প্রথম এগার দিন
আমাদের সবার প্রিয় আব্দুল হামিদ ভাই ( ১/১) রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রথম এগার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি মহাকাব্য লিখেছিলেন। ইআরসিসির গ্রুপ মেইলে পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এই মুগ্ধতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হামিদ ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে ডাউনলোড করা মহাকাব্যটি সিসিবিতে প্রকাশ করলাম।
THE FIRST ELEVEN DAYS—IN NEVER NEVER LAND
–Dedicated to first three batches
Far removed from here
Far removed in time
Far removed in space—
Seventeen thousand
Two hundred
Eighty-four days
To be exact—
To date—
On that lazy afternoon
Of February One
Nineteen sixty-six
A French Citroen car
Carried me
Through the winding roads
From northern city Rajshahi
To an unknown destination
I was soon to discover
And initially
Dislike highly.
পান্তা ইলিশ বাতিক
[ শুভ নববর্ষ ]
পান্তা
আধপেটা বা সিকি পেটা যেদিন যেমন পাই
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
পেঁয়াজ মরিচ নাই।
ইলিশ
বিপদে আপদে পান্তা খায়
চাপিলা হোক বা জাটকা
ইলিশ খেতে মন চায়।
বাতিক
ঘটা করে নাগরিক
বৈশাখী উদযাপন
বার্ষিক পান্তা ইলিশ ভক্ষন।
মেঘদূতম্
মেঘের নাম দিলেম মাদকতা,
বৃষ্টিকে উচ্ছ্বাস –
হা তোমার বালিকাবেলা
কাদামাটি
হ্যাঁ বালকের দিনগুলো
উদ্ভাস।
মেঘের ভেতর থেকে
পত্র আসে,প্রণয়ের গুপ্তকথা।
উচ্ছ্বাস তোর বাড়িতে
কে কে থাকে,
বজ্রের ক’জন সখা
আয় তবে সহচরী
এক্ষণে আচরি
প্রেম,
খাম খুলে পড়ো
বিরহী যক্ষ
কি লিখে পাঠালেম
কালার কালো
অক্ষর পড়ে
স্তনশীর্ষ জাগে,
কথা-রূপকথা
সবাই রাজা হতে চায়, রাজপুত্তুর হতে চায়,
আমিও চেয়েছিলাম।
কিন্তু শেষমেষ কি হল?
হয়ে গেলাম সেনাপতি।
লোহার বর্ম পরে, তরবারি উচিয়ে আমি ঘুরে বেড়াই,
ছায়ার মত লেগে থাকি রাজার সাথে, রানির সাথে,
রাজকন্যার সাথে।
আমি যে সেনাপতি।
আমার চারপাশে কত রাজা-রাজড়ার ভিড়,
ঘোড়া ছুটিয়ে হাতি নাচিয়ে ওরা আসে।
কারও চাই রাজ্য,
কারও বা – রাজকন্যে
কেউ আবার দুটোর আশায় বুক বাঁধে।
ক্ষুদে কবিতা-৩
বন্দী
ছাপোষা খাঁচা মুক্ত হতে
উড়াল দেই বর্ণমালার আকাশে।
অন্তর্জালে বন্দী!
খেলা
ভদ্রলোকের খেলাটা বেজায় শক্ত।
এই কথাটা বুঝে ক’জন
শাসক কিংবা ভক্ত ?
প্রেম
অন্ধ হয়ে যাবো ।
তবু ভালোবাসি
ঝালাইয়ের শ্বেত শুভ্র আলো।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক
বেছে নেয়ার অগ্রাধিকারে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক
একদিনের রাজা, আরেক নাম পরিচালক।
অগভীর এঞ্জিনের ত্রিচক্রে সওয়ার
ক্ষত বিক্ষত রাজপথে সকম্প ফ্যাটফ্যাটি আর্তনাদ
নিতম্ব থেকে কশেরুকা বেয়ে চাঁদি ছোঁয়া বিষাদ!
বাছাই কেন্দ্রটা রাজ্য নাকি দুর্গ তা বলা শক্ত।
বিকেল থেকে মধ্যরাত অব্দি প্রস্তুতি
পাইক পেয়াদার বাত্তি খাবার
ছাপমারার অন্তঃপুর
হরেক রকম ঠোঙা আর ফর্দ
আধুনিক স্বয়ংবর সভা !
রাধাকথন-১০
মহারাজ,
পাথরে
আছড়ে পড়ার চেয়ে
লাট খাওয়া
ঘুড়ি হবো আজ
প্রাসাদের প্রাকার বেয়ে
সরীসৃপ হয়ে
আসে
আত্মাহুতির ভাপ,
জলসাঘর হতে
সরোদ –
বাগেশ্রীর
সুরাময় আলাপ
সুতো কেটে গেছে।
প্রণয়ের দ্রুতলয়
ফুরোল ব’লে,
ওস্তাদজী এবার
ঝালায় চলো
ত্রিতালের
সম্মোহনী বোলে
হয়তো তুমি
হয়তো তুমি স্মৃতির ভীড়ে একলা কোন মেঘ
হারিয়ে ফেলার ভয় হারিয়ে দাঁড়িয়ে নিরুদ্বেগ
হয়তো তুমি হঠাৎ দেখা খুব চেনা এক তারা
আঙুল গলে লুকিয়ে পড়া শ্রাবণ জলের ধারা
হয়তো তুমি দূর অতীতের একটু অভিমান
সুখের ঘোরে আনমনা এক বিষণ্নতার গান
হয়তো তুমি সন্ধ্যেবেলার হঠাৎ অন্ধকার
নিছক আশায় শব্দে, ভাষায় মগ্ন ছন্দকার
হয়তো তুমি নওতো তুমি, তুমি অন্য কেউ
তুমি বোধহয় স্মৃতির না’য়ে আছড়ে পড়া ঢেউ
ক্ষুদে কবিতা- ২
নাড়ীর টান
বৃষ্টি এলো নূপুর টুপুর আবেগেতে টান।
পরবাস লু হাওয়ায়
পরাণডা আনচান !
ক্যারিবীয় কীর্তিনাশ
বিশ্বসেরার সাথে হবে
জমজমাট ম্যাচ।
ক্যারিবীয় কীর্তিনাশে গ্যাংনাম নাচ !
বৃষ্টি নামের এ প্রদেশে
রাজা নেই কোনো
তবু ঘনঘন
সান্ত্রী আসে,
অগণণ।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নিয়ে দুয়ারে দাঁড়ালে
মেঘের সঘন স্বনন,
প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ছাতা –
যা নয় তা’
বলে গাল পাড়ে
খানাখন্দ,রিকশার পলিথিন
বন্দী তবু হাতকড়ায়
নির্বিকার,
নিপীড়ন-পিয়াসী;
বৃষ্টির দাসত্বে
হাসিমুখে লীন….
_________________________________________
ফেসবুকে সাবিহা জিতুর বৃষ্টিজনিত স্ট্যাটাস পড়ে।
ক্ষুদে কবিতা
রুদ্ধ আকাশ
কে বলে উন্মুক্ত আকাশ ?
গরল বর্ষনে প্রস্তুত
ঘন মেঘে রুদ্ধ !
অমৃতের ছদ্মবেশে যার ছিটে ফোটা
পৌঁছে গেছে শোবার ঘরে।
চাতক মন অতৃপ্ত!
হারিকিরি
একদেশ দুই নীতি
চায়না পাকি পিরীতি !
মুষিকের নেতাগিরি
হংকংয়ে হারিকিরি !
Frozen Heart
Winter shook the bones
With arctic vortex.
পাখিজীবন
ছোট্ট খুকুর হাত ধরে অমন চরকি ঘুরান দিলে প্রথম দুএক পাক খিলখিল
বিনুনি খসে রিবন ওড়ে,পা থেকে চপ্পল,অশ্রু উড়ে যায় তারপর সংশয়মেঘ
হাতে বেদনা বোধে ভয়-একসময় ঠিক বোঝে খুকু এটাই জীবন।
মা বলেছিল,”অ মিলু,অত উঁচুতে উড়িসনা,পড়ে যাবি।”
মালবিকা কিন্তু তখনো ওড়েনি।
তৃতীয়বার গর্ভপাতের পর বিকিকিনির হাটে একজনকে মানুষ ভেবে ভুল
তারপর দশতলার ছাদ থেকে জীবনের প্রথম এবং শেষ উড়ান
দুহাত মেলে পতনের পথে উড়তে উড়তে সে ভাবল
তার এই নতুন অভিজ্ঞতা কারো সাথে ভাগাভাগি করা হলোনা!
হুমায়ুন আজাদ – একজন অলৌকিক স্রষ্টা
হুমায়ুন আজাদকে কি আমি কখনো স্পর্শ করেছি?
মানে হ্যান্ডশেক বা পা বা সেই অর্থে?
মনে পড়ে না।
ফুলার রোডে, কলা ভবনে, ভার্সিটির পথে, বই মেলায় তাকে অনেক অনেক দেখেছি। সালাম দিয়েছি। মুগ্ধ চোখে চেয়ে দেখেছি।
হেঁটে যায় এক মহাজীবন।
সালামের উত্তর তিনি কোনদিন দিয়েছেন মনে পড়ে না। তবে চোখ তুলে কখনো তাকাতেন, কখনো না।
হেঁটে যায় এক অহঙ্কারি পুরুষ।
দাসের আত্মকথা
জন্ম জন্মান্তরে কিংবা দেশ দেশান্তরে
ঘুরপাক খাই সেই একই বৃত্তে ।
যেদিকেই যাই গন্তব্য কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্র।
কেনই বা নয় ?
সেই অনন্যতার টান কে কাটাতে পারে ?
ফোটনের মত হালকা আর চটপটে হলে
একটু সময় নিয়ে আত্মসমর্পন।
ও হো, আমিতো ভুলেই গেছি
সেখানে সময়ও স্থির।
প্রথম জন্মে নিশ্চয় মাকড়সা ছিলাম
রাণীর প্রেমে আত্মবলিদান।
কখনও পুরুষ মথ বা মৌমাছি
সন্তানের মুখ দেখার পূর্বেই মৃত্যু।