ঘুমোবার আগে মরে যাওয়া প্রেমে সোডিয়াম আলো
চোখ পোড়ালো,চোখ পোড়ালো!
আততায়ী ঘোড়া সওয়ারী হয়ে মেঘেদের ঝাঁক
কষ্ট পাক,কষ্ট পাক!
আমাদের প্রেমে নিবেদিত রোদ
ছেঁড়া চটব্যাগ গাঢ় প্রতিশোধ
সুখতলা ক্ষয়া জুতো,রেণু ঘাম
জেনো রাঙা মেঘ আমিও ছিলাম।
লেখার টেবিল,ভাঙা বুকশেলফ ছাইদানী মুখ
জেনে রাখুক,জেনে রাখুক!
কত শীত রাত একা জেগে থাকা এই দুই চোখ
অন্ধ হোক,অন্ধ হোক!
ক্যান্টিনে ডাকাতি
পেটেতে ডাকিছে মেঘ, ক্ষুধায় যে মরি,
খালি পেটে বসে আছি, নাহি ফুটাকড়ি। ~x(
যতটা কুপন ছিল, সবই আজি শেষ হলো
কুপনের খোসা হাতে রইনু পড়ি-
খালি পেটে বসে আছি,নাহি ফুটাকড়ি। :no:
ডাইনিং এ রুটি দিলো, মুখে নাহি রুচে,
সব্বার মুখে মুখে গালাগালি ছুটে। 😡
প্রেপ শেষে রুমে এসে,
বিস্তারিত»মানুষ
“তারা এসে পড়েছে!”
কথাটি শুনে এখন আর আগের মতন ঘাবড়ে যায় না সে।
ভয়ে তার বুক কেঁপে ওঠে না,
কিম্বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে কুকড়েও যায়না আজকাল।
আসলে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
শত হলেও মানুষ তো! অভ্যেসেরই দাস।
হ্যা, সে মানুষ।
হঠাত করে মনে পড়ে যায় তার,
সে মানুষ।
সৃষ্টিকর্তার নিজ হাতে গড়া রক্তমাংসের
“মানুষ”।
বৃষ্টিবিলাস
আকাশজুড়ে মেঘের সভা, সূর্য মেঘে ঢাকা
চিন্তা ছিল, ভাবনা ছিল, মনটা বেঁধে রাখা।
রসায়নে মন বসে না, বইয়ের পাতায় চোখ,
জানলা খোলা, ভেজা হাওয়া জানায় অভিযোগ।
এলোমেলো মাতাল হাওয়ায় উড়ুউড়ু চুল,
সমীকরণ লিখতে গিয়ে সাজাই শুধু ভুল।
চোখ চলে যায় মাঠ পেরিয়ে মেঘবালিকার সাথে,
বই খাতা সব রইল পড়ে, বৃষ্টি আমায় ডাকে।
বড় বড় ফোঁটায় নামে কালো মেঘের ঢল
ভিজছি আমি,
সুখ ও শান্তি
কেমন চাও জীবনটা?
দুমুঠো ভাত আর একটু কাপড়
আরেকটু মাথা গুঁজার স্থান,
ভালোবাসা আর সম্মান।
ঠুনকো, ভনিতাময় বা মিথ্যা নয়।
এতটুকুই দেবো,
কী???? নিতে রাজি?
সাথে পাবে শান্তি, একদম ফ্রি।
অথবা প্রাসাদ, গাড়ি, নারী
আর খাবার রকমারি,
পোশাক বাহারি ঢঙের,
মনকাড়া রঙের, নতুন প্রতিক্ষন।
কুর্নিশে কুর্নিশে ক্লান্ত সবে,
মহামতির তরে জান যতক্ষন রবে।
আজ চলে গেলে…আমি আটকাতে পারি নি
আজ চলে গেলে
পেছনে রয়ে গেল ১৭ টি রাত্রে নিহত বালক
জোৎস্নার ছুরি…ও স্বর্গের অভিশাপ
‘সুখ পাবে না,সুখ পাবে না তুমি।’
আহত চোখ নিহত চোখ
সব পিছে ফেলে সোজা চলে গেলে তুমি সুর্যের কাছে
খোড়া বটগাছে
হরিয়াল,টিয়া কাঠঠোকরা…একটি অচেনা লোক
বারবার ফিরে আসে।
তবু তুমি চলে গেলে
যেন শেষরাতে চাঁদ মরে গেলে
নিশাচর প্রাণীটির শেষ শিকার যদি ছুটে যায়
তবু তার গর্তে পালানো
এর মত তোমার প্রস্থান
শুকতারা জ্বলজ্বলে চোখে সাক্ষী রইলো!
বিষাদ
আজ শুধু শুন্যতার লীলাখেলা
দরজার গভীরে
বিবেককে প্রশ্ন করে কোন
উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ যেন এক অর্থহীন পার্থিব আগ্রাসন
নিরন্তন পিচঢালা পথে
যে আশাবাদী অক্ষরেরা সংগ্রাম করে
দাম্ভিকতার নিষ্ঠুর অনুকম্পায়
তা সবই চাপা পড়ে যায়।
আজ শুধু ক্রোধ খেলা করে
ছায়াপথের নীহারিকার বেড়াজালে।
বিস্তারিত»আমার আকাশ ভরা মেঘ
আমার আকাশ ভরা মেঘ
তোমার আঁচল ভরা নীল
আমার আবোল তাবোল কাব্যে
তুমি অবাক অন্ত্যমিল।
আমার রাতের নীরবতা
তোমার আলতো পায়ে আসা
আমি পাবোনা জেনেও
শুধু তোমায় ভালোবাসা।
তুমি মেঘের মাঝে লুকাও
তোমার কান্না ভেজা চোখ
আমি চাইছি এবার তবে
ভালোবাসার বৃষ্টি হোক।
আমি ভিজবো তার ই ধারায়
যদি হাতে রাখো হাত
তুমি বর্ষা দেশের রাণী
আমার ভেজা শ্রাবন রাত।
বিকেলে-৩
আকাশে তার পড়ে যাবার ভয় –
প্রকাশ্যে একথা মানবে
এমন বেকুব কিছুতে সে নয়
বৃত্তের ভেতরে
বাইরে
বাইরের, ভেতরের
সমূহ বৃত্তে
হাঁপিয়ে ওঠা সে
বৃত্তবন্দী কাক
অগত্যা
আকাশে
চড়ে দেখে,
রয়েছে
আকাশেরো
বৃত্তাকারে
নাচবার
দু্র্বিপাক?
___________________________________________________________
রুম্মানের এই ছবিটি নিয়ে কিছু বলা সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে আমার।
শকুনের দল
মেয়েটির একটা মন খারাপের গাছ ছিল
পিঠে মায়ের দুমদুম কিল খেয়ে কাঁদত মাঠের ওই কিনারে
গাছের কাছে জানাত নালিশ,
প্রজাপতি আর ঘাসফড়িঙের পিছে ছুটে
ক্লান্ত মেয়েটি হাঁপাত পুকুর পাড়ে ।
মা বলেছে বাড়ি ঢুকলেও জুটবেনা রাতের খাবার
ক্লাসে পড়া না পারার শাস্তি !
সন্ধ্যা নামতেই ঘুমে ঢুলঢুল মেয়েটি ভাবে,
ফের স্কুল পালাবে কাল!
বিস্তারিত»অন্তরে-লীন
অনুভূতির দেয়াল কেটে কেটে- যদি তোমাকে
খোদাই করতে পারতাম !
তবে- মনে মনে শংকা ভুলে- হয়তো একটু স্বস্তি পেতাম।
একটু মাখামাখি হতো দুরত্বের কষ্টে,
আর-
একটু জিরিয়ে নিতাম-গভীর চোখের চোরাবালিতে!
তোমার অনামিকা-তর্জনীর পেলবতা ছুঁয়ে,
ভালোলাগা মাখামাখি হতো- চাওয়া আর নাচাওয়ার দোলাচলে-
পাওয়া-নাপাওয়ার গন্তব্য সুদূর মরিচীকায় ভাসে!
পারতাম যদি-
অনুভূতির দেয়াল কেটে কেটে তোমাকে খোদাই করে রাখতে!
তূর্ণা!তূর্ণা!!
তূর্ণা!তূর্ণা!!
ফুল ফুটে মৌতাত,
তার মদে চূর না!
জানি তুই আকাশের পরীদের ছোটবোন!
কি জানি কী খেয়ালেতে পৃথিবীর ঘাসবন
মাড়াতেই এসেছিলি;চলে যাবি ঠিক ফের,
তার আগে শুনে যা কবিতা শুনে যা সে কবিদের-
যার চোখে লেগে আছে
তোর নীল ওড়না!
তূর্ণা!তূর্ণা!!
কার রূপ চুরি করে এই দেশে এলি তুই?
বিস্তারিত»দুর্বল-সঙ্গীত
কি লিখবো?
উত্তাল হৃদয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ
কার তরে লিখবো? কে আছে মন দিয়ে শুনবে?
কে আছে আফ্রিকায় কাতরানো-
সেই শিশুটির মুখে তুলে দিবে এতটুকু খাবার,
ওষুধ আর
এতটুকু বস্ত্র?
কিংবা কার মনোযোগে আরশীনগরবাসী
অজ্ঞাত অসহায় অভুক্ত সেই প্রতিবেশী।
আমিই কি আছি?
নিজের অধিকার নিয়েই তো তটস্থ,
অস্থির আমি-
যোগাতে অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, ভালোবাসা-
লুটেরা, দুর্বৃত্ত আর প্রতারকের ভিড়ে
হয়তো নিজেও তাদের একজন,
নীলপরী,তুই হারিয়ে যাবি আমি কি জানতাম?
নদীর ধারে সন্ধ্যা বেলা-ধূ ধূ বালির চর
চোখের কোণে বাষ্প জমে হঠাৎ বুক মোচড়
প্রিয় নারী হারিয়ে গেছে কোন সে আধাঁর মাঝে
সেই বেদনা নূপূর হয়ে কার পায়ে যে বাজে
তাকেই খুঁজি সমস্ত দিন-সকাল রাত দুপুর
কোথায় যে নীল শঙ্খ বাজে,কোথায় অচিনপুর
অন্ধকারে গন্ধরাজের উপর করা শাখা
সেই ছবিটা ঠিক এখনও যত্ন করে রাখা
শ্যাওলা পড়া প্রাচীন ইটের সেই দেয়ালের কাছে
নির্বাচিত দুঃখগুলো ঠিক তেমনই আছে
সবই আছে আগের মতন,নেই তুমি কেবল
সেই ব্যথাতে সকাল দুপুর বুকের মধ্যে জল
চির চেনা মেখলা হাসি,মধুর অভিমানে-
ঠোঁট ফোলানো;ভালোবাসা কোথায় যে কে জানে
চোখের মধ্যে বিঁধে আছে খোঁপার জবাফুল
কপাল বেয়ে ছড়িয়ে থাকা অবাধ্য তোর চুল-
সরিয়ে দেবার নাম করে হায় ছুঁয়ে দেবার ছল
এখন সেসব প্রাচীন অতীত-অতন্দ্র অঞ্চল।
শুভ ব্যাচ জন্মদিন-ক্যাডেট ১৯৯৫-২০০১
তবে বন্ধু একটু দাঁড়াও,
দেখা হয়েছিলো সেই কবে,
দূরু দুরু বুকে এক এক টা পদক্ষেপ,
দিনটার কথা মনে কি পড়ে?
যদি ভুলে যাও, তবে মনে রেখো,
আজ তিরিশে এপ্রিল,
পুনর্জন্মের সেই দিন,
আজ তিরিশে এপ্রিল,
ক্যাডেট নামটা গায়ে জড়ানোর দিন.
শুভ ব্যাচ জন্মদিন-ক্যাডেট ১৯৯৫-২০০১
বিস্তারিত»