কোন এক রোদেলা দুপুরে তোমাকে বলেছিলাম ভালবাসি
আজ আমি দুপুরের তপ্ত রোদে পুড়ে তার মাশুল দিই
কোন এক পুর্ণিমা রাতে আমি তোমাকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখেছি
আজ আমি নির্ঘুম রাত কাটিয়ে তার মাশুল দিই
মনে আছে বলেছিলাম যদি হারিয়ে যাই কি করবে
এটা শুনে তুমি কত রাগ করেছিলে,অভিমানে গাল ফুলিয়েছিলে
মায়ের বকা শোনা কিশোরীর মত
সেই তুমিই কত সহজে বলেছিলে আমাকে ভুলে যেও
আমি আজও পুরোন চিঠি পড়ি
হাসি,সত্যিই আমি হাসি
আর ভাবি কত পাগল ছিলাম তোমার জন্য
জান তোমার চুলে একটা মিষ্টি গন্ধ আছে
এটা শুনে তুমি হাসতে আর বলতে ওটা নাকি সব মেয়েদেরই থাকে
আসলেই কি থাকে আমার জানা হয়নি
জানো আমি এখন
বাংলাদেশ ডাকের হলুদ খামে যক্ষের ধনের মত লুকিয়ে রাখা
তোমার চুলের গন্ধ নেই,তারপর আবারো লুকিয়ে রাখি
আমি আজ ছন্নছাড়া সাথী হারা বালি হাঁসের মত
শেষ রাতের বাতাসে আমার হাহাকার তেপান্তরে হারিয়ে যায়
কেউ শোনেনা কেউ না
মনে আছে তুমি বলতে আমি যদি হারিয়ে যায়
আমি শুধু মুচকি হেসেছিলাম
আজ তুমি বহুদূরে
তবুও বাতাসে তোমার চুলের ঘ্রাণ পাই
তোমার নুপূরের নিক্কণ কানে বাজে
আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃণা কর
হয়ত আমার কথা ভাবলে
কুষ্ঠ রোগে পচা-গলা কোন জীবন্ত লাশের কথা ভাব
ঢাকা মেডিকেলের রাজীব ভাই বলত
মন খারাপ করিসনে মেয়েরা এমনি হয়
রাজীব ভাইয়ের বুকটা আততায়ীর বুলেট ঝাঝরা করেছে
এই বুকেই তিতলীর জন্য অসম্ভব ভালোবাসা ছিল
আচ্ছা মৃত্যু সংবাদ জেনে কি তিতলী কেদেছিল
জানিনা জানতেও চাইনা
সজলটা বড় ভাল ছিল অনেক ভাল

কি সুন্দর কবিতা লিখত
আমার খুব হিংসা হত,লোভ হত ইস যদি আমিও……….
স্নানপর্ব-৩
শাওয়ার ধারাকে আজকে ছুটি।
বিনাকাজে বাঁশি বাজাতে বাজাতে
আজ তারা উল্টোপথে
পাইপের ছোটগলি, বড়গলি
রাজপথ পেরিয়ে শেষে
পৌঁছে যাবে তোমার ঝর্ণাটিতে….
সবাই তো আর ঝরে যাবেনা!
তার ঢের আগেই হয়তো
স্নান সেরেছো তুমি
ছুটিশেষে ফিরে এসে
সেই ফোঁটারাই শোনাবে
তোমার এ্যানাটমি।
জলপাই
ঝুড়িভর্তি জলপাই মাথায়
পাহাড় বেয়ে
ওই মেয়ে
নেমে আসছে দেখে
কোত্থেকে
তোমার জলপাই স্বাদের
চুম্বন এসে পড়ে।
জলে ভরে যায় মুখ,
বারংবার, বারংবার
শুধু কামড়ে দিতে ইচ্ছে করে…
বনলতা সেন : ফলোআপ
ক্যাডেট কলেজ থেকেই কবিতার প্রেমে আমি পড়েছিলাম। ছাত্রজীবন পর্যন্ত সেই প্রেম অটুট ছিল। সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকে তথ্য-পরিসংখ্যান আর খবরের একটা কাটখোট্টা জগতে আটকে পড়েছিলাম। জীবনানন্দকে নিয়ে এসে আমার পুরনো প্রেমটাকে একটু নাড়া দিয়ে গেল আন্দালিব। আবদুল মান্নান সৈয়দের সংকলন ও সম্পাদনায় জীবনানন্দ দাশের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র ঘাটতে ঘাটতে পেয়ে গেলাম বনলতা সেনের ফলোআপ কবিতাটি। চলো সবাই পড়ে ফেলি।
শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন
জীবনানন্দ দাশ
শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন,
বিস্তারিত»আসেন সবাই একটা কবিতা পড়ি
[একসাথে বেশি কাজ করলে সব জট্ পাকিয়ে যায়। আমি মাল্টি-টাস্কিংয়ে যে কত খারাপ সেটা আজকে আবার বুঝলাম। সামনে বেশ কয়েকদিন এই ঝামেলা যাবে। তাই আজকে সব গুটিয়ে কবিতাই পড়ছি। একটা কবিতা সবার সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।]
আজকে রাতে
-জীবনানন্দ দাশ
আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা
বলা যেত; চারি দিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর।
মেলাঙ্কলিয়া
প্রতিটা মানুষ একেকটা গহন টানেল
ঘরের ওপরের ছাদে তাদের বিম্ব জমে থাকে শিশিরের সাথে
টানেলের মত
ঘিয়েরঙের কয়েক
টুকরো নিঃশব্দ
বিকেল পকেটে
গলিয়ে রাখা যায়
পুলিশী তল্লাসি চলে তল্লাটে যখন, পকেটে জমানো বিকেলের রোদ
ফেলে দেয়া যায় ফুটপাতে, ভিখারির পাতে
খুশি খুব সে’ও আমার মতোইঃ “জিতে গ্যাসি হৈ” ভেবে
আমি এক অচল বিকেল গছিয়ে টানেলে লুকালাম শেষে
সেকথা পুলিশ বা ভিখারি না-ও জানতে পারে
গহন টানেলের ভেতর আরেক টানেল আড়াআড়ি!
প্রথম পোস্টঃ রক্ত গোলাপ
আমার প্রথম পোস্ট।
কোয়ালিটি আর কোয়ান্টিটি’র ধাক্কাধাক্কিতে ভয়, আবার ব্লগে অতি সুন্দর লেখাগুলি দেখে নিজের মাঝে কিছূ লেখার জন্য এক ধরনের
চুল্কানির চাপ, এই দুই এর মাঝে পরে বেশ কিছুটা চিড়ে-চেপ্টা অবস্থায় ছিলাম। পরে ভাবলাম “যা থাকে কপালে, আমরা আমরাই তো!”
খাওয়া এবং হজমের দায়িত্ব আপনাদের।
(আমি জানি ৯৪-০০ ইনটেক আমার সাথে আছে!)
রাতে
স্বপ্নে বেড়াতে এসে
মশারীতে আটকে
গেছি শেষে,
বুঝি নিস্তার নেই।
সবুজ আলোয় মাপি
জালের বিস্তার,
নিদ্রিতকে
পৌনপুনিক তরংগ
পাঠাতে থাকি:
জোনাকি মরে গেলে
তাকে দেখতে পাবার কোন
জো আছে নাকি?
বড় হবো…
ডিসক্লেইমারঃ যদিও ডিসক্লেইমার সম্মন্ধে অনেকেরই আপত্তি আছে, কিন্তু তার পরেও পোস্টের শুরুতেই এই অপ্রিয় কাজটি না করে পারছিনা। কারণ, আমি একটা ভয়ঙ্কর কাজ করতে যাচ্ছি যেটা আমার জীবনে এর আগে কখনো করিনি।
……অবশেষে আমি একখানা ছড়া (নাকি কবিতা ঠিক জানিনা) লিখিয়া ফেলেয়াছি। লেখা পড়া করিতে করিতে যখন আমার আর কিছু ভালো লাগেনা, যখন মনের মধ্যে আত্মোপলব্ধি হইল যে, “জীবন তো একটাই, কি হবে এই একমাত্র জীবনটাকে এত কষ্ট দিয়ে”
ফুটপাত
মেয়ে তোমার মাথার ঠিক ওপরে
ভেসে আছে এক খণ্ড মেঘ;
রোদ্দুরে বিচলিত হওয়া কি
তোমাকে মানায়?
প্রতিদিন বৃষ্টিহীন আমি
ভেতরে ভেতরে
কী ভীষণ তৃষ্ণা পুষে রেখে
তোমার সংগে নিপুণ হাসি,
ভালোবাসার কেমিস্ট্রি
আমরা যারা সাইন্স নিয়ে পড়ালেখা করেছি, তারা জানি এইস.এস.এসসি তে রসায়ন বা কেমিস্ট্রি নামক বিষয়টা কেমন নাচায় :tuski: ! ভয়ানক এই বিষয়ের বইয়ের একটা পৃষ্ঠা পড়ে পরের পৃষ্ঠায় গেলে, পূর্ববর্তী পৃষ্ঠার পড়া ভুলে যাওয়াটাই যেন স্বাভাবিক ছিল। আর একের পর এক রাসায়নিক সমীকরণের চাপে পিষ্ট হয়ে মাথার চুল ছেঁড়া ছাড়া কোন গত্যন্তর থাকত না ~x( । নিতান্ত বাধ্য হয়েই এই কবিতাটা লেখা 🙂 । অন্ততঃ এখনো রসায়নের কিছু বিষয় এই কবিতার কল্যাণে মনে আছে।
বিস্তারিত»দূরত্ববোধক-
দূরত্বের নাম নেই, শহর কিংবা গ্রামে আমাদের দূরত্ব নিয়ম মেনেই বাড়ে-
স্থবির চোখ মেলে নিমেষব্যাপী আমরা দুঃখ থেকে দূরগামী হই
দুঃখ সিঁড়ি বেয়ে সাপের মত উঠে আসে সন্তর্পণে হৃদয়ের কাছে
ধাতব রেলিঙে যাবতীয় অনুসর্গ ছেড়ে আসা সাপের চোখে আমি কাতরতা পাই
শহরে কিংবা গ্রামে, এই প্রাপ্তি আমাকে সুখ দেয়
আমার চেয়েও অধিক কাতর দুঃখের অবয়ব আমার স্বভাবজাত অহমিকায়
পরশ বুলায় সাপের মায়ায় সিঁড়িঘরে একটি বাগান তৈরি করি
বাগানে বিষের ফুল ফুটে উঠবে একদিন,
আবুল হাসান
এই বুড়ো বয়সে প্রায় বালকবেলার মতই উল্লসিত হয়ে উঠেছি, যখন কাগজের প্যাকেট খুলে দেখি, সেখানে চুপটি করে আমার জন্যে বহুকাল ধরে অপেক্ষা করছেন আবুল হাসান।
আমার শৈশব বা কৈশোর কেটেছে আবুলহাসানবিহীন, এবং আশ্চর্য হলো তাতে আমার কোন দুঃখও নেই। প্রাপ্তবয়স্ক হবার আগে মদের পেয়ালা মুখে তোলা মানা, এটা কে না জানে? এই দুপুর-রাতে তাই মাঝারি স্বাস্থ্যের বইটার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে অজান্তেই কেমন নেশাতুর হয়ে পড়ি।
অসমাপ্ত কবিতা
প্রতিটি গল্প, কবিতা কিম্বা উপন্যাসের পিছনে কিছু ঘটনা থাকে। দৈনন্দিন জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালোলাগা-মন্দলাগাগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে অক্ষরের সুন্দর বিন্যাসে। এই কবিতাটি লিখেছিলাম ২০০৬ সালে, ভার্সিটিতে ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার পড়াকালীন সময়ে। আমার খুব ক্লোজ এক বন্ধুর হৃদয়ের আর্তিকে অক্ষরের মাধ্যমে জীবন দিতে চেয়েছিলাম। তার ফলশ্রুতিতে এই কবিতার সৃষ্টি। সেই বন্ধুর কাছে ক্ষমা প্রার্থণাপূর্বক কবিতাটি এখানে উপস্থাপন করছি। কবিতাটি “বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিকী, ২০০৮” এ প্রকাশিত হয়।
বিস্তারিত»দীর্ঘবিরতি-মার্জনামূলক পোস্টঃ কবিতা
[ডিস্ক্লেইমারঃ এই একটা জিনিশই আমি ভাল পারি! 😉 ]

দ্বিচরণ
তোমাকে আমার ভাল লাগে
এই নির্দোষ বাক্যে কারো রাগ বা ক্ষোভ
হওয়ার কথা নয়, যদিও আমার সামনে বসে
তুমি ক্ষেপে ওঠো, ভীষণ সুন্দরভাবে
আমি দ্বিধায় পরিমাপ করি
রাগের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা, মাত্রাসমূহ