ফুটপাত পর্ব

তোতাপাখি কুতকুত খাম থেকে খামে
তোতাপাখি পায়পায় কোনখানে থামে!
লালঠোঁটে ঝুলে দ্যাখো ললাটের লেখা
রত্নগুণে মুছে যাবে অলক্ষুণে রেখা
তাহাকেও পেয়ে যাবে না পাইতে যারে
এই শ্লোক গাঁথো যদি হৃদয়-মাজারে;
খাম তুমি যাও উড়ে রজকিনী-ঘাটে
চণ্ডীদাসের বারোবর্ষ যেইখানে কাটে
লালঠোঁটে নীলকথা কও কানেকানে
নয়নেরা ভেসে যাক নয়নের পানে
পাখি তুমি সন্তর্পণে দৃশ্য ফ্রিজ করো
ফুটপাতে চণ্ডীদাস জ্বরে মরোমরো।।

বিস্তারিত»

বিলাই গল্প-১

নিয়মিত কিচেন তছনছ
প্রতিদিন’ কিছু না কিছু,
মাংস মাছ
নিদেনপক্ষে কাঁটাময় লাঞ্চ।
অথবা দুধের বাটি চেটে
বাঁধাধরা রেটে
দিব্যি যাচ্ছিল কেটে….

বিস্তারিত»

রক্তাক্ত সুখ

একে একে সবাই চলে গিয়েছে
প্রার্থণার পর,শূণ্য গীর্জা
পড়ে থাকে আবছা অন্ধকারে
হঠাৎ আলোকিত হয় বেদী
ঈশ্বরের দূত অবস্থান নেয়
একটি মোমের উপর
যীশু আর একা নয়
সে এখন ক্রুশবিদ্ধ,রক্তাক্ত
এবং নগ্ন এক সুখী পুরুষ।

********************

কবিতাটি ক্লাস ১১(২০০৩) এ লেখা।আমার ৫৩ নং কবিতা।

বিস্তারিত»

এই বোশেখের চাওয়া

এই বোশেখে আর কিছু নয় চাওয়া-
জানালাগুলো একটু খোলা রেখো।
দখিনপানের মাতাল প্রেমিক হাওয়া
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙ্গালে দেখো;
মেঘপুকুরে চাঁদ দিয়েছে ডুব,
বিজলী আঁধার ভাঙছে ক্ষণে ক্ষণে।
হাস্নুহেনা ঘ্রাণ ছড়ালে খুব
আমার কথাই পড়ুক তোমার মনে।

বিস্তারিত»

ঈর্ষা

কবেকার পুরনো দুপুরে
আমাদের দেখা হবার কথা
পথের মধ্যিখানে হঠাৎ
ফর্সা শার্ট যা তা

পৌঁছুবার হলোনা সময়
যেহেতু শহর কাকে কাকময়

বিস্তারিত»

প্রতিবাদী

আমি উচ্ছৃঙ্খলতার অশুভ ছায়া-
আমি সমাজের অভিশাপ,রুদ্র তিমির ছোঁয়া।
আমি সাইক্লোন-
আমি ধ্বংস করিব যত অনিয়ম।
সমাজের এই পাশবিকতার অন্তরালের ভিত্তি
আমি দলিত করিব সেসব সমাজ রাজের কীর্তি।
আমি গেয়ে যাই তাহাদের গান আনিল যারা সভ্যতা
সে সব শূদ্র মানবেরা দেব,তারাই ভাগ্য বিধাতা।
তাহাদেরই বুক,তাদেরই পাঁজর গড়েছে গীর্জা মন্দির
তাহাদেরই ঘামে লুটিয়া পড়িছে বাধা সব পৃথিবীর।

বিস্তারিত»

ছোট কবিতা

১.
বলছে তাকে স্নানঘরের
মস্ত বড় আয়না
ভয় কী সখী,
আমার কাছে আয় না!

২.
তোর জানলার আলসে থেকে
শুধিয়েছিলো কাকে,
ভরদুপুরে একলা চোখে
খুঁজছো তুমি কাকে?

বিস্তারিত»

অণুকাব্য-২

১.
নীল আঁধারের অন্ধ আলোয়
নগ্ন চোখে ঝাপসা প্রলয়
অন্য আলোয় আলোকিত মুখ
আমার অলো শূণ্যে মিলায়।

**************

বিস্তারিত»

বছর বছর পর, আজো

উৎসর্গ: জীবনানন্দ দাশ

কোন বিস্ময় নাই
যদিও বিপন্নতা ছিলো।
উটের গ্রীবা দেখেনি বলে খেদ ছিলো একটু;
সন্ধির বিচ্ছেদ হয়ে গেলে
জীবনের সাথে আনন্দের যোগ
কী করে ঘটে
বিয়োগান্ত ছাড়া –

বিস্তারিত»

অণুকাব্য-১

১.
তোমার ছায়ার মিথ্যে মায়ায়
হারিয়ে যখন নষ্ট আঁধারে
খুঁজে পেতে চাই ব্যর্থ আলো
অচেনা অতীত যাক হারিয়ে।

************

বিস্তারিত»

‘শিরোনাম নিষ্প্রয়োজন’

জনসমুদ্রে তখন কোন জোয়ার ভাটা নেই,
হাহাকার আর কান্নায় বাতাস থেমে গেছে।
প্রতিটি চেহারা যেন ফ্যাকাসে –
অসহায় – ভাবলেশহীন!
বুকে ঢিপঢিপ;
মুখে কথা বা চোখে দৃষ্টি নেই।
অতি ব্যস্ততায় উঠে আসছে অনেকে;
কেউ কেউ হুরমুর করে নেমে যাচ্ছে ।

বিস্তারিত»

অশ্রু

যখন আঁখিজলে চোখ ভেসে যায়
মনকে প্রবোধ দেই আমি,
কিন্তু আজ প্রবোধের কিছু নেই।
অশ্রুকে বাঁধ দেয়ার প্রয়োজন নেই,
আজ আমার কষ্টের দিন।

বিস্তারিত»

পিলখানায় অকালে ঝরে যাওয়া ভাইদের সম্মানে

এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়?
শামসুর রাহমান
এ লাশ আমরা রাখব কোথায় ?
তেমন যোগ্য সমাধি কই?
মৃত্তিকা বলো পর্বত বলো
অথবা সুনীল সাগর-জল-
সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই।
তাই তো রাখি না এ লাশ আজ
মাটিতে পাহাড়ে কিংবা সাগরে,
হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই।

বিস্তারিত»

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

সানা ভাই এর “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান” লেখাটা পড়তে যেয়ে মনে হল সিসিবির সদস্যদের বাংলাদেশের এমন আরেকজন প্রকৃত বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক। (পাশাপাশি আমার ইনিংসেরও গোড়াপত্তন আর কি :gulli: )

ইনি আলেন গিনেসবার্গ । একাত্তরে বাংলাদেশের উপর নিপীড়ন দেখে তিনি এই কবিতাটি লিখেন।

বিস্তারিত»

এগারো টি অনু -পরমানু !


নিঁখুত প্রকৃতিকে সহ্য করা দুষ্কর
সেই অন্বেষনে প্রত্যয়ী মানুষের
সবুজ পাহাড় ডিঙানোর স্বপ্নটি
অপূর্ণ রয়ে যাওয়ার আকুতি
তাই নীল বেদনা হয়ে ঝরে
পুরোটা আকাশ জুড়ে !

বিস্তারিত»