পড়ে ছিড়ে ফেলুন………

প্রথম লেখাটা ছিলো কবিতা। এরপর ভাবলাম কবিতা থাক অন্য কিছু লিখি। ২ টি লেখা লিখলাম কিন্তু একটাও আমার এডিটর সাহেব ছাপলেন না। তাই মনে হচ্ছে কবিতা ছাড়া আমি আর কিছু লিখতে পারি না। তাই আবার কবিতা লিখলাম। এটা কলেজ লাইফের শেষের দিকে লেখা। দিন তারিখ দিয়ে আমার কবিতা লেখা হয়না। যাই হোক এবার কবিতায় আসা যাক……

হাতের মুঠোয় এক টুকরো বরফ
হাতের উষ্ণতায় বরফ জল হয়ে গলে
বরফ এর শীতল ছোয়ায় একি ভূতুড়ে
হাত অবশ হয়ে আসে
কিছু সময় পরে মুঠো খুলে, একি বিষ্ময়!
হাত – বরফের দ্বৈত যুদ্ধে
শুধুই আমার পরাজয়।

তোমার খোপায় বাধা একটি রক্ত গোলাপ
দু ঠোটে যার রক্ত সিদুঁর ঝরে
রক্ত গোলাপ, অধর কে সুন্দর
কে টানে কাছে আমারে
কিছু সময় ভেবে, একি বিষ্ময়!
ঠোট আর গলাপের দ্বৈত যুদ্ধে
শুধুই আমার পরাজয়।

বসন্ত রিতুতে কত শত ফুল ফুটে
সেই সুন্দর কোথায় শরতের কাশফুলে
শরত এর নীল আকাশ, প্রেয়সী মেঘের আনা গোনা
প্রেয়সী বীনা বসন্তেও নীলাকাশ আনমনা
কে সুন্দর এ অনুভবে শুধু অনুভবের ক্ষয়
বসন্ত আর শরতের এই দ্বৈত যুদ্ধে , একি বিষ্ময়!
শুধুই আমার পরাজয়।

নীল সমুদ্রতটে দারিয়ে নীল সমুদ্রকে দেখি
সেখানে দারিয়ে আমি দেখি আকাশের জলকেলি
দুজনেই একরকম নীল দূরে দূরে বহুদুরে
উদারতা নীল গভীরতা নীল এই বিষাদ নীল চোখে
এই নীল কি পৃথক হয়, একি বিষ্ময়!
উদারতা আর বিষাদের এই দ্বৈত যুদ্ধে ,
শুধুই আমার পরাজয়।

হৃদয়ের কোণে ভালবাসা, বিশ্ব জয়ের আদিম নেশা
হৃদয়ের গভীরে ভয়, পরাজয়ের হতাশা
হৃদয়ের অনুভব আমার কে কোথায়?
কখন কে আসে, আবার কে চলে যায়?
ভেবে ভেবে দেখি, একি বিষ্ময়!
ভালোবাসা আর হতাশার এই দ্বৈত যুদ্ধে ,
শুধুই আমার পরাজয়।

অনেক বড় কবিতা ……………………যারা পড়ছেন তাদের কে ধন্যবাদ।
যদি কেউ শিরোণামের কারনে দম খান তবে লেখক দায়ী নয়।

৩,১০১ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “পড়ে ছিড়ে ফেলুন………”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    এখানে লেখার মান নিয়ে কখনো লেখা আটকানো হয় না। তোর লেখায় বানান অনেক মিসটাইপ থাকে এই জন্য মনে হয় লেখা আসে নাই কিংবা শিরোনাম দেস নাই। লেখা লিখে একবার করে রিভাইজ দিয়ে দিস তাহলে এইসব ভুল গুলা আর থাকবে না। একটু পুরান হইলেই হাতে চলে আসবে। মডারেটর দের খোঁচা মারিস না রে ভাই। অনেক কিছু সামলায় ওরা।
    একটা সফটওয়্যার আছে আপনা বানান সফটওয়্যার। সেটায় স্পেল চেক করে নিতে পারিস। দুদিন গেলে তখন আর লাগবে না। তোর ডিসক্লেমার পড়েই কমেন্ট করলাম। কবিতা এখন পড়ুম।

    জবাব দিন
  2. মাসুদুর রহমান (৯৬-০২)

    আমার মনে হয় যে উদারতা দেখায় সেই পরে বিষাদে ভুগে, সে ভাবে কেন শুধু শুধু সে উদারতা দেখাতে গেলো, আর সমুদ্র উদারতার প্রতিক তার রঙ নীল, আবার বিষাদের রাং নীল। আর বিষাদ ত অনেক কিছুতেই আসতে পারে। যারা দুঃখ সইতে পারে তারাই উদারতা দেখাতে পারে।

    জবাব দিন
  3. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    মাসুদ ভাই, বানান ভুল আছে, ঠিক করে নেনঃ

    ভূতুড়ে, খোঁপা, ঠোঁট, গোলাপ, ঋতু, দাঁড়িয়ে;

    আপনার পেইন একটু কমায় দিলাম... এখান থেকে কপি করে করে নিয়ে কারেক্ট করে নেন 😉

    জবাব দিন
  4. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    তুমি বিশাল ভয়ে ভয়ে বাংলা টাইপ কর মনে হচ্ছে। 😀

    আরে ব্যাপার না বাচ্চু, আমরা আমরাই তো। তবে এত পুরান কবিতা তুমি পাইলা কই, ডাইরী নাকি মুখস্থ করি রাখছ?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।