তুমি একটু শুধু ঘেঁষতে দিও কাছে
তোমার কাছে অনেক কিছু বলার আমার আছে
একটু হবে ফিসফিসানি একটু হবে কথা
একটু হবে কোলাহলে ঘেরা নীরবতা
একটি কথায় হাসবে তুমি একটি কথায় কাঁদবে
একটি কথায় তোমার মনে রহস্য দানা বাঁধবে
এক পৃথিবীর কথা জমা এক আকাশের মেঘ
এক সাগরের জলরাশি জমানো আবেগ
তোমার জন্যে কথার ঝুড়ি গোপন প্রেমের কাব্যে
বলবো আমি এখন থেকে আমায় আবার ভাববে
আবার তুমি সুর সাজাবে দূর পাহাড়ের ঝরনা ধারা
তোমার গানের উচ্ছাসে আজ বায়ুস্তর বাঁধন হারা
একটি কথা কানে কানে একটি কথা জোড়ে
একটি কথা বলে ফেলা ভালোবাসার ঘোরে
একটু কাছে আসতে দিও একটু দিও ঠাঁই
আমিতো এক পাগল প্রেমিক ঠিক ঠিকানা নাই
আবার কবে তোমার কাছে ফিরে আসার ভাগ্য হবে
আবার কবে তোমার চোখে অপেক্ষার ই কান্না রবে
আবার কবে আকাশ হয়ে মেঘ জড়াবো তোমার গায়ে
আবার কবে ছায়া হয়ে থাকবো তোমার পায়ে পায়ে
এখন অনেক দুঃসময় এক কাব্য লিখে পেট ভরেনা
এখন বুঝি বিলাসিতাও তোমার মনে দাগ কাটেনা
কবিতা নয় বাস্তবতার দু এক কথা বলবো তাই
একান্তে আজ এই প্রহরে তোমার কাছে ঘেঁষতে চাই.
এই বৃষ্টিতে আমি কোনদিকে যাবো?
এই বৃষ্টিতে আমি কোনদিকে যাবো?
কার কাছে যাবো?
ঝাপসা উত্তর,পূর্বের কুয়াশা
পশ্চিম দৃষ্টি সীমানায় খরস্রোতা
দক্ষিণে ঘিরে আসে বিক্ষুব্ধ হাওয়া
অজগরের তুমুল হা
বিদ্যুতের চাবুক,বারবার কেঁপে উঠে
পৃথিবীর সব ভয়ার্ত হরিণেরা
এই অন্ধকারে আমি
কোন দিকে যাবো
কার কাছে যাবো তোমাকে ছাড়া?
আমাদের যূথবদ্ধতার কথা জেনে সহসা বৈরী যারা
আমাদের বিচ্ছেদে তাদের উল্লাস
অবিশ্বাস ছড়ানো চন্দ্রড্রাগনেরা
এই দুর্যোগে আমি
কার হাত ছোঁবো
কার ওম নেবো তোমাকে ছাড়া?
খুঁজবো তোকে জীবনের এই বাস্তবতায়. . . .
তুই কী আমার ছন্দ হবি
মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব হবি
অবিশ্বাসের তর্ক হবি
কাব্য লেখার কলম হবি
দীর্ঘশ্বাসের আশা হবি
ভালোবাসার ভাষা হবি
খুব নিশিথে ঘুম ভাঙানোর অ্যলার্ম হবি
জীবন হবি মরন হবি
ফিরে আসার গল্প হবি
অনেক বেলায় আকাশ জুড়ে
ভেসে যাওয়া মেঘ হবি
বৃষ্টি হবি. . .
এক প্রভাতের শুকিয়ে যাওয়া
ক্ষনিক আলোর শিশির হবি
খুঁটে খাওয়া নখের ব্যথায় কষ্ট পাওয়া ব্যথা হবি
জোছনা হবি
রূপ বিলাবি
তুই কি আমার চোখের পাতায় লুকিয়ে থাকা অশ্রু হবি
আমায় ছুঁবি
বিদায় বেলার শেষ প্রহরে.
গত ৭ দিনের ৭ কবিতা
১.
রাত বেড়েছে,রাতের সাথে কালো-
মেঘের ছায়া ছুটছে চাঁদের পিছে
তোমার গায়ে পরপুরুষের শ্বাস
কাঁপছো তুমি নিওন আলোর নিচে।
শঙ্খ বাজে দূর সাগরের পাড়ে
মধ্যরাতে চোখ মেলে ফুলকুড়ি
তোমার দেহে অন্যলোকের চোখ
তাতেও তোমার স্পষ্ট বাহাদুরি।
মাদক লাগা হাসনাহেনার ঝাড়ে
পেঁচিয়ে থাকে মোহগ্রস্থ সাপ
অন্ধকারে সে ঠিকই পায় টের
তোমার দেহে পরপুরুষের ছাপ!
বিদায় বন্ধু ! বিদায়…
সময়টা ঠিক বিকাল নয়, আবার সন্ধ্যাও নয়,
শেষ বিকেলের রোদ প্রায় ম্রিয়মাণ
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে –
বারান্দায় বসে আবীরের রঙ দেখছি,
সন্ধ্যা নামছে ধীরলয়ে।
বিস্তর মনোনিবেশে আগামীদিনের কর্মব্যস্ততা –
একটু সাজিয়ে নেবার চেষ্টা ; হঠাৎই ছেদ পড়ল তাতে।
হ্যালো ! অপর প্রান্তে বন্ধুর উদ্বেগাক্রান্ত গলা,
কথাগুলো কেমন যেন জড়িয়ে আসছিলো।
বিস্তারিত»অনাকাঙ্খিত পরিচয়
বাসে ভীড় চমৎকার,
তার মধ্যে আবার-
যাত্রী নেওয়ায় ব্যস্ত কন্ডাক্টর,
সিট অবশ্য পেয়েছি একটা,
আর পাশে বসা মহিলাটাকে দেখছে আমার উৎসাহী চোখটা,
চেনা চেনা লাগে,
মনে হচ্ছে দেখেছি অনেকবার আগে-
কোথাও,
মনে পড়ছে না নামটাও ।
“ওহে টিকিটটা-”, আনমনে দিলাম তা,
“ওহে”- বলে কলেজের এক বন্ধুও ডাকত সবাইকে,
বিস্তারিত»জনৈক ক্যাডেট কথা…
শোন শোন ভাইসব, শোন দিয়া মন,
জনৈক ক্যাডেট কথা শোন সর্বজন,
সকালে উঠিয়া সে যে মনে মনে কয়-
সারাদিন যেন সে গা বাঁচিয়েই রয়,
আরে – প্যারেড গ্রাউণ্ডে যখন ড্রেস চেকিং হয়,
শেভ-পালিশ নাই বলে পেছনে লুকায়,
প্যারেড ব্রেডের মত গজবের শেষে,
ফর্মক্লাসে এসে সে ঘুমায় নিমেষে ।
বিস্তারিত»
আর কতো মিথ্যে বোঝাবো নিজেকে
বেশ বোঝা যায়, আশা নেই আর কোন,
নতজানু রক্ত নিয়েছে মেনে এই অর্থহীন জীবন,
তবুও যদি কিছুটা থাকে অস্তিত্বের সম্মান।
জীবন বিক্রিতে হয়েছে উপার্জন অনেক,
তবে খরচের সুযোগ নেই, সঞ্চয় ছাড়া,
এভাবে আর কতো সমঝোতা, কাপুরুষ ধৈর্য্যধারণ?
কি লাভ? আর, কি হবে?
নিজেকে এভাবে প্রাপ্তিহীন পরাজিত রেখে,
এই নির্মম রাজত্বে দাসত্বই কি অমোঘ পরিনতি!
আমিতো চেয়েছিলাম শোবার ঘরের সহজ নিরাপত্তা,
বিস্তারিত»আবারো এক পশলা বৃষ্টি
গতকাল রাতে আবারো এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিলো আমার উঠোনে
কেটেছে নির্ঘুম রাত, ছিলে না তুমি শয়নে স্বপনে ।
বুঝি না , আর কতবার ভিজবো এই জীবনে
তবে বুঝি , ভালবাসা অর্থহীন যদি বার বার বৃষ্টি নামাও বিনাকারনে ।
সেদিন পূবের বাতাস যখন এসেছিল আমার জানালায়
সেদিন উম্মত্ত সুখের ভেলায় যখন ভেসেছিলাম তোমার করতোয়ায়,
সেদিন মধ্যরাতে অগাধ নীলিমায় যখন মাথা রেখেছিলাম তোমার কোলে
সেদিন কেন বলনি আমায় বার বার ভিজাবে তুমি বৃষ্টির নোনাজলে ।
নীল দানব
গ্রামের সরল শিশু জিজ্ঞাসে,
বাবা, বাবা, এইটা কি?
বাবা বলে বেলু্ন।
বাবা ওইটা কি?
বাবা বলে ওইটা ফুচকা, তুমি খাবে?
হ্যাঁ , বাবা খাবো।
আবার জিজ্ঞাসা,বাবা ওটা কি?
বাবার সরল উত্তর ,উনি পুলিশ।
উনি কি করে?
চোর ধরে ,ডাকাত ধরে , খারাপ লোক ধরে।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করে।
উনি কি বেতন পান?
হ্যাঁ,সবাই বেতন পায়।
আজকে তোর ঘন ঘন নিঃশ্বাসে মনে পড়ে
আজকে তোর ঘন ঘন নিঃশ্বাসে মনে পড়ে
রোদবেলার দিনগুলো।
মাঝদুপুর মেঘসাগর একলা চিল একলা চিল
দুই পাখায় ডুবসাতার,একলা চিল কোথায় যায়
মনে পড়ে রাতের পর রাত জেগে অপেক্ষা
ইয়াহুতে অনর্থক বসে থাকা
ফেসবুকে সুখ খোঁজা,নিদ্রাহীন মুখ খোঁজা-আপন মুখ
মনে পড়ে রূপকথার কঠিন শ্লোক
রাজকুমার,পঙ্খীরাজ,গোলপুকুর,কৌটাতে
কঠিন প্রাণ দৈত্যদের খুন করার মিথগুলো
পারদ হয়,আয়না হয় তাই আবার তাই আবার
একটিবার ফোন পাবার গোপন লোভ মনে মনে
ছিপ ফেলে তোর নদীয়
তবুও তুই চুপ থাকিস,কী ভীষণ অবহেলায়
চুপ থাকিস
তাইতো ভোর তোর গুমর দেখতে এসে ভুল করে
ভুল করে লাল সিদুঁর ছড়িয়ে দেয় কপালময়
সংসারী লোকটাকেও পথ দেখায় বিষন্ন সন্ন্যাসী
তোর উরুয় শ্বাস রাখার ইচ্ছেতে হরিণটা দৌড়ে যায়
দৌড়ে যায় এক নিমেষ,মুহুর্তেই চাঁদ উধাও।
বৃষ্টি আর জল কাদার বিরুদ্ধে
বৃষ্টি আর জল কাদার বিরুদ্ধে
এই সকল জোৎস্ন্যাদল,ফুল-পাখি
এই সকল চৈত্র আর শীত কুয়াশা
রাত জেগে প্রার্থনায়
ভাঙা বেড়া,ছাদ ফুটো ঘরের সব
শিশু এবং কিশোরীদের ভেজা স্তন
নিংড়ে নেয় মাঠপোড়া রৌদ্রালোক
বই ভিজে,ঘর ভিজে-
আর ভিজে গৃহস্থালী,গরীব লোকের সংসার আর
রান্নাঘর
তাই আষাঢ়,বর্ষা আর সব রকম জল কাদার
বিরুদ্ধে
এই সকল সূর্যদিন,দূর্বাদল,গাছ-পাখির বসন্ত
শিউলি আর হেমন্তের রাজপথে শোকসভা
নদীর দুকূল উপচানো নিষ্ঠুর এ প্লাবনে,বন্যাতে
ঘর ভাসে,দোর ভাসে-
আর ভাসে ফসল আর কৃষকের সুখের ঘর
ছাপোষা কেরানী আর মাস্টারের মফস্বল
বেচারীদের দুর্দিনের মাইনেতে ভাগবসায়
বর্ধমান মূল্যস্তর,খারাপ আর অসৎ সব ব্যবসায়ী
তাই এসব খারাপ আর সব রকম অসৎ লোকের বিরুদ্ধে
আমার এই কবিতা হোক আগ্রাসন
হুমকি আর হোক শ্লোগান
মন্দ লোক ধ্বংস হোক,তাদের সব
সঙ্গীরা,সঙ্গীদের নষ্ট মন,পায় ঘৃণা!
বেঁচে আছি
বৃষ্টিতে ঝুম ঝুম
মেঘেরা নির্ঘুম
হৃদয়ে উথাল-পাথাল
চিন্তায় পরকাল…।।
সবই খেলা
যাচ্ছে বেলা
স্মৃতিতে ধুলো বালি
ভিতরটায় চোরা বালি…।।
ঘুম ঘুম ঘোর
স্বপ্নে বিভোর
বেদনায় সব্যসাচী
চিমটে কেটে দেখেছি
এখনও বেঁচে আছি…… ।।
অমাবস্যা
তোমার চোখে-
এতো সুখ্যাতি কেন পূর্ণিমার?
তবে কি-
অমাবস্যায় জন্ম আমার অর্থহীন !
তোমায় বলিনি এক বিষণ্ণ ইতিহাস,
অস্থির অরণ্যের-
আমি এক কাঠুরিয়া।
নিষিক্ত ঘামের মুল্যে কুড়িয়েছি কাঠ,
তবুও জ্বলেনি আগুন-
ঝড়ো বৃষ্টির হুঙ্কারে।
এখনও-
কানে বাজে পশুত্বের উপহাস,
নগ্ন পায়ে পিছলিয়েছি-
কঠিন পাথরে।
রূপবতী প্রকৃতি জুড়িয়েছে চোখ-
কিন্ত সাধেনি নীল ভালোবাসা।
অন্ধপ্রেমিক
আমি এক অন্ধপ্রেমিক,
সারারাত সারাদিন, গেয়ে যাই প্রেমিকার গান
সূর্য-চাঁদ, পাহাড়-নদী,
তরুলতা প্রজাপতি
আলেয়া বা অমানিশা
কখনো আবার বিদিশার দিশা
আরো কত কত-শত উপমার সম্ভার
খুঁজে বেড়াই, তাতেই হারাই,
তাতেই আমার বসবাস।
প্রেমিকা মোর হাসে মিটিমিটি,
তাতেই আমি খাই লুটোপুটি।
আর ওদিকে দুর্বৃত্তের
পড়ে কামাতুর দৃষ্টি,
ছক কষে ধরতে ভাঙ্গতে,
এই আমারি টুটি।