ফাগুনের হাওয়ায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারি নি আমি ,
রিক্ততার বেদনায় অশ্রুপাত শেখেনি আমার দু’নয়্ন ;
হারিয়ে গিয়েছি বারবার ছায়া নামের মিথ্যে আলোতে ।
তোমার ধৃত স্বপ্নের রাজপুত্র হতে দাওনি তুমি ,
মাঝে ফিকে হয়ে যায় ভুলের নেশা মেশানো স্মৃতি ।
পরিত্যক্ত ভালোবাসা
পরিত্যক্ত ভালোবাসা
বিক্ষিপ্ত রংগুলো ছড়িয়ে পড়ে –
খয়েরী আকাশ হঠাৎ আঁধারে ছেয়ে গেল ।
আমার সত্তার বিপরীত অস্তিত্ব আড়মোড়া ভেঙ্গে
দাঁড়িয়ে থাকে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ।
ঘৃণা অথবা ভালোবাসা –
কোন অনুভূতিই আজ আর বিক্ষিপ্ত নয় ,
শুধু জানি আমার ভালবাসা মিথ্যে ;
মিথ্যে অনুভূতির বেড়াজাল –
ছিঁড়তে ব্যর্থ হই বারবার ।
পাশবিক ভালবাসার মিথ্যে ভাবাবেগ ।
জনৈক ভাষাসৈনিক বলছি
জনৈক ভাষাসৈনিক বলছি
অন্ধকার গোরস্থান থেকে বলছি –
আমি এক নির্বাসিত পথিক ,
আমার এই রক্তে এখনও তাজা বারুদের গন্ধ ,
তাজা বুলেট এখনও বিঁধে আছে বুকে ।
রুদ্ধ কবর থেকে বলছি –
আমি এক বেওয়ারিশ মুর্দা ,
বুলেটের তরঙ্গে কম্পমান ভারি বায়ুস্তর থেকে
আমার দরাজ কন্ঠ ভেসে আসে ;
আমার দেয়া দৃপ্ত স্লোগান কি এখনো ভেসে বেড়ায় ?
কবিতা লেখা বন্ধ হয়েছে
তুমি আর কবিতা লিখবেনা ,
তোমার কাব্য প্রতিভা বন্ধ হউক এ মুহুর্তেই ।
নয়তো ওরা আসছে –
তো্মার হৃৎপিন্ড খাবলে ছিঁড়ে ফেলবে ওরা ,
তুমি বরণ করবে নগ্ন চাপাতির ৮টি আঘাত ,
নির্ঘাত মৃত্যু হবে তোমার –
হয়ত দিনটি আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ;
বাংলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনে ।
হুমায়ুন আজাদ কে কি মনে পরে তোমার ?
বিস্তারিত»দিনবদলের স্বপ্ন
আবার আমিঃ নতুন ছুটি নতুন কথা
এসে পড়েছি আবার! অনেক লেখা জমে আছে, পড়াও অনেক… সব্বার দোয়া চাই!
বিস্মৃতি
তেপান্তরের দূর্গ মাঝে
কঠিন কারাগার
চারপাশে তার কঠিন সাগর
নেইকো পারাপার
কোন সে পাষাণ সূখ দেবতার
বন্দিনী রাজকন্যা
সূখের মায়ায় ভিলিয়ে দেয়া
মনের আনাগোনা
মিথ্য সুখের অন্ধ মোহে
বৃথাই ছোটাছুটি
মিথ্যে হাসা, গল্প বলা
মিথ্যেই খুনসুটি
আজকে তারও পড়েনা মনে
যুগান্তেরও আগে
ভুলিয়ে দেয়া সুখের স্মৃতি
স্বপ্ন মতন লাগে
সেই কন এক রাতের স্মৃতি
বাঁধভাঙা সেই চাঁদ
ভালোবাসায় ছুঁয়েছিলো
অচেনা এক হাত
একটি দুটি কথায় কথায়
হাজার কথা বলা
মনের মাঝে জট পাকানো
দুঃখগূলো খোলা
চোখের পরে রাখতে আঁখি
পরাজয়ের গ্লানি
তবুও সেই উষ্ণ আবেগ
আপন কতোখানি!
অজানা
আমি ধরিনি তোমার হাত
কিংবা ছুয়ে দেখিনি তোমার চুল,
আমি বসিও নি তোমার পাশে
ও চোখে চোখ রাখার সাহস আমার নেই ।
কখোনো হবেও বলে মনে হয় না !
প্রতিদিন এই আমি…
প্রতিদিন একটু একটু করে অনেকটুকু ঘুমাই
স্বপ্ন দেখিনা…
সারাখন বসে কেবলি ভাবনা বিলাস; কাব্য করিনা
প্রতিবার ভাবি ছেড়ে দেব, বদঅভ্যাস যত্তসব
ছেড়েও ছাড়িনা
একছুটে ঘর পেরিয়ে বারান্দায়, পালাতে চাই
গ্রিলের খাচায় আটকে রই…পথ যে অজানা
প্রতিদিন একটু একটু করে মুটিয়ে যাই,
হাটতে চাইনা
বড় হতে চাই, বুড়ো হতে চাই না ।
সিগারেট ছাইদানি ছেড়ে দেব সব…তবু ধোয়া বাড়ে
মৃত্যুঝুকি কমেনা
পথ পেরিয়ে পথে যাব ভাবি,
সেলাই#৩
বিকেলের আলোমাখা টেবিলে আমরা দুজনে বসে
তোমার খয়েরি চোখের গাঢ় কাজল দেখলাম
চোখের পাঁপড়িগুলো নেই
(কেউ এসে তুলে নিয়ে গেছে)
ডান চোখের কিনার থেকে লাল ঠোঁটের প্রান্ত অবধি ছুরি দিয়ে চিরে দিয়েছে কেউ
ঠোঁট থেকে হাসির কিছু টুকরো কণা চোখের দিকে সিঁড়ি ভেঙে উঠে যাচ্ছে
তোমার কষ্ট লাগছে। তোমার ব্যথা লাগছে। তুমি হাসছো না। তুমি কাঁদছো না।
আসো আমরা এদিক-ওদিক তাকাই।
বিস্তারিত»অন্ধকারের উপাসনা
আলোর মিথ্যাচারীতায় ক্লান্ত আমি এখন
অন্ধকারের উপাসনা করি ।
চারপাশের আলো ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসে,
রঙ্গিন থেকে সাদাকালো……অতঃপর শুধুই নিকষ কালো ।
আমি প্রার্থনা জানাই অন্ধকারের দেবতার কাছে –
খানিকটা রঙের আশায় ।
আরেকটু রাত হোক
এখনি কি গান তুই শুনবি গোঁসাই? আরেকটু রাত হোক,
দূরের বিলের বুকে আলবোলা ভূতেরা জ্বলুক।
ছাতিমগাছের ডালে ডাহুকটা কেঁদে কেঁদে থেমে যাক।
ফ্যাঁকাশে রাতের মুখ নিকষ কাঁলচে হলে,
অক্ষমতা
আমি পাঁপড়ি ছেড়া ফুলের মত
বসন্ত আসার আগেই ঝরে যাই।
আমি শীতের শুকনো পাতার মত
ঝড় আসার পূর্বেই উড়ে যাই।
আমি মেঘের গায়ে ধূলোর মত
বৃষ্টি নামার আগেই পড়ে যাই।
শিরোনামহীন
দুইটি যুগ পার করেও
আজ়ো আমি সাংগুর পাড় ধরে হাটছি
গন্তব্যহীন নিরলস পথচলা
আমি দুই যুগ ঘুমাই নি
আমি পৃথিবী দেখব
আমি পৃথিবীকে চিনব…
মন্দকাব্য (দুই বিঘা জমি)
উপেন কহিল, “বুঝেছেন রাজা , কিনে লও মোর জমি,
আমি একা একা, নাই কোনো দোকা
দুটো বিঘে জমি, প্রয়োজন নাই মানি।
ভাবি বসে বসে, ক্ষণে কেশে কেশে
যাব চলে কাশী, হব সন্যাসী।
প্রতিশোধ
আমি অতটা উদার নই ।
আমি বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
শেষ করব তোমার ভালবাসা।
পা দিয়ে পিষে ফেলব
তোমার মনের প্রত্যেকটি স্বপ্ন
প্রতিটি আশা।