্যায় দুইখানা

[কুড়ানী পইড়া মনের মধ্যে হু হু কইরা উঠলো। আজকে ভারি বর্ষণে আমার শরীর ভিজাইছি। সাথে মনও কি সিক্ত হয় নাই? ঠাহর পাইলাম বাসায় ফির‌্যা, এই লেখাটা পইড়া। ফয়েজ ভাই, মাইনুল ভাই দুইজনকেই ধন্যবাদ। এখন নিজের কুলিখিত দুইখানা নিবেদন করতেছি। ]

বর্ষামাঠের ওপর মেঘের ঘর

১.
এই ঘরে মগ্নতায় আমার অনিদ্রাযাপন, ফ্রিজিয়াম-বিরহ
রাতের বয়স বাড়ছে, ক্রমেই কমেছে জীবনের আয়ু
আমি খুশি হই,

বিস্তারিত»

কুড়ানী —— মণীশ ঘটক

ফয়েজ ভাইয়ের আদেশ শিরোধার্য করে, মণীশ ঘটকের লেখা আমার খুবই প্রিয় একটা কবিতা, কুড়ানী দিয়ে দিলাম। এই কবিতাটি আমি পড়েছিলাম ক্লাস এইটের শেষ দিকে, সেই থেকে আমার খুবই প্রিয় একটা ফ্যান্টাসি —
বন্ধুত্ব ……… প্রনয় ……… পরিণয় ………


স্ফীত নাসারন্ধ্র. দু’টি ঠোঁট ফোলে রোষে,
নয়নে আগুন জ্বলে। তর্জিলা আক্রোশে
অষ্টমবর্ষীয়া গৌরী ঘাড় বাঁকাইয়া,
“খট্টাইশ, বান্দর, তরে করুম না বিয়া।”

বিস্তারিত»

হায়রে পাখি !

মা’র কাছে শুনেছি আমি –
যেদিন ডিম ফুটে বেরিয়ে
চোখে মেখেছি সূর্যের আলো,
সেদিন ঝকঝকে এক দিন ছিল।
আমি আমার না ফোটা চোখ কুচকে
চরম বিরক্তিতে চিৎকার দিয়েছিলাম ।

বিস্তারিত»

এই গরমে বৃষ্টির গান

গরমে ঘেমে গেছে গায়ের জামা,
বাড়ন্ত সূর্যের তেজীভাব,
পিচগলা রাস্তায় আগুনের হল্কা,
খরখর চোখে ঠাণ্ডা পানির ছাট,
দিনশেষে লোডশেডিং এ অন্ধকার রাত,
নিঃশ্বাসে ঘামের গন্ধ
আর মশার কামড়ে অস্বস্তিকর ঘুম –
বৃষ্টিকে এত মিস করিনা আর কখনো।

বিস্তারিত»

এই বাতিঘর, এই খেলা-প্রেম

==================
এই বাতিঘর এই খেলা-প্রেম।
প্রস্তাবনা ছিল আমরা কখনও ভালোবাসবো না, কোন প্রেম ঘুমাবে না আমাদের মাঝে,
এবং অবশ্যই,
কতিপয় নিয়ম। প্রথা। চালচলন। বিধীত আইনপাঠ।

সমুদ্রেই বসত করে বাতিঘরের আলো, এই বিশ্বাসে,
ঘর বাঁধা বালুর গভীরে
মিথ্যে কথাটি আমাদের অজানাও ছিল না।

বিস্তারিত»

A Journey by Train এবং আরেকটু ভালবাসা

আবার সিরিজের মাঝখানে পোস্ট; :bash: কিছু করার নাই… আমার মানসিক বিকৃতি হইসে; পাঠকরা একজন অসুস্থ মানুষের প্রতি দয়াশীল হয়ে পড়ে যান।

বাইরে ছুটে ছিটে পিছিয়ে যাচ্ছে অবিরাম
বাংলার গ্রাম্য দৃশ্যপট নয়নাভিরাম,
জানালা দিয়ে শুধু হাজার বার
তোমার মুখে আলোর বর্ষন;
ঐ যে বাইরের গাছগুলো,
যারা ক্রমাগত দোল খাচ্ছে,
যাদের ক্ষণে ক্ষণে পাতার ঘর্ষন
সেই ফাঁকে শেষ সূর্যের আলোকপাতের বাহার
তোমার মুখমন্ডলকে করে মায়াময় বিষাদ-বিচূর্ণ।

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গ তারা

জানালার পর্দাটা সরিয়ে
রাতের আকাশের পানে তাকাই
একটি মিটিমিটি তারা জ্বলে একাকী
তুমিহীনতায় নিবুনিবু আলোয়।

বিস্তারিত»

চাঁদনী পহর রাতে

চাঁদনী পহর নিঝুম রাতে আজি
সঙ্গী তুমি হও যদি আজ রাজি
যাবো মোরা দূর মধুবনে
বসবো আমি বিভোর তোমার সনে
গাইবো আমি গলা ছেড়ে গান

বিস্তারিত»