“চোখ তো তোলো!”
তোলে।
“তাকাবেনা অন্তত?”
তাকায়।
“নেকাবটা সরাও”
সরায়।
“ঠোঁট ছুঁই?”
প্রশ্নবোধক।
“ঠোঁট দিয়ে?”
বিদ্যুৎ হেনে সরে যায়।
“চোখ তো তোলো!”
তোলে।
“তাকাবেনা অন্তত?”
তাকায়।
“নেকাবটা সরাও”
সরায়।
“ঠোঁট ছুঁই?”
প্রশ্নবোধক।
“ঠোঁট দিয়ে?”
বিদ্যুৎ হেনে সরে যায়।
অতীত অনেক সুন্দর,
তাই ফেলে আসা অতীতের কথা ভেবে
তোমার কষ্ট হয়।
বর্তমানে এই আমি তোমার পাশে
অথচ এখনো তুমি কষ্ট পাও
বর্তমানের এই আনন্দ
কল্পনা
বসে আছি একলা ছাদে
ভাবছি তোমার কথা,
দেখছি আকাশ বুনছি শত
রঙ্গিন কল্পলতা।
হয়ত তোমায় কাছে পেলে
এমনি কোন রাতে,
বসবো দুজন পাশাপাশি
হাত থাকবে হাতে।
একটু আগে’ গেছো তুমি
“এখুনি আসছি” বলে
মুহূর্তগুলি মুহূর্তে বছরে পরিণত
বছর বছর প্রতীক্ষা শেষে
তুমি এসে
এতো বছর কাছাকাছি রইলে,
অথচ একটি মুহূর্তেই
তারা কেটে গিয়ে
আবার বছর বছর প্রতীক্ষা —
তুমি এই তো এলে বলে……
বিস্তারিত»সাম্প্রতিক
আমি বৈপরীত্য বুঝি, যেভাবে আমাদের আচরণে এই বোধ পালিত হয়।
অসহ্য রোদ ত্বকভেদ করলে আমার কেবলই মনে পড়ে বিগত শীত, ঊলভেজা স্মৃতি এবং ডিসেম্বরের বিকেল। তিন মাসব্যাপী ক্রমশ নিদ্রাহরণ, যুদ্ধযাপন শেষ হয়, চল্লিশ বছরের পুরনো অভ্যাস, এপ্রিল এলেই ভালো থাকি!
আমাদের নিয়ত যুদ্ধসমূহ নথিভুক্ত হয় না।
—–
নদীপ্লট
খুব ভোরেই শহরপত্তনঃ কতিপয় বর্গাকার প্লট
ঘেসোজমিতে বাউণ্ডুলে শিশুগাছ
সিমেন্টের বানানো-
ডি-মার্-কে-শন্।
ভোরবেলা ঘুমের থেকে জেগে
সকাল দেখবো বলে
বারান্দায় এসেই
দেখি, এ কি
আমি তো গ্রীলের ফাঁক গলে
আকাশ পৌঁছে গেছি
ছোট্ট চড়ুই পাখি
কারেন্ট চলে যেতে’
রাস্তার আলো
তেরচা এসে
জানলাটাকে
দেয়াল জুড়ে বসালে
গ্রীলচাপা পড়ে
দিনবদলের আশা নিয়ে দেশের জনগণ
বঙ্গবন্ধুর জ্যোষ্ঠ কন্যা করলো নির্বাচন
নৌকা মার্কায় টিকেট নিয়ে গড়লেন মহাজোট
ম্যাডাম এসে গদি জুড়লেন পেয়ে গণ ভোট।
একটা মোবাইল থিমে একটা কবিতা পেয়েছিলাম। আসল কবিতাটা খুবই সুন্দর। কবিতাটার খুবই বিচ্ছিরি একটা অনুবাদ করেছি। সবার সাথে শেয়ার করছি।
যত জোড়ে ইচ্ছা হয়
যতক্ষণ ইচ্ছা করে
কাঁদ। কারণ,
কাঁদতে কোন মানা নেই।
মনের ব্যথা মুছতে আমি যাহার কাছে আসি
পাষাণ হৃদে মোর গলে সে পরায় দুখের ফাঁসি
ব্যাকুল হয়ে পরাণ খুলে যারে ভালোবাসি
কাঁদায় আমায় দিবা রাতি, চোখের জলে ভাসি।
(১৮/০৮/১৯৯৭)
বিস্তারিত»বৃষ্টি পড়ে টুপূর টাপুর
সঙ্গী আমার মিষ্টি মধুর
ছাতার নিচে দারুণ বাহার
দিচ্ছি চুমু ঠোঁটে তাহার।
ক্লাশের সময় হচ্ছে যে পার
নেই যে কোনো তাড়া আমার
বলি আমি হোকনা দেরি
চুমোয় চুমোয় মনটা ভরি।
বাসের স্টপে হঠাৎ দেখি
বাস এসেছে বাড়ীমুখী
সঙ্গী বলে চলি এবার
চুমু দেবো কালকে আবার।
(৩১/১০/১৯৯৬)
বিস্তারিত»কেনো আমার এমন হলো
কেনো আমি পদ্য লিখে হতে গেলাম ব্যর্থ কবি
কেনো আমি শিল্পি হয়ে এঁকে গেলাম রঙ্গিন ছবি
জানতাম যদি আঁকলে ছবি ছুড়বে গালি অপবাদে
গুটিয়ে নিতাম হাতটি আমার স্বার্থপরের অপরাধে।
হৃদয়ে বাজো তুমি
জীবন্ত উষ্ণ এক শিল্পিত সুরে
আমার ক্রমক্ষয়মান অর্ধশতাব্দীর
প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে;
বাজো তুমি হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে
ফুসফুসের প্রতিটি শ্বাসে প্রশ্বাসে।
কল্পলোকের প্রতিটি গানে বাজো তুমি
মনের প্রতিটি কোণে কোণে,
বাজো তুমি পুষ্পকোমাল পায়ের নূপুরে
রংধনু রাঙ্গা ফুলের বাগানে;
হৃদয়ে বাজো তুমি
গোধূলি পার্কে নিবিড় আলিঙ্গনে
রাজধানীর ফ্ল্যাটের অনুগ্র বাহুবন্ধনে
কম্পিত চুম্বনে,
(অনেক আগের লেখা একটা কবিতা। যতদুর মনে পড়ছে, দেশে তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল।
এই জালস্থানে এটা আমার প্রথম লেখা। আশা করি কেউ মনে কষ্ট পাবেন না।)
মুক্ত আকাশ স্নিগ্ধ বাতাস
স্বাদু জলের নদী
সবুজ পাতা তৃণলতা
বলতো আমার দিদি।
১.
“মদ ছোঁবেনা কোনদিন, আমাকে ছুঁয়ে
কথা দাও!” — অপ্রস্তুত ঠোঁট চুঁয়ে
এরপর আলগোছে
আধপেগ নীট চুমু ঢেলে
অনুনয়ে শুধায় এরকম,
“ক্যানো, আমি কি মদের কিছু কম?”
২.
ছেলেটির ঠোঁট ফাটে
মাখেনা ভেস্লিন,
মেয়েটি যত্নবান
ওরা ঠোঁটে ঠোঁটে লীন