বিবর্তন

আজ আমি ভিষন বিভ্রান্ত
বিবর্তনবাদ কি মিথ্যা ?
একেবারে ফেলনা ?
কি বলে একাত্তর
কিংবা পঁচাত্তর ?
অন্তঃসত্ত্বা নারী
অবোধ শিশু
পিতার খুনে উল্লাসে
মেতে ওঠে দুপেয়ে
পশুর দল।
ওরা কি হায়েনা
বা হাঙ্গর নয়?
নরবেশী কিংবা বিবর্তিত!
যাদের রক্তবীজে
গজিয়ে উঠেছে
হাজারো বিষবৃক্ষ
স্থলে জলে অন্তরীক্ষে
সদম্ভ বিচরণ।

বিস্তারিত»

তৃষ্ণা

তৃষ্ণা

পড়শীর ডালপালায়
ক্ষনিকের আশ্রয়
পাতা চোয়ানো শিশির
কালাহারি তৃষ্ণা
অলিন্দের পাশে
নিলয়ের গভীরে
খুজে ফিরি শেকড়!

[ লেখেছিলাম এক কথা ভেবে কিন্তু পাঠক বিশ্লেষণ করেছেন অন্যভাবে । সেটি বেশ মজার । পাঠক – মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান পলাশ আমার সহকর্মী বন্ধু। তাঁর মতামত দেখুন]

ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন সমাজসেবা অফিসারের ধনপতি হওয়ার তীব্র আকাংখা এ কবিতায় ফুটে উঠেছে।

বিস্তারিত»

তুমি আমি রেললাইন

 

তুমি আমি রেললাইন রেললাইন
পাশাপাশি কাছাকাছি
আদিগন্ত সমান্তরাল
কোনদিন মেশে না।

হাত বাড়ালেই যায় যে ছোঁয়া
কাছাকাছি দুটি প্রাণ
পাশাপাশি সারাক্ষণ
মনে হয় পাশে না।

চোখ খুললেই যায় যে দেখা
এত কাছে তবু কতদূরে
দুপুর সাঁঝে রাত্রি ভোরে
মনে হয় দেখি না।

তুমি আমি রেললাইন রেললাইন
একসাথে ছুটে চলা
ইশারায় কথা বলা
কোনদিন মেশে না।

বিস্তারিত»

কথকতা!!!!!!!!!!!!!!

কথকতা!!!!!!!!!!!!!!

সারাদিন প্রতিজনে, জনে জনে বলা বলি কত কথা।।
কিছু থাকে সত্যি, অধিকাংশই থাকে কথার কথা।।
কোনো কথা থাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত নক্শী কাঁথা,
প্রয়োজন ছাড়া এমনি এমনিতেই হয় কথা অযথা।।

কত কথা।।
কথার কথা।।
কথা অযথা।।
কথকতা!!!!!!!!!!!!!!

এক জীবনেই বলা হয় যত শত যাযাবর অশালীনতা,
ভুল করে ভুল বলি যা আসলে হয়েথাকে সেরকম মূখর্্যতা।।

বিস্তারিত»

এসো রাখি নয়নে নয়ন……………..

Happy friendship day
এসো রাখি নয়নে নয়ন……………..

কতদিন দেখিনাই তোমাকে, খুব কাছ্ থেকে,
কতোদিন রাখি নাই হাতে হাত্, পাশে বসে থেকে।।
নানাবিধ জাগতিক জটিলতা দুজনেই পেয়েছি,
সাজানো বাগান ভাংগার ভয়ে পালিয়ে রয়েছি।।

তারচেয়ে এসো ছিড়ে ফেলি,
জাগতিক সব বাধঁন।।
তুমি আমি আজকে রাতেই,
এসো রাখি নয়নে নয়ন……………..

কতোদিন লেখিনাই গল্প, কিংবা উপন্যাস,

বিস্তারিত»

মানসিক চিন্তার রেলগাড়ী

ওরা বললো-
নরাধম খৃষ্টানেরা, ধর্মান্তর হউ অথবা মৃত্যু।
রাতের আঁধারে রুদ্ধশ্বাসে, সন্তর্পণে হেঁটে যায়।
হঠাৎ কেঁদে ওঠা খোকার মুখ চেপে ধরে মা।

ওরা ঘোড়া চেপে দিতেই কেঁপে উঠলো-
কালাশনিকভ, দেহ। শেষ কয়টি বুলেট-
শিস বাজিয়ে স্থান নিল হাড় মাংসে।
ফিনিক্স পাখি ডানা মেললো নিথর দেহে।

ওরা ডাক দিল খেলাফতের।
আগুন জ্বললো ঘরে বাহিরে।
ঘরের কোণে ছেলেটির চুপসে যাওয়া বল,

বিস্তারিত»

তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?

তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?
———————————— ড. রমিত আজাদ

ভালোবেসেই ঘরতো আমি বেধেছিলাম তোমার,
তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?

তোমার চোখে দেখেছিলাম , আমার হাসির আলো,
সেই সে হাসি কেমন করে কান্না হলো বলো?
সেই যে সেদিন প্রথম দেখার মধুর কোমল ক্ষণে
বলেছিলে মিষ্টি হেসে, আজও পড়ে মনে,
“এতো রূপের ঝলক নিয়ে গড়া যাহার অঙ্গ,

বিস্তারিত»

যদি-আমি-তুমি-তবে…………..!

image

যদি আজ আমি আমাকে হারিয়ে ফেলি,
যদি তুমি আজ তোমাকে খুঁজে আর না পাও,
তবে বুঝে নিও নিয়তি অনেক কঠিন,
ভালবাসা মিছে আশা অনেক প্রাচীন………..

যদি আজকের দুপুরটা মায়াবতী মনে হয়,
যদি রাতের আকাশটাতে সব তারা গোনা যায়,
তবে বুঝে নিও মগজের নিরাময় প্রয়োজন,
নতুবা ফুরাতে পারে যাবতীয় আয়োজন………

যদি প্রেমের মানেটা তুমি চাইলেই দিতে পারো,

বিস্তারিত»

সবুজ চিলেকোঠা

অনেক উঁচুতে টবের মাটিতে
জন্মেছে ছোট্ট গাছ,
কোথাও নেই প্রকৃতির ছায়া
সুউচ্চ দালানের সাজ। 

সবুজ জীবনের রঙ _ 
তা না দেখিলে, মন-শরীরে 
ধরে আলস্যের ঢঙ। 

রঙের তৃষ্ণায় মানব হৃদয়
জট পাকানো শেকড়ের ঘাট
হাল্কা বৃষ্টি মিষ্টি রৌদ্র
চিলেকোঠায় সবুজের হাট।

০৯/৭/১৪
মালিবাগ, ঢাকা।

বিস্তারিত»

অতঃপর স্বপ্নেরা

ভালো থাকুক আমার স্বপ্নেরা….
সুখে থাকুক তারা…
শান্তিতে বসবাস করুক তাদের পরিবার নিয়ে।
এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্ম,
জন্মদানের মাধ্যমে তারা বেচে থাকুক আমার মস্তিষ্কের নিউরনে।
সুন্দর স্বপ্নগুলাকে এই বিভৎস বাস্তবে এনে,
আমি ওদের নষ্ট করতে চাই না।
কারন, আমি দেখছি ওদের করুণ মৃত্যু।
আমার সহ্য হয়নি।
আবগের ছোট্ট ছোট্ট অনু দিয়ে যেইটার সৃস্টি,
যেইটার লালনে পরিস্ফুটিত হয় মানব হৃদয়,

বিস্তারিত»

অলিন্দ বন্দরে

অলিন্দ বন্দরে।।

যদি অসময় খেলা করে
নিয়মিত কোন সময়ে,
যদি অসহায় হয়ে যাওয়া
পরিনত হয় অভ্যাসে,

যদি সন্দেহ বাঁধে বাসা
হরহামেশা অন্তরে,
তবে বুঝে নিও
গোলযোগ হয়েছে,
অলিন্দ বন্দরে।।

যদি অপারগ মনে হয়
প্রায়শঃই এক দিবালোকে,
যদি প্রলয়ে পিঠে চেঁপে
বনবাস জেঁকে বসে,

যদি অবহেলা এসে যায়
জীবনের যাপনে,

বিস্তারিত»

প্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ

নির্মলেন্দু গুণ শুভ জন্মদিন কবি।

পঞ্চ পান্ডবের পর বাঙলা ভাষায় আমার প্রিয় কবিদের অন্যতম নির্মলেন্দু গুণ। গুণকে ষাটের দশকের কবি বলা যায়; নাকি সত্তর। গুণকে আর যাই হোক দশকে আটকে রাখা যায় না। তিনি কালোত্তীর্ণ কিনা তা এখনি বলা সম্ভব নয়, কিন্তু তিনি যে যুগোত্তীর্ণ এতে কোন সন্দেহ নেই।

নিজের সম্পর্কে খুব সহজেই ঠাট্টা করতে পারেন এই কবি। দাড়ি রাখেন রবীন্দ্রনাথ সাজতে তাও বলেন।

বিস্তারিত»

আঠারো জুনের কবিতা

images

আজকে তোমার জন্মদিনে মনে পড়ে নৌকাভ্রমণ-
মনে পড়ে ধবলবিলের কাঁচের মতো মেঘলা আকাশ?
মেঘ মাখা নীল,নিঝুম দুপুর-
আমরা ছোঁয়াই সবুজ আঁধার নির্জনতার চক্রবালে
আমরা ছোঁয়াই শীতল আঙুল পরস্পরের অচিন গালে
কলমী ফুলের ছায়ায় হঠাৎ খলসে মাছের চোখ রাঙানী
মনে পড়ে সেই যে তোমার চোখের ভেতর আয়নাখানি?
চিরটাকাল আকাশবিহীন হঠাৎ সেদিন ধবলবিলে
রূপশ্রাবণের একলা আকাশ ছাউনি হলো বিলীন নীলে
কাঠপেন্সিল,নীলের গুড়ো ছড়িয়ে তোমার লাল কাগজে
জাদুকরের রঙিন রুমাল লুকিয়ে ফেলে খোঁপার ভাজে
মনে পড়ে মিথ্যে গল্প লেখা সেসব খাতার চিঠি?

বিস্তারিত»

সূর্য সন্তান

জন্ম নিলো হাজারে হাজার
যথেচ্ছ বলাৎকারে
সাদা আর লালচে
হলদে আর কালচে
বর্বর বাবা কাকাদের
দেখে আরও হিংস্র
হয়ে ওঠে ওরা।

আর সব বেজন্মাদের
থেকেও বেয়াদব
ক্রমাগত নখরাঘাতে
বিবস্ত্র করে জননীকে
রক্তের নেশায়।

 

বিস্তারিত»

ফেরা

স্টেশনে আমি পৌছালাম শেষরাতের দিকে,
বহু পুরনো ঠিকানা আমার,
জানতাম না আবার ফিরে আসতে পারবো কিনা;
হোক না অন্যভাবে, তবু এসেছি আমি আবার।

রফিক চাচা, হোসেন আর কামাল এসেছে-
আমাকে নিয়ে যেতে,
অনেক চেনা জায়গা এটা; তবু এসেছে ওরা।
কারণ, আসতে হয়।

আমাকে নিয়ে এগুতে থাকে ওরা-
সামনেই নতুনবাজারের মোড়।
হাহ, নতুনবাজার!
৬০-৭০ বছরের পুরনো বাজার।

বিস্তারিত»