ধরা খাবার কবিতা

সারমর্মঃ একদিন প্রেপে আমি সক্স পরিনি। আর আসাদের শু এক্সকিউজ। ধরা পড়ে গেলাম।

মূল কবিতাঃ

একদা ছিল না মোজা চরণ যুগলে

মন পোড়ে দেহ পোড়ে সেই ক্ষোভানলে।

ফর্ম মাঝে ঢুকি আমি, বিরস বদনে,

পড়াশোনা গেছে জলে, শান্তি নাই মনে।

হঠাৎ দেখি, আসাদ! হায় তার পদ,

জুতাহীন পদদ্বয় কেমন অসদ।

আসাদের খোঁড়া পা দেখে বারবার

অমনি মোজার ক্ষোভ ঘুচিল আমার।

বিস্তারিত»

অনাকাঙ্ক্ষিত…

কোনও এক রাতে হঠাৎ
তোমার সঙ্গে আমার
অদৃশ্য যোগাযোগ…।।

যেন মিথ্যের দেয়াল ভেদ করে ভুলক্রমেই-
সত্যের নাগাল পাওয়া,

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু ৭

মোমের আলোয় শোকার্ত নিউ ইয়র্ক
বাগদাদে মাতা সন্তান হারা কাবুলে এতিম শিশু
জুডাস তোমার চুম্বনে মৃত যিশু।

——————————————–

ফুলের কাছে পাতার কতো দায়
পাপড়ি হারা নিস্ব সবুজ ঝরে পড়ার দিন
ফলের কাছে গাছের যত ঋণ।

——————————————–

যা পাই নগদে কিনে রাখি
বাঁশ পাতা পাখী কাঠের নৌকা মাটির বউ
পথের মেলায় পথ তবু বাকী।

বিস্তারিত»

বিকেলে


সেদিন জ্যামিতিক বিকেলে
অতর্কিতে দিয়েছিলো হানা
উড্ডয়নের সুনীল প্ররোচনা

কেটে কি যেতোনা
ডানা গুটনো
সমূহ নিমেষ
ধ্যানের
সুনিপুণ অভিনয়ে,
নীলসাদার
ছকে ছকে
আকাশ

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৫

মুঠোবন্দী অনর্থক মুহূর্তগুলো
আঙুলের ফাঁক গলে
ঝরে ঝরে
ক্রমশঃ নাগালের বাইরে
চলে যাচ্ছে দেখে
কুড়োবার ঝোঁকে
আকুল হাত বাড়াতে
দানাগুলো মুহূর্তে
সময়ের গেলাশে
মিশে
যেতে
যেতে
জানান দিয়ে যায়
অর্থ রয়েছে কেবল অর্থহীনতায়

বিস্তারিত»

শুধু তোমার জন্য

এই কবিতার একটা ইতিহাস আছে।তখন আমাদের হাউস মাষ্টার হল জামসেদ স্যার।আমাদের ক্লাসে একদল উঠতি কবি ছিল যারা কিনা নাইট প্রেপে বসে কাব্য চর্চা করত।আমিও সেই দলের এক কবি।যা হোক একদিন খুব মনোযোগ দিয়ে কবিতা লিখছি।হঠাৎ কেউ একজন টান দিয়ে আমার খাতা টেনে নিল।মাথা ঘুরিয়ে দেখি স্যার আর যাবা কই।আর এই কাজের শাস্তি হিসেবে স্টাফ লন্জে সব স্যারের সামনে এই কবিতা আবৃত্তি করতে হয়েছিল।আজও কবিতা লিখতে গেলে মনে পড়ে।তবে কবিতাটা শেষ করা হয়নি আজও

শুধু তোমার জন্য
আজও হেটে চলেছি জীবনের আকা-বাকা পথ ধরে
বন্ধুর পথে শুধু থুবড়ে পড়েছি
রক্তাত্ত হয়েছি,ক্ষত-বিক্ষত হয়েছি
তুবও থেমে যায়নি

শুধু তোমার জন্য
আজও স্বপ্ন দেথি
হাজারো দুঃস্বপ্নের ভীড়ে

শুধু তোমার জন্য
বুকের ডান পাশে জমিন ফাকা
কোন রিয়েল স্টেট কোম্পানীর প্রলোভনে
বিক্রি করেনি

শুধু তোমার জন্য
রাস্তার মোড়ে বসে সিগারেটে দম দেয়না
অফিস ফেরত আন্টিদের শিস দেয়না

শুধু তোমার জন্য
বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে
কাক ভেজা হয়ে ঘরে ফিরি

শুধু তোমার জন্য
বেচে থাকা আর পখ পাড়ি দেওয়া

বিস্তারিত»

হাফ ডজন অনুকাব্য (এক্টা বেশিও না এক্টা কমও না)

হাত মোটেই নিশপিশ করছিলো না লেখার জন্য। কিন্তু মেল্যা দিন কোনো লেখাটেখা দেই নাই । এমনকি এইখানেও দেখা দেই নাই। হয় না……হয় না……….। সিসিবির আজকের অবস্থা দেইখা কিছু অনুকাব্য লিখে ফেললাম। আহা! কত্তদিন লেখি না………………..কত্তদিন………না…আআআআআআ। ‍…আগে দেখেছি অনুকাব্যের বাজার ভালু। লেখাও যায় তার্তারি। বিশিষ্ট পাঠককুল বয়স কম হইলে চুপিচুপি পইড়া নিবেন। বয়স বেশি হইলে জোরেও পড়তে পারেন। আর বয়স যাদের অনেক বেশি কিন্তু মনে তরুণ 😕 তারা যা খুশি তাই করতে পারেন।

বিস্তারিত»

আমিই সেই মেয়ে : শুভ দাশগুপ্ত

আমিই সেই মেয়ে।
বাসে ট্রেনে রাস্তায় আপনি যাকে রোজ দেখেন
যার শাড়ি, কপালের টিপ কানের দুল আর পায়ের গোড়ালি
আপনি রোজ দেখেন।
আর
আরও অনেক কিছু দেখতে পাবার স্বপ্ন দেখেন।
স্বপ্নে যাকে ইচ্ছে মতন দেখেন।
আমিই সেই মেয়ে।

বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে দিনের আলোয় যার ছায়া মাড়ানো
আপনার ধর্মে নিষিদ্ধ, আর রাতের গভীরে যাকে বস্তি থেকে
তুলে আনতে পাইক বরকন্দাজ পাঠান আপনি
আর সুসজ্জিত বিছানায় যার জন্য অপেক্ষায় অধীন হয়
আপনার রাজকীয় লাম্পট্য
আমিই সেই মেয়ে।

বিস্তারিত»

২৫ ”

“এখনই নয়। আপাততঃ প্রহর গুনছি…”

২৫’

২৫ ‘ ‘

রাতের আঁধারে একান্তে
অগ্নি শিখার প্রজ্বলন,
মোমের ছন্দের সাথে
পুরনো বেহালার ক্রন্দন।

অবুঝ কর্পূর প্রাণে –
মুছে যাওয়া গান
ভুলে থাকা অভিমান ;

কেনই বা আর কবিতা ?
থাক শুধুই নী র ব তা !!

বিস্তারিত»

অনুগ্রহ

আকাশের জানালা খুলে দিয়েছি
বাতাসের বাঁধন দিয়েছি ছিঁড়ে
তুমি আজ আসবে আমার কাছে
সাগরের ঐ নীল বুকটা চিঁড়ে।

কুসুমকলিদের বলে রেখেছি
ফোঁটে যেন তোমার চরণতলে
চাঁদের কাছে মিনতি করেছি
ভরা পূর্ণিমা যেন দেয় সে ঢেলে।

বিস্তারিত»

ভি ডে প্রলাপ…

কোঁকড়ানো পাঞ্জাবী আর রংচটা জিন্স দিয়ে চুয়ে চুয়ে পড়ে আমার ভালবাসা
মাঝ রাতে শেষ সিগারেটের ধোঁয়ায় দড়ি পাকানো আমার ভালবাসা
আমার ভালবাসা চিৎকার করতে জানে
আমার ভালবাসা উচ্চস্বরে হাসতে জানে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে জানে
আমার ভালবাসা কথা বলতে জানে
পাবলিক ফোরাম কিংবা জমজমাট আড্ডায় সে নির্বাক থাকতে জানে
আমার ভালবাসা সময়কে পেছনে ফেলে বহু বছর ধরে
একটি জানালা দিয়ে একটি আকাশকে দেখতে জানে
আমার ভালবাসা গীটার বাজাতে জানে
আমার ভালবাসা আমার সাথে লুকোচুরি খেলতে জানে
গোধূলির সময় পাহাড়ের ওপাড়ে হারিয়ে যাওয়া সূর্য দেব এর মত হারিয়ে যেতে জানে
আমার ভালবাসা অপেক্ষা করতে জানে
আমার ভালবাসা ফুলের ঘ্রাণ শুকতে জানে
আমার ভালবাসা কষ্ট দিতে জানে
………………………………………
আমার ভালবাসা ভালবাসতে জানে…
………………..ভালবাসাতে জানে……।।

বিস্তারিত»

বৈপরীত্য

অস্পষ্টতাই আমার ভাষা
অলসতাই আমার কর্ম
ঘৃণাই আমার ভালবাসা
অধর্মই আমার ধর্ম।

দুর্বোধ্যতাই আমার সরলতা
মৃত্যুই আমার মুক্তি
অসম্ভব আমার লক্ষ্য তাই
ঠাট্টাই আমার যুক্তি।

শ্রদ্ধা আমার মানহানিকর
অবজ্ঞা আমার কাম্য
হিংসা আমার শখ আর
বঞ্চনা আমার সাম্য।

ব্যথাই আমার বিনোদন
আনন্দ আমার কষ্ট
সবকিছুই উল্টো আমার
কারণ আমি যে নষ্ট।

বিস্তারিত»

যতবার তোমাকে – ভালবাসার কবিতা

ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে কিছু না লিখলেই নয়, তাই এই কবিতার আশ্রয় নেওয়া। সবাইকে অনিঃশেষ শুভেচ্ছা।

|| যতবার তোমাকে ||

যতবার তোমাকে দেখি ততবার ভরে উঠে
ঐশ্বরিক জ্যোতিতে আমার দু’ নয়ন।

যতবার তোমার হাতখানি ধরি,
ততবার একটি সত্য প্রতিজ্ঞা করি পূরণ।

যতবার তোমাকে আগলে ধরি আমার শীর্ণ বুকে,
ততবার আলিঙ্গন করি নতুন এক জীবন।

যতবার তোমার ওষ্ঠে একে দিই  প্রগাঢ় চুম্বন,

বিস্তারিত»

ভালোবাসা দিবসে মনে পড়ে তোমাকে

আজ বার বার তোমাকে মনে পড়ে –

যেমন করে বাসতে ভালো
বুকে জড়িয়ে ধরে।

অথবা হরিনী চোখের ইশারায়
ডাকতে আমায় আপন করে।

যেমন করে রাখতে বেঁধে
অদ্ভুত এক মায়ার ডোরে।

কিংবা আমার উপর অভিমানে
দুচোখ আসত জলে ভরে।

ক্ষনে ক্ষনে মনে পড়ে –

যেমন করে করতে শাসন
অজানা কোন অধিকারে।

বিস্তারিত»

প্রিয়া তুমি কেমন হবে?

প্রিয়া তুমি কেমন হবে?
কেমন হবে তুমি, প্রিয়া!
আমি কি তোমায় স্বপ্ন দেখি?
আমি কি তোমায় কল্পনা করি?
নাকি তোমায় অনুভব করি?

তুমি কি আমার মতই ভাবুক হবে?
তুমি কি কল্পনার রঙ নিয়ে খেলতে ভালবাসবে;
নাকি তাকে বাস্তবতায় হারিয়ে ফেলবে?

বৃষ্টি আসলে তুমি কি করবে?
ব্যাগ থেকে ছাতা বের করবে,
নাকি আমায় নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে?

বিস্তারিত»