ফ্ল্যাশব্যাক !
এক হ্যাচকা টানে
তড়িঘড়ি করে সব কিছুই
উল্টো দিকে দৌড়াতে লাগলো।
শিল্পীর সদ্য আঁকা ক্যানভাস
প্রিয় কবির লেখা ভর্তি খাতা
শিক্ষকের তুখোড় লেকচার
ফ্ল্যাশব্যাক !
এক হ্যাচকা টানে
তড়িঘড়ি করে সব কিছুই
উল্টো দিকে দৌড়াতে লাগলো।
শিল্পীর সদ্য আঁকা ক্যানভাস
প্রিয় কবির লেখা ভর্তি খাতা
শিক্ষকের তুখোড় লেকচার
সেটঃ আউটডোর
ক্ষুদিরাম এর অনুপস্থিতিতে
ক্ষুধিত রাম এ সয়লাব দেশটা।
সবাই স্ব-প্রেম এর কথা বলে;
দেশপ্রেম কেবল দূরেই থাকে !
এভাবেই চলছে সময়ের চাকা
অহেতুক ফাঁকা বুলির তামাশা।
সেটঃ ইন ডোর
সবুজ জমিনে জমছে তাজা বারুদ
লাল পাড় এ স্ফূলিঙ্গের অপেক্ষা।
ভালোবাসা শিখবো বলে
মেয়েটির কাছে গিয়ে
চুম্বন শিখি
ছল শিখি,
সংগম শিখি
ভালোবাসাই বাকী রয়ে যায়…
শৃংখলে দায়বদ্ধ সামাজিক বন্ধন-
মোহ-মায়ায় পরাগরেণু বিস্ফোরন
বিবর্তনের আদিতে ছিল নবজন্ম !
চক্রাকারে সাগরের পানি বাষ্প-
আর ঐ বাষ্প ফের জমাটাকার;
অতঃপর বৃষ্টির ফোটায় ফোটায়!
সন্ধ্যার অন্ধকার, সতর্ক বেড়ালের মত এসে
কেমন বদলে দেয় পরিচিত শহরের ছবি।
গোধুলীর কনে দেখা আলো মিলে গেলে পর,
আকাশে থোকায় থোকায় ফোটা অসংখ্য তারাফুল,
নিশ্চল মেঘের ঢেউ আর ত্রস্তে ঘরে ফেরা পাখী;
ধোঁয়াটে ছাঁয়ার রহস্যে আচ্ছন্ন করে চারিদিক।
খোপের বারান্দায় মূর্তির মত বসে ধ্যানী কবুতর,
আরামকেদারায় কিছু দূরে আমি; যখন মগ্ন হই
আজানের শব্দঘেরা গম্ভীর অমর্ত্য আঁধারে,
নিয়ন্ত্রণাতীত বেড়ালগুলো
দিগ্বিদিক লাফিয়ে
পড়েই মিলিয়ে যাচ্ছে
সেই কখন থেকে
ঠেলাগাড়িতে ভর করে
অনিচ্ছুক দুপুর বয়ে
চলেছে দূরে।
রোদ্দুরে কি খোঁজার ভান করে
মেয়েটি জানলা দিয়ে
তাকিয়ে থাকে তুমি জানো
কেবল তুচ্ছ আশায় দিন গোণো :
জানলা থেকে সরে যায় যাক,
অগুণতি এসব বেড়ালদের
একটি অন্ততঃ
ঠিকঠাক পথ চিনে নিয়ে
ওর নরোম কোলে ঠাঁই পাক
আমায় হন্যে হয়ে খুঁজে খুঁজে মানুষের ভীড়ে,
হতাশায় ভেজা চোখ ফিরে আসে শূন্যে তোমার।
অথচ তোমায়, কেবলি যে ছুঁয়ে গেল আর্দ্র বাতাস,
আমারি নিঃশ্বাস তাতে অশ্রুর বাষ্পে ছিল মাখা।
তোমার চোখের পরে উল্টানো আকাশের ফ্রেমে,
এলোমেলো মেঘের ধূসর ক্যান্ভাসে আঁকা,
আমার ছবি তুমি পাও নাই খুঁজে কোনদিন।
তোমাতে আমাতে কোনো বিভেদ-সংঘাত নাই,
সুহৃদ বন্ধুতা তবু, রয়ে যায় এই সুক্ষ আঁড়াল।
ফাগুন মাসে নীরব রাতে,
দক্ষিণের ওই জানালাতে,
চাঁলতাগাছের ছাঁয়া ঘেঁষে,
জ্যোৎস্না হয়ে রইব বসে।
দেখবে তখন তাদের মাঝে,
আলোছাঁয়ার কারুকাজে,
আলো হয়ে থাকব ঠিকই মিশে।
দুপুরবেলা পুকুরধারে,
হলদেরঙা ঘাসের পরে,
তুমি যখন আসবে ছুটে,
শালুক হয়ে রইব ফুটে;
ভ্রমর এসে গাইবে আমার কানে।
তখন আমায় পড়বে তোমার মনে।
শিমুলগাছে সাঁঝের বেলা,
বাঁদুড় যখন করবে খেলা;
(মাঝে আমার একজন প্রিয়কবি বলেছেন, আমি ইদানিং কবিতায় নিরীক্ষামূলক কাজ কমিয়ে দিয়েছি। কথাটা কিছুটা টনক নড়িয়ে দিল। কবিতার ব্যাপারে আমি এই সময়েও অচল পয়সার মত মায়া পুষে রাখি। যে দৃশ্যের প্রেমে পড়ে আমার ভেতরে শব্দ, পংক্তি ও স্তবক ঝরে পড়ে সেগুলোর প্রতি একটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টা করলাম। নিচের লেখাগুলো পুরোপুরি নিজস্ব বিচারে লেখা, মানে অনেকটা রাইটিং ফর প্লেজার। তবে সবার মতামতের জন্য আকাঙ্ক্ষাটুকু নির্লজ্জের মত বলেই সাহস করে দেয়া…)
ড্রয়ার
দৃশ্যকল্পের কয়েকটা গাছ বুনেছিলাম ঘরের কোণে রাখা পুরনো আলমারির ভেতরের
চাবি দেয়া ড্রয়ারে।
ডীম লাইটের আবছা আলোয়
একেকটি দীর্ঘরাত্রি শুরু হয়।
অতঃপর কাটে নির্ঘুম প্রহর-
বাইরে এক রাশ অন্ধকার,
একটু দূরে কিছু ঝিঝি পোকা।
দুবার কয়েল সারানো ফ্যানটা
শ্লথ গতিতে দুলে দুলে ঘুরছে।
আকাশের বিশালতা কে
বক্ষে ধারন করবে বলে;
পরম মমতায় মনের মাধুরী মিশিয়ে
নিজ হাতে বানিয়েছি আমি
বত্রিশটা ছোট-বড় ঘুড়ি।
সকালের মিষ্টি রোদের মত কিছু ,
অন্য কিছু সুনীল সাগরের মত।
এই বিষ্টিতে একলা থুয়ে
‘অলা তার কই চলে গেছে
কে জানে,
সে শুধু হুড তুলে
চুপচাপ বসে আছে
বিমর্ষ মেঘলা প্রাণে।
কাকভেজা কাটে তার
বৃষ্টির একাকী বিকেল
পারেনা বাজাতে আহা
টুংটাং অভিমানী বেল….
উড়ন্ত চুম্বনে বিশ্বাস নেই আমার,
অধরে অধর না মিলিলে কি চুম্বন হয়?
প্লেটোনিক প্রেম? হাহ্, সে কি হয় কখনো?
আমার প্রেম দেবরাজ জিউসের মতো।
হৃদয় জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি আমার, ধমনীতে তপ্ত লাভা,
প্রেমিকার চোখেমুখে উন্মত্ত কামনা, নেই লাজরাঙা আভা!
হৃদয়ের উত্তাপ দেহের উত্তাপে হিম হয় যখনি,
প্রেম তার সবকটি দ্বার খোলে তখনি।
মুস্তাকিম (৯৪-০০)
২০ তম ইনটেক
রংপুর ক্যাডেট কলেজ
৩০ জুলাই,
কেন্দ্রে সর্বদাই নবীনদের স্থির অবস্থান
বৃত্তের পরিধি ছুঁয়ে ঘুর্নায়মান প্রবীনেরা।
গোলকের ঘনত্ব ভরে ভরে ঘুরতে থাকে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ঘটনা।
আমরা কয়েকজন সারাক্ষন ব্যস্ততায় মগ্ন
জ্যা ব্যাস আর ব্যাসার্ধ এঁকে এঁকে ক্লান্ত!
জীবন বৃত্তের বিশাল ক্ষেত্রফল এর সাথে
‘শূণ্য’ গভীরতা জুড়ে দিতেই কেল্লাফতে!
অদৃশ্য কেউ হঠাৎ – বৃত্তগুলো দেয় থামিয়ে~
যাহ! সব গননা শূণ্য হয়ে যায় অবশেষে।।
মাঝরাতে করোটির জরাজীর্ণ ছোট্ট কুটিরে,
আচম্কা হানা দেয় অশরীরি কবিতার দল;
দৈত্যের ক্ষুধা নিয়ে তারা শুধু শব্দ খেতে চায়।
তাদের আপ্যায়নে মগজ ব্যস্ত হয়ে ওঠে,
আবেগের তেলে ভেজে ক’রে দেবে শব্দের ফ্রাই,
তাই শব্দ হাঁতড়ে মরে স্মৃতির নিঃস্ব ভাঁড়ারে।