আমায় আর কেউ না দেখুক,জানি তুমি দেখছো ঠিকই
আমার বুকের রক্তফেনা তুমি জানো অলৌকিকই
যে ঘুড়িটার সুতো ছিঁড়ে উড়ে গেল মুক্ত হাওয়ায়
কী প্রবল তৃপ্তি জানো,ঘুড়িটা ফের ফেরত পাওয়ায়!
শিউলী বোঁটা ঘসে হলুদ রং করেছি আমার দেয়াল
এ কেবল তুমিই জানো,আড়াল থেকে রাখছো খেয়াল!
অনেক ভেবে দেখলাম আমি এই যে জীবন চারিপাশে
সেগুলো সব নষ্ট হলে কীই বা এমন যায় বা আসে
তাই এবার ঠিক করেছি অসৎ যত নষ্ট ঘুণে
সরিয়ে তাকে পালিয়ে যাবো অনেক দূরের নির্বাসনে
হে দয়াময় ক্ষমা করো ভুল যা ছিল পাপ অপরাধ
আমায় তুমি মুক্তি দিও;পারিনা আর এই অপবাদ
সইতে ভীষণ কষ্ট জানো,এই হৃদয়ের পাপের গ্লানি
তুমিই কেবল মুছতে পারো-আমি কেবল তোমায় জানি!
৭ টি মন্তব্য : “প্রার্থনা-১”
মন্তব্য করুন
তোমার অন্ত্যমিল আর ছন্দের খেলা আমার বেশ লাগে।
কিন্তু এখানটায় কেমন যেনো একটু মাত্রার গরমিল মনে হচ্ছে:
প্লাস, 'পারিনা আর এই আপবাদ' এর আগে কি আরো কোন শব্দ আসা উচিত? যেমনঃ 'সইতে পারিনা' ?
আসলে ভাইয়া এই লাইন গুলার পর্ব-মাত্রা ভাগটা হলোঃ
হে+ দ+য়া+ময়/ ক্ষ+মা +ক+রো /ভুল+ যা+ ছি+ল /পাপ +অ+প+রাধ/
আ+মায় +তু+মি /মুক+ত+ দি+য়ো;/পা+রি+না+আর /এই +অ+প+বাদ/
স্বরবৃত্তের মাত্রা ভাগটা আরকি!
আর ওই অংশটার পুরা বাক্যটা হবেঃ
আমায় তুমি মুক্তি দিও;পারিনা আর এই অপবাদ
সইতে ভীষণ কষ্ট জানো,এই হৃদয়ের পাপের গ্লানি
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
সরি!
সইতে প্রথম পাঠে চোখে পড়েছিলো, পরে মাত্রার হিসেব করতে গিয়ে হারিয়ে গেলো।
আর তোমার মাত্রার হিসেব ঠিক মনে হলো। তবে আমি
'মুক্তি দিয়ো'-র পরে ; -এর জন্যেও একটা মাত্রা ধরছিলাম
সেই জন্য মিলছিলোনা।
তবে পুরো কবিতাটাতে সবগুলো বাক্য অন্ত্যমিলে সম্পূর্ণ হয়েছে,
শুধু 'অপবাদ' এর পর 'সইতে' এসেছে পরের লাইনে, সেটাও বোধ হয় আমার কনফিউশন এর কারণ।
স্বার্থক হোক তোমার এই প্রচেষ্টা । আর দোয়া করো যাতে আমরাও এই পথে যেতে পারি । পাঁচ তারা রইল ।
কবিতাটি খুব ভালো লাগলো।পাঁচ তারা।
খুব বুঝে শুনে ব্যকরণ মেনে লেখা কবিতা। ভাবটা বেশ সরল, ভালো লাগলো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বসে বসে তোমার কবিতাগুলো রিভিশন দিচ্ছি। তুমি মিয়া বেশি ভালো লেখো!!!
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..