আকাশে কালো মেঘ দেখে
চিৎকার করে উঠল আদম মালিক
-“বৃষ্টি হবে, বৃষ্টি হবে”
তিনশত বিঘা জমি পড়ে আছে রাস্তার ধারে
মঙ্গায় খেয়ে গেছে ধান
টানাটানি পড়েছে চারজনের সংসার
কালো মেয়ের জন্য ১৩ টি কালো গোলাপ
শোন কালো মেয়ে
তুলেছ ঝড় আমার মনে
কেন চলে যাও হেয়ালী চেয়ে
দুষ্টুমি হাসি লুকিয়ে।
যাও-না তুমি, যাচ্ছ চলে
আবার কেন মুখ ফেরালে
……”যন্ত্র মেয়ের মতোই যান্ত্রিক”..
উত্তাল প্রেমের ঢেউগুলো আমার হৃদস্পন্দন থামিয়ে গেছে
মন ভেসে গেছে অকাল প্লাবনে
কাজ নেই আর ভালোবেসে, সুর তুলি ভাটিয়ালী গানে
মরম সাধন খুঁজে ফিরি বেদনার বেশে
শ্যামা মেয়েও হয়ে গেছে যান্ত্রিক
এই যান্ত্রিক নগরে।
গুটিকয়েক অণুকাব্য
ডিস্ক্লেইমারঃ সাগরে পড়ে থাকায় সবসময় সিসিবিতে আসা হয় না।তবে, যখন সিসিবিকে ঝিমিয়ে পড়তে দেখি…নিজের কাছেই খারাপ লাগে :no: । আগের রেকর্ড বলে, আমি লেখা দিলেই ব্লগ সচল হয়…মনে হয় এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না!! ;;;
অঃটঃ ইদানিং ব্লগে একটা নতুন চল শুরু হয়েছে…সবাই অণুকাব্যের ভুল অর্থ করে। সেকারণেই, অর্থসহ-ই দিয়ে দিলাম!!! (ওরে, মুই কি হনু রে!! :awesome: )
১। রগরগে বই,
বিস্তারিত»যে নারীটি আমার ছিলো,আজ কেন সে অন্য কারো?
যে নারীটি আমার ছিলো,আজ কেন সে অন্য কারো?
আমার নারী অন্য কারো!
যে বিকেলে প্রাচীন ব্যথা আঘাত হানে মর্মমূলে
আজ কেন সে ভীষণ গাঢ়?
নিশিথ রাতে একলা পাখি হঠাৎ ডাকে তারস্বরে
আজ কেন তার ঘুম ভেঙে যায়?
যার রুমালে সুবাস ছিলো বকুলফুলের দোলনচাঁপার
যার সে রুমাল,আজ সে কোথায়?
এই বছরে কেনই বা আর একটি বারও চাঁদ উঠেনি?
মুঠোজুড়ে একান্ত গান
- don’t know what to say, don’t know how to say…
let me just be silent, and beside you I stay…
মানুষের জীবন এক ক্ষণিক আচরণ, মুহূর্তিক আবেশ
কাটতেই টের পাই হাতের তালুতে জলকঙ্কাল ছাড়া
আর কিছু নাই। কেউ নাই।
আমাদের জীবনে কিছু নাই আর, স্মৃতিভার ব্যতীত
কিছুই রাখি নাই যত্নে মুঠোর ভেতরে ছিলো তারা
সুখে,
তোমাকে হারিয়ে আমি আজ হা-হুতাশ করছি ভরা বর্ষায় আর পূর্ণিমার রাতে
বৃষ্টি এখনো হয়, আমি ভিজতে থাকি একা একা,
বৃষ্টির কান্নায় মিশে যায় আমার চোখের জল,
তোমার গুনগুন গানের সুরেলা আওয়াজ আমাকে
এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়, খুব কি প্রয়োজন ছিল
দু’জনের দুই ভিন্ন পথ? – নাকি প্রয়োজন ছিল
দুই ভিন্ন পথে যাওয়ার?
খুকি ও পরী
চুপ ক’রে চাঁদ দূর গগনে
মহাসাগরের ক্রন্দন শোনে,
আর আমি শুনি নূপুরের নিক্কন ধ্বনি
যারিই ছন্দে দুলছে এ অবনী।
মা-গো তুমি কি সেই পরীটি-
রোজ রাতে যে নেচে নেচে যায়?
তুমি কি মা সেই পরীটি-
আদর করে যে আমায় ঘুম পাড়ায়?
মা-গো তুমি কি সেই মানসী-
যার হাসি আমার ভুবনে আলো ছড়ায়?
তুমি কি মা সেই মানবী-
আমার কষ্টে যে নীল হয় বেদনায়?
ফৌজি ভালোবাসা
আমার হাটুর নিউরনের কম্পনে
কেঁপে যাও তুমি সারাদিন,
দুটি মাথার মিলিত আবেগে
ভেসে থাক তুমি নিশিদিন।
বাদরের ডালে, মাথা দিয়ে ঝুলে
মনে পড়ে তোমায় কত,
নফুট ওয়ালে, মনের খেয়ালে
ভাবি তোমায় অবিরত।
বিউগলের ঘুঙুর পায়ে,
নেচে যাও রোজ প্রভাতে,
ধীরে আর জোরে, ডাইনে আর বায়ে,
সালাম করি তোমাতে।
দুটি মোটে মাথা দিয়ে
ভালোবাসি অসিমেরো দ্বিগুন,
তুমি যেন বহু দূরে এক নীল তারা
তুমি যেন বহু দূরে এক নীল তারা
বারবার ডেকে যাই,নেই কোন সাড়া
তবু ঠিক রোজ রাতে আঁধারের মাঝে
তুমি মোর শাহজাদী অপরূপ সাজে
চোখে ঢালো আলো সুধা সেই দূর থেকে
অমলিন সুখ পাই এতটুকু দেখে!
তবে যদি কোনদিন মেঘে ঢেকে যায়
ফাঁকা বুকে সাদা বিদ্যুৎ চমকায়
জেনো প্রিয়া দূরে এক কিশোরের বুকে
সেই ক্ষণপ্রভা কাঁপে অনিমিখ দুঃখে
মাঝে থাকে একরাশ গম্ভীর মেঘ
নিদারুন বিষাদিত তপ্ত আবেগ!
চলো বসি, কোথাও
( বুঝলাম না, রোমান্স দেখি আমার ভিত্রে ঝরঝরাইয়া পড়তেছে 🙁 )
একটু পাশে পাশে হাঁটি তোমার?
একটুখানিতো পথ,
যেন হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি,
বাতাসে টেনে নিতে পারি তোমার ঘ্রান।
একটু ছুঁয়ে দেই তোমায়,
ঠোঁটের উপরের কালো তিলটি,
কিংবা গালের টোল।
কপালের চুল গুলো সরিয়ে দেই আলতো করে?
বিবর্ন এই ব্সবাসে,
একদিন বিবর্ন হবো আমরাও।
রাযীনের জন্মদিনের সকাল
তোর মিষ্টি ডাকে ভেঙ্গে গেল ঘুম
সোহাগ দিয়ে আদর করে কপোলে দিয়ে চুম-
বললি, “মাগো নাইবা গেলাম স্কুল”,
“ক’রনা এমন ভুল!
বড় তোমায় হতেই হবে…
খন্ড-খন্ড অনুভূতি
আমার বরষা তে আমি ভিজি… আর কেউ দেখেনা মেঘের ও কণা…
সবাই মোরে পাগল ঠাউড়ে… মেঘই যদি না থাকে বৃষ্টিতে ভেজো কেমনে?
মনের জানালা ভেঙ্গে বাইরে আমি ভিজি… ভেজার জন্য আর কিছু চাই কি তোমার???
সাধনার ধনের প্রাপ্তিটুকুতে উল্লাসে মাতোয়ারা…
প্রাপ্তিটা কারো অর্জন তাদের জানাই অভিবাদন..
আজিকার এই হাতে হাত ধরা একদিন না হয়ে হোক সর্বক্ষণ…
কবিতাঃ প্রতীক্ষা
কাক ডাকা ভোর
সাদা কুয়াশায়
ঢাকা চারদিক
সব চুপচাপ
শুধু টুপটাপ
ঝরা শিশিরের
ঘোর শব্দ
সেই সকালে
বর্ষায় বর্ষার রূপ খুঁজে পাই……
বেশ চনমনে রোদ দেখে
হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম বন্ধুবাড়ির পথে
ছাতা ছাড়াই। ঘরের দরজা খুলে দেখি
ঘন্টাখানেক আগের বৃষ্টির পানি জমে আছে
বেশ খানিকটা উঠোন জুড়ে। লক্ষ্য ঠিক করে
সিঁড়ি থেকে লাফিয়েও সামান্য বিচ্যুতি…….
ফলাফল কাদাপানিতে প্যান্টের পায়ে ইঞ্চি কয়েক
সয়লাব; “যাত্রা শুভ নয়”– ~x( -বিরক্ত হয়ে ভাবি
এই না হলে বর্ষা!!
কিছুদূর যেতে না যেতেই হঠাৎ কালো মেঘ।
বিস্তারিত»