মধ্যমাস জর্নালঃ

সকলের মত সকাল আসে না আমার
জানালায়
ভোর কিংবা সকালের রোদসকল দানাবাঁধা
সিলুয়েট
ছবিহীন দুপুর আঁকতে থাকে নিরলস শ্রমে।

২.
আমাদের শহরে বছরের মাঝের মাস দু’টা ঘুণপোকার মতো একাগ্রতায় বিঁধে থাকে। কাঠের শরীর কুরে কুরে খাওয়ার সুখ পেতে থাকে মধ্যমাসের ঘন্টাগুলো। তারা শ্লথ এবং নির্বিকার, সেই কারণে অনেকাংশেই নিঃসংশয়ে আমাদের শহরের ইতিহাস থেকে মধ্যমাসের ঘটনাবলি ঝরে যায়। জুন ও জুলাই মধ্যমাসের টানাহ্যাঁচড়ায় পড়ে বাদী-বিবাদী অথবা বাঁদী হয়ে আদালত চৌকাঠে আছড়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব-৪

সে পৌঁছুতেই
শেওলাধরা ভগ্নদশার
প্রাচীন পুকুরঘাটের
মনে পড়ে
কবেকার যুবাদিনের
স্নান-ভীড়, ভিজেশাড়ি
ছলকে ওঠা কলস
প্রাত্যহিক আদিরস
তপ্ত টিটকারি….

বিস্তারিত»

গাঙচিলের ভীড়ে আমি !

পুরাতন ব্র্যান্ডের কোন মদ নয়
স্রেফ তরঙ্গিত জলজতার নেশায়
তরল হয়ে উঠলো ভ্রমনের সময়।

জাহাজময় ছড়ানো ছিটানো
আলোছায়া মনকাড়া নানা গড়ন
চিত্ত বিনোদন হেতু সকল উপকরন
এক শ্রান্ত অবসরের ক্লান্ত অনুসরন।

বিস্তারিত»

খৈ

সানা ভাই বলছিল মিশন এর কথা লেখতে কিন্তু টাইপ করা আমার জন্য এত কঠিন ~x( যে বেশি লেখতে গেলে আমার আর লেখা হবে না এই জনমে , তাই আমি যেইটা ভালা পাই আর লেখতেও সহজ 😀 ওইটা দিয়া দিলাম , আবারও বলতেছি হজম নিজ নিজ দায়িত্বে করিবেন । হজমের অসুবিধা জনিত যে কোন সমস্যার জন্য লেখক দায়ি নহে…
( অনুকবিতা/পরমানু কবিতার সিরিজ দিতে মঞ্ছায়,সাহস দিলে 🙂 )

খৈ-১
ম্যাসেঞ্জারে অলস সময়,

বিস্তারিত»

জানো কি?

তোমার চোখের রঙ কি জানো
আমি নিশ্চিত তুমি জানো না
আমি এটাও নিশ্চিত
শ্রাবণের এই বৃর্ষ্টির রাতে যার বুকের উত্তাপে তুমি উষ্ণ থাক
সেও জানেনা
কিন্তু আমি জানি ঈষত লালচে কালো

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু – ৪

চাঁদ নেই সাদা মেঘ নেই
নিঝুম পাতারা কাঁপে না বাতাসে বেগ নেই
ঘুমহীন রাত অঢেল সময় আছে।

জাপান বাংলা ক্রোমজমে বাঁধে জুটি
বনলতা চোখ চন্দ্র চিবুক ফুজি মেশে মেঘনায়
মিনি স্কার্টে হাইব্রীড মেয়ে যায়।

বিস্তারিত»

জানেন কি?

জ্যোৎস্নাস্নাত এক রাতে
ঝরনা কলম নিয়ে
বসেছিলাম ছাদে।
মনে মনে বলছিলাম,
“আজ আমি লিখবই”।

হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা
অসাধারণ লেখনীশক্তি দিয়ে

বিস্তারিত»

অনুবাদ – সনেট

প্রিয়ার নয়ন নহে রবি-করোজ্জ্বল;
প্রবালের সম নয় রক্তিম অধর;
নহে তুষার-শুভ্র তার বক্ষযুগল
ধাতব তারের যথা কেশ শিরোপর।
দেখেছি গোলাপ বহু, শ্বেত ও লোহিত,
নয়কো কপোল তার গোলাপের যথা;
বিবিধ সুগন্ধি-ঘ্রাণে হয়েছি মোহিত
নিঃশ্বাসে নেই তার সেই মাদকতা

বিস্তারিত»

জাগো বাহে

আমি স্বাধীনতা বলছি
আমি রাজ্য হারনো এক রিক্ত রাজা
আমি আজ টোকাই এর গায়ের শতছিন্ন জামার মত মলিন
আমার সূর্য সৈনিকের দল
আমার দামাল ছেলেরা আজ আমারই মত
তজিম আলী
আজ ঘরের বারান্দায় বসে তার পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করে
ছানি পড়া চোখে চেনা জগতটা ছায়া ছায়া অচেনা লাগে
রমিজ শেখ
যার মেশিনগান চলত অবিরাম
আজ তার সেই অনামিকায়
ভ্যান গাড়ির বেল বাজে
হতাশ চোখে তার হাজারো অভিযোগ
তবে কোন চাওয়া নেই কারন
পাবার আশায় কিছুতে করিনি
তবে শুধু কষ্ট হয়
নাম না জানা সহযোদ্ধার কথা মনে করে
হাত ধরে বলেছিল দেখিছ
আবার বর্গীরা যেন না আসে
ওর কথা রাখতে পারিনি
তোরাক উদ্দিন
চাদ তারা পতাকার একনিষ্ঠ সেবক
আজ তার মার্সিডিস গাড়িতে
পতপত করে উড়ে লাল সবুজের পতাকা

আচ্ছা আপনাদের কি সেই ছেলেটার কথা মনে আছে
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানী কুত্তাদের হেয় কথার জবাব দেয়ায়
যাকে জীবন দিতে হয়েছিল বিদেশ বিভূয়ে
জানেন এই কথা কেন বললাম
অনেকে বলেন পুরোন কথা ভুলে যেতে
তাদের মুখে আমি থতু দিই

মনে আছে সেই তরুণীর কথা
প্লাকাডে যে লিখেছিল”আফ্রিদি মেরি মি”

বিস্তারিত»

একটি কবিতা, কিছু কথা


কবি হিসাবে স্বীকৃতি পাব, এটা চিন্তা করে কখনো কবিতা লিখিনি। যদিও কখন কোন কবিতা কবিতার স্বীকৃতি পায়, বলা কঠিন। জীবনানন্দ দাশ জীবদ্দশায়কবি হিসাবে স্বীকৃতি পাননি। সারা জীবন মুখোমুখি হয়েছিলেন কঠিন সমালোচনার। যদিও এ নিয়ে তার আক্ষেপ ছিলো। আমার এই সমস্যা নেই। কোয়ালিটি/কোয়ান্টিটির চিন্তা না করে মাঝেমাঝেই দুই একটা কবিতা (?) লিখে ফেলি। কেন লিখি?
কারণ, কবিতা লেখাটা সহজ। গদ্য লিখতে গেলে গাদাগাদা শব্দ বাঙলায় টাইপ করতে হয়।

বিস্তারিত»

চাকুরে

চাকুরী থেকে রিটায়ার করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বারবার,
প্রতিবারই এক্সটেনশন করে নিয়েছি শেষ পর্যন্ত;
মায়া ছাড়তে পারিনি আজও।
সেই পঁচিশের বসন্তে কোকিল ডাকা এক সুন্দর সকালে
স্বপ্নের জাল বোনা শুরু করেছি, আজও শেষ হয়নি বুনন।

বিস্তারিত»

ভালবেসেছিলাম

কোন এক রোদেলা দুপুরে তোমাকে বলেছিলাম ভালবাসি
আজ আমি দুপুরের তপ্ত রোদে পুড়ে তার মাশুল দিই
কোন এক পুর্ণিমা রাতে আমি তোমাকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখেছি
আজ আমি নির্ঘুম রাত কাটিয়ে তার মাশুল দিই
মনে আছে বলেছিলাম যদি হারিয়ে যাই কি করবে
এটা শুনে তুমি কত রাগ করেছিলে,অভিমানে গাল ফুলিয়েছিলে
মায়ের বকা শোনা কিশোরীর মত
সেই তুমিই কত সহজে বলেছিলে আমাকে ভুলে যেও
আমি আজও পুরোন চিঠি পড়ি
হাসি,সত্যিই আমি হাসি
আর ভাবি কত পাগল ছিলাম তোমার জন্য
জান তোমার চুলে একটা মিষ্টি গন্ধ আছে
এটা শুনে তুমি হাসতে আর বলতে ওটা নাকি সব মেয়েদেরই থাকে
আসলেই কি থাকে আমার জানা হয়নি
জানো আমি এখন
বাংলাদেশ ডাকের হলুদ খামে যক্ষের ধনের মত লুকিয়ে রাখা
তোমার চুলের গন্ধ নেই,তারপর আবারো লুকিয়ে রাখি
আমি আজ ছন্নছাড়া সাথী হারা বালি হাঁসের মত
শেষ রাতের বাতাসে আমার হাহাকার তেপান্তরে হারিয়ে যায়
কেউ শোনেনা কেউ না
মনে আছে তুমি বলতে আমি যদি হারিয়ে যায়
আমি শুধু মুচকি হেসেছিলাম
আজ তুমি বহুদূরে
তবুও বাতাসে তোমার চুলের ঘ্রাণ পাই
তোমার নুপূরের নিক্কণ কানে বাজে
আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃণা কর
হয়ত আমার কথা ভাবলে
কুষ্ঠ রোগে পচা-গলা কোন জীবন্ত লাশের কথা ভাব
ঢাকা মেডিকেলের রাজীব ভাই বলত
মন খারাপ করিসনে মেয়েরা এমনি হয়
রাজীব ভাইয়ের বুকটা আততায়ীর বুলেট ঝাঝরা করেছে
এই বুকেই তিতলীর জন্য অসম্ভব ভালোবাসা ছিল
আচ্ছা মৃত্যু সংবাদ জেনে কি তিতলী কেদেছিল
জানিনা জানতেও চাইনা
সজলটা বড় ভাল ছিল অনেক ভাল
broken_heart_by_xsweetsilencex
কি সুন্দর কবিতা লিখত
আমার খুব হিংসা হত,লোভ হত ইস যদি আমিও……….

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব-৩

শাওয়ার ধারাকে আজকে ছুটি।
বিনাকাজে বাঁশি বাজাতে বাজাতে
আজ তারা উল্টোপথে
পাইপের ছোটগলি, বড়গলি
রাজপথ পেরিয়ে শেষে
পৌঁছে যাবে তোমার ঝর্ণাটিতে….
সবাই তো আর ঝরে যাবেনা!
তার ঢের আগেই হয়তো
স্নান সেরেছো তুমি

ছুটিশেষে ফিরে এসে
সেই ফোঁটারাই শোনাবে
তোমার এ্যানাটমি।

বিস্তারিত»

জলপাই

ঝুড়িভর্তি জলপাই মাথায়
পাহাড় বেয়ে
ওই মেয়ে
নেমে আসছে দেখে
কোত্থেকে
তোমার জলপাই স্বাদের
চুম্বন এসে পড়ে।

জলে ভরে যায় মুখ,
বারংবার, বারংবার
শুধু কামড়ে দিতে ইচ্ছে করে…

বিস্তারিত»

বনলতা সেন : ফলোআপ

ক্যাডেট কলেজ থেকেই কবিতার প্রেমে আমি পড়েছিলাম। ছাত্রজীবন পর্যন্ত সেই প্রেম অটুট ছিল। সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকে তথ্য-পরিসংখ্যান আর খবরের একটা কাটখোট্টা জগতে আটকে পড়েছিলাম। জীবনানন্দকে নিয়ে এসে আমার পুরনো প্রেমটাকে একটু নাড়া দিয়ে গেল আন্দালিব। আবদুল মান্নান সৈয়দের সংকলন ও সম্পাদনায় জীবনানন্দ দাশের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র ঘাটতে ঘাটতে পেয়ে গেলাম বনলতা সেনের ফলোআপ কবিতাটি। চলো সবাই পড়ে ফেলি।

শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন
জীবনানন্দ দাশ

শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন,

বিস্তারিত»