নয়টি হাইকু আর একটি ক্ষুদে ছোট গল্প

শীতের রাতে

খুন করে মাকড়সা বুঝলাম হায়,
একা আমিই জেগে আছি
পৃথিবী ঘুমায় !

Game

Burning vehicles,
Loss of lives.
Blame game continues !

অবরোধ

বাস ট্রেন লঞ্চ
আগুন লাশ।
অহিংস অবরোধ !

Ants

Fighting ants cutting each other’s head.
Who cares !
Big in number wins.

বিস্তারিত»

তলিয়ে যাবার আগে

গ্রহণে গ্রাসে যে অন্ধকার
আমার চারপাশ, তারই ঘ্রাণ
অস্তিত্বে চড়াও আবার।
অসহায় আমি আর্তপ্রাণ!

প্রাণপাতে জ্বালি দীপশিখা
দিগন্তে, আলেয়ার উৎসবে
ম্লান সেও যেন এক নির্মম ধোঁকা।
দিশেহারা মুখ গুঁজেছি সময়ের শবে!

ঘুরেফিরে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত
নিংড়ানো যে জীবন মিলায়েছে
সেই প্রাচীন শূণ্যতায়, বিবস্ত্র;
শরীর জড়ায়ে শুধুই অন্ধকার আছে!
তার আর কিছু নেই!…

বিস্তারিত»

মগের মুল্লুক

কবিতাটা লিখেছিলাম অনেকদিন পূর্বে । বর্তমান পরিস্থিতির সাথে ব্যপক মিল যায় বলে দিলাম ।

নির্বিচারে মরছে মানুষ এ দেশের পথে পথে
হরতাল অবরোধে,
দিকে দিকে শুধু বিশৃংখলা আইন মানেনা কেউ
সংঘাত আর সংগ্রামে আজ উঠেছে মরণ ঢেউ
শাসকগোষ্ঠী মত্ত হয়েছে নতুন খেলাতে মেতে
ওরা চায় শুধু ধোকাবাজি করে ক্ষমতার রশি পেতে
হায় হায় শুধু করি
এসব তামাশা বুঝতে না পেরে আমরা জনতা মরি
এখানে অবুঝ জনতার চোখে ওরা দিয়ে যায় ধূলা
এখানে শাসক মদ গিলে যায়,

বিস্তারিত»

শিকির হাইকু ও লুটেরা

Evening Snow falling,
A pair of mandarin ducks
On an ancient lake.
-Masaoka Shiki

রাতে টিভিতে লুটেরা দেখছি।পশ্চিম বঙ্গের জমিদার বাড়িতে তুষারপাত হচ্ছে দেখে আমি অবাক।তবে শেষ পাতার ব্যাপারটা ভাল লাগলো।মনে পড়ল টিআইসি অর্থাৎ টোকিও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার এর লবি।জাইকা আয়োজিত যুব আমন্ত্রণ প্রশিক্ষণে বাংলাদেশীদের চায়ের কাপে ঝড়।আঁতেলেকচুয়াল রকিব শিকির কবিতা ডাউনোলোড করেছে।খুব খারাপ।এত খারাপ কথা দিয়েও কবিতা লেখে।সে আবার জাপানের একজন বিখ্যাত কবি।আসলে কবি সাহিত্যিকরা একটু হারামি টাইপের হয়।দেখি দোস্ত,কেমন কবিতা ?

বিস্তারিত»

ইনসমনিয়া

দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, মরবিড শীতের রাতের কার্নিশে
পাপ জমে তিলেতিলে শিশিরের মত অসহায় ঘাসে।
ভেন্টিলেটরে জেগে ওঠে স্টুপিড চড়ুইয়ের প্রলাপ
অপসৃয়মান রাতের ছায়া,চড়ুই আর আমাতে জমে ওঠে আলাপ।
ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে পুরনো চেয়ারটা হিঁচড়ে বারান্দায় নিয়ে যাওয়া,
অতঃপর বাসি তামাকে সূর্যের বিপরীতে নাচে নীলচে রঙের ধোঁয়া!!
“তোমাদের শোক যখন আমার কবিতার পুঁজি
তখন আমি একফালি রোদের বিলাসিতা খুঁজি।
বহুদিন আগে ছায়াদের দেশ থেকে চুরি করে আনা রোদ,

বিস্তারিত»

লিডার

মসৃণ শব্দের চাদরে লুকায়ে রেখেছ তোমার লালায়িত
বাসনাগুলো,
উপপত্নীর গর্ভে নিজের ঔরসজাত জারজ সন্তানটির
মত!
স্বীকারও কর না,অস্বীকারও করতে চাও না!
ভয় পাও,পাছে লোকে পচা বলে!
দুয়ে দুয়ে চার বল না তুমি কখনও,
বল “তিনের চেয়ে এক বেশি অথবা পাঁচের চেয়ে এক কম,
তাকে তোমরা চার বল অথবা ষাঁড় ;
অবস্থানে কোন ছাড় নেই আমার!”
আমরা বলি নাই বা হল চার,

বিস্তারিত»

চা দেয়া ছেলেটিকে লেখা (বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে পোস্ট)

এই ছেলে, এদিক এসো_

নাম কী তোমার, কেমন আছো ?

একটু হাসো, পাশে বসো,

বল খেলতে কেমন পারো ?

বিস্কুট খাও, চা কি খাবে ?

কাজ করতে তোমার কেমন লাগে ?

বাবা-মা কোথায় ?

কেমন আছেন তারা ?

মালিক কি ডাকছে তোমাকে ?

আমি দিয়ে দেবো তোমার বসে থাকার ভাড়া।

বিস্তারিত»

ভুত কথন

অনেক রাত একা চাঁদ

পথে একা ডাকছে কাক

ভুতের গন্ধ পাচ্ছে নাক

রহস্য সব চাঁপা থাক।

জানালা থেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি

মনে হাল্কা ভয়ের সৃষ্টি

মৃদু আলোয় যথা শব্দ

সন্দেহ চোখে মন যব্দ।

পিছে আছে কিছু একটা

মিথ্যে বিশ্বাস তৈরি চেষ্টা

গলা শুকিয়ে পাচ্ছে তেষ্টা

যেন স্পর্শ কালো দেশটা।

বিস্তারিত»

জাঙ্গিয়া নাম্বার ওয়ান

১.
আজ আকস্মিকভাবে নিজ হস্তে ক্রয়কৃত প্রথম জাঙ্গিয়ার কথা স্মরণ করিয়া স্মৃতিকাতর হইয়া পড়িলাম। তাহার সহিত আমার ঘনিষ্ঠতা অধিক দিনের ছিল না। তবে অতি অল্প দিনেই সে আমার মন জয় করিয়া নিয়াছিল। আজ তাহাকে ক্রয় করিবার বৃত্তান্ত লিখিতে মন চাহিতেছে।

সপ্তম শ্রেণি অতিক্রম করিয়া সবেমাত্র অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হইয়াছি। ক্যাডেট কলেজ জীবনের কেবলমাত্র প্রথম বৎসরটি সমাপ্ত হইয়াছে। এমতাবস্থায় সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি পাইয়া পিত্রালয় চট্টগ্রামে আগমন করিলাম।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-৮

ও কি ও হে কলংকিনি রাধা
কদমগাছত উঠিয়া আছে
কানু হারামজাদা
মাই তুই জলে না যাইও..

বারাইতে না করসিলো হ্যারা –
তোর লিগা তবু ছ্যারা
রুটি বেলছি আরো দুইখান
মারে আরাল দিয়া
কাজল দিছি,
লিপিস্টিকের বদ্‌লে খিলি পান

আতখা মোড়ে
তর টেম্পো
আতখা যমুনাত
ঢেউ দিছে,
রাধাচূড়াত কম্প

এক আওয়াজ এমুন সোমায়
পানের খিলি টিফিনবাটি
গড়াগড়ি খায় –

বিস্তারিত»

প্রশ্ন

কতটা পথ হাঁটলে পরে মানুষ বলা যাবে ?
আর কত সাগর পাড়ি দিয়ে গাংচিল ঘুমাবে ?
কত গোলা দাগলে  পরে কামান  নষ্ট হবে ?
কত বছর টিকবে পাহাড়
ধূয়ে যাবার আগে ?

মুক্ত হবার আগে মজলুম
ক’বছর বাচেঁ, বল ভ্রাতা ?
অন্ধ হবার ছল করতে
ক’বার ঘোরাবে মাথা ?

ক’বার  উপরে তাকালে পরে
আকাশ দেখা যায় ?

বিস্তারিত»

সোমেশ্বরী

নিশুতি নির্জন জোছনার রাতে আবছা আলোছায়ায়
শুয়ে রুপালি বালির বুকে যে সোমেশ্বরী বয়ে যায়
তুমিতো এখনো দেখনি কখনো সে মৃতের বিবর্ণতা
মিষ্টি ঘ্রাণে স্রোতের উজানে শালুকের নির্জনতা।

ভাদ্র মাসের আর্দ্র রোদে তাই একলা বিকেলে হেঁটে
লতাগুল্মের ঝোপে তোমার স্বপন বোনা ক্ষেতে
থেমে যাওয়া সোমেশ্বরী আর মৃত ভালবাসাটি খুঁজো
কোনদিন যদি না পাও তারে নিভৃতে দুচোখ মুছো।।

[সোমেশ্বরী নদীটি বিরিশিরি বিজিবি ক্যাম্পের পেছন দিয়ে নির্বিবাদে কাউকে কিছু না বলে চুপিচুপি বয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

উড়াই প্রেম

ঘুম না এলে জানালা খুলে দেই।কিছু অস্বস্তি
ফিনিক্স হয়ে জড়িয়ে থাকে সব নির্ঘুমের রাত।
গরাদের কারুকাজ দেখি আকাশের গায়ে।

 
রূপটান মেখে স্বপ্নসওয়ারী চাঁদ ঘুমায়
বৃহস্পতি শনি কররেখায় দোলঘুমে।
গোল্লাছুট ইচ্ছে  রেটিনার লকারে
সিনপসিসে মেশে পাখি আর রাত।

 
মসলিন ডানার ঝাপটায় উসকে দিয়ে
নিঃশব্দ অশ্রু
শব্দহীন যন্ত্রণা
ধুসর অনিশ্চয়তা
আলতো উড়িয়ে দেই কিছু রাতপাখি।

বিস্তারিত»

অসম্পৃক্ত ব্যবধান

অথচ আমি মৃত নই;
শুধু তোমার পাঠ্যবইয়য়ের শেষের পাতায়।
সেখানে চাওনি যেতে তাই
দুপুরবেলা ধূলো জমে আমার কালো কায়।
তোমার অপেক্ষাই ভাললাগায়!

রাতের উপকূলে
হুট করে বেজে ওঠা পতঙ্গের পাখায়
জমে থাকা কষ্টের যে গান শুনেছিলে,
পতনশীল দুঃস্বপ্ন থেকে সে কি ঘুম ভাঙায়?
কার অপেক্ষায় চোখ ফিরে যায়,
নির্লিপ্ত জানালায়?

পৃথিবীর কম্পনে আড়ি পেতেছিলে,

বিস্তারিত»

মুক্তি ৩

আমাদের বিচ্ছেদ ছিল কয়েক মাসের
এর মাঝেই তুমি
অন্যপুরুষের কাছে আশ্রয় খুঁজতে গিয়েছ।
শুনেছি ওরা প্রথমেই তোমার শরীরের ফিটনেস জানতে চেয়েছিল
তুমি লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে বলেছিলে,
মেয়ে মানুষের ওসব বলতে নেই
এই ভেবে আশ্চর্য হও তুমি,
তোমার মনের গভীরতার চেয়ে ওদের কাছে
ফেয়ারনেসটাই বেশি প্রায়োরিটি পেতো।
তুমি ভালোবাসার দারুন দুঃসময়ে জন্মেছো ভেবে
আমাকেই কি মনে পড়তো না?

বিস্তারিত»