ভয়ংকর ঝড়

পাঠ্য বই ছাড়া শুধু নুপুরদা আর জিতু আপুর লেখা কিছু কবিতা – ব্যাস……এই আমার কবিতা পাঠের ইতিবৃত্ত । তাই কিছু লিখতে গেলে খুব ভয় হয়……ছন্দ, অন্তমিল, মাত্রা……কত কী সব আছে যেগুলো কোনদিন ভেবেও দেখিনি । আবার ভাবি……এটা তো আমার ব্লগ । আমাদের ব্লগ । এখানেই যদি মনের কথা না বলি…তাহলে আর জায়গা কোথায় ??????? তাই কিছু মনে হতেই আবার কী-বোর্ডে হাত রাখলাম

ধ্বক….ধ্বক……..ধ্বক….উহ !

বিস্তারিত»

প্রার্থনা-১

আমায় আর কেউ না দেখুক,জানি তুমি দেখছো ঠিকই
আমার বুকের রক্তফেনা তুমি জানো অলৌকিকই
যে ঘুড়িটার সুতো ছিঁড়ে উড়ে গেল মুক্ত হাওয়ায়
কী প্রবল তৃপ্তি জানো,ঘুড়িটা ফের ফেরত পাওয়ায়!
শিউলী বোঁটা ঘসে হলুদ রং করেছি আমার দেয়াল
এ কেবল তুমিই জানো,আড়াল থেকে রাখছো খেয়াল!
অনেক ভেবে দেখলাম আমি এই যে জীবন চারিপাশে
সেগুলো সব নষ্ট হলে কীই বা এমন যায় বা আসে
তাই এবার ঠিক করেছি অসৎ যত নষ্ট ঘুণে
সরিয়ে তাকে পালিয়ে যাবো অনেক দূরের নির্বাসনে
হে দয়াময় ক্ষমা করো ভুল যা ছিল পাপ অপরাধ
আমায় তুমি মুক্তি দিও;পারিনা আর এই অপবাদ
সইতে ভীষণ কষ্ট জানো,এই হৃদয়ের পাপের গ্লানি
তুমিই কেবল মুছতে পারো-আমি কেবল তোমায় জানি!

বিস্তারিত»

মানবতার গান

আমরা মানুষ মানুষের তরে বিলিয়ে যাব যে প্রাণ
হৃদয়ে হৃদয়ে শত প্রাণে আজ উঠুক বেজে এ গান।

আমরা মানুষ মানুষের ব্যথা ঘোচাতে যদি না পারি
শুনেও না শুনি শত  মানুষের বিপন্ন আহাজারি
বৃথা হবে এই মানব জীবণ- অপূর্ণ রবে প্রাণ
হৃদয়ে হৃদয়ে শত প্রাণে আজ উঠুক বেজে এ গান।

শত হৃদয়ের দুঃখ বেদনা নিজের  হৃদয়ে ধরে
চলে যাব এই পৃথিবীটা ছেড়ে সকলের অগোচরে
মানুষের কাছে নেক আমলের চাই নাকো প্রতিদান
হৃদয়ে হৃদয়ে শত প্রাণে আজ উঠুক বেজে এ গান।

বিস্তারিত»

নক্ষত্র কন্যার কাছে

নক্ষত্র রাতের মতো মেয়ে

বারবার এসে ব্যাথা দিয়ে যাও আমাকে

দূরারোগ্য ব্যাধি হয়ে এসো, বাসা বাঁধো আমার রক্ত কণিকাতে

আমি মারা যেতে চাই- তোমার নির্দয় আক্রমনে

দূরে থেক না, আমার মেঘলা আকাশের রাজকন্যা

; দূর থেকে নিঃসঙ্গ বাতাস ধেয়ে আসে আমার এলোমেলো চুলে

প্রেম চাহনিতে, কোমল ত্বকে, শুষ্ক ঠোটে , উদল বুকে-

তুমি ফুল বনে বসে দোলা খাও ওই সাজানো বাগানে

ওখানে যেও না মেয়ে,

বিস্তারিত»

কেবল তোমার পাঁপড়ি খুলে

কেবল তোমার পাপড়ি খুলে
চেয়েছিলাম জড়িয়ে দিতে
একান্ত রোদ

সেই প্রদোষে প্রেমকে ভুলে
পুড়িয়ে নিলে রাত নিশীথে
সমস্ত ক্রোধ

বিস্তারিত»

দুটি বইমেলা ও একটি অতীত প্রেম

কালো শাড়ির অদ্ভুত কুচির ভাঁজে, উদল পেটে
একাদশীর দুষ্ট চাহনি, হাসি বাঁকা ঠোটের কোনে
দ্রুতগামী তরুণী রিক্সা ডিঙ্গিয়ে জ্যাম পার হয়ে চলে গেল
আর আমি হতভম্ব, প্রেম কণ্যার পিছে পিছে-
এগিয়ে দিতে গিয়েছি কার্জন হলের বাসে।

বিস্তারিত»

তুমি প্রেম দিলে……

তুমি প্রেম দিলে
মাতাল হবো;অট্টহাসিতে বিদীর্ণ করে
মেঘলা আকাশ সিঁড়ি গড়ে দেব বুকের পাঁজড়ে!

তুমি প্রেম দিলে
আগুন হবো;ঘোর অমানিশা জ্বালিয়ে দেবো
লেলিহান শিখা দাবানলে ছুড়ে অতীত পোড়াবো!

তুমি প্রেম দিলে
জোৎস্নার রাতে একা পাড়ি দেবো আটলান্টিক
নীল চাঁদ ভেঙে ছড়িয়ে দেবো রূপোলী সাগরে!

তুমি প্রেম দিলে
কাশবনে একা রাজহাস হবো;তোমার পায়ের
নিকটে থাকবো চিরকাল প্রেমী ভৃত্যের মতো!

বিস্তারিত»

স্ব-রচিত প্রথম

কলেজ এর সাহিত্য সাময়িকী তে একবার টুক্লিফাইং করে এক কবিতা দিছিলাম। সেইটা ছাপা হওয়াতে খুব মজা পাইছিলাম। তবে এবার নিজেই একটা লিখছি। তবে এটা কবিতে হইছে কি না এখনও সন্দেহ আছে আমার। এই জন্য শিরোনাম এ কবিতা কথাটা উল্লখ করি নাই। যাউকগা ছাইড়া দিলাম সবার সামনে।

দ্বন্দ্ব

না,
নাটোরের বনলতা সেনের কথা বলছি না।
যার বর্ণনা দিয়ে স্মরণীয় হয়ে গেছেন কবি।

বিস্তারিত»

হাজার ফুল

হাজার ফুলের গন্ধে আমার হৃদয় মাতোয়ারা
আকুল করে- ব্যাকুল করে- করে পাগলপারা
এমন ফুলের ঘ্রাণ
ভরিয়ে দিল প্রাণ
বাজিয়ে দিল আমার প্রাণে কোন সে সুরের ধারা।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি-৭

খোলাছাদে এই যে বৃষ্টির কণাগুলো
অবিরল শরীর ছুঁয়ে
মুখ ঠোঁট বুক চুঁয়ে
নেমে যায়
কবেকার কোন্‌ পাহাড়ি মেয়ের
উদ্‌গত অশ্রুগাঁথা নিয়ে,
কে জানে।
আমি শুধু লম্বমান।
ভিজে চলি
বালিকার তীব্র অভিমানে।

এদিকে কান্নাগুলো
কখন চুপিচুপি
ছাদের থেকে নেমে
নালা-নদী হয়ে
চলে গেছে সমুদ্রের কোলে।
মেয়েটি?
ততক্ষণে চোখ মুছে নিয়ে
আকাশের নীল খাম ছিঁড়ে
মেঘের ফেরত-চিঠি খোলে……..

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব-৬

তেরচা এসে
বৃষ্টির বেশে
ঝাঁপিয়ে’
(তার)
শরীরভরা
বিষণ্ণতা
কাঁপিয়ে

এঁকেবেঁকে
নামছিলো;

ঠিক তখন।
ফোঁটাগুলো শুনতে
পেলো
সাবানটির
ফেনিল
কথোপকথন:
মেয়ে তুমি
এবারো,
গোপনে
অবিরাম
কান্না
ঝরাতে পারো……

বিস্তারিত»

পুরুষ

আমাকে ভালবাসবার জন্যে তোমাকে পুরুষ হতে হবে।

আমার নেই প্রয়োজন নীল পদ্ম
কিম্বা
দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে লাল কাপড় বেধে দেবার।
পুরুষ হবার জন্য
তোমাকে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে
রাক্ষসের প্রানভ্রমর কবজ করতে হবে না;
দিগ্বিজয়ী বীরও হতে হবে না তোমাকে।
সাহস তো জোয়ান অব আর্ক, তারামন বিবি বা
দেবী চৌধুরানীরাও দেখিয়েছিল।
দুর্গার শক্তির কাছে নাকি হার মেনেছিল
মহিষাসুরও!

বিস্তারিত»

এক বিকেল সন্ধ্যা হয়

রঙিন মেঘ ফড়িং হয়
আকাশ ছোঁয় হাওয়ার টান
মাচার ‘পর পরীর ঘর
হলুদ রঙ পাখির গান

পাখির গান মাতাল সুর
হলুদ ফুল আজ ফোটে
আকাশ মেঘ নদীর পাড়
খায় চুমু কার ঠোঁটে

নদীর ধার কাশের বন
পাড় উজার জলের ঢেঊ
দৌড়ে যায় নূপূর পা’য়
রঙিন কাঁচ ভাঙলো কেউ

ভাঙলো কেউ পাজড় হাড়
নীল ব্যথায় মুচড়ে যায়
বুকের জল শীতল হয়
একলা রাত কান্না পায়

কান্না পায় তাই ছড়ায়
আসমানে বকুল ফুল
আগুন জল নষ্ট হয়
কষ্ট পায় সবুজ ভুল

সন্ধ্যা হয় ধূপ জ্বালায়
মিথ্যে তার অহঙ্কার
নীল ছায়ায় তার আঙুল
স্পর্শ পায় অলঙ্কার!

বিস্তারিত»

চিত্রপট: কেঁপে ওঠা এক মাধবীলতা

তোমার ছবিই একেঁছিলাম মনের চিত্রপটে

চাইলেও মুছতে পারবে না, ছিড়তে পারবে না,
নষ্ট করতে পারবে না পুরনো ছবিটা চিরতরে ,

কিভাবে যেন বুনো ফুল হয়ে গেলে
সবাই হামাগুড়ি দেয় তোমার বিছার শব্দে
কি আটসাট হয়ে চলে আসে তোমার কাছে!

অথচ কত লক্ষীটাই না ছিলে
যদিও তুমি দেবী হতে চেয়েছিলে ,
তবে অপদেবতা তো হলে!!

বিস্তারিত»

স্বেচ্ছা মৃত্যু থেকে পালিয়ে …..

দুটো লাইন লিখব,
একটা তোমাকে নিয়ে, আর একটা-
আমাকে নিয়ে ।

তিন নম্বর লাইন টা হবে ভালোবাসা।

‘জোয়ার-ভাটা, পূর্ণিমা- অমাবশ্যা
আর কখনো মরুভূমির শঠতা !’

কুয়াশা ভেজা ঝিরঝির বাতাসে
কোমল চাঁদের আলো
আর উঠোনের পূব কোণে লেবু তলার অন্ধকারে
মিটমিট জোনাক পোঁকার মৌণ ভালোবাসা..

মাঝে মাঝে নিঃসঙ্গ বাতাসে ঝড় তুলে
দুঃস্বপ্নে আসে মৃত্যুর পরোয়ানা-

আমাকে মরতে দিও না প্রিয়তমা।

বিস্তারিত»