আমায় বারুদ এর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই
সভ্যতাকে পোড়াতে ,ছাই ভস্ম করতে যে হিংসার বারুদ ছড়ানো ছিটানো ছিল
আরব সাগরের পাড়ে, দজলা ফোরাতের তীরে
সেই বারুদ কে আমি পুড়িয়েছি নিজের হাতে নিজের মত করে আপন খেয়ালে আপন ধ্যানে
এক্টুও ভয় পাইনি
সুকান্তের দেশ্লাই দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি লাখ লাখ টন বারুদ
আমাকে দাবানলের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই
আমি অনেক দাবানল দেখেছি
এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ,আফ্রিকা থেকে ইউরোপে
শীতল প্রশান্ত করে দিয়েছি সেইসব দাবানল কে
আমাকে আগুনের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই
পুড়তে পুড়তে আমি নিজেই জ্বলে উঠেছি
পুড়িয়ে দিয়েছি চিতার আগুন কেও
আমাকে হিংসার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই
আমি হিংসাকে ভালোবেসে নিজেই কখন জানি হয়ে উঠেছি অহিংস
আমাকে মানুষের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই
আমি মানুষ খেকো মানুষ কে বধ করে অমানুষ কেও বানিয়েছি মানুষ
আমাকে হৃদয়ের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই
আমি হৃদয়ের পাথুরে জমিন খুড়ে
সে জমিনে ফুটিয়েছি ্লাল টুকটুকে রক্তগোলাপ
আমার বান্ধবীরা,যারা আত্মহত্যা করতে চায়,অথবা চায় না
সবাইকে নিয়ে এবার আটতলার ছাঁদে বেড়াতে এসেছি
নিচে কংক্রীটের কী মসৃণ মজবুত সারফেস!
সাথে ব্লেড,রশি,আর তিনশত ঘুমের বড়ি
এদের সবারই বয়ফ্রেন্ড ছিলো,প্রেমিক ছিলো না
যার যার কাজ শেষ করে সকলেই বাড়িতে গেছে গা ধুতে
শুধু মেয়েগুলো পড়েছিলো বিছানায়-
~একা,বিধ্বস্ত,আতঙ্কিত,লজ্জিত এবং একা~
অবশ্য শীৎকারে কেউ কার্পন্য করে নি
অন্তত বয়ফ্রেন্ডদের তাই মনে হয়েছিলো
(অবশ্য তাড়াহুড়োর মধ্যে কে শুনতে যায়)
আর আজকে যখন ছাদে নিয়ে এলাম
একজন বলছিলো,কেউ তো জানে না!
তোমার জন্য মরীয়া হয়ে ছুটছে সারা শহর
তারপরও তুমি কাঁচঘরে একা জানালায় বসে থাকো
সামনে রঙিন স্বপ্ন সাজিয়ে দুই চোখ বেধে রাখো
চাঁদ চুঁয়ে চুঁয়ে নেমে আসা জল
ভাঙা রেলগাড়ী, শিশিরের দল
দুই হাতে গালে মাখো!
কাঁচঘরে বসে থাকো
তোমার জন্য মরীয়া হয়ে ছুটছে সারা শহর
তারপরও তুমি কাঁচঘরে একা জানালায় বসে থাকো
তোমার জন্য হঠাৎ সাহসী রোদেপোড়া রাজধানী
তারপরও তুমি প্রাণ নিয়ে গেছো চেনা রাজপথ থেকে
ভেঙে দিয়ে গেছো প্রিয় মনুমেন্ট রাস্তার মোড় থেকে
গুপ্তধনের ছেড়া খোড়া ম্যাপ
ভাঙা কাঁচে মাখা রূপোর প্রলেপ
রাস্তা পেরুনো বোকা ছেলেটাও আড়চোখে চেয়ে দেখে
তোমার জন্য মরীয়া হয়ে ছুটছে সারা শহর
তুমি নিয়ে গেছো প্রিয় নীল রঙ রাস্তার মোড় থেকে
শাহবাগে আবেগ চুরি গেল
চেতনা জমা নিয়ে সুদ তুলল
তথাকথিত দেশপ্রেমিকের দল।
ওরা ভুলে যায়
আমার চেতনা শুধু তিন শব্দেই নয়
বুকের ভেতর পুষে রাখছি রাগ
শরীর জুড়ে আমার বাংলাদেশ
হৃদয় আমার পূর্ণ শাহবাগ।
…………
সুদখোরদের জবাব দিতে হবে
চেতনাচোরদের জবাব দিতে হবে।
আজ(১৮ জুলাই ) নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মদিন, কিভাবে শ্রদ্ধা জানাব এই হিমালয়সম মহামানবকে???
তার ২৭ বছরের কারাজীবনের ২০ বছরের কেটেছে ROBBEN ISLAND -এর সেলে | যেই কবিতাটি তাকে ভীষনভাবে সাহস আর নিরন্তর উত্সাহ যুগিয়েছে তার ভাবান্তর করার চেষ্টা করে উত্সর্গ করলাম ….
================================
রাত্রিতে আমাকে মেরু হতে মেরুন্তরে আচ্ছাদিত করে দেয়
পীট কয়লার মতন নিকষ কালো অন্ধকার ….
ব্র্যান্ডেনবার্গের আকাশে তখনো সন্ধ্যা নামেনি।
শুনেছ কি ছুরিকাহত হয়েছে রংচটা বেহালাটা?
ওরা সবাই বলছে শেষবারের মত কেঁদেছে…অনেকক্ষণ।
আর সেইসাথে রক্তে লাল হলো আকাশ।
মৃদু বাতাস ভারী হলো স্বজন হারানো পিয়ানোর আহাজারিতে।
ঘরের কোণে কিছু বেহালার জটলায় মৃদু গুঞ্জন।
মূর্ছা যাচ্ছিল বাঁশি, আর তাকে শান্তনা দিতে চেলো
শূন্য দৃষ্টি মেলে জড়িয়ে ধরে আছে সেই শুরু থেকেই।
শুনলাম রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করবে তাকে?
কবিদের প্রতি আমার অনুভূতি সবসময়ই খানিকটা ঈর্ষা মেশানো সম্মানের। তাদের প্রতিভায় অবাক হই বারবার। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ,নির্মলেন্দু গুণ,সুনীল কিংবা সিসিবি র নূপুর দা সবার প্রতি একধরনের ঈর্ষা কাজ করে। তাদের কবিতা পড়ি আর মনে মনে বলি কিভাবে পারেন? আমি আমার ক্যাডেট লাইফে একজন কবি র পরিচয় পেয়েছিলাম। তিনি কলেজের ই একজন শিক্ষক ছিলেন।। সঙ্গত কারনেই নাম টা বলছি না। স্যার , বিভিন্ন অকেশনে কবিতা লিখতেন ও আবৃত্তি করতেন।
ভাগ্যের নির্মমতায় আর চারপাশের মানুষের পরিহাসে
জানটা যখন ফালা ফালা, একা কাইন্দা-কুইট্যাঁ শেষ;
কালা-খোদার কাছে চিৎকার কইরা কাইন্দাও ফায়দা নাই,
তাই ভাবতে ভাবতে নিজের ভাগ্যটারেই দেই অভিশাপ।
ক্যান যে আমার কপালটা ঐ লোকগুলার মতো হইল না:
তাদের আছে ধন-মান, চেহারা-সুরত, কিংবা বন্ধু-ভাগ্য;
বাঞ্ছা করি অমুকের মতো দক্ষতা, তমুকের মতো ক্ষমতা,
স্বজন,
আমার এ চিঠি যখন পড়বে
আমি পাশে থাকবো না,
থাকবো না তোমার স্পর্শে,তোমার পরশে।
পাবে না আমায় কোনো গোধূলী বেলায়।
নিগূঢ় বেদনায় মলিন ওই মুখ,
হয়তোবা বারান্দায় একাকী দাড়িয়ে,
কাঁদছো ওই নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে।
আমি আসবোনা,
আসবোনা তোমার কান্না মুছে দিতে,
আমি আসবোনা তোমার সঙ্গী হতে।
তোমার ওই নিষ্পাপ মুখে
সারল্যের চঞ্চল হাসি ফোটাতে,
বুকের মধ্যে জমা হচ্ছে ভয়াবহ অভিমান,প্রতিনিয়ত,
অভিমান আমার অক্ষমতা গুলোর জন্য।
ইচ্ছে করে ধর্ষকের টুটি চেপে ছিড়ে ফেলি,
যৌনাঙ্গ কেটে দেই,
কিন্তু পারি না,জমা হয় অভিমান।
ইচ্ছা করে ধর্ষিতা বোনটির মাথায়
হাত বুলিয়ে দেই পরম মমতায়,
চোখের পানি মুছে দেই সযত্নে।
সেইটাও পারি না, বুকটা হাহাকারে ভরে উঠে।
ইচ্ছে করে দুনিয়াটা উলটে পালটে ফেলি,
গদি থেকে নামাই রক্তচোষা সমাজপতিদের,
যক্ষের ধনের মত যে শরীল আগলাইয়া রাখছি সে আমার নয়,
খাচা থেইকা পাখি ফুরুত দেয়, আটকাইতে পারি না।
মন থেইকা কাম, বাসনা দূর করতে আমার জান যায়, সামলাইতে পারি না,
দুরের মাঠে যে পলি পড়ে সেই পলি নিয়া কাদা মাখামাখি করি-
আমার উঠানের কাদা থিকথিক করে।
নতজানু হইয়া বইসা থাকি আধারের ভিতর জোনাকীর খেলা দেখার আশায়
প্রবল আগুনের লহরে আমার চোখ ঝলসাইয়া যায়,
জাহাজে একলা একা টানা লম্বা যাত্রায় একাকিত্বের বিষম কামড় খেয়ে আবৃত্তি করে সময় কাটানোর চেষ্টা করেছি কোনো নির্জন হাওয়ার রাতে….
একটা পুরানো পোস্ট;
“শুভ শুভ কামনা করে যাই সব সৃষ্টি কূলের তরে, নতুন বছরের নতুন আলোতে যদি আমরা পরিশুদ্ধ হই তবে কোনো এক utopia হয়তো সত্যি হবে, আবারও যেনো সামনের বছরে এরকম একটা পোস্ট লেখতে পারি,