অথচ আমি মৃত নই;
শুধু তোমার পাঠ্যবইয়য়ের শেষের পাতায়।
সেখানে চাওনি যেতে তাই
দুপুরবেলা ধূলো জমে আমার কালো কায়।
তোমার অপেক্ষাই ভাললাগায়!
রাতের উপকূলে
হুট করে বেজে ওঠা পতঙ্গের পাখায়
জমে থাকা কষ্টের যে গান শুনেছিলে,
পতনশীল দুঃস্বপ্ন থেকে সে কি ঘুম ভাঙায়?
কার অপেক্ষায় চোখ ফিরে যায়,
নির্লিপ্ত জানালায়?
পৃথিবীর কম্পনে আড়ি পেতেছিলে,
একজোড়া পায়ের হাতছানির খোঁজে।
নীরবে গোপনে আড়ালে দাঁড়ালে
হারাবার ভয়ে দুচোখ বুজে
স্বপ্ন বুনেছ প্রতীক্ষার বীজে।
হারায়েছ তুমি নেই কোন কাজে।
এলোমেলো চুলে তুমি একলাই চলো
লাগে না ভাল আজ বিকেলের ঢং,
নগরীর ধুলো, জোনাকির আলো,
পার্কের রং অথবা নাগরিক সং।
তবু দীর্ঘশ্বাসে গেঁথে যাও আশাবাদী খুঁটি।
আর ভালবেসে চেপে ধর গোলাপের টুঁটি।
পাতাঝরা বিকেলে রবাহূত বাতাসের দোলে
কেঁপে ওঠা ইজিচেয়ারের শুন্যতা নিয়ে পাঁজরে,
আর্দ্র থেকে আর্দ্রতর হবে বলে
অপেক্ষায় ভেসে যাওয়া মেঘেদের দলে,
ভেসে যেতে চাও তুমি অপেক্ষার গভীরে।
অথচ মৃত নই আমি!
সযত্ন হেলায় শেষের পাতায় তোমার প্রহর গুণি!
জেনেছি আসবে না তুমি
বলেছ “মেঘেদের কথা আমি জানি!
সম্পৃক্ত আর্দ্রতায় ভোরের কিনারায়
ঝরে গেছে তারা আর নেই!
তাই ভালবাসা পেয়েছি অসম্পৃক্ত অপেক্ষায়
কারণ ঝরে যাওয়ার প্রশ্নে জাগে ভয়!”
কিন্তু তুমি বল না কেন যাই,
ব্যবধানটা ঠিকই আমি টের পাই!!
প্রথম লাইনটাই সম্ভাবনাময় - আশাবাদী করে তোলে।
তারপর অনেক সুন্দর শব্দগুচ্ছ, ভাবনাসমূহ।
কিন্তু অন্ত্যমিলের এই খেলাটা আমার কাছে কেমন আরোপিত মনে হচ্ছে -- আর লেখাটার রসাস্বাদন করতে বারবার বাধা দিচ্ছে।
হয়তো আমারি ব্যর্থতা এটা --- কবিতার প্রতি প্রত্যাশাটুকুও একটা বাঁধাধরা ছাঁদে দাঁড়িয়ে গেছে; তবু নিজস্ব মতামত জানিয়ে গেলাম।
একটা বোঝা নামায়ে দিলেন দাদা। আমিও তৃপ্তি পাচ্ছিলাম না। প্রথম লিখার সময় কোন ছন্দই ছিল না। হুট করে কি ভূত চাপল ভাবলাম প্রতিটি স্ট্যাঞ্জা আলাদা ছন্দ দিয়ে দেখা যাক। শেষ করে তৃপ্তি আসে নি। আপনার স্বাদ ঠিকই আছে। 😀
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
আবেগ আর যুক্তিবোধের টানাটানি চলছে, চলুক। মানুষগুলো দ্বন্দ নিয়েই বাঁচুক। 😉
তবুও বেচে থাকুক 🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক