ছায়াদের পিছুপিছু অনেকদূর হেঁটে এসেছি আমি।
এবার আমি ফিরে যাব আয়নার ওপাশে।
গলিত সূর্যের ফোঁটায় ফলনশীল উদগ্র ফোস্কার ক্ষেত আমার পিঠে।
আমি ফিরে যাব সেই ছেলেটির কাছে।
যার মুখ আমি আজও দেখি বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে।
সূর্যের বিপরীতে দাঁড়ানো সেই ছেলেটি!
উদ্ধত সূর্যালোকের তীর্যক আক্রমণে উদ্ভাসিত!
অথচ আলোহীন ভীতিকর কী গহীন দুইচোখ !
প্রথম চাঁদের পর পৃথিবীর সব অমাবস্যা জমাট বেঁধেছে সে আঁধারে।
এই সেদিন আবারো বসন্ত ঘুরে গেলো
পাতাগুলো ঝরে পড়লো নিদিষ্ট একটি ইতিহাস নিয়ে।
সেই ন্যাড়াগাছগুলো আবার সবুজ হল
সবুজের মাঝে কতসব রঙ্গিন ফুল ফুটল
সেসব ফুলের খোঁজে কতো কতো মৌমাছি আসল-
ভাবলাম, তুইও হয়তো আসবি।
আসলি না।
না সে খটখটে রোদ্দুর থেকে,
না কোন বজ্রঝরানো মেঘে চড়ে
এসেছিলি মোহন কালা
আমি তখন হাটে
আনাজ নিয়ে বসে।
পিরিতের ওল্টানো থালা
বলেছে, দ্যাখ্
ধুলোওড়ানো বাস
নিয়ে এলো
পরিপাটি সিঁথির
সুঠাম নাগর এক!
ও চুলের ক্লিপ
সুগন্ধি তেল
কাঁচুলির গোলাপী পলিথিন
যমুনায় ছুঁড়ে দে কালা,
আজ নয়
মোর ঠাঁয়ে চল –
আজ না হয় মনিটরেই
অবিরাম বৃষ্টি পড়ে যাক,
হেডফোনে মুহুর্মুহু বাজ!
ঘষা কাঁচ ভেবে
বিন্দু বিন্দু টলোমল
জল এসে
লেপ্টে যাবে,
সবকিছুকে ধুত্তোরি দেবার
আদেশ দিয়ে
এলোমেলো পায়ে
নেমে গেলে
কীবোর্ড
বেসামাল হবে
ভেতরঘর থেকে
উঠে আসা ভাপে,
গতজন্মের
হারানো মনস্তাপ
স্বপ্নের কথা ভেবে
পস্তাবে কেমন কে জানে!