নারী
ফুল
নারী ফুলের মতো
ফূল চারপাশে পাপড়ি ছড়ায়
সুবাস ছড়িয়ে হাসে-
-অনাবৃত হাসি
ছাইরঙা মেঘের ভেতরে মাথা গুঁজে দালানগুলো সব দাঁড়িয়ে, আত্মহননের প্ররোচনা নিয়ে কোথাও কোথাও দুয়েকটা জানলা কি বিপজ্জনকভাবে খোলা যেন বৃষ্টি এলেই টুপটাপ লাফ দেবে বিমর্ষ শহরবাসী! নীচে রাস্তায় লালবাতি-ভাবনায় জমে গেছে যানবাহনের ঢল। বিষাদের সবথেকে পলকা ভারটুকুও সরাতে না পেরে রাশভারী ক্রেনটি শেষমেশ ঘাড়কাত ক’রে দূরে বিজ্ঞাপনের হাসিমুখ দেখে খুশি হবার ভান করে…..
শেষে বৃষ্টি নেমে এলে জেগে ওঠে হাউজিং এর বিজ্ঞাপনী বনাঞ্চল,
বিস্তারিত»তোমার বাহুমূল, পিঠের দু’পাশ থেকে
রক্তের ফোঁটাগুলো
গড়িয়ে
এলোমেলোভাবে
নেমে
যেতে
যেতে
ফুলে পরিণত হয়ে গিয়ে
ভেতরে ভেতরে যদিও
উসকে দিচ্ছে যাবতীয় আগুন,
বারংবার বারংবার
তবু চিৎকার করে চলেছি
ডানা-কাটা-পরীদের আমি দু’চোখে দেখতে পারিনা……
বিস্তারিত»১।
পুরনো বইয়ের ভাঁজ থেকে
টুপ করে কখন
ঝরে গিয়ে
পিঠে ডানা
জুড়ে নিয়ে
অসমাপ্ত চুমুর
সেই লুকনো বুদ্বুদটি
তোমার ঠোঁটের
উদ্দেশে
শেষে
একাই
উড়াল দিলে
২।
কাজ কি সখী শতকথায়,
তারচে’ এসো
মেতে উঠি
চারটি ঠোঁটের কথকতায়…
স্বাপ্নিক আমি এক
অস্থির সময়স্রোতে বিদ্যমান
স্বপ্নযাত্রার অংশ কোনো।
আশা আর আশংকার সন্ধিস্থলে
ঘুরপাক খায় যাদের ভাবনা,
তেমন কোনো শ্রমিক মৌমাছির চেহারায়
অদৃশ্য জালে বুনা সুখানুভবের
অপেক্ষা আর অস্থিরতায়
মার্সিডিস, বিএমডব্লিও কিংবা পোর্শে হাঁকানো
পঙ্গু একদল দীনহীনের কোরাসের মত।

বুকের ভেতর জল পুকুরে জমছে মান
পুড়বি তুই
রক্ত নদের তপ্ত স্রোতে হঠাৎ ঢেউ
যখন ছুঁই
উদাস বাতাস কাঁপন ধরায় ওই দূরের
ঝাউ শাখায়
জোৎস্না সিঁড়ি ভাঙলো পরীর নিরর্গল
শ্বেত পাখায়
যদি ক্ষয়ে যাওয়া ছাদ হয় আকাশ
বৃষ্টিরা নিরাপদে সেখানে নেয় আবাস
ধীরে ধীরে তবে মেঝের ধুলো
হলে হোক প্রজাপতি ঘাস।
হুট করে যদি সব ভাঙ্গা চেয়ার
ঘুণে খাওয়া নড়বড়ে টেবিলের কিনার
তোমার খুব অবাক লাগবে
আমার কথাগুলো শুনে
কিন্তু ঠিক অস্বীকার করতে পারবে না।
তুমি খুব ভীত হও
কেন তোমার মুখের কথা
এতো বেশি বেশি শুনতে চাই
পাছে সব কথা এক দিনে ই শেষ হয়ে যায়।
এই বর্ষার সন্ধ্যায় আমার মনে
খুশি জেগেছে
ঘন ঘন গর্জন বৃষ্টির বর্ষন
গাঢ় মেঘ আকাশে।
রিমঝিম স্বরে বারি ঝরে পড়ে
অমিত গোধূলী ঢাকা সন্ধ্যে
ছল ছল শব্দে ছুটে বারিধারা
বাঁশির সুরের ছন্দে।
নীড় হতে আজ বের হয়নি পাখি
সিক্ত জলে কুন্তল
ভিজা পাতার নিচে, মুদে দু’খানি আঁখি
বাঞ্চা লাভে চঞ্চল।
উৎপল পলে পলে,
বিস্তারিত»জানিনা সেদিন মুক্ত আকাশে পাখিরা গাইল কী না !
জানিনা সে’রাতে মুক্ত বাতাস পেল নাকি এ জোৎস্না !
তবু এটা জানি পৃথিবী সেদিন আনন্দে আপ্লুত-
হয়ে পড়েছিল, কারণ সেদিন হয়েছিল এটা পূত।
ধরার মাঝেতে বিচরণ করে গেছেন কত মানব।
তবু তার মাঝে অভাব দেখেছি- কয়েক মহামানব!
আজ এই দিনে পৃথিবীর ‘পরে জন্মেছিল যে জন,
দেখেছি তারেই সকলের মাঝে হয়েছেন যে সুজন।
পথের বাঁকে স্বপ্নের বেঁচাকেনা
কুয়াশায় মোড়া ভালবাসার অনুরাগ
কিংবা নদীর জলে ভেসে থাকা মন
পাতায় পাতায় ঝরে রক্তের দাগ।
দখিনা বাতাসে সুখের আভাস
ছাদের কোনায় বাস্তবতা চুপচাপ
আমি সখী নষ্ট মানুষ, ঘুণে খাওয়া, শতেক পোড়েন মন
একশো পশুর লক্ষ আঁচড় বুকে করে ফিরছি সারাক্ষণ
তোর কী হবে আমার সাথে হৃদয় জড়ালে?
ভালোবাসায় মন পোড়ালে?
ভাবিস সখী, তুই তো সুখী, সুখবিলাসী
তোর পরানে তিরিশটা জলরঙের হাসি
ধুনচিবনের কঞ্চিতে কি আঁশ মেটে মন?
আমার অন্ধকারের বন্ধ ঘরে করবি কী তখন?
আলো হয়ে আসলি না হয়,
বিস্তারিত»চিৎ হয়ে তার আকাশ দেখার আয়োজনে
বাধ সেধেছে আজ পর্ণমোচী দিন…..
সন্তর্পণে এইখানে এসে
ভাবছিলো সে
নীলাকাশ পান করে নেবেই
আজ আঁজলা ভরে
এমন উজ্জ্বল বিকেলে,
মৃদুহেসে অনুচ্চারে
ভালোবাসা বলেছে কি
বলেনি ভালো ক’রে
(১)
তুমিও হেরে যাবে-
আমাকে হারিয়ে দিলে,
(২)
জানি,
একদিন ফিরে আসতে চাইবে
কিন্তু-
সে সুযোগ তোমাকে দেয়া হবে না
(৩)
প্রেম মানে স্নায়ুযুদ্ধ শেষে
একটি জয় অথবা দুটি পরাজয়
(৪)
স্বপ্নে এসে ডেকেছিল লায়লা ,
চোখ খুলে পেয়েছি
বিষাদের দমকা হাওয়া,
বাকিটা রাত
কেটেছে আমার অনিদ্রা।
তুমি কি ?
পাষাণ মরুভূমি ?
ভালোবাসার এক ফোঁটা বৃষ্টি কি
তোমার বুকে ঝরে না ?
তুমি কি ?
শীতল দু-মেরু ?
ভালোবাসার এক চিলতে মিষ্টি রোদ কি
তোমার বুকে জাগে না ?
তুমি কি বলতো?
খরস্রোতা নদী,
উষ্ণ সমুদ্র স্রোত,
দূর পাহাড়ি ঝরণা,
নিশাচরের কোলাহল,
কাল মেঘের গর্জন,
ঈশাণ কোণের ঝড়,