প্রেম করেছিলাম দুজনেই
কিন্তু,ছ্যাকা খেয়েছি একা
গতকাল রাতে ফোনে বলেছে
দেবেনা আর দেখা।
আমার প্রেম নাকি খুবই সস্তা
তারটা ব্যাপক দামী
নতুন একটা খুজে পেয়েছে
তাকেই বানাবে স্বামী।
প্রেম করেছিলাম দুজনেই
কিন্তু,ছ্যাকা খেয়েছি একা
গতকাল রাতে ফোনে বলেছে
দেবেনা আর দেখা।
আমার প্রেম নাকি খুবই সস্তা
তারটা ব্যাপক দামী
নতুন একটা খুজে পেয়েছে
তাকেই বানাবে স্বামী।
আমাকে দাও কাউকে যে রঙ দাওনি আজো
পাখির পালক,নরম তুলি চাই না আমি
বৃষ্টিজলে ভেজানো হাত,হাতের আদর
অন্ধকারে গন্ধরাজের মাতাল সুবাস
চাইনা কিছুই,
সম্প্রদানে সব দিয়ে দাও যাকে খুশি
মেঘলা দিনে রবীন্দ্রনাথ,চাঁদনি রাতে গান শোনানো
থুতনিতে ঘাম বিন্দু ফোটা কৃষ্ণচূড়া লাল ভেজানো
তালপাখাটায় বাতাস পাবে যে কোন কেউ
আপত্তি নেই
আমার কেবল ছোট্ট দাবি
মধ্যরাতের রংধনুটা কেবল আমার
ইচ্ছেমতো ভেঙ্গেচুরে রঙ মেশাবো তোমার হাতে
আচলে মেঘ ধূসর,কালো,ফরসা,হলুদ স্বচ্ছ নীলের
গোপন তিলের সবখানি প্রেম একলা আমার
আমাকে দাও,আমাকে দাও যেটুক আমার পাওনা ছিল।
কায়া তার পুঁজি।
বিশ্রামের সময়ের
অভাব নেই খুব একটা,
তাও যেন
ক্লান্তি মনের, ছড়িয়ে পরেছে
মাংসের প্রতিটা পরতে পরতে।
সুখ কিংবা অ-সুখ নিয়ে
ভাববার বিলাসী মন
সেই কবেই বিদায় নিয়েছে,
বহু চেষ্টাতেও
মনে করতে পারে না সে।
জীবনের চাইতেও
পেটের আগুনে বড্ড জ্বালা।
তাই যতদিন আছে
এই গতরখানা
সচল আর মসৃণ
অকেজো করে রাখার দরকার কি?
গতকাল ছিল গায়ে হলুদ
আজ তোমার বিয়ে।
ভেবনা আমি মেনে নিয়েছি!
প্রেম করবে একজনের সাথে
আর বিয়ের সময় আরেকজন??
আমি একটা পিস্তল ভাড়া করেছি
তোমার বরকে গুলি করব
অবশ্য মেরে ফেলব না।
ওর ডান হাতে গুলি করব।
আজীবন লুলা বরের সাথে ঘর
ভাবতে ভালই ঠেকছে আমার।
পুলিশের লাঠি দেখেছ?
ইয়া বড়,
খেয়া নিয়ে রইবো বসে বৈতরণীর ঘাটে
রাখবি কি তুই আমার তরী’য় পা?
নইলে আমি নির্বাসনে যাবো অচিন দেশে
তোর স্মৃতি সব ফেরি করে শিমুলতলীর হাটে
দুঃখ যত ঋণ করেছি বুকে
থাকবি কি তুই সর্বনাশী দুঃখগুলো ঘেষে?
জোৎস্না রাতে বসবো একা নীলফড়িংয়ের মাঠে-
আসবি সখী ভাঙতে আমার মান?
ফেরার বেলায় স্বপ্ন যত বলবি আমায় হেসে?
সোনার হরিণ
স্বপ্নদ্রষ্টা
সোনার হরিণ ছুটে গেছে
কে দেখেছিস ওরে,
সবাই ছোটে তাহার পিছে
সোনার হরিণ পাবার তরে।
হেথায় খোঁজে হোথায় খোঁজে
কোথাও নাহি মিলে
সারাদিনে কাহিল হল
হতাশ সবার দিলে।
অবশেষে শ্রান্ত সবাই
ক্লান্ত হতাশ মনে
না পেলে আজ কি আছে
খুঁজবো আবার মনের বনে
এ ভাবতেই মাস গেলো
এই ভাবতেই বছর
এ ভাবতেই সব হারালাম
তবু নাহি হলো তাহার গোচর
আসল কাজে নাহি মোরা
মরীচিকায় ছুটি
আসল কাজে ছেড়ে সবাই
মরীচিকায় খাচ্ছি লুটোপুটি
এখনো সময় আছে
ভেবে দেখ ওরে গাধার দল
আসল কাজে সময় দিলে
পাবি তাহার ফল
সে ফলেই দেখবি তোরা
সব রয়েছে মিছে
সোনার হরিণ সে তো কোন ছার
ওরে তোদের কাটবে অমানিশে।
[সেদিন বীথোফেনের সিম্ফনি ৩ শোনার সৌভাগ্য হয়েছিলো বিশ্বখ্যাত Cleveland Orchestra-র পরিবেশনায়। পরিচালনা করছিলেন ফ্রানজ ওয়েলসার মোস্ত্। এই সিম্ফনিটি Eroica নামেও পরিচিত। নেপোলিয়নের বীরত্বকে উৎসর্গ করার উদ্দেশ্যে এটি রচিত হয়েছিলো, যদিও পরে আর তা করেননি বীথোফেন। তাই (H)eroica নামকরণ।অপূর্ব এই সিম্ফনিটি সম্পর্কে বিস্তারিত যে কেউ জেনে নিতে পারবেন একটু সার্চ করলেই। আপাতত শ্রবণকালীন অনুভূতির কিছু টুকরো এখানে তুলে ধরলাম, আমার মতো করেই। লিংকটিতে গিয়ে সুরটি চালিয়ে নিয়ে পাঠ করতে অনুরোধ করছি।
বিস্তারিত»২০০৩ সালের ২৩শে ডিসেম্বর, কিছুদিন আগে বিজয় দিবস হয়ে গেছে কিন্তু মন থেকে সেই স্মৃতি বা চেতনা তখনো যায়নি। তাই সেদিন বসে গিয়েছিলাম কবিতা লিখতে। কবিতা লেখার কোন জ্ঞান আমার ছিল না। মন থেকে যা ভাল মনে হয়েছিল তা দিয়ে ছন্দ মেলানোর একটা চেষ্টা করেছিলাম আরকি। যাইহোক আমার কবিতার ভুলগুলোকে পাঠকরা দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। তো কবিতাটা ছিল এমন………………
বিস্তারিত»বন্ধ ঘরের অন্ধকারে আসবে আলো
ওরে আমার চোখের তারা কে নিভালো?
……………
বীভৎস এ মরূর বুকে ফুটবে যে ফুল
জুঁই চামেলী হাস্নাহেনা গোলাপ বকুল
সেই ফুলের গায়ে লুটিয়ে পড়ে হাসবে আলো
ওরে আমার চোখের তারা কে নিভালো?
………………….
শুকিয়ে যাওয়া নদীর বুকে বইবে যে জল
(সেই) নদীর বুকে ঘুমিয়ে আছে সাগর অতল
(সেই) নদীর গায়ে গা মিশিয়ে ভাসবে আলো
ওরে আমার চোখের তারা কে নিভালো?
একবার এক পথের কুকুর মাংস করিয়া চুরি,
ভাবিতে লাগিল, চুরির কাজেতে নাই তার কোন জুড়ি।
পথে যেতে যেতে সেতুর পাশেতে পানিতে দৃষ্টি পড়ে-
তার মত এক চোরা-মুখো মুখ জীব পানির ওপাড়ে।
সহসা ক্ষোভের গরম আগুন বয়ে গেল তার মাঝে-
তার মত আরো লোকও কি আছে চুরির এই চারু কাজে?
পেতে যদিবা সে পারত আরেক মাংস টুকরাখানি,
করে বা একটু রক্তারক্তি একটুকু হানাহানি।
আজকাল আমার মন কেমন করা অসুখ হয়েছে
অসুখ তো সুখ,যখন তখন
বুক চিড়ে বের হয়ে আসে সুদীর্ঘশ্বাস
যখন তখন মনে পড়ে বাল্যস্মৃতি
অতীত থকে কষ্ট এনে বুকের উপর পারদ জমাই
পারদের মতো অস্থির তুমি,বুকে খেলা করা তোমারই মুখ
ইচ্ছে করে যখন তখন তোমার চোখে ওষ্ঠ ছোঁয়াই
কষ্ট হয়;যে কারণে বুকের ভেতর খাঁ খাঁ,ফাঁকা-তাই বুঝি না
দূরে থেকে তোমায় কেমন অচেনা লাগে,চিনতে পারি না
মাঝে মাঝে কেমন একটা স্বপ্ন দেখি,হ্যালুসিনেশনঃ
হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় যে তুমি আমার উঠোনে দাঁড়ানো
আমার দিকে চেয়ে তুমি হাসছো,দেখছো-সেই যে তুমি
আমি জানি তা মিথ্যে,তবুও দেখার সময় ভুল বুঝে যাই
সত্যি যদি তুমি একবার এসে আমার জানালায় দাঁড়াও
বিশ্বাস করো,আমার সেদিন অশ্রু হবে না,কান্না হবে না
আমি কেবল তোমার অমন আকুল করা হাসিটা নিয়ে
খুব মায়াময় রূপোর ফ্রেমে বাঁধিয়ে আমি বুকে রাখবো
তোমার ঠোঁটের হাসিটা আমি আঙুল দিয়ে টেনে আনবো
হা হা হাসি,খাঁ খাঁ শূণ্য
তুমি আমার মৃত্যু অতীত জানোনা নারী,কেমন ব্যথা
বিষন্ন বিষ,নীল করে দেয় আমার সর্বশরীর জুড়ে
চোখে আমি ঝাপসা দেখি,তুমি আমার সুদীর্ঘশ্বাস!
আশ্বিনের বর্ষা বিকেলে তোমাকে আবার মনে পড়ে
নির্বোধ প্রেমিক..!
ভুলতেও পারে না কৃষ্ণমেঘের গোপন অশ্রুধারা,
রোদঝরা দুপুরে গুমোট মেঘের মতো যুবতীর মুখখানা দেখে
একবার বর্ষণ হয়েছে দস্যুছেলের প্রস্তর রাজ্যে
মার্বেল চোখদুটো ছলছল করেনি
তবে স্বপ্নকুমারের ভাংগা স্বপ্নগুলো ঝনঝন করেছে
হাজার মানুষ- সেই মানুষের হাজার রকম শখ
কেউ হতে চায় প্রকৌশলী কেউ বা চিকিৎসক।
আমার কেবল একটা চাওয়া- মানুষ হতে চাই
মানুষ হওয়ার জন্যে আমি মানুষ খুঁজে যাই।
মানুষ হয়ে জন্ম নিলেই যায় না মানুষ হওয়া
মানুষ হয়েও তাই এ আমার নিঃস্ব হয়ে রওয়া।
মানুষ হয়ে জন্ম তো হয় মানুষ হওয়ার তরে
মানুষ হওয়ার স্বপ্ন কবে জাগবে ঘরে ঘরে?
পাঠ্য বই ছাড়া শুধু নুপুরদা আর জিতু আপুর লেখা কিছু কবিতা – ব্যাস……এই আমার কবিতা পাঠের ইতিবৃত্ত । তাই কিছু লিখতে গেলে খুব ভয় হয়……ছন্দ, অন্তমিল, মাত্রা……কত কী সব আছে যেগুলো কোনদিন ভেবেও দেখিনি । আবার ভাবি……এটা তো আমার ব্লগ । আমাদের ব্লগ । এখানেই যদি মনের কথা না বলি…তাহলে আর জায়গা কোথায় ??????? তাই কিছু মনে হতেই আবার কী-বোর্ডে হাত রাখলাম
ধ্বক….ধ্বক……..ধ্বক….উহ !
বিস্তারিত»আমায় আর কেউ না দেখুক,জানি তুমি দেখছো ঠিকই
আমার বুকের রক্তফেনা তুমি জানো অলৌকিকই
যে ঘুড়িটার সুতো ছিঁড়ে উড়ে গেল মুক্ত হাওয়ায়
কী প্রবল তৃপ্তি জানো,ঘুড়িটা ফের ফেরত পাওয়ায়!
শিউলী বোঁটা ঘসে হলুদ রং করেছি আমার দেয়াল
এ কেবল তুমিই জানো,আড়াল থেকে রাখছো খেয়াল!
অনেক ভেবে দেখলাম আমি এই যে জীবন চারিপাশে
সেগুলো সব নষ্ট হলে কীই বা এমন যায় বা আসে
তাই এবার ঠিক করেছি অসৎ যত নষ্ট ঘুণে
সরিয়ে তাকে পালিয়ে যাবো অনেক দূরের নির্বাসনে
হে দয়াময় ক্ষমা করো ভুল যা ছিল পাপ অপরাধ
আমায় তুমি মুক্তি দিও;পারিনা আর এই অপবাদ
সইতে ভীষণ কষ্ট জানো,এই হৃদয়ের পাপের গ্লানি
তুমিই কেবল মুছতে পারো-আমি কেবল তোমায় জানি!