দুটি অনু পরমানু


মেঘলা আকাশে গুড় গুড় গর্জন
টিনের চালে অবিরাম বৃষ্টির শব্দ
দূর পাহাড় ঘেষে লেকে একা নৌকা
দরজার ও-পাশে একটি কুকুর
অমনোযোগে পেয়ালার চা হিম।


দিনের সময়ের সাথে বদলে যায়
আমার জানালা।
ভোরে মেঘে ঢাকা পাহাড়;
কেবল ছেড়েছে ঘুম ভেঙে আড়মোড়া ।
দুপুর রোদে সবুজ পাহাড়;
কাপ্তাই হ্রদের জলে নীলাভ সখ্যতা।

বিস্তারিত»

উত্তরাধিকার এর উইল সংক্রান্ত…

তোমায় করে যাচ্ছি
আমার ‘উত্তরাধিকার’।
আমার ভল্টে যতটুকু ভালো
তার ষোল আনাই পাবে তুমি।
আর কালিমাটুকুর সবটুকু
ট্র্যাভেলারস চেক করে
আমি চলে যাচ্ছি আজ।

জীবনের সব পাপগুলো শুষে নিয়ে
তোমায় দিয়ে গেলাম বিশুদ্ধ শুভ্রতা।
উইলে লিখে দিয়েছি তোমার নামে
আমার মরে যাওয়া স্বপ্ন গুলো।
ইচ্ছে মত ডানা মেলতে দিও ওদের।
বিদায় নেবার আগে তাই আমার
এহেন প্রথাগত সৌজন্যতা।

বিস্তারিত»

“তেলাপোকা কেন উল্টো হয়েই মরে?”

চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার;  জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ,  আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।

খাটের পাশে রাখা  গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
নিজের অজান্তেই বেজে ওঠে।

বিস্তারিত»

চুপকথা(১-৫)

“চুপকথা” সিরিজের পাঁচটি
কবিতা:

এক.

রাত কেটে যাক চুমোতে
আজ দেবোনা ঘুমোতে

দুই.

অন্য সব ব্যাপারে হলাম না হয় অজ্ঞ
আজ থেকে আমি শুধু তুমি বিশেষজ্ঞ।

তিন.

গালের সাথে গাল মিলিয়ে তালের সাথে তাল
তোমার আমার কাটুক সময় দেখুক মহাকাল।

চার.

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ
তোমার কপালের টিপ

পাঁচ.

বিস্তারিত»

অদেখা

আজ আবার তোকে দেখতে ইচ্ছে হল,
কেন জানিনা; কিন্তু হল।
শীতের রাতে কিভাবে কুঁকড়ে থাকিস তুই?
কিভাবে নিজেকে আড়াল করিস কম্বলের উষ্ণতায়?
কিভাবে চমকে উঠিস স্বপ্ন দেখে?
আর পরক্ষনেই কিভাবে সামলে নিস নিজেকে-
পরম আত্মবিশ্বাসে?
আচ্ছা তুই কি চুল খুলে রাখিস , না’কি খোঁপা?
আমার কি মনে হয় জানিস?
– তোকে পুতুলদের মত ঝুটি করলেও বেশ লাগবে।

বিস্তারিত»

.আগামী

 

“ আমি চোর নই,
টোকাই? তাও না।
কিন্তু আমি চুরি করি
রাস্তার ছ্যাঁচড়া ছেলেদের মত দু-পয়সার বাতাসা নয়,
লজেন্স-টফি ও নয়।
কিন্তু তবুও আমি চুরি করি
অন্যদের মত পেটের দায়ে নয়; নিজের দায়ে।
আর কেনই করবনা বল?
প্রতিদিন লাইব্রেরীতে পদার্থবিজ্ঞানের ঐ বিশ্রী বইটা এমন ভাবে পড়তি
আর দুনিয়ার সবটুকু বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকতি অর দিকে
আবার কি যত্ন করেই না পাতা ওল্টাতি!

বিস্তারিত»

অহেতুক চরণ সমষ্টি

জানি না কেন আমার পছন্দ হয় তোমাকে,
শুধু জানি পছন্দ করি ভীষনভাবে।
তোমার স্নিগ্ধতা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে,
তোমার কানের পাথরের রিং এ আটকে যায় আমার দৃষ্টি-
যতবার আমি জানালা দিয়ে আকাশ দেখতে চাই।
এক সময় তুমি হয়ে উঠো আমার আকাশ,
তোমার তুমি গ্রাস করে নেয় আমার আমিকে;
ভাবাভাবি বাদ দিয়ে তোমার সামনে দাড়াই
সোজাসুজি বলে দেই”আমি তোমাকেই ভালবাসি”

বিস্তারিত»

অহেতুক চরণ সমষ্টি

অতি প্রিয় জানালার গ্রীল আজ জেলখানার অসহ্য গরাদ,
দেয়ালে সাঁটা লাস্যময়ীর ডাইনি দৃষ্টিতে
বারে বারে ভষ্ম আমি
সাধের বালিশ যেন কঠিন পাথর
উষ্ণতম কোমল শষ্যাকে ভুল করি উত্তপ্ত উনুন ভেবে
ছন্দের ঐকতান কে মনে হয় কামানের শেল্
সহজ যাপিত জীবন নির্বাসিত আজ।

বিস্তারিত»

আজকাল এই শহরের রাত্রি

শিশিরের সন্ধ্যা আচমকা আসে এই শহরে
অবিরাম চিৎকারে আত্মমগ্ন কুকুরগুলো
অশরীরী প্রেতাত্মাদের অস্তিত্ব অস্বামিক
হ্যালোজেন বৃষ্টিতেও শুষ্ক জনপদ
ক্রোধের আগুন জ্বলজ্বল করে আকাশে
নিয়ন বাতি ছাড়াই শহরময় আলো
হিংস্রতার খেলায় কান্নার শব্দ
সন্ধ্যে না হতেই রাত্রি জেগে উঠে ;
ভাবি,
আজকাল এ শহরের রাত্রি কেন এমন হল ?
শ্বাপদের সাথে মানুষও অহর্নিশ জেগে থাকে ।

বিস্তারিত»

বিনিময়

আমার কিছু “কস্টলি” কষ্ট আছে
তুমি কি নেবে?
বিনিময়ে আমায় কিছু প্রেম উপহার দেবে।
বেশি কিছু চাইনি আমি
“বার্টার সিস্টেম” এর মত কিছু প্রেম চেয়েছি,
শোন মেয়ে তোমাকে বলি-
বিলাসী প্রেম,রাজভোগ,দেহ তল্লাশী-আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মত দুর্বোধ্য প্রেম আমার ভালোলাগেনা।
তবুও আমি প্রেমিক – কিছু কবিতার জন্মদাতা পিতা,
আমার এই “কস্টলি” কষ্ট গুলো আজ মানবীয় স্পর্শ পেতে চায়,

বিস্তারিত»

চকলেটের খোসা

ছোট্ট যে আমি,

আমার হাতের চকলেটটা দামি;

সেটা খাবার জন্য_

খোসাটা ছিঁড়তে যেয়ে ঘামি।

 

আমাকে দেখ্‌ছিলো আমার মামি,

দৌঁড়ে এসে_

আমার গালে দিলো একটা হামি।

ছিঁড়ে দিয়ে সেই চকলেটের খোসা,

আদর করে চিপে দিয়ে

আমার নাকটা করে দিলো বোঁচা।

 

আমি ভাবছিলাম তাকে,

বিস্তারিত»

শাদাশিদে

আমার এত কিছুর দরকার নেই
সহস্র লাইক,অসাম,জোশ আর ভণীতার অজস্র কমেন্টময় ফেসবুক লাইফ,
আমি চাই কেউ একজন গভীর রাতে আমার কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে কবিতা শোনার আব্দার করুক,
নিতান্তই খামখেয়ালীর বশে কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক আমি কেমন আছি,
নির্মলেন্দু গুনের কবিতার মত আমিও বলছিনা ভালোবাসতেই হবে,
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক
আমি রাতে খেয়েছে কি না,
কিংবা আমার চুল গুলো এত বড় কেন?

বিস্তারিত»

স্পন্দন

আকাশলীনা

জীবনের ছকগুলো সব সাদাকালোই থাক না, ক্ষতি কি তাতে ?

নগ্নসত্যগুলো আর একবার ঘেঁটে দেখা যাক না, ক্ষতি কি তাতে ?

কালবৈশাখীর ঝড়ে দেখনি কি তুমি মৃত্যুর নৃত্য ?

হোক না তবে বোঝাপড়া, হোকনা মুখোমুখি, ক্ষতি কি তাতে ?

 

আকাশলীনা

ঈশ্বরের রঙে রঙিন থাকার অভিলাষ বারংবারই ছিল তোমার

স্বপ্নে বিভোর রথযাত্রীর মত,

বিস্তারিত»

আশা করেছিলাম আজ সকাল হবে না

আজ যদি সকাল না হতো
আমি অবাক হতাম না ।
গতকাল যে বিশ্রী রাত কাটিয়েছি,
এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি যে
দুর্গন্ধ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

সৃষ্টিকর্তা বোধ হয় বড়ই কৃপাময়
তাইতো পচন ধরা এই ধরায়
এখনো সকাল আসে দুপুর আসে
আবার দুপুর গড়িয়ে রাতও আসে।

কেউ কেউ বলছেন
গতকাল রাতে এমন কি হয়েছিল ?

বিস্তারিত»

নিশাদল

ক্যাফাইন এর মাত্রা তীব্র থেকেও অতিরিক্ত
নির্ঘুম রাত, আর একটি অনুৎপাদনশীল মস্তিষ্ক – চিন্তাসিক্ত,
ভেড়া গোনা আর ঘুমপাড়ানি গান – কবেই হয়েছে ছার……
এই হাফ বার্গার চাঁদের রাতে- আমি তো আমার……
তুমি কার ??????

আধখানি চাঁদ- নির্লিপ্ত, জবুথবু আর চৌচির
আধখানি ঘরে আধখানি স্বপন– দুর্দান্ত অস্থির
লাল পেড়ে শাড়ি আর টানা কাজলের মোহ–
আমি সে কবেই করেছি পার…

বিস্তারিত»