ওমর খৈয়াম ০১

love-of-omar-khayyam-and-saqi-BI59_l
সুরা, সাকী, পদ্য এই তিন মিলে ওমর খৈয়াম।
তবে সবার উপরে প্রেম।
যে নিজেকে না ভালোবাসে সে অপরকে কিরূপে ভালোবাসিতে পারে!

ওমর খৈয়াম ওমর খৈয়াম এর সংক্ষিপ্ত বিবরণী
গিয়াদ আল‌-দিন আবুল‌-ফাত্তাহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল-নিশাবুরী খৈয়াম (জ. মে ৩১ ১০৪৮ – মৃ. ডিসেম্বর ৪, ১১৩১) একজন ইরানের কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করার পর যুবা বয়সে তিনি সমরখন্দে চলে যান এবং সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করেন।

বিস্তারিত»

ভূমিকম্প

ভূমিকম্প হয়েছে কতই তোমার আমার চুমোতে
সেই কথা ভেবে কাল রাতে আমি কেন যে পারিনি ঘুমোতে

কেঁপেছে শরীর তীব্র আদরে এতটা কাঁপেনি মাটি
তুমি হয়েছিলে কামনার নদী যেখানে সাঁতার কাটি

ভূমিকম্প হয়েছে দু’জনে মাত্রা গিয়েছে ছাড়িয়ে
বিপর্যস্ত আমার নগরী তোমাতে গিয়েছে হারিয়ে

শত সহস্র প্রোটিন পাচার হয়েছে ঠোঁটের কিনারে
চুমুগুলো সব প্রভাতফেরীতে গিয়েছে তোমার মিনারে

কেঁপে উঠেছিল তোমার শরীর কেঁপেছে দেহের বাঁক
লণ্ডভণ্ড হয়েছি দুজনেই কামনায় পুড়ে খাক

দুটি নিঃশ্বাস মিলে গিয়ে যেন হয়েছিল ঝর হাওয়া
শান্ত ছিল না দেহ উপকূল শরীরের আবহাওয়া

ভূমিকম্প আবার হবে তোমার আমার ভূমিতে
তুমি মিশে যাবে আমার ভেতরে আমিও তলাবো তুমিতে

বিস্তারিত»

কবিতা। বাহাদুর শাহ জাফর

এই লুণ্ঠিত ভূমিতে আমার হৃদয়ের আর বিশ্বাস নেই,
কে-ই বা পূর্ণতার অনুভূতি পেয়েছে এই অর্থহীন পৃথিবীতে।

বসন্তের মোহময় সময়ে
বুলবুল তার অভিমানী কন্ঠে বলেছে
প্রহরী কিংবা শিকারী নিয়তির রায়ে
আমি শৃঙ্খলিত নই।

এই তীব্র অপেক্ষার আকুতিকে বল
অন্য কোথাও বসতির,
এই বিবর্ণ হৃদয়ে
তার সুযোগ্য স্থান নেই।

ফুলের ডালে বসা বসন্তের মৃদু সমীরনে
আন্দোলিত বুলবুল
আর আমার হৃদয়ের বাগানে
কন্টক ছড়ানো।

বিস্তারিত»

ম্যাজিক দৃশ্য

11479530014_cf186a4c8a_b

তিনটি পাখি ডাইনে গেলো, চারটে পাখি বাঁয়ে
আর কে দিলো নুনের ছিটা কাটার ওপর ঘাঁয়ে?
চালের চেয়েও সস্তা আটা, নুন ও তেলের চেয়ে
ম্যজিক দৃশ্যে বদলে যাচ্ছো, বুঝতে পারো মেয়ে?
নুন আনতে পানা ফুরায়,পান্তা আনতে তেল
পথের পাশে কুড়িয়ে পাওয়া লাল রঙা ককটেল
দশম শ্রেণীর শেকল তোলে র‍্যাটম খাওয়া কনে
চারটে আঙুল উড়ে গেলো হঠাৎ বিস্ফোরণে
তিনটি আঙুল উড়ে গেলো প্রিয় পাখির মতো
ডান ও বায়ের পাখিগুলোও ঘুরছে অবিরত

বিস্তারিত»

ছোরাটির কিছু কথা

এক।
এবং সে ছোরা,
খালের ঘোলাজলের
কোলাহলে
পড়ে থাকা সে
একদা-রক্তাক্ত
ক্লান্ত হতাশ ছোরা –
রাগে নিশপিশ বাঁট নিয়ে
একদা-উদ্ধত
একবুক যৌবন নিয়ে
মিছেমিছিই
দেখে স্বপ্ন
আর গুনগুন করে গান :
আ হা,
তেমন হাতে
ফিরে গেলে ফের
যকৃৎ কণ্ঠনালী চিরে চিরে
ফোটাতো কত
বর্ণিল বাগান!

দুই।

বিস্তারিত»

জ্যৈষ্ঠের দুপুর ও বৃষ্টি আবাহন

জ্যৈষ্ঠের দুপুর

করোটিতে সূর্যকিরণ
মগজ হলো কর্পূর
জ্যৈষ্ঠের দুপুর।

বৃষ্টি আবাহন

ডিম মুখে পিঁপড়ের দল চলছে সারি সারি
ঝালাপালা হলো কান ঝিঁঝিঁর কিরি কির কিরি।
গলা ফুলিয়ে কোলা ব্যাঙ
গাইবে শুধু ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।
ঝমঝমিয়ে মুষলধারে নেমে আসুক বারি !

[০১.০২.১৪২১]

বিস্তারিত»

কালবৈশাখী

কালবৈশাখী

ধূলা বালি  শিমুল তুলা
খড়কুটা ঝরা পাতা
শোঁ শোঁ শোঁ পাগলা হাওয়া
রাতকানা চোখে
খিচখিচে ধোঁয়া।

গুড় গুড় গুড় মেঘের ডাক
কড় কড় কড় বিজলীর হাঁক
মড় মড় মড়াত
কড় কড় কড়াত
ঘরের চাল গাছের ডাল
কলা বাগান পেপের ক্ষেত
জলে ভেজা বজ্রপাত
শেকড় বাকড় চিতপাত।
[০১.০৫.২০১৪ রাতে যেমন দেখলাম]

বিস্তারিত»

প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ-২

একটা কবিতা শুনিয়ে সে
গাঢ় চোখে চেয়ে জানতে চেয়েছিল-
“কেমন লাগলো?”
জানিনা কেমন লেগেছিল আমার।
তবু কেন অঙ্কের খাতায় বার বার ভুলে-
লিখে আসি সেই কবিতা?

কিছু একটা ভুল করে-
লাজুক হেসে বলেছিল-
“আর হবে না”।
কী হবে না, কেন হবেনা, প্রশ্ন করিনি আমি।
খালি চেয়েছিলাম-
ভুল হোক;
এক, দুই, তিন, সহস্রবার।

বিস্তারিত»

বৈশাখ ১৪২১

শিমুল তুলো

গগনবিহারী শিমুল তুলো
মিতা গরম হাওয়া
আর ধূলো।

তপ্ত বিষাদ

অনল প্রবাহে তপ্ত মগজ
শীতলীতে মস্তক মুণ্ডণ
হরিষে বিষাদ স্বমেহন।

ফটিক জল

দিঘীর তলার কাদা ফাটে
মিন মণ্ডুক চাতক কাঁদে
ফটিক জল ফটিক জল।

বৈশাখী অশ্রু

বৈশাখী গরম হাওয়া
আগুনের হলকায়
কাঁদার আগেই অশ্রু শুকায় !

বিস্তারিত»

চারাগাছের পাতা ৮

তুমি আমাদের কষ্ট চেনাতে এসো না
বৈশাখের নির্দয় রোদ আমাদের চেনাতে এসো না
সাবধান করে দিচ্ছি।

মাধ্যাকর্ষণের টানে কপাল থেকে নেমে আসা ঘাম যখন চোখের পাতা ভিজিয়ে দেয়,
তখন কৃষ্ণচূড়ার ডালে কত রঙের আগুন খেলা করে
সেটা তোমার চেয়ে অনেক ভালো জানি আমরা।
তুমি আমাদের আগুন চেনাতে এসো না।

যে ব্যথায় তোমার চোখ ফেটে জল বেরিয়েছে
তুমি মায়ের কোলে মুখ লুকিয়ে তীব্র চিৎকার করে কেঁদেছ
সেই একই ব্যথায় আমরা দাঁতে দাঁত চেপে পিঠ টান করে উঠে দাঁড়িয়েছি।

বিস্তারিত»

কাপুরুষ আমি

নিঃসঙ্গতা আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে,

বলি নি কিছুই তাকে।

হতাশা আমায় গ্রাস করেছে সূর্যগ্রহণের মত,

শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছি।

কষ্ট আমায় আগলে রেখেছে তার অসহ্য বুকে,

নিরবে ঘুমিয়েছি সেথায়।

কান্না আমার পানে হাত বাড়িয়েছে বন্ধুর মত,

ফেরাতে পারি নি তাকে।

 

কাপুরুষ আমি- পারি নি ভাগ্যকে উদ্ধার করতে;

বিস্তারিত»

প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ

শুনলাম কাল নাকি বৃষ্টি হবে-
ছাতা নিয়ে এসোনা খবরদার!
আবার বলছি- ছাতা কেড়ে নেবো ঠিকই,
বৃষ্টিতে ভিজি না অনেকদিন তোমার সাথে;
বৃষ্টিভেজা তোমায় যে দেখিনা কতকাল।

রিকশাওয়ালাদের সাথে একটা চুক্তি করেছি আমি,
কেউ যাবে না আজকে -যেখানে তুমি যেতে চাও।
রোদে হেঁটে, ঘেমে ঘেমে মুখ লালচে করে ফেলো তুমি।
তোমার জন্য রুমাল কিনেছি একটা।

এরপর যখন দেখা হবে-
ইচ্ছে করে চশমাটা ভেঙ্গে ফেলবো আমার।

বিস্তারিত»

লোকটি

পানি উন্নয়নের পশ্চিম পাড় ঘেঁসে
ছুটে চলেছে বরাহ মহাসড়ক
তার একটা বাচ্চা খালটির
বুক চিরে পুবের কচু ক্ষেতের দিকে।
কনক্রিটের ক্ষুরাঘাতে মৃতপ্রায়
নর্দমার রুপ নিয়েছে পাউবো।
সেখান থেকে সাড়ে তিন হাত দক্ষিণে
কাঠফাটা রোদে ঘুমিয়েছিল লোকটি।

কদমফুল মাথা ভাটের গোড়ায়
ডান তালুর উপর স্থির
পায়ের কাছে পড়ে আছে
সবুজ পানির বোতল।
আধভাঁজ করা হাঁটুর উপরে
অলস কবজি নড়ে উঠে একটুখানি।

বিস্তারিত»

প্রথম এগার দিন

আমাদের সবার প্রিয় আব্দুল হামিদ ভাই ( ১/১) রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রথম এগার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি মহাকাব্য লিখেছিলেন। ইআরসিসির গ্রুপ মেইলে পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এই মুগ্ধতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হামিদ ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে ডাউনলোড করা মহাকাব্যটি সিসিবিতে প্রকাশ করলাম।

THE FIRST ELEVEN DAYS—IN NEVER NEVER LAND
–Dedicated to first three batches

Far removed from here
Far removed in time
Far removed in space—
Seventeen thousand
Two hundred
Eighty-four days
To be exact—
To date—
On that lazy afternoon
Of February One
Nineteen sixty-six
A French Citroen car
Carried me
Through the winding roads
From northern city Rajshahi
To an unknown destination
I was soon to discover
And initially
Dislike highly.

বিস্তারিত»