দেয়ালের প্রতিদিন-২

টিকটিকিটা
আড়চোখে
একবার আমাদের,
একবার পরীর মতো
ডানা ছড়ানো
মথটিকে দেখছিলো

তখন তোমার কাপের কিনারায়
ঘষটে গেছে লিপস্টিক।
ঈর্ষায় পিরিচ ও আমি
যুগপৎ ঝনঝন
কেঁপে উঠেছি, আর
ভেবে চলেছি
এলোমেলো অনামী
প্রসংগ তুলে
কাঁটাগুলোকে
আরেকটু ঠেলেঠুলে
দেয়ালঘড়িতে
কি করে
পাঁচটা বাজানো যায়

এদিকে
সন্তর্পণে জিভ ছুঁড়ে দেবার
ক্ষণ চলে গিয়ে
কাপ জুড়ে
লিপস্টিকের
লাল বিদ্রূপে
টিকটিকির
বিকেল পুড়ে যায়….

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব-৭

ঘাটে
চোখাচোখি হতে’
চোখে ডেকেছিলো।
মন্ত্রমুগ্ধ বালক
কবে’ নেমে গেছে
পুকুরে
এক গলা জলে,
বলেছিলো
প্রণয়ের
হবে বিনিময়
সাঁতার শেখার ছলে!

দুপর গড়ালে
মাছেরা দেখেছে
মেয়েটি কোথা!
ধু ধু পুকুরে
বালক
একাই স্থানু
আকণ্ঠ জলে…

বিস্তারিত»

হাওয়া বিষয়ক উপদেশ

ছেলেটির মনে হাওয়া লেগেছে, উপদেশ  –

হাওয়া-রে যখন কিনেছিস হাট হতে
ছাড়িসনা তারে তুই সস্তাতে
হাওয়া-রে তুই মন ভরে ভালবাসলে
সে তোরে ভরিয়ে দিবে সুদেআসলে …..।।

মেয়েটির মনে হাওয়া লেগেছে,উপদেশ–

হাওয়া-রে তুই লাগতে দিলি কেন-রে
জানিস তো, হাওয়া থাকে না কোন ঘরে
যদি পারিস, দরজার খিল দিস শক্ত করে
হাওয়া যেন দম বন্ধ হয়ে ভালবাসে তোরে…।।

বিস্তারিত»

প্রলাপঃ প্রেমিকাকে ফেলে এসেছি শেয়ালভরা বনে ও বাঁশিওয়ালা সিরিজ


১.
বলতো আমি কেন আর লিখবো?আমার কি লেখা উচিত?
তুমি যতদিন ছিলে,লিখবার পর মনে হত এ কবিতার একটা উদ্দেশ্য অন্তত তুমি।এখন,লিখতে গেলে যদি কোন দুঃখ ঢুকে পড়ে,লোকে একে ভুল বুঝে ভেবে নেয় এটি তুমিহীনতার নিজস্ব দুখগাঁথা।
এখন বলোতো কেন আমি নিজের এই একান্ত ব্যক্তিগত বিষন্নতা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেবো?আমার কি লেখা উচিত?
আজকাল খুব সহজেই তোমার খোঁপায় একটি প্রজাপতি কিংবা তোমার বিছানায় পা ছড়িয়ে বসে থাকবার একটি আনন্দময় দৃশ্যের চিত্রকল্প লিখে ফেলার চেয়ে একটি ভাঙা ব্রীজের পাশে শীতের সন্ধ্যায় তোমার নিঃসঙ্গ বসে থাকবার মনখারাপ একটা ছবি এঁকে ফেলতে বেশী ইচ্ছে হয়।নৌকায় করে একে একে চলে যায় তোমার পক্ষের ক্লাউনেরা।আমরা পাড়ে বসে এসব দেখে হেসে হেসে লিখে ফেলি শত পৃষ্ঠার প্রলাপ সিরিজ।দায়সারা বৃদ্ধকে বলি,

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৯

সবুজ আঁচল ভেদ করে
আমূল বিঁধিয়ে
প্রেমের সুতীক্ষ্ণ ছোরা
নিরুচ্চারে চিরে দ্যায়,
হন্তারকের এ
কেমন অসুখ!
পিপাসার নামে হায়
ফালি ফালি
হয়ে যায়
তরমুজের
নরোম
লালাভ বুক।

বিস্তারিত»

মুনিয়া

আমার একজোড়া মুনিয়া চাই
কলাপাতা সবুজ আর নীল মেশানো ধুসর
কিংবা আকাশী নীলের মাঝে সাদা ফুটকি,
ওদের জন্য খুব শিগগির বানাব প্রাসাদ
শিকের পরে শিক,লোহার ছোট্ট ফটক
আংটায় লাগাবো ঝালর মখমলী
লাল,নীল,বেগুনী।

খেয়েদেয়ে ভরপেট
শিকের ফাঁকে লম্বা ঠোঁট গলিয়ে
মুনিয়া আমায় শোনাবে কিচিরমিচির,
নরম পালকে হাত বুলিয়ে
দিন ছুটবে তন্দ্রা ভেঙ্গে,
বারেবারে চুম্বক টানে দেখব
দুই মুনিয়ার ঘরসংসার,

বিস্তারিত»

স্বার্থপর ইচ্ছা

আকাশ রাঙ্গানোর ইচ্ছা ছিল না আমার
তবুও বার বার রংধনু হয়েছি আকাশ রাঙ্গানোর ইচ্ছায় ।
পাহাড়ের সাথে আলিঙ্গন করার ইচ্ছা ছিল না আমার
তবুও বার বার ঝড়ো বাতাস হয়েছি পাহাড়ের গায়ে কাঁপন ধরাবার ইচ্ছায় ।
সমুদ্রের মাঝে বিলীন হয়ে যাবার ইচ্ছে ছিল না আমার
তবুও বার বার নদী হয়েছি বিলীন হবার ইচ্ছায়  ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
এই সবই করেছি অহেতুক এক স্বার্থপর ইচ্ছায়
কারন তোমাকে জড়িয়ে ধরে ভুলতে চেয়েছি
নিঃশব্দ ক্ষণজন্মা আমার জীবনের বধির সময়গুলিকে…।।

বিস্তারিত»

ঘুম ভাঙ্গার পর

অভ্যেসটা ঠিক এমন হলো-
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ইদানীং আর অবাক হই না,
মধ্যরাতে একলা হাঁটি,
বিন্দু বিন্দু শিশিরগুলো-
জমতে থাকে  নগ্ন পায়ে।

চেনাজানা পথ অচেনা হলে-
কাছে কিংবা দুরে কোথাও
হারানো দিনের বিলাপধ্বনি!
সরু লম্বা কান্ডগুলো,
বিষন্নতার স্তম্ভ যেনো।

দুর আকাশে দু’চোখ মেলি,
কেমন যেনো অন্যরকম!
আকাশ ভরা কান্নাগুলো-
কুয়াশা হয়ে নেমে আসে।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন #১

রোদেলা দুপুরে
মনের ভিতরে
বৃষ্টিতে শ্রাবণ
বিষণ্ণতায় অবগাহন…।
তুমি আর আমি
অন্ধকার কামী
নিস্তব্দতার মাঝে
হারাবো এই সাঁঝে…।

বিস্তারিত»

না-পাঠানো চিঠি

‘আয়!’-
বলে ডাক দিতেই
হায়
পিলপিল করে
উঠে আসে তারা,
আসকারা
পেয়ে
টেবিল
বেয়ে
নেমে
অক্ষরের
সে বেহায়া
মিছিল
আশ্লেষে
ছড়িয়েছে
গোটা পাড়া

সবখানে
হাসাহাসির সে কি
ধুম লেগে গেছে
তুমিই বোঝনি এসব
অপ্রতিভ ইশারা

বিস্তারিত»

আঠারো জুনের কবিতা

সাগর থেকে মেঘের পরী
এই শহরে এলো
আমরা তখন সিঁড়ির কাছে
ভীষণ ব্যস্ত ঠোঁটে
মাঝ দুপুরের নির্জনতা
শব্দ করে ফোটে
নিচের থেকে দ্বারপ্রহরী
এলো কী কুক্ষণে
বিদায় বেলায় এসব কথা
কেউ রাখে না মনে!

সেদিন কত আর্দ্র রাত্রি
বৃষ্টিতে মন্থর
যাদুকরের মন্ত্রে ছোটে
বজ্র হিবিজিবি
দুর্যোগে তার তন্দ্রা ছোটএ
বিস্মিত পৃথিবী
হরিণ যত দৌড়ে পালায়
প্রাচীন মায়াবনে
আজকে সেসব মিথ্যে কথা
কেউ রাখে না মনে।

বিস্তারিত»

বাস্প উপাখ্যান

তুমি দেখনি-
ফুটন্ত জলের বাষ্পীভবন।
সে-ই ভাল,
আমাকে কি আর-
আলাদা লাগত তখন?

মহাজাগতিক যানে-
তুমি আজ নক্ষত্ররাজ্যে।
আর আমার-
চৌকির চার পা প্লাবিত।
হ্যা-
এখানে আজ মহাপ্লাবন।
ভাসছে স্বপ্ন, সুখ, কামনা-
ঘোলা, নোংরা পানির ঘূর্ণিতে।

অবসর নেই, তবুও-
অবসরে কাটে জীবন,
ক্ষুধামন্দায় আকাশের স্মৃতি।
সহস্র বছর-
রোদ ওঠেনি।

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৮

১।
এ পোড়া দেশেও হায়
বৃষ্টি নামে
চশমায়
তেরচা হয়ে….

মাঠ নয়,
শপিং মলের ধু ধু পার্কিঙে
রোরুদ্যমান দুচোখ
বেদিশা থমকে যায়
চরাচরে শুধু
করুণ গাভীর মতো ভিজে চলে
সারসার গাড়ির কাঁচ

২।
আকাশের মতো
এই জানলা জুড়ে
বৃষ্টির পরোয়ানা নিয়ে
দৈত্যের মতন মেঘ এসে
দাঁড়ালে কোনদিন,

বিস্তারিত»

দূরত্ব

তুমি আর আমি

এখন দুজন দুগ্রহের বাসিন্দা,

কেটে গেছে অনেক দিন, কিন্তু

কমেনি আমাদের মাঝের দূরত্ব;

তারপরও জানি

আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি।

 

চলে গেছে সে ক্ষণ, যখন

তোমার ছায়াকে অনুসরণ করত আমার পদচ্ছাপ,

এখন চলে যায় দিনের পর দিন, তবুও

আমার হৃদয় পায় না তোমার কোমল স্পর্শ;

বিস্তারিত»

প্রলাপঃ১৮

ফুটপাথ ধরে হেটে যাওয়া লোক-সংযত হোক
সংসারী আর ব্যাস্ত লোকেরা-সংযত হোক
দাড়িওয়ালা বুড়ো,ট্রাফিক পুলিশ-সংযত হোক
কাঁধে ভারী ব্যাগ ছোট যত খোকা-বেঁধে রাখো চোখ

খোলা পিঠ আর নিটোল বাহু-দেখাবে তোমাকে
মৃদু মেদ আর মসৃণ ভাঁজ-দেখাবে তোমাকে
সুগভীর নাভী,দুলকী কোমর-দেখাবে তোমাকে
কেবল প্রাচীন কথাগুলো আজ পিছে পড়ে থাকে

বিস্তারিত»