আলোকচিত্র: সে কি আসে, সে কি আসে?, কাজী সাদিক(৮৪-৯০)
এমনি কত সোনাঝরা বিকেল এসে মিশে গেছে – নদীময় বয়ে গেছে আমাদের জীবনের চোরাস্রোত।হঠাৎ চুমুর বেগুনী উদ্ভাসে দুলে উঠেছে জারুল ফুল, সঘন উত্তাপে আ হা আমাদের জোড়া ঘড়ি থেমে যাবার ষড় করে কতবার পরাস্ত হয়েছে।অভিমানের কোন ধার ধারেনি কোন নদী, চোখ থেকে অশ্রুর শেষ ফোঁটাটুকুও লুটে নিয়ে গেলে হু হু করে উঠেছে খটখটে শুকনো হৃদয়।তুমি চলে গেছো রিকশায় ভর করে, ওড়নার পাল তুলে দিতে’ মহাজনী নৌকোর মতন যারা এসে দাঁড়িয়ে ছিলো সারসার।
আমি? এই যে এভাবেই ভেসে ভেসে নদীবর্তী রয়ে গেছি আজো একখণ্ড কাঠের পরে।এক শতাব্দী ধরে শুধু ঘাড় ঘুরিয়ে গেছি – কেঁদে গেছি সেদিনের সঘন উল্লাসে – সে কি আসে, সে কি আসে!
______________________________________________________________________
ছবি নিয়ে, ছবির পেছনের মানুষটিকে নিয়েও:
কাজী সাদিক ক্যাডেট কলেজ থেকেই দুর্দান্ত ছবি তুলতো।তারপর ছাত্রাবস্থায় অন্যান্য অনেককিছুর পাশাপাশি ক্যামেরা নিয়েও আমাদের একটা ঘোরলাগা সময় কেটেছে – টানা ১৭ বছরের সহপাঠী আমরা। আগেও ওর ছবি নিয়ে লিখেছিলাম, সেগুলো হারিয়ে গেছে কোথায়।অনেকগুলো বছর পর, আবারো কাজী সাদিকের ছবি নিয়ে লিখতে পারাটা একটা অনন্য অনুভূতি আমার জন্যে। ছবি সবার নজর কাড়বে জানি, লেখাটা ছবির মাপে হলো কি না জানার প্রতীক্ষায় রইলাম…. লেখার শিরোনামটি ছবির ক্যাপশন থেকে নেয়া।
ছবিটা তোলা, নাকি আঁকা সেটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে লিখাটা পড়ছিলাম।
পড়া শেষে মনে হল, এটা যেন লিখাটারই পটভুমি।
ভালো লেগেছে এই প্যাকেজটা। :clap:
ফজলে,
ধন্যবাদ।
পেইন্টিং বা ফটোগ্রাফ দেখে কিছু লেখাটা একটা খেলার মতো।মজাই লাগে।
চমৎকার!
🙂
ছবি কিংবা ছবিতা (ছবির কবিতা ) - কেউ কারো চেয়ে কম যায়না। দুটোই দারুণ, নূপুর দা
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ছবিতা -- বাহ্!!
থ্যাংকস জিহাদ।
সর্বোনাশ, কি এইগুলা 😮
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😮
ক্যান, কি হইলো?
আমার যতটুকু মনে পড়ে শেষবার দেখেছিলাম কাজী সাদেক ভাইকে প্রবরতকের মোড়ে একটা এম্বাসেডার টাইপের গাড়ির সাথে। সেদিন কিছু কথা হয়ে ছিল। ক্যাডেট কলেজ জীবনে কাজী সাদেক ভাইকে মনে পড়ে কারন উনি আমাদের কোন রকম শাস্তি দিতেন না বলে। যাই হোক নূপুর ভাই, কাজী সাদেক ভাই সহ আপনাদের সবাইকে খুব ভালো লাগতো।
'কাজী সাদেক' - এই বানানটাই ছিলো তার নেমট্যাগে, যদিও আসলে 'সাদিক' ছিলো নামটা।
আমরা শাস্তি দিতাম শুধু পরীক্ষায় খারাপ করলে, কারণ একাডেমিকস এর পয়েন্ট ছিলো সবথেকে বেশি। 😀 হাউস চ্যাম্পিয়ন করাটা আমাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো কি না তখন!
আমাদের সবাইকে ভালো লাগতো জেনে প্রীত হইলাম। 🙂
ক্যাডেট কলেজ জীবনে কারো ত্রাস মনে হয় হতে পারিনাই আমরা।কি আফসোস বলো!
g vai. ami-o khub-e santo cadet cilam...
-আলীম হায়দার.1312.
হুমম্।
কিন্তু তোমার মন্তব্যগুলো বাংলায় নয় কেন? অ্যাডু স্যার তো খেপতেসে মনে হয়।