লালগোলাপ

লালগোলাপ

দীপাবলি-ক্রিসমাস-ঈদ-পূর্ণিমা, একরাতে দেয়া হবে সব ঘোষণা
কোলাহল চলে যাবে ছুটি,
ভুল তালে ব্যালে নাচ, ভয় নেই, দেখবেনা কেউ আজ
পাহারায় সোনা-রূপো কাঠি।
প্রিয়মুখ নারী-
ঠোঙার জীবন ফেলে, ভালোবাসা চোখ মেলে, একখানি
লালগোলাপ নিয়ে এসো।

পকেটের ছেঁড়াখোঁড়া দু’টাকা, চুপিচুপি অশ্লীল পত্রিকা
ছিঁড়ে ফেলে দেবো,
এলেবেলে লোক আমি, একটানে পিকাসো হয়ে যাবো।

বিস্তারিত»

পনেরো অক্টোবরের কবিতা

তুমি কি আমাকে চেনো নি?
ভ্রষ্ট স্মৃতির পালক পড়ে
উড়ে চলে যায় তিন খুনী!

পালক পেয়েছে শীতের ভোর
তিন জনই কি খুন করেছে
কিংবা দু’জন সাক্ষী চোর!

পালক ভিজে যায় কুয়াশায়
হয়তো হঠাৎ পড়বে মনে-
চুপ করে থাকে এই আশায়!

তুমি কি চেনো নি আমাকে?
যখন দু’জন ঘুমিয়ে পড়ে
তখন খুনীই রাত জাগে!

বিস্তারিত»

আহ্বান

প্রিয়তমা,
তোমার রাগ ভাঙানোর সময় নেই এখন,
এখন জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়া আমাদের মানবতা
কি নিদারুন পাশবিকতায় ধ্বংস যজ্ঞ চালায় বিধর্মীর ঘরে ঘরে।
প্রিয়তমা,
আমার বাংলা এখন সীমান্ত নদীর মত খরস্রোতা
আগ্নেয় গিরির মত উত্তপ্ত
আর গন্ধক ফলের মত অভিশপ্ত।
এখন রাজপথের ধুলো মাখা কবিতার প্রত্যেকটি শব্দ,অক্ষর মধ্যঅন্ত্যমিল
অজস্র কান্নার বৃষ্টিতে ভিজে একাকার।
প্রিয়তমা,

বিস্তারিত»

রাষ্ট্র এবং দাউদ হায়দার

কবি কিংবা লেখক- যাই বলো না কেন, তুখোড় হাত ছিল লোকটার
পদ্য কিংবা গদ্য কবিতা- প্রেম কিংবা ধিক্কার- কিছুতেই কমতি ছিল না তাঁর।
তব কেন সে দেখা পায় না এইসব কুসুমমঞ্জরী
পাবনা কিংবা ঢাকার।
মার্কিন মুলকে- য়ূরোপ উপবাসে দিনকাটে বাঙাল স্বাধীনতার।

কই- কেউতো সম্পাদকীয় লেখে না!
পত্রিকা-চ্যানেল এরা সব আড়াই নম্বর চরিত্রের কর্পোরেট পামর-দালাল।
চিন্তা করা যায়,

বিস্তারিত»

প্রার্থনা-৩

তোমার নদী’য় ডুব সাতারে
ক্লান্ত আমার এ মন দেহ
“খুব গোপনে বাড়ছে যে জল”
মনের মধ্যে এ সন্দেহ-

আমায় আরও ক্লান্ত করে
তখন ভাসি তোমার সাথে
আরও বেশী বাড়লে বিরোধ
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!

তখন বোকা ঈশ্বরেরা
আমায় বলে,”সন্ত কবি,
ঘরের মধ্যে প্রার্থনা ঝুট
নষ্ট তোমার সাধন সবই!

গৃহত্যাগের লোভ দেখিয়ে
আমায় ডাকে জোৎস্না রাতে
আমি তখন প্রবল দ্বিধায়
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!

বিস্তারিত»

কিবরিয়া সাহেবের আলো বিক্রয়ের গল্প

এক বস্তা আলো নিয়ে হাটে এসেছে কিবরিয়া সাহেব
লক্ষ্য, যদি কেউ ক্রয় করে আলোকিত হতে চায় !
ইদানিং অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারপাশ,
সূর্য আগের মতো আলো ছড়ায় না,
শুনেছি জোনাকিরাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
অদ্ভুত, অদ্ভুত সেই অন্ধকার
কেউ কোন কিছু দেখতে পায় না, তাও আলোর প্রতি কারো কোন আগ্রহ নেই।

ইদানিং দৃশ্যমান শয়তান মূর্তিহীন ঈশ্বরের জায়গা নিয়ে নিয়েছে
কিংবা দৃশ্যত সুখের কাছে অনন্ত অদৃশ্য  সুখের বিলুপ্তি ঘটেছে
সমাজ সভ্যতার আলো এখানে মলিন ফিকে হয়ে গেছে ,

বিস্তারিত»

একটি গোলাপ

তোমার হাতের পাঁচটি আঙুলের দাগ এখনও আমার গালে।
মনে পরে ?? একটি গোলাপ নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম গাছের আরালে,
কি করে পারলে তুমি ??
গোলাপটাকে পিছনে রেখেছিলাম, আগে বলব পরে দিব বলে
ওটার স্থান হোল ড্রেনের জলে।
কি ভাবছ?? ইচ্ছে করে ফেলিনি,
ভয়ে আমার হাত এমনিতেই কাপছিল, তারপর তোমার সেই…………
দোকান থেকে সবচাইতে তাজা গোলাপটা কিনেছিলাম
তোমাকে দেব বলে সারাপথ তা পানির বোতলে রেখেছিলাম।

বিস্তারিত»

মেয়েটা আর আমি…

এক বন্ধুর বিয়েতে পরিচয়_

প্রথম দেখাতেই হলো সংশয়।

জানি না, কেন তার ঐ নীলশাড়ি

আমার মনটা নিলো, অচিরেই কাড়ি।

 

আমি শান্তমনা ছেলে_

বন্ধুপাগল মনটি আমার

রাতদিন থাকে তালেতালে।

আর, কী যেন সে খোঁজে

আপন মনেতেই গান বাজে।

দিনদুপুরে নায়ক বেশে

বাইরে যায় কাজে।

বিস্তারিত»

নেহায়েত ভন্ডামি

শখ করে সিগারেটও খাইনি কখনো
উৎসবে।
মদ!
তওবা তওবা- ছুঁয়েও দেখিনা।
মেয়ে বন্ধু কখনোই ছিল না আমার।
রাতের আড্ডায় কেউ দ্যাখেনি আমাকে।
তাই বলে-
পুরোদস্তুর হাজী সাহেব বলেও নিজেকে দাবি করি না !

জুয়ার টেবিলেও বসিনি কখনো।
বাঈজী নাচতো রীতিমতো অবিশ্বাস্য!

সকালে ক্লাসে যাই,
তারপর খাতা নিয়ে সেমিনার-
নোটপাতি খুঁজে নিয়ে বিকেলে পাঠাগার।

বিস্তারিত»

ভুলের ফল

ফুলটা তুলে ভুল করেছি

লাগছে নাতো ভাল

মানিয়ে ছিল যখন সেটি

গাছের ডালে ছিল।

 

ডালে ছিল তীক্ষ্ণ কাঁটা

খোঁচা খেয়েছি তাতে

ফুল তুলতে গিয়ে আমার

রক্ত ঝরে হাতে।

 

বাড়ি ফিরে লাগাই মলম

ব্যথায় টন্‌-টন্‌

ফুলটা রাখি বোতল জলে

মৌমাছি ভন্‌-ভন্‌।

বিস্তারিত»

ব্যথা

অন্ধকার আস্তাকুড়ে আমায় ফেলে রেখে
তুমি চলে গেছো
স্মৃতিগুলো বিস্মৃতির কাঁটা হয়ে
আমার হৃদয়ে ব্যথা দিচ্ছে
অন্ধকার যে আমার পছন্দ না, তুমি জানতে;
তবুও আমায় ভুতুড়ে অন্ধকারে রেখে গেছো।
তোমার হাসি আজও কানে বাজে নুপুরের তালে;
আজো তোমার স্নিগ্ধ চুলের গন্ধে আমার চারদিক সুরভিত;
একটি ঘর্মাক্ত সন্ধ্যায় তোমার নাকের উপর জমা শিশিরগুলো
আজো আমায় জানান দেয় একটি সুন্দর দিনের সমাপ্তি;

বিস্তারিত»

আশার এক্রসটিক

[এক্রসটিকঃ এই ধরনের কবিতা বাংলায় প্রথম লিখেন কবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত।প্রথম বার লিখেছিলেন তার এক বন্ধুর নাম নিয়ে।নামটা ছিল খুব সম্ভবত গৌর মোহন দাশ।সে যাই হোক-এই কবিতা পড়ার নিয়ম হল- প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষর একে একে পড়ে যাওয়া।তারপর বাকি কবিতা পড়া।আরেকটা কথা-এই ধরনের কবিতায় প্রথম অক্ষরের বানান ভুল করা যেতে পারে!(কারন টা পড়লেই বুঝবেন)। ধন্যবাদ।]

আকাশে জমা মেঘ গুলো কাঁদে,
মিশে যায় দিগন্তে।

বিস্তারিত»

সহজাত সত্য প্রেমে

সাবেক প্রেমিকাদের কাছেও ঋণ থাকে অনেক
অনেক সময় মানুষ ঋণী থাকে পত্র বাহকের কাছে।
প্রেমিকের কাছেও-
কখনো কখনো ঋণী থাকে চলে যাওয়া প্রেমিকারা।

প্রেম হলো কথা-ভেঙ্গে-কথা-রাখা।

নির্মোহ প্রেমিক তাই কথা রাখে না।
কথার চিড়ায় গুড় মিশিয়ে
প্রিয়ার মনে সুখ ছিটিয়ে
প্রেমিক বুঝে নেয় প্রেমিকার চৌষট্টি কলা।
আর প্রেমিকা-
প্রেমিকের সাথে রপ্ত করে গোপন নাচের মধুর মুদ্রা।

বিস্তারিত»

অসহায় ভালবাসা

এক মুঠো ভালোবাসা এনে ছড়িয়ে
দিলাম তোমার গায়ে।
তুমি অবাক চেয়ে রইলে
নিরবাক মুরতি হয়ে।যেন বলে
বোঝাবেনা তোমার কোনো অনুভুতি
বুঝলেনা আমার ভালবাসা কতখানি
প্রাচীন আর উদ্দাম।সে জোয়ারে
ভেসে যাবে তুমি-জানিনা সেই ভয়ে
কি তুমি নীরব ছিলে সেদিন।
বুঝিনি কেন তোমার মুখখানি মলিন
হয়েছিল-আধারের শাদা ঘাসের মতো।
আমি তোমায় বুঝতে পারিনি-কতো
রাত বসে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন বিলাস
নিরঘুম একঘেয়ে জীবন।আমার আকাশ
ভেসে যায় তোমার উত্তাপে।সে তাপে
আমার প্রেম জোয়ারের নদী হতে
বাশপ ওঠে।তোমার আকাশে মেঘ জমে।

বিস্তারিত»

একটু কঠিন ধর্ম বটে

পেয়ে হারানোর বেদনা কি একটু বেশী !
না পাওয়ার চাইতে !
হয়তোবা।
আবার নাও হতে পারে!
মনে মনে চেয়েছ অনেক
কিন্তু
পাওয়ার কোন চেষ্টাই করোনি হয়তো
তাই
হারানোর পর আজ এমন মনে হচ্ছে !
অথবা
এমনোতো হতে পারে
পাওয়ার পরে পায়ে ঠেলে ফেলে দিলে !
দূরে ঠেলে দিয়ে তুমি পালিয়ে বাঁচলে !
আজ-
চলে গিয়ে সে তোমাকে পীড়া দিচ্ছে!

বিস্তারিত»