রজনীগন্ধা

রজনীগন্ধা তোমার অনেক প্রিয় ছিল

জেনেছিলাম যেদিন প্রথম কথা বলা –

রমনায়; সুশীতল ছায়াবীথি তলে।

সবুজের ভীড়ে দুজন মানব মানবীর যেন

অকারণ হারিয়ে যাওয়া, হাতে হাত ধরে।

সেদিন থেকে রজনীগন্ধা আমারো অনেক প্রিয়,

হাজারো ফুলের বিচিত্র রঙ্গিন সমাহারে –

আমি রজনীগন্ধা খুঁজে ফিরি অজান্তেই।

সেসব আজ সবই বিস্মৃতির অতলে ডুবে চলেছে,

বিস্তারিত»

বৃহস্পতিবার

সময়টা এখন শুধুই অপেক্ষার,

ছিল কি এসবের কোন দরকার?

ব্যস্ততার এই জগৎজোড়া কারবার,

অবচেতনে মনের একান্ত সরলতাকে_

করে দেয় ছারখার।

মন শুধুই বলতে চাই বারবার_

আপনজনকে পাশে পেতে চাই আবার;

শতজনের সাথে খেয়ে নানান স্বাদের খাবার,

আমাদের সবার শুধু একহবার সময় হয়_

সপ্তাহের ছুটির আগেরদিন রোজ বৃহস্পতিবার।

বিস্তারিত»

একটা অপচেষ্টা ।

বি এম এ তে বসে গান লিখার চিন্তা করাটাও হাস্যকর জানি । তবুও এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ।

আমার হাতে আজ একলা আকাশ,
স্মৃতি হয়ে আছ তুমি,
নির্ঘুম এই রাতে আজ,
আমার পাশে নেই তুমি ।

ছুঁয়ে দেখ , হাতে রেখে হাত,
কান পেতে শোনো , পাবে আমার ডাক ।

চল যাই আকাশে , মেঘেদের সাথে ,

বিস্তারিত»

আহূতি

ছায়াদের পিছুপিছু অনেকদূর হেঁটে এসেছি আমি।
এবার আমি ফিরে যাব আয়নার ওপাশে।
গলিত সূর্যের ফোঁটায় ফলনশীল উদগ্র ফোস্কার ক্ষেত আমার পিঠে।
আমি ফিরে যাব সেই ছেলেটির কাছে।
যার মুখ আমি আজও দেখি বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে।
সূর্যের বিপরীতে দাঁড়ানো সেই ছেলেটি!
উদ্ধত সূর্যালোকের তীর্যক আক্রমণে উদ্ভাসিত!
অথচ আলোহীন ভীতিকর কী গহীন দুইচোখ !
প্রথম চাঁদের পর পৃথিবীর সব অমাবস্যা জমাট বেঁধেছে সে আঁধারে।

বিস্তারিত»

অপেক্ষা

সেই কবে তুই আসবি বলেছিলি–
আজো তোর অপেক্ষায় অপেক্ষামান
বুড়োদের শ্যাওলাধরা এইদরদালান।

এই সেদিন আবারো বসন্ত ঘুরে গেলো
পাতাগুলো ঝরে পড়লো নিদিষ্ট একটি ইতিহাস নিয়ে।
সেই ন্যাড়াগাছগুলো আবার সবুজ হল
সবুজের মাঝে কতসব রঙ্গিন ফুল ফুটল
সেসব ফুলের খোঁজে কতো কতো মৌমাছি আসল-
ভাবলাম, তুইও হয়তো আসবি।  
আসলি না।

বিস্তারিত»

সেইসব ছায়াদের কথা

আমি মুখ খুললেই দুর্গন্ধময় পাতলা পায়খানার মত ছরছর করে নির্গত হয় অশ্লীল গালিগালাজ।
তাই আমার গল্পটি বলিনি তোমায় আজও।
আমি লিখতে গেলেই মীরজাফরের মত চুপচাপ রং বদলায় কলমের কালি।
তাই তোমায় নিয়ে কবিতাটা হয় নি লিখা আজও।
আমি আঁকতে বসলেই ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে ইতিহাসের ঘুণে খাওয়া ধুন্দল কাঠের টুকরোটা।
তাই তোমার ছবিটা আঁকতে পারিনি আজও।
আমি হাঁটতে গেলেই অলিতে গলিতে শুনি দানবের হেঁটে যাওয়া থপথপ প্রতিধ্বনি।

বিস্তারিত»

ঝর্ণার গান

অন্যমনে,
যেনবা
নিতান্ত অনিচ্ছায়
দুলকিচালে
গড়াতে গড়াতে
অভিকর্ষের ডাকে
পাকিয়ে ওঠে
রশির মতন;
শেষে কিনারায় এসে
নিরুপায় লটকে যায়
বিনিদ্র
বিস্ফোরণ!

স্ফটিকের সহস্র কুচো
দ্রুতলয়
সন্তুরে চড়ে
ওইই নীচে
নেমে গেলে
টলটল
সুবোধ জল
ডাকে আয়!

তন্ময়তা
ভেঙে খানখান।
তরুণী পাতাদের
সন্মোহিত গাল
লালচে আঁচে
পুড়ে
বনভূমি জুড়ে
আত্মাহূতির
ধুম লেগে যায়…

বিস্তারিত»

নীরব ভালোবাসা

ছাতা হাতে খোলা চুলে সতর্ক হরিণী।
“নীলচে জামা!” তুমি বলেছিলে, খেয়ালই করিনি।
লাজুক হাসি, “কোথায় যাবেন? বলুন কিছু?”
“যেদিকে বলো, দুচোখ যাবে তোমার পিছু।”
কপট রাগে উল্টো ঘুরে হাঁটা দিলে।
“এই মামা যাবে নাকি কার্জন হলে?”
রিকশায় বসে হয়না দেখা ঘাড় ঘুরিয়ে,
আলতো করে হাতটি ধরি চোখ সরিয়ে।
দুপুর গড়িয়ে শেষ বিকেলের লাল দালানে,
বসে আছি তুমি আমি আপন মনে।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৭

বাসে উঠে’ আজ
‘আ মেরে জান
শাহরুখ সালমান’
চেঁচাবোনা। প্রমিজ!
আজ কোন
প্রসাধন নেই,
উচ্চগ্রাম শিস
করতালি নেই,
নেই জোড়াতালির
উত্তেজক কামিজ

আজ এই আধা-
মানবী নয়
তোর রাধা
হয়ে যাক,
আজ চোখ
সরিয়ে নেয়া থাক।
আজ দশটাকা দিয়ে
পালানো নয় প্লিজ!

বিস্তারিত»

স্ব-কৃতদাসী

এই খানে পোঁতা সেই নাড়ী,জন্মমাত্র নাভী কেটে
এত না পাওয়া,শঠতা-
তবু এ ভূমি ছেড়ে কোথাও যাবনা।
নাড়ীর টান

আমি এক স্ব-কৃত দাসী।
প্রদক্ষিণ করছি ,কেন্দ্রে যাবো না।

নিজেকে দয়া করছি কেবল,ছেড়ে যাবো না।

বিস্তারিত»

গোপন ক্রাশ

গোপন ক্রাশ
ভাঙছে কাঁচ
বাস স্টপে
পুড়ছে কেউ!

পুড়ছে রোদ
ভোরবেলা
পিঠ পোড়ায়
পোড়ায় মন

স্কুলগামী
বাস আসে
আর আসে
সেই শ্রাবণ

আকাশ রঙ
ছদ্মবেশে
এক পরী
স্কুলে যায়

আর বালক
দাঁড়ায় ঠাঁয়
এক পলক
সেই শ্রাবণ

এক ঝলক
দেখবে তাই
রোজ দাঁড়ায়
বাস স্টপে

ক্লাস সেভেন
ক্লাস সেভেন
সেই আপুর
দীর্ঘশ্বাস

ঠিক শোনে
ময়দানে
যখন রোদ
বাড়ছে খুব

বাড়ছে আর
বাড়ছে ঘাম
তার নাকে
নীল নাকে

বিন্দু ঘাম
মুক্তো ঘাম
সামনে তার
অথৈ জল

বুক সমান
সাতার-ঢেউ
স্কুল ফেরত
আসছে কেউ

ক্লাস টেনের
সেই পরী
রোজ তাকে
খুন করে

দুই হাজার
চার সালের
২০ জুলাই
২০ জুলাই

গোপন ক্রাশ
ভাঙচে কাঁচ
বাম পাশের
বুক পাজর

আর এখন
বাসস্টপে
নতুন কেউ
ক্লাস সেভেন

ঠিক দাঁড়ায়
ভোরবেলায়
কেউ আসে
আকাশ রঙ

স্কুল ড্রেসে
সেই পরী
রোজ আসে
রোজ ভাঙে

নতুন বুক
পাজর হাড়
রোজ ভাঙে
রোজ ভাঙে!

বিস্তারিত»

প্রলাপ-১১

ক।
অবশেষে
শহরের এ প্রান্তে এসে
উচ্চারণ করেছি নীল,
ওষ্ঠে আকাঙ্খা করেছি
তোমার বাহুর মতন
উজ্জ্বল চুরুট-
বেশি কিছু নয়। অথচ
কোমর দুলিয়ে
একদল
বেহায়া অন্ত্যমিল
শুনিয়ে গেল
‘ভালোবাসা কারে কয়’!

খ।
পাশ থেকে
বাদামঅলার
কুপির
একটা
ম্রিয়মান শিখা
হঠাৎ লাফিয়ে
তোমার শাড়ি
ছুঁয়ে দিলে

মাংসপোড়া ঘ্রাণে
রেস্তোঁরা,

বিস্তারিত»

ছোট কবিতা-৪

ক। উৎসর্গঃ কবি অরুণ মিত্র
সকলে সূর্যকে করে প্রণাম
আপনার বেলায় ভিন্ন চিত্র,
আপনি করেন হ্যাণ্ডশেক
আপনি যে অরুণ-মিত্র।।

খ। উৎসর্গঃ কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
দুচোখ বুঁজে যাচ্ছো দিয়ে
ফাটা ডিমে তা,
ডিম্ব পাছে মাইণ্ড করে
তাই কি ভদ্র তা!

গ। স্মরণঃ দেশভাগ
তখন থেকে
তাড়া দিচ্ছে চলো
তাড়াতাড়ি গুটাও,

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৬

না সে খটখটে রোদ্দুর থেকে,
না কোন বজ্রঝরানো মেঘে চড়ে
এসেছিলি মোহন কালা
আমি তখন হাটে
আনাজ নিয়ে বসে।
পিরিতের ওল্টানো থালা
বলেছে, দ্যাখ্
ধুলোওড়ানো বাস
নিয়ে এলো
পরিপাটি সিঁথির
সুঠাম নাগর এক!

ও চুলের ক্লিপ
সুগন্ধি তেল
কাঁচুলির গোলাপী পলিথিন
যমুনায় ছুঁড়ে দে কালা,
আজ নয়
মোর ঠাঁয়ে চল –

বিস্তারিত»

বৃষ্টি-৯

আজ না হয় মনিটরেই
অবিরাম বৃষ্টি পড়ে যাক,
হেডফোনে মুহুর্মুহু বাজ!
ঘষা কাঁচ ভেবে
বিন্দু বিন্দু টলোমল
জল এসে
লেপ্টে যাবে,
সবকিছুকে ধুত্তোরি দেবার
আদেশ দিয়ে
এলোমেলো পায়ে
নেমে গেলে
কীবোর্ড
বেসামাল হবে
ভেতরঘর থেকে
উঠে আসা ভাপে,
গতজন্মের
হারানো মনস্তাপ
স্বপ্নের কথা ভেবে
পস্তাবে কেমন কে জানে!

বিস্তারিত»