সুনীল সুখ ও রূপোলী দুঃখ

আমি সুনীল সুখ ও রূপোলী দুঃখের কথা বলি
দুপুরের মেঘে ভেজা ফসলের মাঠ
ঘাস ও ঘাসফুলে মৃদু চারুপাঠ
বাতাসের কথা বলি
আকাশের কাছে প্রার্থনার ভঙ্গিতে মাথা নিচু করা
বটবৃক্ষের নাম লিখে কেটে ফেলি বারবার
লজ্জাবনতা ডেওয়ার গাছ মুখ নিচু করে জলের গায়ে
নিজেকে দেখে
আমি তার ও তার স্তনরূপ ফলের স্তাবক করি
মানীকে হীন করি না,হীনকে জানাই না সংবর্ধনা
গভীর রাত্রে ঘুম ভেঙে জেগে উঠোনে হাটি
বিড়বিড় করে পাঠ করে নেই বিপুল আঁধার
আঁধার কাব্য
জোৎস্না আমাকে কটাক্ষ করে,মুখ ঘুরিয়ে নেয়
আমি হাসি,হা-হা,কোন মঞ্চে যেন জোকস শুনেছি
ডাইনী আমাকে মারতে আসলে চোখ টিপে দেই
সে তো হতবাক
আমি কারুকে আঘাত করি না,এর মানে নয় আমি ভালো লোক
এ হলো আমার দুর্বলতা
তবে ঠিক ঠিক মানুষের মতো রাগ জমে আমার
সাগরের কাছে নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইবার ইচ্ছে আছে
কতদিন আমি সাগরের খুব কাছে যাই নি
হাসিতেও বেদনা ছড়ানো যায় একথা আমি আগে শুনি নি
সম্প্রতি জেনে আয়নার সামনে দাড়াতেই কেমন কান্না পেলো
আমার কোন কবিতায় আমি ব্যাক্তিগত দুঃখ লিখি না
এমন একটি কবিতাও নেই সুখের দিনে কাঁদতে পারি
আমি ব্যর্থতম কবি!

বিস্তারিত»

ভুল উপদেশ

কথা ছিলো ঘর থেকে বেরিয়ে
হাজার মাইল হাঁটবো।।
এ পথে আমার সঙ্গী-সাথীরা
বেরিয়ে গেছে অনেক আগে।
আমাদের এই ঘরে ছিলেন
জনাকয়েক দাঁড়ি গোঁফ পাকা গুরুজন।
এ পথ ধরেই তারা গিয়েছিলেন
এবং
ফিরেও এসেছেন।
তাদেরই প্ররোচনায় আমার বন্ধুরা
এবং শেষান্তে আমি
ঘর ছাড়া হলাম।

গুরুজনদের কেউ একজন বলেছিলেন……
“এ পথেই এক ঝর্ণা নেমে আসে
তার স্রোতধারার পরে
নেচে নেমে আসে অসংখ্য জলপরী
তারা দু’মুঠোয় ভালোবাসা বিলায়”
কিন্তু
তিনি আমাকে এক চিমটি
ভালবাসা নিয়েই
আবার চলতে বলেছিলেন।

বিস্তারিত»

জনৈক মুক্তিযোদ্ধা বলছি……

সিগারেট চায়ের মিশ্র চুম্বনে
যে জ্বালা চোখে জল আনে-
মাথার ভিতর ফাঁপা কোন স্বরে
ডেকে যাওয়া এক দেশের নামে,
কলমের ডগায় না বলা কথা-
কাগজের বুকে ফেরি করা, এক মিথ্যে ফেরিওয়ালা-
প্রাণের কাঁদন যে সুরে হয়ে যায় গান
এই পাতা ঝরার মৃত সেই সুরে, শুধু হতাশা-
ভাঙ্গাচোরা-পোড়া এই দেশটার তরে,
আমি হৃদয় পেতে দেই, সব ব্যথা নিয়ে নেই পাঁজরে।।

বিস্তারিত»

পূর্ণ কর হাতখানি মোর

পূর্ণ করে দাও গো আমার শূন্য দু’টি হাত

দাও করুণা- দাও মমতা-দাও গো মাগফেরাত।

পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে  বাঁচব বল কোথায় গিয়ে

কার দুয়ারে গিয়ে বল পাতব আমার হাত?

দাও করূণা দাও মমতা দাও গো মাগফেরাত।

বিস্তারিত»

আমার ছোটবেলার কবিতা – মানসী

আমার মনে কোন গহনে
অচিনপুরের কোন সে বনে
আমার আমি চুপটি করে থাকে
এই আমি না
ওই তুমি না
এই জগতের আর কেউই না
সঠিক করে চিনতে পারে তাকে
আমার আমি চুপটি করে থাকে।

  • *  *  *

কেউ তো তারে চিনতে নাহি পারে
হৃদয় দুয়ার নাড়া দিয়ে
এদিক ওদিক ঘুরে গিয়ে
যায় ফেলে যায় আমায় বারে বারে।

বিস্তারিত»

প্রেম-যুদ্ধ-সুখ-২

ভালোবাসায়
সুখ যে নারীর,
তাহার চুড়ির ,
জরিগুলো
মাখবো মুখে
থাকবো সুখে।

সুখ ফুরোলে
যুদ্ধ এলে
দেশের ডাকে
রেখে তাকে
যুদ্ধে যাবো
কাঁদবে না সে
ভালবাসায়-
বাঁধবে না সে

যুদ্ধ শেষে
ফিরে এসে
দেখবো তাকে
আমায় দেখে
মুখ লুকোবে
আমার বুকে।
থাকবো সুখে!

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৩

ভোরের প্রতীক্ষায়
শুধু একেলা
থাকো প’ড়ে
হা চোখে,
আড়াআড়ি দুহাত
সারারাত
বালিশের এপাশে

স্বপ্নে কারা যায় আসে,
জানবে বলে
ঘুমোবার বেলা
একবার কেবল
সংগে নিতে
জানালে অনুনয়

মুচকি হেসে
ও শুধু বলেছিলো,
না রে
সে তো হবার নয়
কেউ বুঝি চশমা পরে
ঘুমোবার সময়!

উৎসর্গঃজিতু।যে সন্দেহ করেছিলো আমার চশমায় নির্ঘাত কোন প্রবলেম আছে।

বিস্তারিত»

সন্ধ্যা

ফিরছে পাখিরা তাদের আপন নীড়ে
সন্ধ্যা আসছে নেমে নদীর তীরে।
ক্লান্তিতে নুয়েছে সব গাছের পাতা
রঙ্গিন বসুধা মেলেছে গোধুলির খাতা।
আধো আলো আধো কালো আর আধো ছায়া
নদীর স্রোতে জেগেছে এক অপরূপ মায়া।
নীলাকাশ ছেয়ে গেছে আগুনের লালে
সেউতি জ্বলছে যেন ঢেউয়ের জলে।
নিশাচরেরা উঠছে জেগে পাতার ফাঁকে
পালের নৌকা ভিড়ছে তটিনীর বাঁকে।

সন্ধ্যাটা যেন এক  স্বপ্নীল আভাস
তীরেতে বইছে হিমেল ফাগুনের বাতাস।

বিস্তারিত»

এই যে দেখো,এই যে শোনো ঝড়োশ্বাসী বুকের কষ্ট

এই যে দেখো,এই যে শোনো ঝড়োশ্বাসী বুকের কষ্ট
গর্ভবতী মাঠের ফসল
ঘূর্ণিমায়া পৃথুল নারী
মন উচাটন হীরের টুকরো কালিমাময় সুখের কষ্ট!

এই যে দেখো,এই যে শোনো রাত্রি জাগা পুরুষ মানুষ
অন্ন-ক্ষুধা তীব্র মারী
আলোর বন্যা আ’ল সমতল
মানুষ নিজেই মারছে মানুষ,ছড়ায় আগুন,রক্ত ফানুশ!

এই যে দেখো,এই যে শোনো কেমন কেমন হচ্ছে লড়াই
এক পাশে তার ঢাল তলোয়ার
কামান বারুদ সবই আছে
অন্য পাশে নিঃস্ব মানুষ লড়ছে কোনো অস্ত্র ছাড়াই!

বিস্তারিত»

আমি আছি….

জেনো, এই আমিই..
তোমার মাঝরাতের,চোখ পালানো ছন্নছাড়া-ঘুম।
জেনো, এই আমিই..
তোমার কপোলে,নীল জোছনার নিষ্পাপ-চুম।

খুঁজে পাবে আমায়..
তোমার জানালায়, আর ওই খোলা-বারান্দায়।
খুঁজে পাবে আমায়..

বিস্তারিত»

চুমু-সংক্রান্ত

ঘাসে ছুঁড়ে ফেলে
দুপদাপ চলে গেছে
বলে কেমন তিরতির
কাঁপে দেখো,
তবে কি অভিমান মানে
ওই আধখাওয়া পেয়ারা?

সবুজ চিবুক ঘিরে থাকা
দাঁতের আধখানা-বৃত্ত

বিস্তারিত»

অসংঙ্গায়িত…

দীর্ঘ সময় ধরে শুনছি
জলপ্রপাতের অন্যরকম শব্দ

ছিমছাম পাহাড়ী সন্ধ্য্যায়
পানি পড়ার ছেড়া ছেড়া শব্দ

আমি শব্দ দিয়ে সংজ্ঞা দিতে পারি নি
জল পতনে বাতাস কাপার শব্দকে

বিস্তারিত»

ফুল ও নারী

নারী
ফুল

নারী ফুলের মতো

ফূল চারপাশে পাপড়ি ছড়ায়
সুবাস ছড়িয়ে হাসে-
-অনাবৃত হাসি

বিস্তারিত»

প্রলাপ-২

ছাইরঙা মেঘের ভেতরে মাথা গুঁজে দালানগুলো সব দাঁড়িয়ে, আত্মহননের প্ররোচনা নিয়ে কোথাও কোথাও দুয়েকটা জানলা কি বিপজ্জনকভাবে খোলা যেন বৃষ্টি এলেই টুপটাপ লাফ দেবে বিমর্ষ শহরবাসী! নীচে রাস্তায় লালবাতি-ভাবনায় জমে গেছে যানবাহনের ঢল। বিষাদের সবথেকে পলকা ভারটুকুও সরাতে না পেরে রাশভারী ক্রেনটি শেষমেশ ঘাড়কাত ক’রে দূরে বিজ্ঞাপনের হাসিমুখ দেখে খুশি হবার ভান করে…..

শেষে বৃষ্টি নেমে এলে জেগে ওঠে হাউজিং এর বিজ্ঞাপনী বনাঞ্চল,

বিস্তারিত»

প্রলাপ

তোমার বাহুমূল, পিঠের দু’পাশ থেকে
রক্তের ফোঁটাগুলো
গড়িয়ে
এলোমেলোভাবে
নেমে
যেতে
যেতে
ফুলে পরিণত হয়ে গিয়ে
ভেতরে ভেতরে যদিও
উসকে দিচ্ছে যাবতীয় আগুন,
বারংবার বারংবার
তবু চিৎকার করে চলেছি

ডানা-কাটা-পরীদের আমি দু’চোখে দেখতে পারিনা……

বিস্তারিত»