ভালোবাসা দিবসে মনে পড়ে তোমাকে

আজ বার বার তোমাকে মনে পড়ে –

যেমন করে বাসতে ভালো
বুকে জড়িয়ে ধরে।

অথবা হরিনী চোখের ইশারায়
ডাকতে আমায় আপন করে।

যেমন করে রাখতে বেঁধে
অদ্ভুত এক মায়ার ডোরে।

কিংবা আমার উপর অভিমানে
দুচোখ আসত জলে ভরে।

ক্ষনে ক্ষনে মনে পড়ে –

যেমন করে করতে শাসন
অজানা কোন অধিকারে।

বিস্তারিত»

প্রিয়া তুমি কেমন হবে?

প্রিয়া তুমি কেমন হবে?
কেমন হবে তুমি, প্রিয়া!
আমি কি তোমায় স্বপ্ন দেখি?
আমি কি তোমায় কল্পনা করি?
নাকি তোমায় অনুভব করি?

তুমি কি আমার মতই ভাবুক হবে?
তুমি কি কল্পনার রঙ নিয়ে খেলতে ভালবাসবে;
নাকি তাকে বাস্তবতায় হারিয়ে ফেলবে?

বৃষ্টি আসলে তুমি কি করবে?
ব্যাগ থেকে ছাতা বের করবে,
নাকি আমায় নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে?

বিস্তারিত»

যৌবন বৃষ্টি চাই

|| যৌবন বৃষ্টি চাই ||

বাঁশি আর বাজবে না কোন গভীর নিশুতি রাতে,
বাতাসের ছম ছম নিশ্চুপ প্রবাহ আর জলের ক্ষয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন সুর অবশিষ্ট রইবে না আর।

ভালোলাগার যৌবন ফিরবে নাকো কোন রোদ্দুর মাখা ভোরে।
সব সুর, উচ্ছ্বাস রক্তে যৌবনের উন্মাদনা নিয়ে তোলপাড় করবে না কভু।

সম্পদের টিলা, শুভ্র বিছানা নির্জন অন্ধকারে পরিহাস করে যাবে মামদো ভূতের ন্যায়,

বিস্তারিত»

ঘৃণার উৎসর্গ পত্র

মৌনতার বেড়াজাল ভেঙ্গে ফুসে উঠা ভাষার চেতনায় ভেসে-
মিথ্যা আর মিথ্যাবাদীর বিরুদ্ধে আমি ছুটে গিয়েছিলাম শ্লোগানের মহড়াতে,
তামাম দেশে দক্ষিণ থেকে পূর্ব, পশ্চিম থেকে উত্তর
তোলপাড় করা প্রতিবাদের সারিতে
মা’র ডাকেই জেগেছিলাম বারবার রক্ত দিতে,

    অতঃপর

রক্তের বিনিময়ে অম্লান বেদনা আর ভাষা
প্রতিহত হয়ে মিশে রয় আজকের আকাশ বাতাস জুড়ে,
তিক্ত স্বাদে ম্লান হওয়া প্রতিবাদের জোয়ারে-
ঈর্ষান্বিত,

বিস্তারিত»

এসো

একটা রাতের শেষে বয়সটা বাড়বে একদিন,
কাল ভোরে রোজকার মত আমি আরো একটু বুড়ো হব,
এমন জোছনা মাখা একটা রাত আর ফিরবে না।

আমিহীন সেইরাতে এমন মাতাল চাঁদ, বনে রংহীন জোছনা,
নতুন স্তাবকের মুগ্ধ অর্ঘ্য নিতে ঠিক ঐখানে,
অমন করেই নির্লজ্জ আলো দেবে, অমন করেই, ঠিক অমন করেই।

ভালো লাগা এই রাতটাকে তাই গতরাতের মত চুপিসারে
না ফেরা সময়ের কাছে যেতে দিতে নেই,

বিস্তারিত»

চুমুর দিনে

লম্বা পথটাকে ফেলে এসে অন্ধকার সিঁড়িকোঠা,
উদ্দেশ্যহীন নয়, অনেক স্বপ্নে সাজানো চুমু নিয়ে।
চলে যাব বলে বন্ধ চোখের দাবীটুকু মেনে নিতে
দু’বার বলতে হয়নি আমার।
দুটো খাতা, একটা বই, সবটুকু সম্বল বুকের কাছে জড়ো করে,
বন্ধ চোখে কিশোরীর শিহরন, অপেক্ষা।
ডান হাতে বাম গাল, চুলের একটুখানি,
কাপড়ের খসখসে বুকের ধুকপুক বন্ধ হয়নি।
তপ্ত নিঃশ্বাস, আর শরীরে একটু শরীর ছোঁয়া।

বিস্তারিত»

ব্যস্ততা

“শীতে কাপছি তো!”
“তা আমি কি করতে পারি?”
“আমায় জড়িয়ে ধর…”
“ইসসসস… আমার বয়েই গেছে!”
“তোমার মায়া দয়া বলতে কিছু নেই? তুমি কি মানুষ?”
“না, আমি মানুষ না। আমি প্রেমিকা…”

এই বলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে নাগিনীর মত বিষ ছড়াতে ব্যস্ত হয়ে গেলো প্রেমিকাটি।

বিস্তারিত»

ইবাদত

ইবাদতে ভাই জান্নাত মেলে, খেদমতে খোদা রাজি

দুঃস্থের সেবা ব্যথিতের সেবা ব্রত হোক তাই আজি।

.

স্বামীহারা নারী অথবা অভাবী সেবা করে যেই জন

সেই জন যেন করিতেছে কোন জিহাদের আয়োজন।

অথবা সেজন হয়ত এমন দিনভর রোজা রাখে

সারাটি রাত্র নামাযে নামাযে দাঁড়ায়ে সেজন থাকে।[1]

.

বিস্তারিত»

ঘুমোবার পর

এভাবেই স্বপ্নে বাঁচে আমাদের খামখেয়ালী
আমাদের আদর পাওয়ার তুমুল দাবী
এমনই সোহাগ কুড়ায় পৌষের দীর্ঘ ছায়া
বিকেলে উদাস হওয়ার গোপন চাবি।

এখানে কেউ ছিল না,এখন সবাই আছে
আমাদের ভুলগুলো সব রঙিন তুলো-
হাওয়াতে উড়িয়ে দিলেম,তবুও স্পর্শ পেতে
আবারও বুকের ভেতর হুলুস্থুলো!

আমাকে জড়িয়ে ধরো,গালে খাও আলতো চুমু
সারাটা বিশ্ব যেন হিংসা করে
প্রতিরাতে ঘুম পাড়ানো,সকালে জাগিয়ে দেয়া
এত সব নিয়ম কানুন এই শহরে!

বিস্তারিত»

আবেশ…


ঘুমিয়ে জাগো,ঘুমিয়ে আঁকো
ঘুমের বুকে ঘুমিয়ে থাকো।
স্বপ্ন বুকে, স্বপ্নে বাঁচো
স্বপ্ন বুকে স্বপ্ন আঁকো।
রংধনুকের রঙে রাঙো
রাঙিয়ে ভুবন লাজ ভাঙ্গো;
বদ্ধলোকের দুয়ার ভাঙ্গো।


আঁধারে ছিল ছেয়ে বিশ্বচরাচর,
সেই আঁধারে লুকিয়ে ছিল হৃদয়খানি তার।
চোখের আলো সে তো কারো নয় যে আপনার,
মনের আলো জ্বেলেই ফুটুক প্রভাত আজিকার;
ঘুচিয়ে আপন পর।

বিস্তারিত»

কতিপয় মাছের আত্মকাহিনী

আয় না সখী,
অপলক পেট পেতে দি’
ভেবে আর লাভ হবে কি।
বরফের শয্যা পাতা
জালে পড়ার দিনটি থেকে’
আমাদের রক্ত দেখে
কারুর আর
বুক কাঁপে কি
বরফের মন গলে কি!

শ ওয়াটের দেঁতোহাসির
মাছব্যাপারী হাঁকছে দ্যাখ্‌
হেঁ হেঁ আসুন স্যার
মাননীয় ধর্মাবতার
রূপোলী পেটের বাহার
পাবেননা এমনটি আর
বাজারের অন্যকোণে।

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৪

চরাচর অন্ধ করা আলোয়
শাখা-প্রশাখায় ওই একবার।

একবার চমকে উঠেই
দুনিয়া বধির ক’রে
নিকষকালো মেঘের থেকে
হুড়মুড়িয়ে

বিস্তারিত»

হে প্রেম,আমি পুরুষ ও ঘর্মাক্ত হবো

হে প্রেম,আমি পুরুষ ও ঘর্মাক্ত হবো
আমি শক্তিশালী যুবক হবো,জটাধারী সন্যাসী নয় আর
আমার বুকে রক্ত হবে উষ্ণ ও সুগন্ধময় লোবানের মত
আমার বাহু হবে পেশল,আমার পেশী হবে সুদৃঢ়
হৃদপিন্ড হবে লক্ষ বছর তপস্যাব্রত সাধুর ন্যায় চরম তিতীক্ষার
হে প্রেম,আমি বঞ্ছিত হবো না আর
কেউ কেড়ে নেবে না আমারই মুখের গ্রাস
আমার পূর্ব পুরুষের নিন্দা করে কোন জালিম শাসক
পালাতে পারবে না অক্ষত
আমারই মাথার উপর ছড়ি ঘোরাবে না কোন জাতশত্রু
প্রয়োজনে,হে প্রেম,আমি প্রয়োজনে হত্যাকারী হবো
যে রকম খাদ্যের অন্বেষণে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা করে সুচিত্রিত চিত্রাহরিণ
আমি তেমনই সুন্দরকে অন্ধ করে দেব ব্যক্তিগত ক্রোধে!

বিস্তারিত»

পদ্মাপাড়ের মেয়ে (Sands of Dee এর অনুবাদ)

পদ্মাপাড়ের একটু দূরে থাকতো যে রহিমা
‘গরুগুলি তুই ঘরে নিয়ে আয়’ – বলিলেন তার মা।
রহিমার ছিল টানাটানা চোখ- ঘন কালো তার চুল
ভুল করে সে তো আসিয়াছে হেথা – সেতো স্বর্গের ফুল।
পদ্মাপাড়ে রওয়ানা দিল সেই যে রূপসী কন্যা
প্রকৃতির কোন খেয়ালে আসিল ভরা পদ্মায় বন্যা।

কোন সে খেয়ালে দখিনা বাতাস ভাঙলো যে আড়মোড়া
ভয়ে শঙ্কিত হয়ে ওঠে তার সুন্দর চোখ জোড়া।

বিস্তারিত»

?????


ফুটেছিল চাঁদ,ঘুচিয়ে বিষাদ-
মুছে নোনা জল,জেগেছিল সাধ।
ঘুমচোখে চেয়েছিল স্বপ্নেরা থাক,
জ্যোৎস্নাজলে ধুয়ে যাক সব অবসাদ।
স্বপ্ন দেখাই হল কাল;
ঘোর অপরাধ।।

ঝরে পাতা ,ঝরে ফুল
হয়েছিল দেখা,সে কী মনের ভুল?
বয়ে যায় সময়,বয়ে যায় নদী
এ কোন মায়ায় জড়ালে নিধি!
ভাবি অনুক্ষণ,প্রতিক্ষণ;ভাবি নিরবধি;-
হারায়ে ফেলি যদি!

বিস্তারিত»