নদীর ধারে সন্ধ্যা বেলা-ধূ ধূ বালির চর
চোখের কোণে বাষ্প জমে হঠাৎ বুক মোচড়
প্রিয় নারী হারিয়ে গেছে কোন সে আধাঁর মাঝে
সেই বেদনা নূপূর হয়ে কার পায়ে যে বাজে
তাকেই খুঁজি সমস্ত দিন-সকাল রাত দুপুর
কোথায় যে নীল শঙ্খ বাজে,কোথায় অচিনপুর
অন্ধকারে গন্ধরাজের উপর করা শাখা
সেই ছবিটা ঠিক এখনও যত্ন করে রাখা
শ্যাওলা পড়া প্রাচীন ইটের সেই দেয়ালের কাছে
নির্বাচিত দুঃখগুলো ঠিক তেমনই আছে
সবই আছে আগের মতন,নেই তুমি কেবল
সেই ব্যথাতে সকাল দুপুর বুকের মধ্যে জল
চির চেনা মেখলা হাসি,মধুর অভিমানে-
ঠোঁট ফোলানো;ভালোবাসা কোথায় যে কে জানে
চোখের মধ্যে বিঁধে আছে খোঁপার জবাফুল
কপাল বেয়ে ছড়িয়ে থাকা অবাধ্য তোর চুল-
সরিয়ে দেবার নাম করে হায় ছুঁয়ে দেবার ছল
এখন সেসব প্রাচীন অতীত-অতন্দ্র অঞ্চল।
শুভ ব্যাচ জন্মদিন-ক্যাডেট ১৯৯৫-২০০১
তবে বন্ধু একটু দাঁড়াও,
দেখা হয়েছিলো সেই কবে,
দূরু দুরু বুকে এক এক টা পদক্ষেপ,
দিনটার কথা মনে কি পড়ে?
যদি ভুলে যাও, তবে মনে রেখো,
আজ তিরিশে এপ্রিল,
পুনর্জন্মের সেই দিন,
আজ তিরিশে এপ্রিল,
ক্যাডেট নামটা গায়ে জড়ানোর দিন.
শুভ ব্যাচ জন্মদিন-ক্যাডেট ১৯৯৫-২০০১
বিস্তারিত»মধ্যান্তর
নদীর এপারে দাঁড়িয়ে ভাবছি শুধুই আমি,
আবছা ছবির খোঁজে ওপারে আছো তুমি।
আমার স্বপ্নগুলো শুভ্র কুয়াশায়
ভেসে চলে অজানা পথের নিরালায়।
কখনও দেখেছ কি অরুণ রোদন?
ছুঁয়েছ আপন হাতে শশীর বদন?
তবে কি অজানা তারা মোদের কাছে,
এখনও লুপ্ত তারা তোমার পাছে।
ভাবছ তুমি, এখনও ব্যস্ত বুঝি সে আগের মতন,
ভাবছে সে, সবইত রেখেছি তার করে যে যতন।
বিভ্রান্ত মন
পথহারা আজ সুরের ভেলায়
বসে আমি আকছি ছবি
ভেজা চোখের জল হল রং
স্বপ্নে আমার আমিই কবি।
না পাওয়া আজ স্বপ্ন আলোয়
জেগে থাকার চেষ্টা প্রবল
মেঘলা রোদে হাসছে রবি
তবুও আজ কাদছে সকল।
যুগ বদলের ধুম্রজালে,
পথহারা সব নবীন প্রানে জাগের প্রেমের ভয়
দ্বিগবিজয়ের উল্লাসে তাই
মনকারা তার নয়ন যে ভাই দৃষ্টি করে ক্ষয়।
বিস্তারিত»বোধহীন
বোধহীন
খুব অদ্ভুত এক বোধ কদিন হলো পকেটে নিয়ে ঘুরছি, তোমরা যাকে
মানসিক ব্যধি বলতে পারো।
এই যেমন, পহেলা বৈশাখের সকালে
সিঁড়ি ধরে নামতে নামতেই
নিচতলার সিঁথি কাটা ছেলেটার সাথে দেখা হয়ে গেলো
ভেজা, বিচ্ছিন্ন ত্যানা দিয়ে
নিজের হাতের মত খরখরে সিঁড়ির ধাপগুলো
মুছে দিচ্ছিলো ছেলেটা- যাতে আমাদের,প্রভুদের,ঈশ্বরদের
ইউটোপিয়া থেকে নেমে আসতে তকলিফ না হয়।
বিস্তারিত»প্রশ্ন
অজশ্র বেদনার মাঝে একটু খানি আশা
ভুলিয়ে দিতে পারে তোমার বিরল ভালবাসা
রাত জাগা কোনো আঁধার ঘরে তুমি প্রানের আলো
অপূর্ণ সব আশার মাঝে তুমিই দ্বীপ জ্বালো
হারিয়ে যাবার ক্রান্তিকালে পথ রুধিলে আমার
ফিরল এমন পূর্ণ করতে স্বপ্ন যত তোমার
কিযে এক প্রানের টানে কেঁদে উঠে এমন
বিষন্ন রাতের মাঝে হারাতে চায় যখন,
তুমি এলে আমার মাঝে উষার আবীরের মতন
সুখ দুখের চিরসাথী যেন যুগ সন্ধিক্ষণ।
মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….
বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।
যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,
ধারাপাত
গল্পের পুরনো বাড়ির মত
ভেবেছিলাম দরজা খুললেই দেখব জমাট বাঁধা অন্ধকার,
তেলাপোকা আর মাকড়সার বসতি
মেঝেতে বিছানো ধুলোর চাদর।
কেন এমন ভেবেছিলাম কে জানে!
সুখের পসরা সাজাতে এই শহরের বুকে
অনেক খুঁজে পেয়েছি একটি ভাড়ার বাসা,
হাঁড়িকুঁড়ি বাক্সপ্যাটরা নিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে ক্লান্ত ভীষণ
উঠেই দেখি হাট করে খোলা দরজা,
আর পুবের জানালা দিয়ে রোদের উঁকিঝুঁকি
ঘরময় ছড়ানো আটপৌরে জীবনের শতেক টুকরো
একদম কোণার ঘরের দেয়াল জুড়ে এক শিশুর আঁকিবুকি।
জীবনের ওপারে আকাশগঙ্গা…..
মৃত্যু- যখন আসার কথা তখনই আসবে। সময়মতোই এসে হাজির হবে-
উদার কপাটে-
থামানো যাবে না তাকে কোনমতে।
ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছে- চলে যেতে কীটস এর পথে। শরীরটা শেষ ঝাকুনি দিয়ে
থেমে যাবে অবশেষে- চির দুখী বিদায়ে।
ভাবতেই পারি না কোনভাবে- নাহ! মানতেই পারি না যে!
এই আলোর মতো জীবনটা, এই চৈত্রের হলকা হলকা হাওয়ার মতো জীবনটা
আমার- নাই হয়ে যাবে একেবারে!
অস্থিরতা
ভালোবাসা-
অস্থির ভাবনার কী স্বস্তিময় এক ঠিকানা!
অনুভূতি, অনুরণন,অনোনুমেয় প্রকম্পন,
অবাধ্য আচরন- কতই না অসাধারন ক্ষন
ক্ষনস্থায়ী, আটপ্রৌড়ে, আর দশটা দিনের মত নয়।
তামাশা দর্শনের উদ্দেশ্যহীন দিনের শেষে,
অমূল্য হৃদয় বিকোনোয় লোকসানের ভয় আর
মোহকে ছিন্ন করা স্থির সেই দৃষ্টি,
কেমনে ভুলিব আমি,
আকাংক্ষাহীন, নিশ্চুপ বাক্যপূর্ণ, গভীর সাগর।
কতই না নিরাপদ, বিশ্বস্ত, অটল পর্বত।
তবু অস্বস্তি মনে,
প্রতিবিম্ব
এই তো সেদিন রাতে,
চারপাশের কোলাহল যখন আরেকটি ভোরের প্রতীক্ষায়
রাতজাগা তারা রা আলো জ্বেলে ক্লান্ত
ঠিক তখন মুখোমুখি হয়েছিলাম একটি ছায়ার।
প্রথমে ভেবেছি স্বপ্ন বুঝি,
আশৈশব কল্পনার কোন এক অস্পৃশ্য চরিত্র
বুঝি নেমে এসেছে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে ।
ভেবেছিলাম হাত বাড়ালেই হয়ত বা অধরা,
ভালো করে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি-
ছায়া টা দাঁড়িয়ে আছে ঠায়
ভুতুড়ে গল্পের মত……
সুন্দরের সান্নিধ্যে সিক্ত
ব্যাগে গুজে দেয়া ব্রেড আর
রাতে পাতে মাছ দুই পিস
মন ভালো হলে শ্রেয়া ঘোষ
খারাপের দিন ভায়োলিন
দীঘির পানিতে আলো খেলে
তোর চোখ দিয়ে দেখলাম
তোর স্নেহ থেকে শিখলাম
ভালোবাসা চেয়ে নিতে নেই
ভালোবাসা বেসে পেতে হয়
শুভ হোক তোর জন্মদিন
(আজ বিশ্ব পাই দিবস। মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের জন্মদিন। এই দিনে আমার বন্ধু নাজমুলও জন্মেছিল।
বিস্তারিত»একটা কবিতা
একটা ছোট্ট কবিতা
তোমায় শোনাবো বলে জেগে আছি অনন্তকাল
আমার সোনার স্বপ্ন,কিংবা তোমার সাজানো বাগান
যেখানেই আকাশ নীল সেখানেই
আমি আর তুমি অনাবিল।
…
আমার অন্ধকার রাতের একলা রাস্তায়
একা হেটে চলা,কিংবা সোডিয়াম লাইটের আলোয়
টি.এস.সি থেকে পলাশী নীরব চোখে কবিতা আওড়ে
সারারাত পার করে দেয়া।
আমার স্বপ্ন এখানে নীল।
অন্য এক জীবন
আশা কিংবা স্বপ্ন এখানে অর্থহীন
তাই আমিও মলিন স্বপ্ন বুনে
নিশিদিন আকাশ দেখি
কবে আমার শেষ
তাই ভেবে দিন কেটে যায়
আমি আধুনিক মানুষ
আমার কম্পিউটারের অর্ধেকটা
ছেয়ে থাকে পর্নোতে,
পর্নোবাহী হয় পকেটের ফোন ।
শরীরের ব্যবঃচ্ছেদ আমার বাঁচার রসদ
বন্ধুত্বের নাম করে আমি দেখি শরীরের ভাঁজ
আহ্লাদের নাম নিয়ে চেপে ধরি ঠোঁট
নূন্যতম লজ্জ্বাবোধের স্থান নেই
আমার শরীরের কোথাও ।
আমি আধুনিক মানুষ
আমি যৌনতায় বাঁচি
ধ্যানমগ্ন আমি পশুবৃত্তি চর্চায়
স্বার্থের টানে বাঁচি মৌনতায় ।
বিস্তারিত»যখন তুমি হঠাৎ করেই এতোটা একা হয়ে যাও
কতটা একা হয়ে গেলে নিজেকেও অনেক একা মনে হয়!
ঢোক গিলে গিলে কাঠ হয়ে যাওয়া গলাকে ভেজাতে হয়
মীরাক্কেল দেখেও হাসি পায় না- কতটা একা হয়ে গেলে মানুষ হাসির কথাও ভূলে যায়!
কতটা একা হয়ে গেলে নিজেকেও অনেক একা মনে হয়!
এদিকে ওদিকে তাকাতে তাকাতে বেলা গড়ায়, বিছানায় গড়িয়ে গড়িয়ে প্রণব ভৌমিক আবার উঠে দাড়ায়-
কানের পাশে মাথার রগগুলো তিড়তিড় তড়পায়
হাতের নখগুলো দাঁতের আদুরে চিমটিতে ছোট থেকে ছোট হয়ে যায়
কতটা একা হয়ে গেলে মানুষ হতাশার কথা ভূলে যায়!