স্বপ্নবাদী

আমি অনেক স্বপ্নবাদী
এখনো তাই, হেসেখেলে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি
ভরদুপুরে, সুতো ছেঁড়া
ঘুড়ি হবার স্বপ্ন দেখি। —-

আমি অনেক স্বপ্নবাদী
হঠাৎ একদিন, ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার স্বপ্ন দেখি
মধ্যরাতে, সিগারেট নয়
দীপ জ্বালাবার স্বপ্ন দেখি।—-

আমি অনেক স্বপ্নবাদী
একটা কিছু পাল্টে দেবার স্বপ্ন দেখি
কান্নাগুলো, ঘেন্নাগুলো, জাত-ধর্ম বিভেদগুলো
মাটিচাপা দেবার একটা স্বপ্ন দেখি।—-

আমি অনেক স্বপ্নবাদী
ঘুমের ঘোরে হঠাৎ হঠাৎ তোমায় আমি স্বপ্নে দেখি
দুঃখ ভুলে,

বিস্তারিত»

বিবর্ণ স্বপ্নগুলো

স্বপ্নগুলোকে রঙ্গিন করতে গিয়ে দেখলাম স্বপ্নগুলো সাদাকালো হয়ে গেছে।
শহরের নিয়ন আলো ছেড়ে প্রকৃতির কাছে গিয়ে দেখলাম
সেখানেও স্বপ্নগুলো অদ্ভুত আচরণ করছে,
কেমন যেন বাঘের ভয়ে আফ্রিকার বুনো মহিষের মতো ।

স্বপ্নের সাথে সারারাত সহবাস করলাম
অতঃপর সাহস নিয়ে সুউচ্চ পর্বত চুড়ায় গিয়ে দেখলাম
সেখানেও স্বপ্নগুলো ভয়ে কুঁকড়ে আছে
কেমন যেন শিকারির ভয়ে ভীত খরগোশের মতো,
পিট পিট চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

বিস্তারিত»

চাটগাঁয়

‘লন, টান দ্যান একখান’
বলে হুস করে
একপাল ধোঁয়া আকাশপানে
উড্ডীন হলে
চাঁদের আলোয়
শহরের গা
বলাকা ব্লেডের মতো
চকচক করে

মগজের গলি ঘুপচি থেকে
গানের কণাগুলো
গলায় এসে গুনগুন করে উঠতে’
রিকশাঅলার কণ্ঠেও
লালন ফকির নেমে আসে,
পেশল মুঠোয় বেলের বদলে একতারা
রিকশার হুড নৌকার ছই –
গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে

সাঁইসাঁই পাল তুলে
অতঃপর
মেহেদীবাগ,

বিস্তারিত»

প্রিয় কবিতা বা কয়েকটি সন্ধ্যা’র দখলঃ ‘রাহুর প্রেম’-রফিক আজাদ

ভাবছো তোমায় ভুলে যাচ্ছি,ভুলতে পারা
সহজ নাকি?যদিও তোমার ইচ্ছাটা কি তাও তো জানিঃ
নিষ্কৃতি চাও,অন্য কারো কাছে যাতে পারমানেন্টলি
থাকতে পারো-বারে বারে “ভুলে যেও’’-এই কথাটা
ব’লে দেয়া!তোমার কি মত,তুমিই বলোঃ
ভোলা কি যায়?নাকি কেহ ভুলতে পারে-
ভুলে যাওয়ার কথা আজকে এতো করে ভাবছো কেন,
তোমায় কেন ভাবতে হচ্ছে এই এতোদিন গভীর খেলায়
মগ্ন থেকে-আজকে কেন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে-
‘ভুলতে হবে’?এই এতোদিন পরে আমি এতোটা পথ
হেটে এসে আবার যে কোন চুলোয় যাবো,নতুন সে কোন
খানকি মাগীর দিকে আমি হাত বাড়াবো বলতে পারো?

বিস্তারিত»

প্রার্থনা

সমর্পিত হও, নিজেকে সমর্পন করো আরো ভীরুতার সাথে

বিনম্র হও, নিজকে বিযুক্ত করো সকল মনষ্কাম থেকে

সকল ইচ্ছেকে উজাড় করে দাও, শুধু তারি জন্য

তিতিক্ষা সকল প্রহর জুড়ে, শুধু তাঁকেই ভালোবেসে

উৎসর্গ করো নিজকে- যেনও আর কিছু নেই, কেউ নেই

আদিগন্ত শব্দমালা, যেনও নির্দেশ করে শুধু তাঁকেই

প্রাণের সকল আকুতি, অনুভুতি, অব্যক্ত বেদনা

হৃদয়ের সকল কোঠরে শুধু তাঁরই খোঁজ,

বিস্তারিত»

বাদুড়

শতবর্ষী বটের পাতার অন্ধকারে ঝুলে থাকা বাদুড়ের মত-
নিরিবিলি দিনের আলোয় ফন্দি আঁটে ওরা বিশ্রামের ছলে।
অতঃপর আধুনিক রাত্রিতে জমে উঠে প্রাসাদ আরোহণের কল্প,
ক্রীড়াচ্ছলে ছুঁড়ে মারা ভাংতি পয়সায় জনপ্রিয়তার বিকি-কিনি।

নিঃস্বের দীর্ঘঃশ্বাসের আড়ালে পাচার হয় অগণিত কচকচে মুদ্রা-তোড়,
দিনরাত্রির আলো-আধারে এখানে বদলায় না কিছু, সে বহু যুগ।
বিশ্বাসঘাতক মগজের দ্বৈত আনুগত্যে বেঁচে থাকে গোপন পশ্চিমা প্রভু,
বিকল শোষণের যন্ত্রগুলো তড়িৎ দক্ষতায় সেরে তোলে ওদের হাত।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৪

সরক্‌তি যায়ে হ্যায় রুখ্‌ সে নকাব
আহিস্তা আহিস্তা
নিকাল্‌তা আ রাহা হ্যায় আফতাব
আহিস্তা আহিস্তা।।

দরোজার ওপারেই
নগরীর ঘরে ফেরা
ত্রিতালের মতো —
সংক্রামক, রঙিন!
অদেখায় এপারে
বেড়ে চলে দিন
বুকে হেঁটে
বিষাদ আসে
বারান্দায়
সরোদে বাজায়
উতল ঝালা..

এমন সময় —
সভয়ে
ধীরপায় এসো কালা
ভুলেও বোলোনা
গোলাপ কিংবা
অন্য তুলনা

বরং আনত হও
পিঠ ছুঁয়ে
অনুনয়
কেবল অনুনয়ে
করো জয়
রাধার এটুকু
প্রণয়

বিস্তারিত»

আসুন আমরা নিরব থাকি

আসুন আমরা নিরব থাকি
গণতন্ত্রের যন্ত্র কেটে শ্যাওড়া গাছে ঝুলিয়ে রাখি।
মধ্য রাতে রাস্তা ঘাটে
কুকুর বেড়াল আর মানুষে
ঘুমিয়ে থাকে
জমিয়ে দেখি
এবং চলুন নিরব থাকি।।
অভিজাত কোনো নারীর পাশে
পানশালার এক কোণায় বসে
লাখো শ্রমিকের রক্ত চোষা
ঠোট টা চুমোয় ভরিয়ে রাখি
চলুন সবাই নিরব থাকি।।

বিস্তারিত»

ছ্যাঁকাব্য ১

ছায়ায় মিশে, ঝাপসা আকাশে
তুমি লীন একা বিষে, যখন
সব অসহ্য অতীতের গ্রাসে,
ডিমপাড়া তাবৎ রমনীর কেশে
আলো যেন ক্লান্ত হয়ে মেশে,
সেই প্রেম আবার ভালোবেসে,
সেই বাসি রক্তে ভেজা লাশে,
যার স্ফীত যত অংগে আমি
সদ্য প্রসবমাত্র নবজাতকের বেশে ।।
ভেসে ভেসে, এসে জমেছি
অবাঞ্ছিত পথের শেষে, তারপর …

হঠাৎ কোন সুতী্ব্র চিৎকারে
দুস্পদের (মানুষ) মতন
নিজের অস্তি্ত্তের প্রকাশে
অবাক,

বিস্তারিত»

আজকে তোমার মন ভেঙে যাক ঘূর্ণিঝড়ে

আজকে তোমার মন ভেঙে যাক ঘূর্ণিঝড়ে
আজকে ভূমিকম্পে কাপুক সর্ব শরীর
জীর্ণতরীর
যাত্রীরা সব
মাঝনদীতে ঢেউয়ের দোলায় তটস্থ হোক
সবাই জানুক আমিই তোমার ধূর্ত প্রেমিক-শঠ প্রতারক!

তোমার উরুয় হোক সুনামি আমার শ্বাসে
দীর্ঘশ্বাসে যাক উড়ে সব স্মৃতির ধূলো
কয়েনগুলো
খুচরো হয়ে
মেঝের উপর পড়তে থাকুক ঝনঝনিয়ে
সবাই জানুক আমিই কেবল তুষ্ট ছিলাম তোমায় নিয়ে!

বিস্তারিত»

নিখোঁজ সংবাদ

আমার খুব প্রিয় একটা কবিতা হারিয়েছে কোথাও !!

আত্মভোলা আরেক কবিতা আমার হয়েছে বাউন্ডুলে,

অনেক খুঁজে হয়রান আমি তাই দিচ্ছি নিখোঁজ সংবাদ-

একটি ঘোষণা , একটি ঘোষণা … …

 

বুঝেছিলাম, ঠিক হারাবে একদিন আমার প্রিয় যত শব্দ

শব্দের নীড় আর অভিমানী কবিতা,

কাল সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার তাড়ায় যখন ব্যস্ত ভীষণ

ফিসফিসিয়ে একটা কবিতা  আবদার জানিয়েছিল

আমার সঙ্গী হবে !!

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৩

তোয়ালে নিয়ে বসে আছি
সর্বনাশের আশায়

গ্রিলের কোণে কোণে
গর্ভিণী মেঘ জমে আছে কিছু।
হাওয়ায় চুল মেলে
দুলে দুলে
ওঠে নারকেল গাছ
বর্ষার আসন্নতায়
কেঁপে যায়
শার্সি,জানলার নরোম কাঁচ

‘মিঁয়া কি মল্লার’ ধরেছেন
রশিদ খাঁ
বিদ্যুতের ঘায়
প্রতীক্ষার সুতো
ছিঁড়ে যায়…
এমন ঘোর রাত্রিতে হায়
হেঁটেই আসছো সখা!

বিস্তারিত»

রাধাকথন-২

জুলাইয়ের এই শেষ দুপুরে
হাতে হাত ছোঁয়াবার
তুচ্ছতম দ্বিধাটুকু
পুড়ে পুড়ে
ঝরে যায়
সিগারেটের মতো,
শপাং চাবুকের চেয়েও
নির্দয় লাগে
তোর ফেস,বুক আইফোনে
অগণণ গোপিনীর ছাপ..

আমাদের কোন কদমতলা নেই আর
যমুনা কবে মজে হেজে গেছে!
গাড়িতেই চল কানাই
বারী সিদ্দিকির বাঁশিতে
ভেসে যাই
ক্রন্দসী যমুনার এপার ওপার

বিস্তারিত»

এবার তুমি ফেরাও আমায়

এখন তুমি কোথায় আছো?কেমন আছো?আমায় ছাড়া দিনগুলো সব কাটছে কেমন?বৃষ্টি দিনে জানলা খুলে দাঁড়িয়ে তুমি সবুজ দেখো?মধ্যরাতে একলা হাটো উঠোন জুড়ে?হঠাৎ যদি একলা লাগে,আলতো আঙুল ছুঁইয়ে দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ো শুকতারাটা।আকাশ বাড়ির উঠোনজুড়ে মেঘ বিছানা মুছিয়ে দিয়ো হাতের নাড়ায়।তাতেও যদি আধাঁর থাকে,পুকুর পাড়ে যেসব জোনাক সোহাগ করে,তাদের ডেকো।তাদের সবুজ নরম মদে ভিজিয়ে নিও তোমার দুহাত।তোমার চুলে,কুসুম কোলে হাত ও বুকে এসব সবুজ জ্বলতে থাকুক।হঠাৎ ডাকুক একলা পাখি তারস্বরে।তোমার ঘরে প্রদীপ শিখায় চৈতী হাওয়া জলসা বসাক।নৃত্যরত অগ্নিশিখা দুলিয়ে কোমর বাহবা নিবে।চতুর্দশীর একঘেয়ে চাঁদ নতুন সাজে সাজবে না হয়।আর না হলে হঠাৎ পতন-নদীর জলে আচমকা ডুব।স্বচ্ছ চোখের মাছেরা সব ছুটবে তখন আলোর পিছে।যেমন আমি ছুটছি আজো।ছুটতে ছুটতে পৌছে যাচ্ছি গড়ের মাঠে,রাবার বনে।যেখান থেকে কেউ কোন দিন ফেরে না আর।তুমি আমায় ডাক না দিলে ফিরবো না আর।হাটতে হাটতে চলে যাবো শেষের খেলায়,জুয়ার আসর।তাই তোমাকে আজ অনুরোধ,এবার তুমি ফেরাও আমায়।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-১

হৃষ্টপুষ্ট দিনের কংকাল পড়ে পাশে,
মেঘেরা মেতে
আদল ভাঙার স্বেচ্ছাচারিতায় –
বেলা যায়
উনুনে ফূঁ-দেয়া লাল চোখে,
বাঁশির আশে
প্রাণ সঁপে দিয়ে
পোড়াভাতের ফেনও কেমন
যমুনাপানে ঝোঁকে,
কানু রে
কান্দন চেপে আছি
সেই কবে থেকে
এবারে আমার দিনরাতের
গতর ফিরায়ে দে!

বিস্তারিত»