কাল সারারাত ঘুমুতে পারিনি
ছটফট করেছি এপাশ ওপাশ
বিছানা ছেড়ে পায়চারি করেছি
মেঝেতে বসেও ছিলাম কিছুক্ষণ।
জানালা দিয়ে চাঁদ দেখেছি
কবিতাঃ সভ্যতা এক বেশ্যা মেয়ের মতো
সভ্যতা এক বেশ্যা মেয়ের মতো
শাড়ি তুলে দিয়ে দেখায় ফরসা উরু
বর্বর দেশে লোভ দেয় অবিরত
প্রলোভিত হলে কুঞ্চিত করে ভুরু!
অতঃপর তাকে ডেকে আনে নিজ ঘরে
আর চুপিসারে দ্বারে তুলে দেয় খিল
চোখে ঢেলে দেয় সকলের অগোচরে
মরীচিকাময় উজ্জ্বল লাল নীল!
এক ফাকে যত সম্পদ নেয় লুঠে
তখনো লোকেরা সভ্য হবার লোভে
চুমু খায় তার সভ্য লালচে ঠোঁটে
ততক্ষণে মেকী প্রেম উড়ে গেছে উবে!
জ্যাম
মোড়ের আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলে তুমি,
রাস্তা পারের আশায়,
মৃদু বাতাসে উড়ছিল মাথার চুল, বুকের ওড়না।
শহরের বাতাস প্রচন্ড গরম,
হলুদ হাওয়ার রাজপথ। উর্ধ্মুখী ছুটে চলা জীবন।
তবুও,
আশ্চর্য্য সজীব তোমার চারপাশ।
তোমাকে ঘিরে থাকা ভিখিরী, ট্রাফিক পুলিশ,
তোমার খয়েরী জামা, সোনালী ব্যাগ, হালকা রঙের লিপস্টিক
অথবা, পিছনের সবুজ পাহাড়।
বোকা মেয়ে,
বুঝতেও পারোনি তুমি,
পঁচিশে ফেব্রুয়ারী—-আমি কি ভুলিতে পারি?
কি ভাবছেন? আমি ভুল করে একুশে না লিখে পঁচিশে ফেব্রুয়ারী লিখেছি? উত্তরটা অতি শীঘ্রই জেনে যাবেন। আজ আমি সিসিবি তে প্রথম লিখছি….. তাও আবার বাংলায় ! আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে আমাদের এখানে একটি লোকাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্বটি আমার উপর ন্যস্ত হলো। কোরাসের জন্য বাছাইকৃত গানগুলো স্বহস্তে লিখার পর ফটোকপি করার দায়িত্বটিও আমারই উপর অর্পিত হলো। যখন “মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল”
বিস্তারিত»অনেকদিন পর কবিতা:হাত বাড়িয়ে কার হাতে ছুঁই……?
অনেকদিন পর কবিতা!কোচিং এর জন্য ঢাকায় থাকি।ঢাকায় আসার পর আজকাল কবিতা লেখা হয় না।কলেজে থাকতে সবকিছু খুব সহজ মনে হত,বিছানায় শুয়ে অলস কল্পনায় যা হয় আর কি!ভাবতাম পাবলিক লাইব্রেরিতে চলে যাব,আজিজ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করবো,লিটল ম্যাগে লিখবো!পড়াশোনার ব্যস্ততায় কিছুই করা হয় না।লেখক শিবিরের একটা পাঠচক্র ছিল গত সপ্তাহে,পোলাপাইন যেতে বলছিল…ক্লাসের জন্য যাওয়া হলো না!টি এস সি তে ভাইয়ারা আড্ডায় যেতে বলে…যেতে পারি না!সারাজীবন যে স্বপ্নগুলো দেখে আসছি,এখন হাতের কাছে রেখেও তার কাছে পৌছা হয় না!ভার্সিটির হলে থাকি,কোচিং করতে যাই ফার্মগেট…সারাদিনে কাজ এ দুটো ঘিরেই।অপরাজিতের অপুর সাথে জীবনকে মেলাবার চেষ্টা করি অবচেতনে।মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে লিখতে।দু’একটা লাইন হয়ত লেখা হয়…পরে আর আগানো হয় না!তবুও শেষ পর্যন্ত একটা লেখা হয়েই গেল!
বিস্তারিত»নারী
আমি নারী, গর্বিত তাই আমি।
আমি বহুরূপী বহু বর্ণা, যেন সরলা এক ঝর্না।
আমি মায়াবী, আমি রহস্যময়ী,
আমি মঙ্গলকামিনী দ্বীপান্বিতা।
আমি নারী,
তাই হতে পারি দূর্গা, কখনো কালী।
আমি লক্ষী, আমি বধু,
হতে পারি প্রেমিকা শুধু।
কখনো অকুন্ঠিতা, উদার… ঝরে যাই বৃষ্টির মত।
পরিপূর্ন হতে জানি নিজেকে নিঃস্ব করে।
আমি ভালবাসি, ভালবাসতে শেখাই।
বিস্তারিত»উদ্ভট
সারাদিন ছোটাছুটি
হাত ধরে হাঁটাহাঁটি
বসে থাকা পাশাপাশি
কখনো ঝগড়াঝাটি
অকারণে হাসাহাসি
স্বপ্নে মাতামাতি
কখনো বা হাতাহাতি
সময়ের নির্বিকার সাক্ষী
তীব্র আঘাতে নীল আমি চিৎ হয়ে শুয়ে আছি ভরদুপুরের এই ব্যস্ত
রাস্তায়। যেন এক অন্যলোকের বাসিন্দা আমি; চারপাশে হেঁটে
যাচ্ছে অজস্র লোক, খুব কমই চলছে তাদের দুপায়ের উপর
দৃপ্ত আত্মবিশ্বাসে, অন্য প্রায় সবাইকে কেমন উদভ্রান্ত বলে
মনে হয় শুধু। আর আছে সাধ্যমত নানা রকমের যানে চড়ে বসা মানুষ আর মানুষ, বড্ড তাড়ায় আছে হয়তো তারা।
আমি দেখেই যাচ্ছি শুধু…….
বিস্তারিত»বা
এক্স ক্যাডেট লাইফের প্রথম কবিতাঃ বৃষ্টি ও প্রেম ১
সেই পুতঃ প্রেম সাগর দোলায়
সেই পুতঃ প্রেম জানলা খোলায়
গ্রীলে ঠেকে মুখ,সে এসে দাঁড়ায়
বৃষ্টি ছুঁতে সে দু’হাত বাড়ায়
দু’হাত বাড়িয়ে জল ছুঁতে চায়
বৃষ্টিস্নাত প্রেম ছুঁতে চায়
বৃষ্টি জলের ঘূর্ণিমায়ায়
আজ কেন সে নীল ছুঁতে চায়!
জলে ভেজে গাল,কেন সে হাসে
জল চুমু খায় জানালার পাশে
তার ঠোঁটে হাতে জল ছুঁয়ে যায়
বৃষ্টির প্রেমে নীল ধূয়ে যায়
জলে ভিজে যেতে দুহাত বাড়ায়
কী নিবিড় হাসি চোখের তারায়!
আমি আর তুমি = আমরা
আজাদ ভাইয়ের পোস্ট দেখে আমার মনে পড়ে গেল যে ছোটবেলায় এরকম কিছু ছন্দ আমিও শুনেছিলাম। আজ আর কিছু লাগিয়ে দিলাম…….
আমি ছেলে তুমি মেয়ে
আমি কাজি তুমি বিয়ে।
আমি আয়না তুমি চিরুনি
আমি পোলাও তুমি বিরিয়ানি ।
আমি বাড়ী তুমি ঘর
আমি নদী তুমি চর ।
আমি চেয়ার তুমি টেবিল
আমি ডিজেল তুমি মবিল।
আমি ভাল তুমি পাগল
আমি গরু তুমি ছাগল।
কালপুরুষ
ক্লাস এইটে থাকার সময় হঠাৎ করে আমাদের ব্যাচের আকাশে ধূমকেতুর মত কতিপয় মহান কবির আবির্ভাব হল। তারা একেক জন একেক ডাইমেনশনের কবিতা লিখে বাংলার কাব্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। এদের মধ্যে রাসেল ছিল চারন কবি। যেকোনো বিষয় নিয়ে যেকোনো সময়ে খাতা কলমের ধার না ধেরে চোখের নিমিষে কাব্য রচনা করতে পারত আমাদের এই চারন কবি। জামান এবং হাসান ছিল সত্যেন্দ্রনাথ ঘরানার কবি, ছন্দ না মিলিয়ে তারা কোনো লাইন লেখাকে কবিতার অবমাননা মনে করত।
বিস্তারিত»স্নানপর্ব-৫
ভোকাবুলারিহীন দিনপঞ্জি
যেসব দিনে আমি হারানো বিজ্ঞপ্তির ভেতর থেকে খুঁজে খুঁজে দেখি কোন পুরনো বিলুপ্তিকে পাওয়া গেলো নাকি, সেসব দিনে আমার বুক ভেঙে যায়। সেরকম দিন মাদকতাময় এবং প্রান্তিক, আমি সেইসব দিনে ভারসাম্য হারাই
দেখি মহেঞ্জোদারোর মতো বিক্ষিপ্ত পোড়ামাটির হৃৎপেশী। কোন কোন দিনে ভুলে যাই যেসব ঐতিহাসিক পরাজয়, সেগুলো দিনক্লান্তির খোপে লুকানো শ্বাস। তারপরে শীতল একটা ঘরে ঢুকে পড়ি, সেখানে নির্বোধ মুখেরা আমাকে চেনে না।
বিস্তারিত»শেখ আলীমের হাইকু ৬
জীবনের চোরা গলিতে হাইকু খুঁজি
শব্দের জুয়া সারা দিনমান ছন্দ ধরেছি বাজী
হরতনের বিবির ফাঁদে রুহিতনের গোলাম।
———————————————–
সংসার করি সন্যাসে দিন গুনি
গীতা বাইবেল ত্রিপিটক পড়ি কোরানের বাণী শুনি
আদি ও অন্ত মানুষের ইতিহাস।
———————————————–
জোছনা মাতাল শ্যাম পীরিতি রাত
বিষের বাঁশী নোঙর কাটে কূল হারালো রাই
অথই গাঙের জলে নায়ের ছলাৎ।
———————————————–