চালের বস্তা কেটে কেটে
আনাজপাতি খুঁটে
সূঁচলো চোখে দাঁতে লেজে
ধুলো জমছিলো আর
মুহূর্তেরা সব কাটছিলো
ঝিমুনির নিরুত্তাপ আমেজে,
প্রচলিত সংজ্ঞায়
সকালের প্রথম রৌদ্র……
প্রথম সকালে
তুমি এসে ছুঁয়ে দিয়ে গেলে আমাকে আদ্যপান্ত
আছড়ে পড়লে আমার উদল বুকে-গলায়-মুখে
জড়িয়ে নিলে কোমল ছোঁয়ায় উষ্ণ আচল তলে
শেষ রাতে জড়িয়ে ধরা বিছানায় আমি ক্লান্ত
তোমার উত্তাপে খানিকটা বিরক্ত
এই ধ্বংসস্তুপে বর্ষার আকাশের তীব্র রৌদ্রে
ধর্ষিত রমনীর মতোই বিপর্যস্ত সবাই
পূব জানালা থেকে খানিকটা দূরে দেখি প্রতিদিন
পানির ট্যাংকির শরীর বেয়ে ওঠা সবুজ শ্যাওলা
বেচেঁ থাকে তোমার উত্তাপে।
ঢেউপুরাণ
তেরো নদী পার হয়ে
সাত সমুদ্রে নেমে
আপনমনে দুলতে
শুরু করেছিলো,
একটুও না থেমে
অতঃপর ফিসফিসিয়ে
ফিসফিসিয়ে চলেছে
কখনোবা হিসহিসিয়ে
আচমকা, অহমিকায়
কেশর ফুলিয়েছে;
যত এগিয়েছে
অহেতুক
লাফিয়ে লাফিয়ে
গর্জে উঠেছে শুধু,
প্রতিবারের মতো
পুরনো কথা ভেবে
আক্রোশে
অভিমানে
গুমরে উঠে
ফুলতে ফুলতে
ফুলতে ফুলতে
থইথই কথামালার
ফেনিল উচ্ছ্বাসে
একলাফে
প্রায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলেই
সমস্ত বুদ্বুদসমেত
হুড়মুড় ক’রে
শেষমেশ
তোমার পায়ে
ভেঙে পড়েছে…..
শব্দ অথবা প্রেমিকাগণ
১।
দিনের শুরু থেকে
গাড়ির হর্ণ
রিক্সার বেল বাজে
ফেরিঅলার কন্ঠে বাজে
পণ্যের বেসুরো বিজ্ঞাপন
ঘড়ির কাঁটায়
ঘন্টাগুলো বেজে যায়
বাজেনা কেবল
তোমার টেলিফোন
ভালবাসারা কোথায় হারিয়ে যায়?
আমাকে একদিন না দেখলে তোমার নাকি ঘুম হত না?
এখন সেই রোগটা বেশ ভালোভাবেই সেরে গেছে জেনে ভাল লাগছে।
বারবার ভুল করে ভুল জায়গায় ফিরে ফিরে গেছি,
ভুল করার নেশায় পেয়েছিল যেন।
কখনো বুকে টেনে নিয়েছো, কখনো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছো…
অথচ, তোমার মনে কি পড়ে?
বৃষ্টির মাঝে রিক্সার হুড তুলে কি প্রবল ভালবাসায় আমার হাতে হাত আর
অধরে অধর ছুয়ে তুমি বলেছিলে,
আকাশ,চাঁদ ও তুমি
(কবিতাটির নাম দেয়া যায় “আমার কবিতা লোখার অপপ্রয়াস”। যখন প্রিয়জনদের কাছ থেকে দূরে থাকার কষ্ট আমায় কুড়ে কুড়ে খায় তখন এই অপপ্রয়াসটা মাথার মধ্যে ঘুর ঘুর করে )
আকাশ দেখতে আমার বড্ড ভালো লাগে,
সকল প্রকারের আকাশ
চৈত্রের রোদে পোড়া রুদ্র আকাশ,
বৈশাখের হালকা মন খারাপ আকাশ
শরতের ঝলমলে আকাশ;
এমনকি বর্ষার স্যাতস্যাতে আকাশও
আমাকে প্রচন্ড আকর্ষণ করে ।
আমার যতো প্রেমিকারা
আমার যতো প্রেমিকারা নষ্ট নারীর মতো
নেশায় পাওয়া ভূতের মতো ,
লালসার দৃষ্টিকে আড়াল করে প্লাষ্টিকের হাসি
চোখের কোণে চিকচিক করে ছলনাময়ী…
আরেকটি চোখ মনে পড়ে আমার
যেখানে না পাওয়ার হাহাকার-
সেটা কৈশোরের শুরুতে…
পাঠে যেদিন মন বসেনি
অতোটা পথ ঘেঁটে
শেষতক রিডিং রুম এসে
প্রায়-ছেঁড়া স্যান্ডেল ছেড়ে
কার্পেটের তুলতুলে পেটে
তুমুল হাঁপাচ্ছিলো
ধুলোমাখা,
খরখরে দশটি আঙুল।
জীবন ব্যবসা,মৃত্যুর নামান্তর
কত পূজি নিয়ে শুরু করেছিলাম এই ব্যবসা-
জীবন ব্যবসা।জানি না সঠিক।কেউ জানে না।
আদি-অকৃত্রিম-মুনাফাহীন এই ব্যবসা।
ম্যাচের কাঠি কিংবা সিগারেটের মতো জ্বলে গেছে
একদিকে।তারপর ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসা।
তীব্র বেগে শেষের দিকে যাচ্ছি আমরা।
কবিতাঃকিছুই মুছে যায় না
কিছুই মুছে যায় না,মুছে দেওয়া যায় না
আপাত চোখে যতই অদৃশ্য মনে হোক
সবকিছু রয়ে যায় অঘোষিত প্রেক্ষাপটে
একান্ত অন্ধকারের মাঝে কালো অক্ষরে!
আপোষ্ব চোখ বুঝে থাকা তবুও ভালো
নিজেকে সজোরে চেপে ধরা অমসৃন পাথরে
ঘষে ঘষে যতই চেষ্টা হোক-মুছবে না,
খসখসে শুধু-আর আগুনের ফুলকি জ্বলতে পারে!
এখন যতই হাওয়ায় বাঁধা থাকুক বর্তমান
শ্যাওলা জমে ঢেকে যাক বুক-সবুজ আস্তরণে
ভেতরে কঠিন অস্থিমজ্জা তবু নীরবেই
আঁচড়ে বয়ে বেড়াবে গোপ্ন গভীর দাঘ!
প্রিয়তমা
যদি কখনো অঝর ধারায় খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে,
আমায় ডেকো…,
আমি অশ্রু হয়ে তোমার চোখ থেকে ঝরবো।
যদি এক বর্ষায় সাদা মেঘের ছায়ায় খুব ভিজতে ইচ্ছা করে,
আমায় ডেকো…,
আমি বৃষ্টি হয়ে তোমায় ছুঁয়ে দিয়ে যাবো।
যদি শরতের ভরা পূর্ণিমায়
আকাশটার দিকে অর্থহীন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে,
আমায় ডেকো…,
আমি চাঁদ হয়ে জোছনার জলে তোমায় ভরিয়ে দেবো।
নি:সঙ্গ একাকী
এই কবিতাটা ক্লাস নাইন এ(2005) লেখা। তাই ভালো না হলেও অনেক অর্থ আছে। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি তা বোঝানোর জন্য।।।।।
কখনো কি হেঁটেছ নি:সঙ্গ একাকী
নিস্তব্ধ কোন এক নদীতীরে
যেখানে সে বয়ে যায় অজানা সুরে
শুনতে কি পেয়েছ সে কী বলে?
তুমি কখনোই বুঝতে পারবে না,
কারণ তুমি নিজেকেই চেন না;
আরও কয়েকটি অণূকাব্য (কি যে হচ্ছে… কে জানে!)
১। চেহারা সাদামাটা…
জামাটা ডোরাকাটা…
কথায় ঠোঁটকাটা…
কিন্তু…
ভালবাসায় সেরাটা!!
অর্থঃ তরমুজের উপরের রঙ কোন সমস্যা নয়…ভিতরটা লাল হলেই হলো।
২। ছেলেটি স্যুটপড়া…সাথে টাই,
মেয়েটি জিন্স-টপ্স… হিল হাই।
মেয়েটি অস্থির…চঞ্চল,
ছেলেটি বোকাসোকা…দূর্বল।
মেয়েটি উদ্দম…বন্য,
নয় যে একটুতে ধন্য।
ছেলেটি বোঝেনি মেয়ের মতিগতি…
বিচ্ছেদ-ই এ ভালবাসার পরিণতি।
অর্থঃ ক্যাডেটরা সব সময়েই পাথরায় না!!!!!!!
বিস্তারিত»বিদ্রোহী [Lyrics] – তৌফিক ও ফয়সাল রদ্দি
বিদ্রোহী /BIDROHI (রাজত্ব /RaJoTTo)- Official Music Video by Towfique & Faisal Roddy) [Ektaar Music Presents]
সারা শরীর তার ঘামে ভেজা সাঝে সে ফেরে ঘরে,
ঋনী তুমি , আমি, আমরা শীত ও তাপ ঘরে,
শূণ্য গোলা তার ফলেনি ফসল তবু মুক্ত হাসি ঝরে,
যান্ত্রিক যাতাকলে পিষ্ট তুমি-আমি হাসি না ভয়ে।
তবু জীবনের ঈশারায় শুধু হেতে যাই-
হাসিহীন জীবনে আধারে হারাই,
সকালের প্রথম রৌদ্র……
সহস্রাব্দের প্রথম সকালে
তুমি এসে ছুঁয়ে দিয়ে গেলে আমাকে আদ্যপান্ত
আছড়ে পড়লে আমার উদল বুকে-গলায়-মুখে
জড়িয়ে নিলে কোমল ছোঁয়ায় উষ্ণ আচল তলে
শেষ রাতে জড়িয়ে ধরা বিছানায় আমি ক্লান্ত
তোমার উত্তাপে খানিকটা বিরক্ত
এই ধ্বংসস্তুপে বর্ষার আকাশের তীব্র রৌদ্রে
ধর্ষিত রমনীর মতোই বিপর্যস্ত সবাই
পূব জানালা থেকে খানিকটা দূরে দেখি প্রতিদিন
পানির ট্যাংকির শরীর বেয়ে ওঠা সবুজ শ্যাওলা
বেচেঁ থাকে তোমার উত্তাপে।