নির্বাসনের কবিতা

১.
তেতুল বনে উঠবে জোছনা
তিতলী তুমি থাকবে কি?
মধ্য রাতে দূরের পথে হাতটি ধরে হাঁটবে কি?
নিঃসীম রাতের নিরবতায় একটি কথা বলবে কি?
ছন্নছাড়া বিষন্নতায় মনের সাথে চলবে কি?

জোছনা থাকে মুখ লুকিয়ে চাঁদের চোখে দেখো
তিতলী তুমি অন্য আকাশ,
আমায় পাশে রেখো

২.
মানবী তোমার মুখে ঢেলে দেব বিষ
মানবী ঈশারায় দাও যদি শিস
মানবী তোমার খুনে রাঙাবো এ হাত
মানবী তোমার মনে হোক বজ্রপাত
মানবী তোমাকে চাওয়া সুবিশাল পাপ
মানবী তোমাকে তাই দেই অভিশাপ
মানবী হবেনা সুখী,কেঁদে যাবে বেলা
মানবী আমাকে যদি করো অবহেলা
মানবী তোমার মন ভেঙে যাক ঝরে
আশ্রয় খুঁজবে তখন আমার ই ঘরে.

বিস্তারিত»

অতঃপর তুষার মীমাংসা

কবিতার বিপরীত গদ্য নয়,বিজ্ঞান…
আর গদ্যের বিপরীত হল ছন্দ!

_____স্যামুয়েল টেইলার কোলারিজ

এইবার আমি সত্যি সত্যিই রঙচটা ধূসর সেই ল্যাম্পপোস্টটা হয়ে যাবো…তারপর তোমার হোস্টেলের সামনের রাস্তাটায় দাঁড়িয়ে থাকবো রাতের পরে রাত।আর প্রতিদিন সকালে মুখে সাজুগুজু মেকআপ মেখে তুমি দাঁড়াবে গলির কোনের মোড়টায়-কোন হাতেটানা রিক্সা বা ট্যাক্সির জন্য,আমি এই দেখে তারপর ঘুমাতে যাবো আমার পরিপাটি নিভাঁজ বিছানায়।আর ক্লাস শেষে তুমি ফিরবার আগেই আবার ভাঙা ল্যম্পপোস্ট হয়ে দাঁড়িয়ে যাবো তোমার আগমনী পথের-প্রতীক্ষায়।বিবর্ণ রঙউঠা তুচ্ছ ল্যাম্পপোস্টটাকে তুমি চেয়েও দেখবে না একবার সন্ধ্যায় যখন জানালার পাশে দাঁড়াবে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাবার আগে পর্দা টেনে দিতে আসার সময়।তুমি জানবেও না কেন এত দিন ধরে তোমার ঘ্রাণের পাহারায় জেগে থাকি সারা রাত।কোনদিন দেখোও নি তুমি,বোঝও নি তুমি,আমি লিখে বলে কতবার তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি ,তুমি অন্ধ রাজকণ্যার মত হেটে গেছো ঠোঁটে খড়কুটো নিয়ে।রাতের পর রাত জেগে আমি লিখেছি অর্থহীন এক্রস্টিক ,তুমি সেসব পড়েও দেখো নি একবার,অন্তত কবিতা হিসেবেই।আজকাল রাত বাড়লেই আমি তোমার ঘ্রাণ নিতে নিতে যখন প্রবল কুয়াশার মধ্যে অনুভূতি হারিয়ে ফেলি-তখন সোডিয়াম হলুদ আলোরা আমার কাছে পৌছে দেয় তোমার ছন্দোবদ্ধ নিঃশ্বাসের তারবার্তা।সম্প্রতি যে জোনাকীর সাথে পরিচয় হয়েছে সে আমাকে বোঝালো পাখি হয়ে চুপি চুপি তোমার জানালা গলে ঢুকে পড়তে তোমার অন্ধকার ঘরে…আর সাজ আয়নার সামনে তোমার অভিব্যক্তি দেখে লিখে ফেলতে শত পৃষ্ঠার নতুন কোন সিরিজ,আমি অস্বীকার করেছি।চৌর্যবৃত্তির ইচ্ছে নেই।যেটুকু দান করবে তাই আমার জন্য প্রসাদ।তাছাড়া আমি তো আর কিছু চাইনি-একবার চুমু খাবো-তারপর মিলিয়ে যাবো বাতাসে-যেন কোনদিন ছিলাম না আমি।

বিস্তারিত»

রাসচন্দ্র-রাতে

এসো, চলে এসো আজকের শিশিরচাঁদে। একা একা স্নান করো পূর্ণিমা জলে ।
কুয়াশায় ভিজে ভিজে, ভরা চাঁদে ডুবে ডুবে, নেমে এসো জোছনা তলে।

১০৪ শরীর পোঁড়ানো তাপে, আলোক বন্যায় বসে, একরাশ বিষাদ শ্বাস-
তারপর মারা যেও চন্দ্রাঘাতে।
ঢলে পড়ো, ঢলে পড়ো, এই মধু-কষ্ট-রাতে।

এসো-না থাক, সবকিছু থেমে থাক-
একা যাক-চলে যাক কিছুখণ, একা যাকনা জীবন, হোক কষ্টের নিরূপন এই জোছনাতলে।

বিস্তারিত»

বাংলার গ্রাম

প্রতি ঈদে অপেক্ষায় থাকি কবে গ্রামে যাব
প্রানভরে মাঠে দাড়িয়ে সতেজ বাতাস খাব।
চোখজুড়ে দেখব আমি গ্রামবাংলার সবুজ,
গ্রামে যাওয়ার জন্য তাই মনটা আমার অবুঝ।

বুক ভরে ঘ্রান নেব সরিষা ক্ষেতে যেয়ে
আমি নদীর ওপাড়ে যাব ছোট ডিঙ্গি বেয়ে।
কখনো বা হারিয়ে যাব ধান ক্ষেতের মাঝে,
গ্রাম ঘুরে নগ্ন পায়ে ফিরব ঘরে সাঁঝে।

নদিতে নেমে সাঁতার কাটব আরও ধরব মাছ
খালে আমি শাপলা তুলবো লুঙ্গি দিয়ে কাছ।

বিস্তারিত»

অন্যরকম ডায়েরী

কলেজে থাকতে ডায়েরী লেখার অভ্যাস অনেকেরই থাকে, আমারও ছিল। তবে কখনোই নিয়মিত হতে পারিনি। একবার-দুবার নয়, চার-চারবার ডায়েরী লেখা শুরু করি। প্রথমটা ক্লাস সেভেনে। দ্বিতীয়টা মনে নেই, তৃতীয়টা ক্লাস নাইন-এর শেষ থেকে এস.এস.সি. পর্যন্ত। শেষবার ক্লাস টুয়েলভে।

প্রথমটায় ছিল ক্লাস সেভেন-এর এক বাচ্চা ক্যাডেট-এর সুখ(!)-দুঃখের কথা। এমনকি কোন সিনিয়রের কাছে কি পানিশমেন্ট খেয়েছি, পরিমাণসহ লেখা! তৃতীয়টা কিছুটা পরিপক্ক। তবে তৃতীয়টায় আর গতানুগতিক থাকতে ভালো লাগলো না,

বিস্তারিত»

টুকরো টুকরো কাব্য

//

জীবনের পথে কতকিছু ঘটে, মানুষেরা বোঝে ভুল,

ছোট ফুসকুড়ি, তবু যেন তা-ই মনে হয় নাকফুল।

বিশ্বাস ভাঙে, বিশ্বাস গড়ে, ভাঙে না যে সখ্যতা,

জীবনের পথে চলতে চলতে হতে পারে মূর্খতা।

অপরাধ করে অপরাধী যদি পোড়ে শোকানল তাপে,

ক্ষমা হয়ে যায়, যদি বা একটু বিচারক চোখ কাঁপে।

//

//

জানি একদিন যেতে হবে চলে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে,

বিস্তারিত»

শীতের সকালে চায়কভ্‌স্কি

একটুকরো কালো মেঘ,
তুলতুলে হাওয়ার পাল –
বেহালা হাতে দাঁড়িয়েছে
বিষণ্ণ সকাল।

উদ্বাহু গাছ ওই
ন্যাড়া ডাল নয়,
যেন শিকড়ে বিঁধেছে
ফ্যাকাশে আকাশ!
বাদামি সব পাতারা
হাওয়ার পায়ে পায়ে
ঝরে গিয়ে সার সার
হাঁসের অবোধ ছানা হয়ে
লাল-সবুজের পরোয়া বিনেই
রাস্তা পেরোয়

কি যেন কি নেই
কি জানি কি নেই!

বিস্তারিত»

গন্ধ

সবকিছুরই একটা গন্ধ আছে_

মানুষের সৃষ্টি গন্ধ;

নাকে আমার লাগছে বড়,

পোড়া লাশের গন্ধ।

সবাই একে-অপরকে দোষ দিয়েছে_

করেছে কেউ চোখ বন্ধ;

সবচেয়ে আমার লাগে বাজে,

নোংরা রাজনীতিরই পঁচা গন্ধ।

মরছে মানুষ, জ্বলছে মানুষ_

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ;

দিন-দুপুরের অপরাধী মানুষ,

ভাবছে সবাই অন্ধ।

বিস্তারিত»

জন্মদিনের লেখাঃ মাতাল,আমাকে অগ্নিতে ফেলে চুপ বসে থাকে মা নিষাদ

এই রকম কাঞ্চনরাত্রিতে আমার শঙ্খচারিনী মেতে উঠে তুমুল উল্লাসে
ঘুমের ভেতর কেপে কেপে উঠে আমি দেখি আলোকের বর্ণময় মুখ
ঃ ধূলোরাশি!
অতঃপর ধূলোতেই পড়ে থাকে মিলনের দাগ-রক্ত,বীর্য,থুথু,প্রতারণা
আমাকে ছাড়া আর যাকেই দেহ দেবে গোপনে নীল হয়ে উঠবে ক্রমশ
এবং রাত পার হলেই ভোর,তারপর আবার রাত্রি,আবার মিথ্যে,আবার মিলন
নিয়ম মেনে মেনে প্রতারণা,অতীত ঘরে বসে চুমু খাওয়া
থরথর কাঁপতে কাঁপতে সিড়িঘরের সব ধূলো জমা হয় মেঘের গায়ে
লাল-নীল চিঠি সমূহ কাগজের উড়োজাহাজ হয়ে ঢুকে পড়ে অন্য পুরুষের ঘরে
এরপর বুকের বস্ত্র তুলে দিয়ে,অবিস্তত্র চুলগুলো বিন্যাসকরণ
মৃগনাভি,ঈত্বর ইত্যাদি গায়ে মাখা-তারপর চুপিচুপি গোপন প্রেমিকের প্রতি ফিসফিস-
“মাতাল,আমাকে অগ্নিতে ফেলে চুপ বসে থাকে মা নিষাদ!”

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৫

নিষাদ-ঋষভ-গান্ধার
ছুঁয়ে
তীব্র মধ্যমের
জর্জর কম্পিত আলাপে
কেটে গেছে কাল
তোর প্রতীক্ষায়
রাতভর
ইমন কল্যাণ বাজিয়েছিল
ধুলোমলিন, পরিত্যক্ত সেতার
বারংবার
ঝালায় ঝালায়
রক্তাক্ত আঙুল
নেচে বেড়িয়েছে
ল্যাপটপে
জানলার গরাদে
ফুটিয়েছে
ব্যর্থ ত্রিতাল

এলিনা হায় পার্থসখা
না হয় সেতার হত রাধিকা,
তুই
যুবক বিলায়েৎ খাঁ!

বিস্তারিত»

নিতান্ত ফ্রয়েডীয়


তারপরও জেনো,এই বোকা বাঁশীওয়ালাই
জিতে নিতে চায় সকল মুগ্ধতা,ঘামের মাদক ঘ্রাণ
নরোম মুখের স্বাদ,ছন্দোবদ্ধ নিঃশ্বাস,প্রেম ও
বোতাম ভাঙার দায়-তোমার সর্বস্ব বিদ্যুৎ!

কাকে ভালোবাসতে,কাকে বাসো,তোমার অতীত বৃত্তান্ত
তা নিতান্ত নগন্য;আজকাল প্রায়ই ডুবেও থাকি তোমাকে
জিভ-চুমু খাওয়া,তোমাতে ডুবে যাওয়া ইত্যাদি সব
নষ্ট স্বপ্নদৃশ্যে-আর মনে মনে বলি,”আমাকে পুড়িয়ে করো ছাই!”

বিস্তারিত»

তবু পাশে থাকো

আরো কিছুখন থাকো পাশাপাশি

অন্ধকার, তবু

কান পাতলেই শিশির ঝরার টুপ টাপ টুপ…  কান পাতলেই।

যদিও এখন কান না পেতেই পায়রার কান্না শুনি…  সবখানে।

 

তবু পাশে থাকো

পাশে আছি বলে আঁধারেও ডাকে কোন কোন পাখি

গাছে ফোটে ফুল

ভগ্নাস্তুপে বুদ্ধ হাসেন মৈত্রীর হাসি

বলেন, “সকল প্রাণী সুখী হোক”।

বিস্তারিত»

ভেতরে কেউ কাঁদছিল

লেখালেখির বিশেষ কিছু না পেয়ে অগত্যা কবিতাপাঠ।আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি কবিতা।
কবিতা: কাঁদছিল, কেউ কাঁদছিল। সৈয়দ শামসুল হক।
সুর কৃতজ্ঞতা: Missing you, আনন্দ শংকর।

ভেতরে কেউ কাঁদছিল

কাঁদছিল, কেউ কাঁদছিল

ভেতরে কেউ কাঁদছিল তখন থেকে কাঁদছিল
সেই তখন থেকে
যখন আমার সাজানো এক ঘর ছিল
যখন তার দরোজা থেকে বিরাট তালা ঝুলছিল
ভেতরে কেউ কাঁদছিল
তখন থেকে যখন থেকে
তোমার মতো কারোর দিকে দেখার দুটো চোখ ছিল
যখন কিছু বলতে গিয়ে
হঠাৎ করে ভয় ছিল
নাম ধরে যে ডাকব তখন
সেই সাহসের টান ছিল
তখন থেকে কাঁদছিল ভেতরে কেউ কাঁদছিল
কানে আমার যাচ্ছিল
বোকা যেমন –

বিস্তারিত»

মুক্তি

মুক্তি চাস? মুক্তি পাবি
মুক্তি চাস,মুক্তি পাবি
মুক্ত হয়ে চলে যাবি…
কিন্তু তুই কোথায় যাবি?
কোন আকাশে কোন বাতাসে
দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘশ্বাসে
ধাক্কা খাবি।
মুক্তি পেয়ে চলেই যাবি।

আমার আবার কিই বা হবে,
আগের মতই কয়েকটা রাত
কাটবে না হয় তোকে ভেবে
বিষাদ কালি চোখের নিচে জমলে বেশি
কছম খোদার,তুই চরম সুখী হবি।

বিস্তারিত»

টানো,তুমি জানো- এ ঠোঁটের স্বাদঃ

টানো,তুমি জানো-
এ ঠোঁটের স্বাদঃ

কূয়ো থেকে জল টানা-বিষাদ,বিষাদ!
তুমি জানো না জানি
এত এত পথ ঘুরেও হয়তো খুব বেশী কাছে আসিনি
ইচ্ছে হলো না তখন,এখন প্রবল ইচ্ছে খেলবার

তোমার সাথে আমার নদীপার হওয়া দীর্ঘশ্বাস
কেবল ছুঁয়ে দেখিনি,এখন প্রবল ইচ্ছে হয়!
লোভী!
লোভই!
তাই তোমাকে প্রলুব্ধ করবার নাটুকে বাসনা
আমার নাটক করবার ইচ্ছা,পড়ে থাকে,পালকে
তাই টানো,আমাকে টানো,পড়ে থাক অবশিষ্ট ধূলোবালি
টানো,টেনে তোলো জল,প্রিয় মফস্বল,পড়ে থাক রেলগাড়ি
পড়ে থাক রেণু,লোভ,বিষাদ,বিষাদ-
ক্ষমা করো দেবী,এই তো সামান্য অপরাধ!

বিস্তারিত»