এই বোশেখে আর কিছু নয় চাওয়া-
জানালাগুলো একটু খোলা রেখো।
দখিনপানের মাতাল প্রেমিক হাওয়া
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙ্গালে দেখো;
মেঘপুকুরে চাঁদ দিয়েছে ডুব,
বিজলী আঁধার ভাঙছে ক্ষণে ক্ষণে।
হাস্নুহেনা ঘ্রাণ ছড়ালে খুব
আমার কথাই পড়ুক তোমার মনে।
ঈর্ষা
কবেকার পুরনো দুপুরে
আমাদের দেখা হবার কথা
পথের মধ্যিখানে হঠাৎ
ফর্সা শার্ট যা তা
পৌঁছুবার হলোনা সময়
যেহেতু শহর কাকে কাকময়
প্রতিবাদী
আমি উচ্ছৃঙ্খলতার অশুভ ছায়া-
আমি সমাজের অভিশাপ,রুদ্র তিমির ছোঁয়া।
আমি সাইক্লোন-
আমি ধ্বংস করিব যত অনিয়ম।
সমাজের এই পাশবিকতার অন্তরালের ভিত্তি
আমি দলিত করিব সেসব সমাজ রাজের কীর্তি।
আমি গেয়ে যাই তাহাদের গান আনিল যারা সভ্যতা
সে সব শূদ্র মানবেরা দেব,তারাই ভাগ্য বিধাতা।
তাহাদেরই বুক,তাদেরই পাঁজর গড়েছে গীর্জা মন্দির
তাহাদেরই ঘামে লুটিয়া পড়িছে বাধা সব পৃথিবীর।
ছোট কবিতা
১.
বলছে তাকে স্নানঘরের
মস্ত বড় আয়না
ভয় কী সখী,
আমার কাছে আয় না!
২.
তোর জানলার আলসে থেকে
শুধিয়েছিলো কাকে,
ভরদুপুরে একলা চোখে
খুঁজছো তুমি কাকে?
অণুকাব্য-২
১.
নীল আঁধারের অন্ধ আলোয়
নগ্ন চোখে ঝাপসা প্রলয়
অন্য আলোয় আলোকিত মুখ
আমার অলো শূণ্যে মিলায়।
**************
বিস্তারিত»বছর বছর পর, আজো
উৎসর্গ: জীবনানন্দ দাশ
কোন বিস্ময় নাই
যদিও বিপন্নতা ছিলো।
উটের গ্রীবা দেখেনি বলে খেদ ছিলো একটু;
সন্ধির বিচ্ছেদ হয়ে গেলে
জীবনের সাথে আনন্দের যোগ
কী করে ঘটে
বিয়োগান্ত ছাড়া –
অণুকাব্য-১
১.
তোমার ছায়ার মিথ্যে মায়ায়
হারিয়ে যখন নষ্ট আঁধারে
খুঁজে পেতে চাই ব্যর্থ আলো
অচেনা অতীত যাক হারিয়ে।
************
বিস্তারিত»‘শিরোনাম নিষ্প্রয়োজন’
জনসমুদ্রে তখন কোন জোয়ার ভাটা নেই,
হাহাকার আর কান্নায় বাতাস থেমে গেছে।
প্রতিটি চেহারা যেন ফ্যাকাসে –
অসহায় – ভাবলেশহীন!
বুকে ঢিপঢিপ;
মুখে কথা বা চোখে দৃষ্টি নেই।
অতি ব্যস্ততায় উঠে আসছে অনেকে;
কেউ কেউ হুরমুর করে নেমে যাচ্ছে ।
অশ্রু
যখন আঁখিজলে চোখ ভেসে যায়
মনকে প্রবোধ দেই আমি,
কিন্তু আজ প্রবোধের কিছু নেই।
অশ্রুকে বাঁধ দেয়ার প্রয়োজন নেই,
আজ আমার কষ্টের দিন।
পিলখানায় অকালে ঝরে যাওয়া ভাইদের সম্মানে
এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়?
শামসুর রাহমান
এ লাশ আমরা রাখব কোথায় ?
তেমন যোগ্য সমাধি কই?
মৃত্তিকা বলো পর্বত বলো
অথবা সুনীল সাগর-জল-
সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই।
তাই তো রাখি না এ লাশ আজ
মাটিতে পাহাড়ে কিংবা সাগরে,
হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই।
সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড
সানা ভাই এর “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান” লেখাটা পড়তে যেয়ে মনে হল সিসিবির সদস্যদের বাংলাদেশের এমন আরেকজন প্রকৃত বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক। (পাশাপাশি আমার ইনিংসেরও গোড়াপত্তন আর কি :gulli: )
ইনি আলেন গিনেসবার্গ । একাত্তরে বাংলাদেশের উপর নিপীড়ন দেখে তিনি এই কবিতাটি লিখেন।
বিস্তারিত»এগারো টি অনু -পরমানু !
১
নিঁখুত প্রকৃতিকে সহ্য করা দুষ্কর
সেই অন্বেষনে প্রত্যয়ী মানুষের
সবুজ পাহাড় ডিঙানোর স্বপ্নটি
অপূর্ণ রয়ে যাওয়ার আকুতি
তাই নীল বেদনা হয়ে ঝরে
পুরোটা আকাশ জুড়ে !
একুশ নিয়ে … (আদিখ্যেতা নয় মোটেও)
একুশ এলেই আমরা বাংলা নিয়ে খুব মাতামাতি করি … বাইশ এলে আবার ভুলেও যাই। তেইশ থেকে বাংলিশ আবার শুরু … তাও তো মন্দের ভাল। বইমেলা, শহীদ মিনার তবু তো মনে করিয়ে দেয় একুশের কথা। আহ্লাদের আতিশায্যে লিখলামই না হয় একটা দুইটা কবিতা।
একুশ এলেই লিখতে বসি, লেখালেখি বেড়ে যায়।
একুশ নিয়ে লেখালেখির মাত্রা যেন ছেড়ে যায় …
তবে একথা সত্যি …
বিস্তারিত»ভাগ্যবানের দূঃখ
একটা নূতন গল্প বলব বলে আজ খুলে বসলাম আমার খেরোখাতা,
বহুদিনের অব্যাবহারে জমে গেছে ধূলোর আস্তরণ।
প্রাপ্তির হিসেব মিলাতে গিয়ে আজ নিজেকে বড় ভাগ্যবান মনে হয় –
মনে হয় এত দ্রুত সব পাবার ছিল না।
আজ কেন যেন নিজের গল্প শোনাতে ইচ্ছে করে না আর,
শীতনিদ্রার সুখ খুঁজে পেয়েছি, নীরবতাই আজ পরম আরাধ্য।
একটি মূর্তিনির্মাণের সময় যা যা ঘটে
“উদভ্রান্ত সফেদ, দুলে ওঠো নীল তেপান্তর!”
আমি তার প্রান্তরেখায় তোমার মূর্তি বানাই,
ক্রমশ এগিয়ে আসা তারাদল; সেখানে
স্মিত হাসিমুখঃ নিয়ন-সুলভ- এঁকে রাত জেগে থাকে। আর
আমি হাতুড়ি বাটাল মেপে, নিখুঁত আঘাতে
প্রান্তরেখা ঝকঝকে ধারালো করি
যারা পর্যটক ছিলেন। আমাদের দেশে, মাটি ঘেঁষা সে’সকল
জটাচুলো পথিকেরা, এসে খুব মনোযোগী, দেখে
আমার কেরদানি। মূর্তির গায়ে দিগন্তভেদী আলো জমে থাকে,