এক মুঠো ভালোবাসা এনে ছড়িয়ে
দিলাম তোমার গায়ে।
তুমি অবাক চেয়ে রইলে
নিরবাক মুরতি হয়ে।যেন বলে
বোঝাবেনা তোমার কোনো অনুভুতি
বুঝলেনা আমার ভালবাসা কতখানি
প্রাচীন আর উদ্দাম।সে জোয়ারে
ভেসে যাবে তুমি-জানিনা সেই ভয়ে
কি তুমি নীরব ছিলে সেদিন।
বুঝিনি কেন তোমার মুখখানি মলিন
হয়েছিল-আধারের শাদা ঘাসের মতো।
আমি তোমায় বুঝতে পারিনি-কতো
রাত বসে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন বিলাস
নিরঘুম একঘেয়ে জীবন।আমার আকাশ
ভেসে যায় তোমার উত্তাপে।সে তাপে
আমার প্রেম জোয়ারের নদী হতে
বাশপ ওঠে।তোমার আকাশে মেঘ জমে।
একটু কঠিন ধর্ম বটে
পেয়ে হারানোর বেদনা কি একটু বেশী !
না পাওয়ার চাইতে !
হয়তোবা।
আবার নাও হতে পারে!
মনে মনে চেয়েছ অনেক
কিন্তু
পাওয়ার কোন চেষ্টাই করোনি হয়তো
তাই
হারানোর পর আজ এমন মনে হচ্ছে !
অথবা
এমনোতো হতে পারে
পাওয়ার পরে পায়ে ঠেলে ফেলে দিলে !
দূরে ঠেলে দিয়ে তুমি পালিয়ে বাঁচলে !
আজ-
চলে গিয়ে সে তোমাকে পীড়া দিচ্ছে!
প্রচলিত লোকাচার
আমি নষ্ট
তুমি নষ্ট
সে নষ্ট
তারা নষ্ট
এরা নষ্ট
ওরা নষ্ট
দেবী নষ্ট
কবি নষ্ট
দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট
অনষ্ট,
তাও নষ্ট
যে পষ্ট
সেও নষ্ট
দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট
নষ্টে অর্থ
নষ্টে সামন্ত
নষ্টে রতি
নষ্টে আনন্দ
নষ্টে ভক্তি
নষ্টে পূণ্য
নষ্টে পূজা
নষ্টে স্বর্গ
নষ্ট জগত
জগত নষ্ট
আমরা নষ্ট
তোমরা নষ্ট
সবাই নষ্ট
সব নষ্ট
হা
হা
হা
হা
নষ্টের দুনিয়া
দুনিয়ার নষ্টামি
নষ্ট বিধাতারা
করেছে নষ্ট নিয়ম !
অতঃপর আজ
রক্ত বদলে কিনেছিলাম সূর্য
অথচ আজ দেখি যত্রতত্র
ক্ষমতালোভী বৃদ্ধ কিছু পুষ্টিহীন বীর্য
অশিক্ষায় কুশিক্ষায় কুসংস্কার
অথচ আজ দেখি যত্রতত্র
বটগাছও চায় নোবেল কিংবা অস্কার ।
সূর্যের দিকে তাকিয়ে সূর্যমুখী,
কয়,
হায়রে সোনার দেশ
আর কতকাল থাকবি পোড়া মুখী ।।
দেশে চলেছে আত্মহনন
ছিল নয়মাস গর্ভেধারন
লজ্জায় ঘৃণায় অভাব অনটন
চল্লিশ বছর পরেও
আজো
দুর্ভাগা জাতি নির্দ্বিধায় করছে কারাবরন।।
পলাশবাড়ী কলেজ কেজি
ছোট বেলায় কলেজ কেজির মাঠে একবার কিসের যেন মেলা হল,
মনে নাই।
বিক্যাল বেলা সেই মেলায় গেছি।
হাটতে হাটতে পুরো মেলা ঘুরতেই পায়ে ব্যথা উঠে গেছে।
কানমুচরি-বাতাসা খাইছি,
তবে চিনির ছাঁচের হাতী-ঘোড়াগুলার জন্যই মনটা টানতেছিল বেশী।
তেল দিয়া পিঠা ভাজা দেখছি,
জিল্যাপি ভাজা!
আহা!
হাওয়াই মিটাই! বড় বড় বেলুন, মিনি এয়ারগান,
দশ টাকা দামের স্টিল কালার পিস্তল,
বিলাইয়ের একদিন
সকাল আট।
গ্রীলের ওপাশে
নাগাল-বাইরে
নির্ভয়ে গ্যাঁট
হয়ে
চোখেমুখে গোঁফে
নবাবী আমেজ
মিটিমিটি হাসে
বাংলার রাজকীয় ক্যাট
সাড়ে বারো, দুপুর।
জুতোর শব্দে
যেনো বা পাথর
চোখে তার
চাবির গোছার
ঝনঝন
বেজে উঠে
গোঁফে লোমে ঢেউ
বিলাই শেষে
দু’তিন লাফে’
আয়নাবাসী
কী আশ্চর্য,প্রতিদিন একই ভাবে তোমার ঘুম ভাঙে
মুখে লেগে থেকে গত পর্বের প্রেম ভাঙা দাগ
আরো কিছু “রয়ে যাওয়া” অনুরাগ
আয়নায় মুখ দেখবার আগ পর্যন্ত কী নিষ্পাপ তুমি!
যেন আমাদের ইতিহাস নেই কোনো,
আমাদের বিচ্ছেদ ছিল না কোনদিন
তোমার বাগানে প্রজাপতি,
আমার উঠোনে জল-জোৎস্ন্যা ,
তোমার বাড়ির পেছনে নদী,
আমার বৈঠা হাতে নৌকায় বসে প্রতীক্ষা ,
বৃষ্টি-৮
কংকাবতী তোমার ফোনে আজ
অবিরল বৃষ্টির শব্দ লেগে ছিলো
এক ফালি বিদ্যুত!
ক্বড় ক্বড় করে
ভেঙে গেলো আকাশ –
তারপর কলকল
বিষ্টির পাল এসে
আমাদের কথোপকথনে
উঁকি দিয়ে গেলে
এলোমেলো কথার সুযোগে
লাল-সবুজ ট্রাফিক বাতি
নেমে গেছে টলমল পায়,
যেদিকে দুচোখ যায়
এঁকেবেঁকে চলেছে
শহর দাপাবে বলে
অনিয়মের
হুড়োহুড়ি লেগে গিয়ে
সোনা-রূপোর কাঠি
জায়গাবদল ভুলে গেলে
কি ক্ষতি
তোমার শিয়রে
না হয় আজ
বর্ষা বয়ে আনা
এই ফোন জেগে থাক!
যন্ত্রণা
তোমার ভালবাসা পাবার জন্য বার বার হয়েছি সম্পাদিত
তাও তুমি বুঝো নি
সঞ্চিত ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছি না পাবার যন্ত্রণায়
তাও তুমি বুঝো নি
রোদ্দুর হয়েও মেঘের কুয়াশায় বার বার সিক্ত হয়েছি
তাও তুমি বুঝো নি
বহুকাল ইটের চাপায় থেকে সবুজ থেকে হলুদ হয়েছি
তাও তুমি বুঝো নি …।।
এই ভাবে আর কতকাল তুমি না বুঝে থাকবে
আমি যে বাষ্প হয়ে বাতাসে হারিয়ে যাচ্ছি তোমার অপেক্ষায় থেকে ।।
আধাঁর
বিদ্যুৎ যাওয়ার অপেক্ষায়,
বসে আছি সেই কতক্ষন!
মাঝে দুবার গেল,
অথচ কি আশ্চর্য! চলে এল।
মিনিট দুই না হতেই।
একদম অসহ্য লাগছে,
শক্তি সংরক্ষক বিজলী বাতিটিকে।
আমার মাঝে এই আমাকেই,
কাটছে ভেংচি, করছে উপহাস।
পরিত্রান চাই, লুকোতে চাই,
পালাতে চাই। তাই,
আধাঁর চাই আধাঁর,
মনের গভীরে ঘুঁট পাকাচ্ছে যে আধাঁর,
নিকষ, কালো,
অরক্ষিত রাজপথে তোমাকে স্বাগত হে প্রিয়তমা
প্রিয়তমা,
তোমাকে গোলাপ দেয়ার সময় নেই এখন
এখন বড় দুঃসময় আমার বাংলার
এখন অরক্ষিত রাজপথে আমার ভাইয়ের রক্ত
আল্পনা এঁকে দেয় প্রিয়তমা
প্রিয়তমা,
এখন মিছিলে যাওয়ার সময়
রক্ত গঙ্গার স্রোতে আগুনে আগুনে বিক্ষুদ্ধ জনতার মিছিলে যাওয়ার সময়
আরো একটি কবিতা লিখবো প্রিয়তমা
আবার যেদিন রাজপথে মুক্তমনাদের ছড়াছড়ি হবে
আবার যেদিন স্লোগানে স্লোগানে প্লাকার্ড হাতে
সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার থাকবে
আবার যেদিন হাসিনা-খালেদা এক প্লেটে খাবে ভাত
নিজামি আযম পিষ্ট হবে ধ্বংস হবে মৌলবাদ
প্রিয়তমা তোমাকে কবিতা শোনাবার সময় কোথায় বলো
এখন একটি কবিতা হবে সবার জন্য
শব্দের তরঙ্গে ভেসে যাবে স্তদ্ধ বিকেলের নিজর্নতা
কথার খই ফুটে উঠবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সব ভয়াবহ সমীকরনে
প্রিয়তমা
এখন যৌবন দীপ্ত মিছিলের আগামি প্রভাতে শব্দের গাঁথুনীতে হবে ভাস্কর্য,হবে দাবানল,হবে জেগে ওঠার নতুন মন্ত্র
আগামি জন্মে তোমার গর্ভে যে ভ্রুনের জন্ম হবে প্রিয়তমা
আমি তার নিঃশ্বাস নেবার জন্য একটি বাংলা রেখে যেতে চাই
আর একটি প্রান ঝরে গেলে রাজপথে
প্রিয়তমা আমি রাজনীতির পেটে লাত্থি দিতে চাই
ধ্বংস করতে চাই পাশবিকতার সব দেয়াল
প্রিয়তমা একটি রক্ত জবাও ফুটলে
তোমার আঙিনায়
আমি তার জন্য নিরাপদ এক আবহাওয়া চাই
আমি তাকে পুষ্টি দেবার জন্য জল চাই।
ভাদর জোছনা
এমন কোমল রাতে-
কবিরাও ভয় পেয়ে ভুলে যায় কবিতা লিখতে
চিত্রকর ছবি আঁকে না।
গায়কের গলা খুলে যায় মাঝে মাঝে
কখনো কখনো থেমে যায় থমকে…
এমন রাতে-
শুধু চোখ কথা কয়
মন কথা কয়
ইচ্ছা করলেই শোনা যায় না !
এমন রাত-
চাঁদের রাত-
আলো-ছায়ার মায়াবী খেলা
অনেকে হয়তো চোখেও দেখেনা !
সে কি আসে, সে কি আসে!
আলোকচিত্র: সে কি আসে, সে কি আসে?, কাজী সাদিক(৮৪-৯০)
এমনি কত সোনাঝরা বিকেল এসে মিশে গেছে – নদীময় বয়ে গেছে আমাদের জীবনের চোরাস্রোত।হঠাৎ চুমুর বেগুনী উদ্ভাসে দুলে উঠেছে জারুল ফুল, সঘন উত্তাপে আ হা আমাদের জোড়া ঘড়ি থেমে যাবার ষড় করে কতবার পরাস্ত হয়েছে।অভিমানের কোন ধার ধারেনি কোন নদী, চোখ থেকে অশ্রুর শেষ ফোঁটাটুকুও লুটে নিয়ে গেলে হু হু করে উঠেছে খটখটে শুকনো হৃদয়।তুমি চলে গেছো রিকশায় ভর করে,
বিস্তারিত»মিলেনিয়াম: সময়ের সেলাই
আমরা বেঁচে আছি সময়ের এপার ওপার ফোঁড়ে, গ্রাসের ঝড়ো তান্ডবে !
ভাঙ্গনের ঝনকার কানে যায় না। আমাদের মনের কানে তালা পড়েছে !
আমরা আর চোখেও দেখি না প্রায় ! আমাদের জ্বিভ লকলক করে বড় হচ্ছে!
চাবুক খাওয়া ঘোড়ার মতো তাই সব দৌড়ের উপরে !
মেয়েটাকে একসময় চিঠি লিখত ছেলেটি কালেভাদ্রে, কৈশোরের আটানব্বইয়ে ।
কথার পরে কথা সাজিয়ে, তাতে মনের ছোঁয়া মিশিয়ে
হোমিওপ্যাথির গুড়ার মতো আদর করে খামে পুরে,
কেন বিধি
কেন বিধি কেন বানালেনা মোরে,
হিমালয় চুড়া পাহাড়ের করে?
দিনের বেলায় বরফ সাগরে
রাতের বেলায় ছবি!
বুকে নিয়ে তবে শত শত ব্যথা,
অবলা থাকত না বলা যা কথা,
বলতাম না’ক কথা সব যথা,
হয়ে কোন এক কবি।
কেন বিধি মোরে নদী করলে না?
নিজ আঁখিজলে ভিজে আনমনা,
বিস্তারিত»