[ভূমিকাঃ তারেক-এর লেখাটা পড়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে মনে পড়ে গেলো। চিলেকোঠার সেপাই ও খোয়াবনামা — মাত্র এই দুটো উপন্যাসের জনক তিনি। অথচ তাতেই চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে। ছোটগল্প মোট ক’টা লিখেছেন জানিনা, আর সেটা নিয়ে খানিকটা তো জানলাম তারেক আর মাওলা ব্রাদার্স এর কল্যাণে।
আজকের লেখাটি লিখেছিলাম ‘৯৭ এর জানুয়ারিতে, ৪ তারিখ ইলিয়াস মারা যাবার পর। অস্থি-র ক্যানসার হয়েছিলো। কলকাতায় এসে চিকিৎসা করিয়ে আক্রান্ত পা-টি ছাড়া তাঁকে ঘরে ফিরতে হয়,
বিস্তারিত»আমার স্বপ্ন, খড়কুটো ধরে ভেসে থাকা
উচ্ছিষ্ট মানুষের মতো নয়।
আমার স্বপ্ন- নয় কোন দরিদ্র নটের,
‘বিত্তবানের’ মিছে অভিনয়।
আমার স্বপ্ন, পরিশ্রমী কৃষকের প্রাণ,
তার সোনা আঊষের যৌবনবতী ক্ষেত;
অখাদ্য পর্যায়ের কবিতা লিখে মানুষের বিরক্তির উদ্রেক ঘটানোর মানসিকতা কাজ করছে আজ। তাই আরও একটা কবিতা।
“বন্ধু আমার একটা কথা শোন।”
“না।”
“কেন?”
“তোকে আর ভালো লাগে না তাই।”
“এত বড় পাপ কি করেছি
যে সব ভালো লাগা
বৃষ্টি মাখা বাতাসে উড়িয়ে দিলি!”
দ্রষ্টব্যঃ স্বপ্নচারী ভাইয়ের পোস্টটা পড়ার পর এই কবিতার থিমটা মাথায় আসে।
বিবেকের সাথে কথোপকথন
করে বারবার হেরে যাই।
আমায় পরাজিত হতে দেখে
হাস্য উপহাস করে আমার বিবেক।
এইমাত্র স্নান সেরে
দুইহাত জড়ো করে
বৃন্তজোড়া ঢেকে
ঝর্ণা থেকে
উঠে এসে দেখে —-
নেই।
বেগ্নি জামাটিতো কোনোখানে নেই!
থাকবে কি করে,
নিরাবরণ ওকে নেমে যেতে দেখে
স্নানের অগুণতি দৃশ্য
পাবে বলে
বিভিন্ন কোণ থেকে
কবেই চুপিসারে বিদীর্ণ হোয়ে
খাড়া পাহাড়ের
সারা গায়ে গায়ে
অজস্র বেগুনী ফুল সেঁটে গেছে!
উৎসর্গ: ফয়েজের সাপ-কাহিনী।
হিলহিল এঁকেবেঁকে জলের আস্তর সরিয়ে সরিয়ে একটা সাপ — নালার পাড়ে পাড়াতো শিশুদের উল্লম্ফ উল্লাস — কারো হাতে টিঙটিঙে ভাঙা ডাল, খোঁচাতে গিয়েও সম্ভ্রমে থমকে যায় বারবার। একটা ক্ষুদে দর্শক কণ্ঠ খেলিয়ে কি সুন্দর তুলে আনে সাপুড়ে বাঁশির কোমরদোলানো সুর — চকিতে বেদের মেয়ে অঞ্জু ঘোষ মনে পড়ে। সাপটি ফিরেই যাচ্ছিলো, এই সুর শুনতে পেলে আনমনা হয়ে সেও খানিক থমকায়: পরক্ষণেই তার চকরাবকরা মাজায় বাংলা সিনেমা জুড়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি নাচতে লেগে যায়…….
বিস্তারিত»দাবীকৃত ঐশৃরিক প্রত্যাদেশ লিফলেটের বোল্ড হরফে
পার্থিব বায়ুমন্ডলে বেচে জাতিতে জাতিতে কালো সাদা
হলদে পূব পশ্চিম ছোট চোখ গ্রীক নাক সব গেরস্তালীতেই
দাড়িয়ে গেছে জোব্বা চন্দন ক্রুশ মেকাপের রক্তপায়ী
অপমানব উত্তরাধিকারী ।
তাই সভ্যতার ফোলানো বিষবাষ্পের বেলুনে কেবল লাল চোখ
উদগত ঘৃণা তথাকথিত ত্রাতাদের হুংকার ।পোড়া মাংশের গন্ধ
গুজরাটে কাশ্মীরে নিউইয়র্কে প্যলেস্টাইনে আর বঙদেশে
খিন্ন সব জৈবনিক স্পন্দন আর রাস্তায় রাস্তায় পোস্টমর্টেম ।
তুমি কেন এত সুন্দর?
কোন্ অপার্থিব নীলিমায় সৃষ্টি?
অস্পৃশ্যতার আড়ালে অনুভূতির ছোঁয়া
অবাস্তবতার সুস্পষ্ট দেয়াল
যাকে ভাঙতে আমি অপারগ।
তোমায় খুঁজে ফিরি আমি-
অদৃশ্যালোকে,তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশে
তোমার প্রত্যক্ষ আস্তিত্বিক প্রকাশ।
[সূত্র: লেখাটি নীচ থেকে উপরে পাঠের জন্যে, তবে গতানুগতিকভাবে উপর-নীচ পাঠেও এমন কিছু এসে যাবেনা।]
আরেকটি দালান বানাবেন বলে
কবি আবার শূন্যে ফিরে যাবেন
মুচকি হেসে
দাঁড় করিয়েই
ওটাকে মাটির উপর এনে
তাড়াহুড়োয় গেঁথে নিয়ে
হাওয়া থেকে টেনে এনে
আরো খান দশেক
খসিয়ে দিয়ে
একটা-দুটো ইট যখন-তখন
মৌমাছির গুঞ্জন শুনে চোখ খুলব, কিন্তু সাবধান হবার আগেই বিষাক্ত হুলে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ব্যাথা পেতে হয় এই সব ক্ষেত্রে। মজা হচ্ছে এই ব্যাথার ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোটা যৌক্তিক আবার অযৌক্তিক। যৌক্তিকতা আসে ব্যাথার তীব্রতা আর জ্বর চলে আসার বিরক্তিকর আশংকা থেকে। অযৌক্তিক কারন সম্ভাব্যতার পরিমান ক্ষুদ্র। জানি শুন্যের মুখোমুখি হলে যাতনা কত, কিভাবে চার হাত পা ছুড়ে দিয়ে অসহায়ের মত ছেড়ে দিতে নিজেকে অসীমতটীয় চিন্তায়। তাই বলে কি মোকাবেলা করব না অভ্যন্তরীন প্রশ্ন সমূহের?
বিস্তারিত»প্রতিদিনই সূর্য ওঠে, পূর্বে;
অস্তমিত হয় দিগন্তে।
সকালে ডেকে ওঠে একটি কুকুর
আড়মোড়া ভেঙ্গে, স্বাগত জানায়
প্রতিটি নতুন দিনকে-নরকে।
শওকত (৭৯-৮৫, বরিশাল), এর দুটো লাইন তখন থেকেই তুখোড় এক বুমেরাং এর মতো বোধের বাতাস কেটে ফিরছিলো।
নীচে আরো দুটো লাইন জুড়ে (ছুড়ে) দিলে কেমন হয় —
আমি লিখলাম সম্ভাবনা
তুমি পড়লে সম্ভব না।
তুমি বললে বন্ধু
আমি শুনলাম বন্ধ।
তখন কি জানতাম
আহ্লাদে দরোজা ভেজাতে গিয়ে
একটা টিকটিকি কাতরাচ্ছে
ভীষণ থেঁতলে গিয়ে?
বেচারা টিকটিকি
শরীর ভরা তার অ্যানিমিয়া নাকি?
ঘুড়ির লেজে করে উড়ে গেছে দুরন্ত আটপৌরে রোদ। শরীরে ঘুমপ্রিয় ক্লাশরুমেরা একা একা অযথাই ফাঁকা হয়ে বসে থাকে। ক্লাশের মেয়েরা বেণীর পেছনে মেঘের দরজা খুলে নেমে আসে, ওড়নাপ্রান্তে বেঁধে নিয়ে নিজ নিজ হোমওয়ার্ক। হাত বাড়িয়ে মেঘপ্রান্তের ঢেউ ছুঁয়ে দেখেছি, সেখানে শুভ্র রাতের ওপারে কুসুম কমলা ভোর আঁকা। পানিতে ঢেউ কেটে কেটে একবালিকার অবসন্ন রাত থরথরিয়ে ওঠে, দ্রুত নেমে যায় নিঠুর কাঁপন! যেমন ভেবেছি: কাটাকুটি খেলার গোপন টিফিন-আওয়ার,
বিস্তারিত»অনুভূতির আনাজপাতি থরে থরে
সাজাবো বলে বহুদিন ধরে
একটা ঝুড়ি বানাবার ইচ্ছে
উপযুক্ত বেত বাঁশ দড়াদড়ি
এসবের তো আর ছড়াছড়ি
নেই, কে-ই বা দিচ্ছে
দৈবাৎ কিছু নাগালে
এসে গেলে দেখি,
বুনন শেখার এখনো
পুরোটাই বাকী।