১.
জীবন মানে কষ্ট
রাত পোহালেই পেটের জ্বালায়
মাথার ঘাম পায়ে ঝরায়
অখন্ডনীয় অদৃষ্ট।
২.
জীবন মানে সুখ
অট্টালিকার চার দেয়ালে
রঙ বেরঙের পুষ্প গলে
নেইকো কোনো দুখ।
১.
জীবন মানে কষ্ট
রাত পোহালেই পেটের জ্বালায়
মাথার ঘাম পায়ে ঝরায়
অখন্ডনীয় অদৃষ্ট।
২.
জীবন মানে সুখ
অট্টালিকার চার দেয়ালে
রঙ বেরঙের পুষ্প গলে
নেইকো কোনো দুখ।
ভেবে দেখ সিগারেট, তুমি আজ ব্যর্থ প্রেমিক;
ফর্সা কাগজে মোড়া তামারং তোমার হৃদয়,
ছিল তামাক সুবাসে ভরা। সুদৃশ্য প্যাকেটে বসে,
জানতেনা জগতের ভালোবাসা-প্রেম-পরিণয়।
আচম্কা এল এক রূপবতী লাইটার নারী,
বাহারী রঙের দেহে তার রূপ বাসনা জাগায়।
তার উদরে গ্যাসের বিষ, চক্মকি পাথরের দাঁত,
ঠোঁটে তার প্রেমের আগুন; সেই প্রেম হৃদয় পোঁড়ায়।
রাতটা ছিলো ভীষণ রকম শীতের
পান্থশালায় কেউ ছিলো না আর
টিমটিমে এক বাল্ব ছিলো ওই কোণে
সে আলোতেও বাড়ছে অন্ধকার!
হাতে আমার একটা মদের গ্লাস
চারটে বোতল-সবগুলোই খালি
শেষ ফোঁটাটাও চেটেপুটে খেয়ে
আমি তখন বেহুশ হয়ে ঘুমে!
ঠিক তখনই সে মেয়েটি এলো
বাইরে তখন কুঁয়াশায় ভেজা চাঁদ,
আমায় ডেকে তুললো সে ঘুম থেকে
মাতাল আমিও অবাক তাকে দেখে!
বোবার অসহায় গোঙানী শোনা যাচ্ছে,
কি যেন বলার তীব্র প্রচেষ্টা।
মাঝে মাঝে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
এদিক থেকে ওদিক।
সবাই বলে পাগল,
ওকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
মাঝে মাঝে ধাক্কা দিচ্ছে
দরজায়, দেওয়ালে, গ্রীলে, মাটিতে।
ল্যাম্পপোস্ট,
ন্যুব্জঘাড়ে, কতনা রোদ বৃষ্টি সয়ে!
দাঁড়ায়ে রয়েছ তুমি রাস্তার পাশে,
কোন এক গূঢ় অভিলাষে।
তোমাকে দেখেনা কেউ,
তবু মানুষের পথে তুমি ঢেলে দাও
অবিরাম পথ চলা আলো।
পোকাদের প্রবল বিরোধ, বয়স্ক মলিন খোলস;
সব বাঁধা ভেদ করে উজ্জ্বল তোমার হৃদয়,
অন্ধকারে মিলে যাওয়া পথ চিরে এনে দেয়
মানুষের চলার ঠিকানা।
রবিহীন পৃথীবিতে মিলবেনা প্রান জ়্যতি আলো
ঘুচবেনা মনের অন্ধকার সম কালো কুসাংস্কার
ফু্টবেনা ফুল, হবেনা বায়ু সঞ্চার
সৃস্টি হবেনা বাংলার ঋতু সমাহার ।
বাঙ্গালি মাতবেনা প্রেম ঝ্ররনাধারে
ফিরে ফিরে গাইবে সুরহীণ গান, ঘুরে ঘুরে-
আসবে ফিরে, প্রানপরশহীণ আনুভুতি বারে বারে
রবিহীন অন্ধকার আকাশ, কে কবি আলোতে ভরাতে পারে ।
বাঙ্গালির আকাশ হবে সঙ্কীণ রবিহীন যুগে
আমার বান্দনা তাই নিখিল বিস্মবিধাতারে
রবিহীণ পৃথিবীতে,
আমাকে আজ কারোর মনে নেই…
অনেকদিন জোছনা উঠেনা,
তাই আমি আজ বিচ্ছিন্ন।
অচিরেই ইন্দু জোছনা বিলাবে,
রুপোলি চন্দ্রিমায় ভরে যাবে প্রান্তরময়;
হয়তোবা সেদিন তুমি আমায় ভুলে যাবে,
কিন্তু আকাশে চাঁদ হাসবে।
যাচ্ছিল খুব ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে
রিকশায় পাশাপাশি
অফিস পরবর্তী বিকেলে।
একটু ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে গেলে
অস্বস্তি হয়না এমন নয়
তবু ভাবখানা এই —
স্পর্শে তো পুলক পেতে নেই!
ভদ্র আধুনিক শিক্ষিত রুচিশীল যেহেতু।
কামনাবাসনা সমস্ত অতএব
বিনিদ্র রয়ে যাক
একান্তে খামের ভেতরে,
কী কাজ খামোখা
অস্বস্তি ফিল করে!
গন্তব্যে পৌঁছনোর পর
বাস থেকে নামবো বলে
দাঁড়াতে
কন্ডাক্টর এসে হাত পাতে।
ভাড়া আট আনার বেশী না, জানা ছিলো।
পকেটে কেবল
একটা কয়েন ফেলে দিয়ে
লাফিয়ে বাসে উঠে
সীটে গিয়ে বসতে না বসতে
জানলা দিয়ে দেখি
একটা রূপালী চাকতি
সারিসারি ডালপালার ভেতর
হোঁচট খেতে খেতে
পড়িমরি করে
বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে
শেষমেশ এইখানে এসে
জিভ বা’র করে যখন হাঁপাচ্ছে
তখন এ-পকেট ও-পকেট
হাতড়াতে থাকা আমি
কি ঘুণাক্ষরেও জানি,
“চোখ তো তোলো!”
তোলে।
“তাকাবেনা অন্তত?”
তাকায়।
“নেকাবটা সরাও”
সরায়।
“ঠোঁট ছুঁই?”
প্রশ্নবোধক।
“ঠোঁট দিয়ে?”
বিদ্যুৎ হেনে সরে যায়।
অতীত অনেক সুন্দর,
তাই ফেলে আসা অতীতের কথা ভেবে
তোমার কষ্ট হয়।
বর্তমানে এই আমি তোমার পাশে
অথচ এখনো তুমি কষ্ট পাও
বর্তমানের এই আনন্দ
কল্পনা
বসে আছি একলা ছাদে
ভাবছি তোমার কথা,
দেখছি আকাশ বুনছি শত
রঙ্গিন কল্পলতা।
হয়ত তোমায় কাছে পেলে
এমনি কোন রাতে,
বসবো দুজন পাশাপাশি
হাত থাকবে হাতে।
একটু আগে’ গেছো তুমি
“এখুনি আসছি” বলে
মুহূর্তগুলি মুহূর্তে বছরে পরিণত
বছর বছর প্রতীক্ষা শেষে
তুমি এসে
এতো বছর কাছাকাছি রইলে,
অথচ একটি মুহূর্তেই
তারা কেটে গিয়ে
আবার বছর বছর প্রতীক্ষা —
তুমি এই তো এলে বলে……
বিস্তারিত»সাম্প্রতিক
আমি বৈপরীত্য বুঝি, যেভাবে আমাদের আচরণে এই বোধ পালিত হয়।
অসহ্য রোদ ত্বকভেদ করলে আমার কেবলই মনে পড়ে বিগত শীত, ঊলভেজা স্মৃতি এবং ডিসেম্বরের বিকেল। তিন মাসব্যাপী ক্রমশ নিদ্রাহরণ, যুদ্ধযাপন শেষ হয়, চল্লিশ বছরের পুরনো অভ্যাস, এপ্রিল এলেই ভালো থাকি!
আমাদের নিয়ত যুদ্ধসমূহ নথিভুক্ত হয় না।
—–
নদীপ্লট
খুব ভোরেই শহরপত্তনঃ কতিপয় বর্গাকার প্লট
ঘেসোজমিতে বাউণ্ডুলে শিশুগাছ
সিমেন্টের বানানো-
ডি-মার্-কে-শন্।
ভোরবেলা ঘুমের থেকে জেগে
সকাল দেখবো বলে
বারান্দায় এসেই
দেখি, এ কি
আমি তো গ্রীলের ফাঁক গলে
আকাশ পৌঁছে গেছি
ছোট্ট চড়ুই পাখি