অথচ আমি মৃত নই;
শুধু তোমার পাঠ্যবইয়য়ের শেষের পাতায়।
সেখানে চাওনি যেতে তাই
দুপুরবেলা ধূলো জমে আমার কালো কায়।
তোমার অপেক্ষাই ভাললাগায়!
রাতের উপকূলে
হুট করে বেজে ওঠা পতঙ্গের পাখায়
জমে থাকা কষ্টের যে গান শুনেছিলে,
পতনশীল দুঃস্বপ্ন থেকে সে কি ঘুম ভাঙায়?
কার অপেক্ষায় চোখ ফিরে যায়,
নির্লিপ্ত জানালায়?
আমাদের বিচ্ছেদ ছিল কয়েক মাসের
এর মাঝেই তুমি
অন্যপুরুষের কাছে আশ্রয় খুঁজতে গিয়েছ।
শুনেছি ওরা প্রথমেই তোমার শরীরের ফিটনেস জানতে চেয়েছিল
তুমি লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে বলেছিলে,
মেয়ে মানুষের ওসব বলতে নেই
এই ভেবে আশ্চর্য হও তুমি,
তোমার মনের গভীরতার চেয়ে ওদের কাছে
ফেয়ারনেসটাই বেশি প্রায়োরিটি পেতো।
তুমি ভালোবাসার দারুন দুঃসময়ে জন্মেছো ভেবে
আমাকেই কি মনে পড়তো না?
ছায়াদের পিছুপিছু অনেকদূর হেঁটে এসেছি আমি।
এবার আমি ফিরে যাব আয়নার ওপাশে।
গলিত সূর্যের ফোঁটায় ফলনশীল উদগ্র ফোস্কার ক্ষেত আমার পিঠে।
আমি ফিরে যাব সেই ছেলেটির কাছে।
যার মুখ আমি আজও দেখি বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে।
সূর্যের বিপরীতে দাঁড়ানো সেই ছেলেটি!
উদ্ধত সূর্যালোকের তীর্যক আক্রমণে উদ্ভাসিত!
অথচ আলোহীন ভীতিকর কী গহীন দুইচোখ !
প্রথম চাঁদের পর পৃথিবীর সব অমাবস্যা জমাট বেঁধেছে সে আঁধারে।
এই সেদিন আবারো বসন্ত ঘুরে গেলো
পাতাগুলো ঝরে পড়লো নিদিষ্ট একটি ইতিহাস নিয়ে।
সেই ন্যাড়াগাছগুলো আবার সবুজ হল
সবুজের মাঝে কতসব রঙ্গিন ফুল ফুটল
সেসব ফুলের খোঁজে কতো কতো মৌমাছি আসল-
ভাবলাম, তুইও হয়তো আসবি।
আসলি না।